হামাসের সুড়ঙ্গে পাম্প দিয়ে সমুদ্রের পানি ঢোকাতে শুরু করেছে ইসরায়েল। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এ প্রক্রিয়া শেষ হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বরাতে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) এমন দাবি করেছে। একই দিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি সরাসরি উত্তর দেননি। তিনি বলেছেন, যে অংশের সুড়ঙ্গে পানি ঢোকানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে সেখানে কোনো জিম্মি নেই।
বাইডেন প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা বলেছেন, পানি প্রবেশ করানোর এ প্রক্রিয়াটি সুড়ঙ্গ ধ্বংস করতে সাহায্য করতে পারে। কারণ ইসরায়েল বিশ্বাস করে, যোদ্ধা এবং যুদ্ধাস্ত্রের পাশাপাশি ইসরায়েলে হামলার সময় আটক বন্দিদের সুড়ঙ্গে লুকিয়ে রেখেছে হামাস।
অবশ্য অন্য কর্মকর্তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, টানেলে সমুদ্রের পানি প্রবেশ করানো হলে তা গাজার বিশুদ্ধ পানি সরবরাহকে বিপন্ন করবে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে অবশ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। এ ছাড়া ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেননি।
এর আগে হামাসের সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্ক সমুদ্রের পানিতে প্লাবিত করার কথা ইসরায়েল বিবেচনা করছে বলে খবর বের হয়। তখন ফিলিস্তিনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকার ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ) সতর্কতা উচ্চারণ করে বলে, যদি গাজায় পাম্পের মাধ্যমে সুড়ঙ্গগুলো সমুদ্রের পানি দিয়ে ভরা হয়, তাহলে পুরো গাজায় তার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। সুড়ঙ্গে পানি দিলে এগুলোর আশপাশে যেসব ভবন আছে সেগুলো ধসে পড়বে। সাধারণ মানুষের মৃত্যু হবে।
প্রাথমিকভাবে উত্তর গাজার শাথি শরণার্থী শিবিরের সুড়ঙ্গে পানি ঢোকাচ্ছে ইসরায়েল। বড় বড় পাঁচটি পাম্পে করে দৈনিক হাজার কিউবিক পানি ঢোকানো হবে। তবে এ কার্যক্রম গাজার অন্য অংশেও চালানো হবে কি না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।