আজঃ মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

হেপাটাইটিস বি: মৃত্যুতে ম্যালেরিয়া-টিবিকেও ছাড়িয়ে যাওয়ার শঙ্কা

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুলাই ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিশ্বব্যাপী যখন সংক্রামক ব্যাধিজনিত মৃত্যুর হার ক্রমাগত নিম্নমুখী, তখন হেপাটাইটিস বি-এর ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ এর উল্টো চিত্র ফুটে উঠছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

তাদের আশঙ্কা, অদূর ভবিষ্যতে হেপাটাইটিস-বি জনিত নানা জটিলতায় মৃত্যুবরণকারী মানুষের সংখ্যা ম্যালেরিয়া এবং টিবি রোগে মৃত্যুর সংখ্যাকেও ছাপিয়ে যাবে। এ অবস্থায় এসডিজি গোল বাস্তবায়নে ২০৩০ সালের মধ্যে হেপাটাইটিস-বি এবং সি ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার লক্ষ্যে সচেতনতামূলক কার্যক্রম আরও জোরদার করার পরামর্শ তাদের।

আজ রবিবার (৩০ জুলাই) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি ডিভিশনের ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়। এ উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপারস্পেশালাইজড হাসপাতালের অডিটোরিয়ামে ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি ডিভিশন এবং হেপাটোলজি বিভাগের যৌথ উদ্যোগে একটি আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। একই সাথে ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি ডিভিশন এবং হেপাটোলজি বিভাগের পক্ষ থেকে বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবসও উদযাপন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তেব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ জানান চিকিৎসাবিজ্ঞানের গবেষণার উপর তার প্রশাসন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদান করছে। তিনি ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি ডিভিশনের কর্মকান্ডের প্রশংসা করেন। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে রোটারি মুভমেন্টের আরো ঘনিষ্ট যোগাযোগ স্থাপনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাপী যখন সংক্রামনক ব্যাধিজনিত মৃত্যুর হার ক্রমগত নিম্নমুখী, তখনই এর উল্টো চিত্রটি প্রযোজ্য হেপাটাইটিস বি-এর ক্ষেত্রে। আশংকা করা হচ্ছে, অদূর ভবিষ্যতে হেপাটাইটিস বি জনিত নানা জটিলতায় মৃত্যুবরণকারী মানুষের সংখ্যা ম্যালেরিয়া এবং টিবি রোগে মৃত্যুর সংখ্যাকেও ছাপিয়ে যাবে। এই প্রেক্ষাপটে এসডিজি গোল ৩.৩ অর্থাৎ ২০৩০ সালের মধ্যে পৃথিবীতে হেপাটাইটিস বি এবং সি ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার লক্ষ্যে সচেতনতামূলক কার্যক্রমকে জোরদার করার উদ্দেশ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে বিশ্বব্যাপী ২৮ জুলাই বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস উদযাপিত হয়ে আসছে। পাশাপাশি ক্রমেই অত্যাবশ্যকীয় হয়ে উঠছে লিভার রোগীদের সুলভে সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার বিষয়টিও। এই প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের এক আদেশ বলে ২০২১ সালের ৭ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি ডিভিশনটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। আরো উল্লেখ্য, এই ডিভিশনটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপ্রতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পৃথক পৃথক বাণী প্রদান করেছেন। দেশের একাধিক জাতীয় দৈনিকে এই উপলক্ষ্যে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হয়েছে। অনুষ্ঠানটিতে ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি ডিভিশনের অধীনে ইআরসিপি ট্রেনিং সার্টিফিকেট কোর্সেরও কেক কেটে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এটি দেশে এ ধরণের প্রথম কোর্স। এই উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধটি উপস্থাপন করেন ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি ডিভিশনের প্রতিষ্ঠাতা ডিভিশন প্রধান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল। তিনি ডিভিশনটির গত ২ বছরের কার্যক্রম তুলে ধরেন। ডিভিশনটিতে এরই মধ্যে লিভার ক্যান্সার চিকিৎসায় রেডিওফ্রিকুয়েন্সি এবলেশন, ট্রান্সআর্টারিয়াল কেমোএম্বোলাইজেশন এবং ইমিউনথেরাপীর মতন অত্যাধুনিক সব চিকিৎসা সেবা উপলব্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি লিভার সিরোসিস রোগীদের চিকিৎসায় চালু করা হয়েছে হেপাটিক ভেনাস প্রেশার মেটিয়েন্ট, অটোলোগাস হেমোপয়েটিক স্টেম সেল ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন বা স্টেম সেল থেরাপী, মুজিব প্রটোকল বা প্লাজমা এক্সেচেঞ্জ, লিভার ডায়লাইসিস বা হেমোফিলটেশন ইত্যাদি। পাশাপাশি ট্রান্সলেশনাল মেডিসিনের গবেষনাতেও ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি ডিভিশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ, জাপান এবং কিউবার চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের যৌথ উদ্ভাবন 'ন্যাসভ্যাক' নামক হেপাটাইটিস বি-এর নতুন ওষুধটির একটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ডিভিশনটিতে সম্পন্ন হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে এই ট্রায়ালটি সফল হলে হেপাটাইটিস বি রোগীরা রোল এন্টিভাইরাল ওষুধ বন্ধ করে ন্যাসভ্যাকের এক কোর্স চিকিৎসা গ্রহণ করেই ভালো থাকতে পারবেন। পাশাপাশি ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি ডিভিশনটিতে ফ্যাটি লিভার এবং লিভার ক্যান্সার চিকিৎসায় একাধিক ভেষজ ওষুধের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালও শুরু হয়েছে। তাছাড়াও দেশব্যাপি ভাইরাল হেপাটাইটিস সম্বন্ধে সচেতনতা সৃস্টি ও হেপাটাইটিস বি প্রতিরোধে ডিভিশনটি এরই মধ্যে রোটারী ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক্ট ৩২৮১ বাংলাদেশ এবং সাকিব আল হাসান ক্যান্সার ফাউন্ডেশনের সাথে এক সাথে কাজও করতে শুরু করেছে।

অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি কমিউনিটি ক্লিনিকসহ স্বাস্থ্যখাতে বর্তমান সরকার গৃহীত নানা কর্মসূচির বর্ণনা দেন এবং ভাইরাল হেপাটাইটিস নিয়ন্ত্রণে স্বাচিপের বিশ হাজার নেতা-কর্মী পাশে থাকবে বলে জানান।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোঃ নাজমুল ইসলাম ভাইরাল হেপাটাইটিস নিয়ন্ত্রণে সরকারের কর্মপরিকল্পনা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন এবং সামনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় এবং রোটারী ইন্টারন্যাশনালের সাথে আরো ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার কথা জানান।

রোটারী ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক্ট ৩২৮১ বাংলাদেশ গর্ভনর রোটারীয়ান আশরাফুজ্জামান নান্নু আনান বাংলাদেশের রোটারীয়ানরা হেপাটাইটিস বি নিয়ন্ত্রণকে অন্যতম লক্ষ্য হিসেবে গ্রহন করেছেন। এই রোটারী বছরে তারা এক লক্ষ মানুষকে বিনামূল্যে হেপাটাইটিস বি স্ক্রিনিং এবং দশ হাজার মানুষকে হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিনেশনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন।

রোটারী ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক্ট ৩২৮০ বাংলাদেশের ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর ইলেক্ট রোটারীয়ান শহিদুল বারি আগামী দিনগুলোতেও রোটারির এই কার্যক্রম অব্যহত রাখার প্রতিশ্রুতি দেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে এসোসিয়েশন ফর দ্যা স্টাডি অব লিভার ডিজিজেজ বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ডা. সেলিমুর রহমান, রোটারী ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক্ট ৩২৮১ বাংলাদেশের এসিসটেন্ট গভর্নর রোটারীয়ান পর্না সাহা, সাকিব আল হাসান ক্যান্সার ফাউন্ডেশনের পরিচালক জনাব নাজমুল আবেদিন ফাহ  বক্তব্য রাখেন।


আরও খবর



রাফাহ শহরে ইসরায়েলের ব্যাপক গোলাবর্ষণ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আন্তর্জাতিক হুঁশিয়ারিকে অবজ্ঞা করে, পরিকল্পিত স্থল অভিযানের অংশ হিসেবে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার রাফাহ শহরের পূর্ব প্রান্তে ইসরায়েল ব্যাপক কামানের গোলাবর্ষণ করছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ তথ্য দিয়েছেন। খবর আলজাজিরার।

ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকার মধ্যাঞ্চলে তাদের হামলার লক্ষ্যবস্তু নতুন করে নির্ধারণ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষ করে শরণার্থী শিবিরগুলো এখন আক্রমণের প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এক্ষেত্রে হামলার প্রধান লক্ষ্যবস্তু এখন নুসেইরাত ও বুরেজি শরণার্থী শিবির ও দেইর এল-বালাহ শহর।

এদিকে, গাজার গণকবর পাওয়ার খবরে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র বলেছেন, সব ধরনের ফরেনসিক প্রমাণ সংরক্ষণ করা এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক তদন্ত আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘকে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের আইনি দখল নেওয়ার অনুমতি দেওয়ার জন্য এখন আইন প্রণয়ন বিভাগের আদেশ নিতে হবে।

অন্যদিকে, গাজা উপত্যকায় সাক্ষ্যপ্রমাণ সংগ্রহের জন্য আন্তর্জাতিক তদন্তকারীদের প্রবেশে বাধা দিচ্ছে ইসরায়েল।

এ প্রসঙ্গে প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির ভিজিটিং প্রফেসর ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সাবেক পরিচালক রথ বলেছেন, যুদ্ধের মধ্যেও তদন্তের জন্য গণকবর থেকে প্রমাণ সংগ্রহ করা অসম্ভব নয়। বিষয়টি দুই পক্ষের সহযোগিতার ওপর নির্ভর করছে। তবে ইসরায়েল এমন স্বাধীন তদন্ত হোক, তা চাইবে না।

জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন গাজার গণকবরে ৩৯২টি মরদেহ পাওয়ার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়ে আসছে।


আরও খবর



চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড ৪২.৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা, চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

চুয়াডাঙ্গায় অব্যাহত রয়েছে তীব্র তাপদাহ। এতে ওষ্ঠাগত হয়ে পড়েছে এখানকার মানুষের জনজীবন। গরমে অস্বস্তি বেড়েছে কয়েক গুণ।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস।

গরমে একটু স্বস্তি পেতে গাছের ছাঁয়ায় আশ্রয় নিচ্ছে মানুষ। কেউ আবার পান করছেন ফুটপাতের অস্বাস্থ্যকর পানীয়। তীব্র গরমে হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় ব্যহত হচ্ছে সেচ কার্যক্রম। নষ্ট হচ্ছে ধান, আম, লিচু ও কলাসহ মাঠের অন্যান্য ফসল।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, গতকাল থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপদাহ অব্যাহত রয়েছে। আগামী তিন দিন এমন পরিস্থিতি থাকতে পারে। এ সময় তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।


আরও খবর



এবার ভরিতে ১৮৭৮ টাকা কমল স্বর্ণের দাম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের বাজারে ফের কমল স্বর্ণের দাম। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৮৭৮ টাকা কমানো হয়েছে। এর ফলে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম হয়েছে ১ লাখ ৯ হাজার ১৬৩ টাকা।

আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে এ দাম কমানো হয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।

নতুন দাম অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৯ হাজার ১৬৩ টাকা। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪ হাজার ১৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৮৯ হাজার ৩১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৪ হাজার ২৭৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

অবশ্য স্বর্ণের গহনা কিনতে ক্রেতাদের এর থেকে বেশি অর্থ গুনতে হবে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে স্বর্ণের গহনা বিক্রি করা হয়। সেইসঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা।

স্বর্ণে দাম কমানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ক্যাটেগরি ভেদে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের রুপা ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপা ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপা ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এর আগে গত ৩০ এপ্রিল, ২৯ এপ্রিল, ২৮ এপ্রিল, ২৭ এপ্রিল, ২৫ এপ্রিল, ২৪ এপ্রিল ও ২৩ এপ্রিল সাত দফা স্বর্ণের দাম কমানো হয়। সবশেষ গত ৩০ এপ্রিল ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের ৪২০ টাকা কমানো হয়।


আরও খবর



যুদ্ধজাহাজের পাহারায় দুবাইয়ের পথে ২৩ নাবিক

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সোমালি জলদস্যুর কবলে পড়া ২৩ বাংলাদেশি নাবিককে মুক্ত করা হয়েছে। মুক্তিপণ দেওয়ার পর নাবিকসহ বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ এখন দুবাইয়ের  আল হারমিয়া বন্দরের দিকে রওনা হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ভারতীয় একাধিক যুদ্ধজাহাজের পাহারায় রয়েছে মুক্তি পাওয়া জাহাজটি। দুবাই পৌঁছানোর পর জাহাজের দায়িত্ব নেবে নতুন নাবিক দল। দুবাই পৌঁছাতে নাবিকদের আরও পাঁচদিন লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন জলদস্যুর কবল থেকে মুক্ত হওয়া নাবিক মো. শামসুদ্দিন।

শামসুদ্দিনের বোন জামাই বদরুল হক বলেন, শামসুদ্দিনের সঙ্গে কথা হয়েছে। সব নাবিক সুস্থ আছে। এখন এমভি আব্দুল্লাহর পাশাপাশি একাধিক যুদ্ধজাহাজ রয়েছে। শামসুদ্দিন জানিয়েছে, দুবাই পৌঁছাতে আরও পাঁচদিন লাগতে পারে।

আরেক নাবিক হোসেন মো. সাজ্জাদের ভাই মো. মোশাররফ  বলেন,  আমি শুনেছি দুবাই আসার পর নতুন নাবিকেরা জাহাজের দায়িত্ব নেবে। জিম্মি ২৩ নাবিক সেখান থেকে বাংলাদেশে ফিরবেন। সে (নাবিক সাজ্জাদ) আম্মাকে বলেছে, জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএমের জন্য দোয়া করতে।

জানা গেছে, জলদস্যুদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ নিয়ে একটি উড়োজাহাজ বাংলাদেশ সময় শনিবার বিকেলে জিম্মি জাহাজের ওপর চক্কর দেয়। এসময় জাহাজের ওপরে ২৩ নাবিক অক্ষত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এরপর বিমান থেকে ডলারভর্তি তিনটি ব্যাগ সাগরে ফেলা হয়। স্পিডবোট দিয়ে এসব ব্যাগ জলদস্যুরা কুড়িয়ে নেয়। জাহাজে উঠে দাবি অনুয়ায়ী মুক্তিপণ গুনে নেয় জলদস্যুরা। তবে চুক্তি অনুযায়ী জাহাজটি যথাসময়ে ছেড়ে দেয়নি দস্যুরা। পরে আশপাশে কেউ আটক করছে কি না, সেটি নিশ্চিত হয়ে জাহাজ থেকে দস্যুরা নেমে যায়।

মুক্ত হয়ে বাংলাদেশ সময় শনিবার মধ্যরাতে ২৩ নাবিক নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের আল হারমিয়া বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ। যদিও মুক্তিপণ কত এবং কীভাবে দেওয়া হয়েছে সেটি নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি জাহাজের মালিকপক্ষের কোনো কর্মকর্তা।

কেএসআরএম গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান বলেন, সমঝোতার পর নাবিকসহ জাহাজটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। জাহাজের চারপাশে একাধিক আন্তর্জাতিক যুদ্ধজাহাজ রয়েছে।

এর আগে গত ১২ মার্চ দুপুরে কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। ৫৮ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে গত ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।


আরও খবর



ট্রাম্পের বিস্ফোরক মন্তব্য: তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ ডেকে আনতে পারেন বাইডেন

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইসরায়েলে যা চলছে, তা বিশ্বযুদ্ধে রূপ নিতে পারে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, তিনি (বাইডেন) জানেন না তিনি কী করছেন। তিনি দেশকে বিশ্বযুদ্ধের দিকে নিয়ে যেতে পারেন। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ ডেকে আনতে পারেন।

স্থানীয় সময় শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ফ্লোরিডায় এক বৈঠক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বাইডেনকে বেশ করুণ বলে খোঁচাও দেন। তিনি বলেন, আমাদের এমন একজন প্রেসিডেন্ট আছেন যিনি দুটি বাক্য একসঙ্গে বলতে পারেন না! যিনি মঞ্চ থেকে সিঁড়ি খুঁজে পান না, যিনি জানেন না তিনি কী করছেন!

ট্রাম্প বলেন, আমি প্রেসিডেন্ট হলে তারা (ইরান) ইসরায়েলকে আক্রমণ করতো না। আমি থাকতে তারা কখনই তা করেনি। কারণ ইরান আক্রমণ করার মতো অবস্থানে ছিল না। তাদের কাছে কোনো টাকা ছিল না। তারা ভেঙে পড়েছিল।

তিনি বলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে যা চলছে, তা শেষ পর্যন্ত বিশ্বযুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, আমাদের জাতির জন্য এটি একটি বিপজ্জনক সময়। বিপজ্জনক হওয়ার একটি বড় কারণ হলো, আমাদের এমন একজন রাষ্ট্রপতি আছেন যিনি মারাত্মকভাবে অযোগ্য!


আরও খবর