আজঃ বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

হজের ফিরতি ফ্লাইট শুরু আজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

হজের ফিরতি ফ্লাইট শুরু হচ্ছে আজ। প্রথমদিনে দুটি ফ্লাইটে ৮৩৯ জন হাজির দেশে ফেরার কথা রয়েছে। হজ পোর্টালে আইটি হেল্প ডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

হেল্প ডেস্কের তথ্যমতে, আজ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স‌ এবং ফ্লাইনাস এয়ারের দুটি পৃথক ফ্লাইটে ৮৩৯ জন হাজি দেশে ফিরবেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রথম ফিরতি ফ্লাইটটি রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করবে।

তথ্যমতে, ফিরতি হজ ফ্লাইটের অর্ধেক যাত্রী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং বাকি অর্ধেক সৌদি এয়ারলাইন্স এবং ফ্লাইনাস এয়ার বহন করবে।

গত শনিবার (১৫ জুন) চলতি বছরের হজ অনুষ্ঠিত হয়। ১২ জিলহজ জামারায় পাথর নিক্ষেপ করার শেষ দিন, হাজিরা পর্যায়ক্রমে ছোট, মধ্যম এবং বড় জামারায় পাথর নিক্ষেপ করার মধ্য দিয়ে শেষ করেন হজের আনুষ্ঠানিকতা।

এবার ৯ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত সৌদি আরব যাওয়ার ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে ২১৮টি। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস পরিচালিত ফ্লাইট সংখ্যা ১০৬টি, সৌদি এয়ারলাইনস পরিচালিত ফ্লাইট ৭৫টি ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস পরিচালিত ফ্লাইট ৩৭টি। এসব ফ্লাইটে সর্বমোট ৮৫ হাজার ২২৫ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে গেছেন।


আরও খবর



কুমিল্লায় দুই কাভার্ডভ্যানের মাঝে পড়ে আপন দুই ভাই নিহত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রবিউল বাশার খান, কুমিল্লা

Image

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকচালক মো. সাগর ও হেলপার বেলাল হোসেন নামে দুই ভাই নিহত হয়েছেন। তারা কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট থানার ঝিনাইহাট এলাকার বড়গ্রামের আশরাফুল ইসলামের ছেলে।

পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (৪ জুন) ভোরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কালিকাপুর ইউনিয়নের ছুপুয়া এলাকায় ঢাকাগামী কাভার্ডভ্যান গাড়িটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে। গাড়িটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে চালু করার সহযোগিতার সময় মধ্যখানে থাকা গাড়িটিকে পিছন থেকে অন্য আরেকটি কাভার্ডভ্যান ধাক্কা দিলে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা কাভার্ডভ্যানের চালক ও হেলপার দুই গাড়ির মাঝখানে আটকে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয় জনগণ ও চৌদ্দগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তাদেরকে ঘটনাস্থল থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।

মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহত কাভার্ডভ্যানচালক ও হেলপারের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’


আরও খবর



মার্টিনেজের নৈপুণ্যে পেরুকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচ জিতে আগেই কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে রেখেছিল আর্জেন্টিনা। গুরুত্বের বিবেচনায় পেরুর বিপক্ষে ম্যাচটা ছিল অনেকটা নিয়মরক্ষার। সে কারণেই কিনা আগের ম্যাচের একাদশ থেকে ৯ জনকে পরিবর্তন করে পেরুর বিপক্ষে খেলতে নামে আলবিসেলেস্তেরা। লিওনেল মেসিও ছিলেন বিশ্রামে। নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার কারণে ডাগআউটে ছিলেন না কোচ লিওনেল স্কালোনিও। যদিও জয় পেতে বেগ পেতে হয়নি আলবিসেলেস্তেদের।

আজ মায়ামির হার্ডরক স্টেডিয়ামে পেরুর বিপক্ষে ২-০ গোলে জয় পেয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে আর্জেন্টিনার পক্ষে জোড়া গোল করেন লাউতারো মার্টিনেজ। ম্যাচে ৭৪ শতাংশ সময় বলের নিয়ন্ত্রণ ছিল আর্জেন্টিনার। ১২টি শটের মধ্যে ৬টি লক্ষ্যে রাখতে সক্ষম হয়। অপরদিকে, পেরু ৬টি শটের মধ্যে লক্ষ্যে রাখে একটি।

শুরুতেই বল দখলে এগিয়ে থেকে পেরুর ওপর চাপ বাড়াতে থাকে আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ২১ মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় পেরু। কার্লোস জামব্রানোর হেড বাইরে দিয়ে চলে যায়। ২৭ মিনিটে দারুণ এক সুযোগ পায় আর্জেন্টিনা। পারেদেসের দূরপাল্লার ফ্রি-কিক দারুণভাবে তালুবন্দি করেন পেরু গোলরক্ষক গালেসে। বিরতির ঠিক আগে আবারও পেরুকে বাঁচিয়ে দেন গালেস। লা সেলসোর শট দারুণভাবে বাঁচিয়ে দেন তিনি। গোলশূন্যভাবেই শেষ হয় প্রথমার্ধ।

বিরতি থেকে ফিরে আক্রমণের ধার বাড়ায় আর্জেন্টিনা। যার সুফল আসে মিনিট দুয়েকের মধ্যেই। ডি মারিয়ার থেকে বল পেয়ে জালে জড়াতে ভুল করেননি লাউতারো মার্টিনেজ। এ নিয়ে তিন ম্যাচেই গোলের দেখা পেলেন বিশ্বজয়ী তারকা। ৮৬ মিনিটে আরও একটা গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মার্টিনেজ। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের জয় নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে থেকেই মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা।

গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার পয়েন্ট ৯। আরেক ম্যাচে কানাডার সাথে গোলশূন্য ড্র করে আসর থেকে বিদায় নিয়েছে চিলি। ৩ ম্যাচে ২ পয়েন্ট তাদের, ১ পয়েন্ট পাওয়া পেরুরও আসর শেষ। ৪ পয়েন্ট তোলা কানাডা কোয়ার্টারে খেলবে।


আরও খবর



মেরে ফেলা সাপের ৯০ শতাংশই রাসেলস ভাইপার নয়: বন বিভাগ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

রাসেলস ভাইপারের নামে মেরে ফেলা সাপের ৯০ ভাগই অন্য প্রজাতির ও বিষহীন বলে দাবি করেছে বন বিভাগ। তারা বলছে, মানুষের সচেতনতার অভাব আর ভুল তথ্যের কারণে সব সাপের জীবনই এখন হুমকির মুখে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রায় ২৪ বছর আগে অতি বিপন্ন হওয়া একটি সাপের বিস্তার এতো দ্রুত হওয়ার সুযোগ নেই।

প্রতি বছরে বিষধর সাপের কামড়ে বাংলাদেশে মারা যায় প্রায় সাত হাজার মানুষ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে- গেলো ১১ বছরে দেশে রাসেলস ভাইপারের কামড়ে মারা গেছে ৬৯ জন। শতাংশের বিচারে দেশে সাপের কামড়ে মৃত্যুর হার ১ শতাংশ রাসেলস ভাইপারের দংশনে। ৯৫ শতাংশ মৃত্যুর কারণ শঙ্খিনী গোখরার ছোবল। লোকালয়ে শঙ্খিনী ও গোখরার আনাগোনা প্রতিনিয়ত। কিন্তু রাসেলস ভাইপার আতঙ্কে এখন বিপন্ন সব শ্রেণীর সাপ।

বন বিভাগ বলছে, দেশে প্রায় ২০ প্রজাতির বিষধর সাপের মধ্যে রাসেলস ভাইপার একটি এবং এটি সংখ্যায় কম। সম্প্রতি সাপটির বিস্তার কিছুটা বাড়লেও আতঙ্কিত হবার মতো নয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাপটি নিয়ে অতিরঞ্জিত ও ভুল প্রচার হচ্ছে। এতে অন্য প্রজাতির সাপই বেশি মেরে ফেলা হচ্ছে। এটি অপরাধ, বলছে বনবিভাগ।

আইইউসিএন এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার এ বি এম সারোয়ার আলম দীপু বলেন, যেকোনো সাপের কামড়েই, সেটাতে বিষ আছে কি নাই, এমনকি পোকামাকড় কামড় দিলেই আমাদের ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। ফেসবুক বা বিভিন্ন মিডিয়ায় রাসেলস ভাইপার সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করছে বিভিন্নভাবে। কেউ অতি উৎসাহী হয়ে যাচ্ছে, কেউ অতি সচেতন হয়ে যাচ্ছে, অথবা আমাদের যথেষ্ট জ্ঞান না থাকার কারণে আমরা যেকোনো সাপকেই মেরে ফেলছি।

আন্তর্জাতিক সংস্থা আইইউসিএন, বাংলাদেশ ২০০০ সালে রাসেলস ভাইপার সাপকে অতি বিপন্ন হিসেবে ঘোষণা করে। কিন্তু ২০১৫ সালে রাজশাহীর ছয়টি জেলায় রাসেলস ভাইপারের উপস্থিতি পাওয়ায় সাপটিকে প্রায় বিপন্ন বলে চিহ্নিত করা হয়।

বন্যার পানিতে পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে রাসেলস ভাইপার দেশে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে সাপটির বিপুল বিস্তারের কোনো সুযোগ নেই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

নিউজ ট্যাগ: রাসেলস ভাইপার

আরও খবর



চট্টগ্রামে বর্তমান ও সাবেক মন্ত্রীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১৫

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় বাজেটকে স্বাগত জানাতে গিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান ও সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর অনুসারীরা।  এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ছয় রাউন্ড গুলি ছোড়ে পুলিশ। এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মন্নান চৌধুরী ও পুলিশ সদস্য মো. জাবেদসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (৭ জুন) বিকেলে উপজেলার কাফকো সেন্টার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আনোয়ারা থানার ওসি সোহেল আহাম্মদ ও বন্দর ফাঁড়ির ইনচার্জ মিজানুর রহমান।

আহত বাকিরা হলেন- আনোয়ারা উপজেলার বরুমচড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন, চাতরী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি তাজউদ্দীন, অজিদ কুমার নাথা, সাইফুল ইসলাম, ফরিদুল আলম টিপু, কাকন আইচ, জামশেদুল ইসলাম, মোহাম্মদ এরশাদ, পথচারী মোহাম্মদ মনির। এদের মধ্যে অধ্যাপক এমএ মান্নান চৌধুরীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রস্তাবিত ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর অনুসারী আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক এমএ মান্নান চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে কাফকো সেন্টারে আনন্দ মিছিল ও সভার আয়োজন করা হয়। একই স্থানে পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করে অর্থ প্রতিমন্ত্রীর উপজেলার সাবেক ও বর্তমান আওয়ামী লীগের নেতারা। বিকেলে দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা অনুষ্ঠানস্থলে মিছিল নিয়ে জড়ো হন। এ সময় তারা পাল্টাপাল্টি স্লোগান দেন। একপর্যায়ে দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি ও পরবর্তী সময়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ১৫ জন আহত হন। ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

অর্থ প্রতিমন্ত্রীর অনুসারী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জিয়া উদ্দিন বাবলু বলেন, জাতীয় বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়। আমরা বিকেল তিনটায় অবস্থান নিয়েছি। তারা বিকেল ৪টার দিকে এসে আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে অতর্কিত হামলা চালায়।

সাবেক ভূমিমন্ত্রীর অনুসারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে কর্মসূচি ঘোষণার পর তারা একই স্থানে পাল্টা কর্মসূচি দিয়েছে। পরিকল্পিতভাবে আমাদের কর্মসূচিতে হামলা চালিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে আহত করে।

আনোয়ারা থানার ওসি সোহেল আহাম্মদ বলেন, দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। কয়েকজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কর্ণফুলী থানার ওসি জহির হোসেন বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ছয় রাউন্ড গুলি ছোড়ে। সংঘর্ষের ঘটনায় মো. জাবেদ নামে এক পুলিশ আহত হয়েছেন।


আরও খবর



কোরবানির আগে টুংটাং শব্দে মুখরিত কামারশালা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দিনাজপুর প্রতিনিধি

Image

লোহা পেটানোর টুংটাং শব্দে মুখর এখন উপজেলার কামার পাড়াগুলো। কোরবানিকে কেন্দ্র করে ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত লোহা পিটিয়ে কামাররা তৈরি করছেন দা, বঁটি, ছুরি ও চাপাতি। এসব জিনিস দুই ধরনের লোহার উপকরণ দিয়ে তৈরি করা হয়। একটি স্প্রিং লোহা (পাকা লোহা) এবং আরেকটি কাঁচা লোহা। লোহা ও কয়লার দাম গত বছরের চেয়ে এবার বেড়েছে। তাই গত বছরের চেয়ে এসব জিনিসের দামও বেশি।

ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী দা, বঁটি, ছুরি ও চাপাতি তৈরিতে দম ফেলার ফুরসত নেই কামারদের। দেশীয় জাতের লোহার এসব জিনিসপত্র তৈরিতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার স্থানীয় কামারেরা।

কোরবানি ঈদে গরু, ছাগল, মহিষ কোরবানির পশু হিসেবে জবাই করা হয়। ঈদের দিন সকাল থেকে কোরবানির পশু জবাই চলে। এসব পশুর গোশত কাটতে দা-বঁটি, ছুরি, ধামা, চাপাতি ইত্যাদি ধাতব হাতিয়ার অপরিহার্য। কোরবানির পশু কাটা-কাটিতে চাই এসব ধারালো অস্ত্র।

শুক্রবার (১৪ জুন) সরেজমিনে দেখা যায়, খানসামা বাজার, উপজেলার পাকেরহাট বাজার, কাচিনীয়া বাজার, বোটের হাট, চৌরঙ্গী বাজারসহ বিভিন্ন গ্রামের হাট বাজারে।

এবার প্রতিটি ধারালো দা বিক্রয় হচ্ছে ৩০০-৫০০ টাকা, কোরবানির ছুরি ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, পশুর হাড় কাটার জন্য চাপাতি ৬০০ থেকে ১০০০ টাকা, চামড়া ছাড়ানোর চাকু ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, নারিকেল কোরানি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা, মাংস কাটার বটি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। তাছাড়া অন্যান্য কৃষি উপকরণ ধানকাটার কাঁচি, লাঙ্গলের ফলাসহ অন্যান্য তৈজসপত্রও ভালো দামে বিক্রয় হয়ে থাকে।

উপজেলার কয়েকজন কর্মকার জানান, বছরের অন্য সময়ের চেয়ে কোরবানির ঈদে তাদের আয় রোজগার অনেক বেশি হয়। এমনিতে সারা বছর কাজ অনেক কম থাকে। এর মধ্যে কয়দিন পর পর লোহার দাম বেড়ে যায়। এতেই তারা বেকায়দায় পড়েন। ভালো চালান থাকলে আগে থেকে লোহা কিনে রাখতে পারলে ভালো লাভ পাওয়া যেত বলেও জানান তারা।

তাছাড়া পশু জবাই থেকে শুরু করে মাংস তৈরির কাজে প্রয়োজনীয় ওইসব হাতিয়ারের চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক। তাই ঈদের পূর্বেই কোরবানির পশু জবাই কাজের হাতিয়ার সংগ্রহে কামারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেন স্থানীয় কসাই, কৃষকসহ বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ।

উপজেলার হোসেনপুর কামারপাড়ার কর্মকার মানিক বলেন, এখন কিছু আয় হলেও সারাবছর আমাদের টুকটাক করে চলতে হয়। আমি আগে ডাঙ্গারহাটে তৈরি করতাম এবং সেখানেই বিক্রি করতাম হাট ভেঙে যাওয়ায় এখন বাড়িতে তৈরি করে বিক্রি করি।

উপজেলার পাকেরহাট এলাকার কামার দয়াল চন্দ্র রায় বলেন, পরিবারের ঐতিহ্য ধরে রাখতে এই পেশায় আছি। সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে তাই আগের মতো আর লাভ নেই। পরিবার নিয়ে কোনোরকম দিন পার করছি।

স্থানীয় ক্রেতারা জানান, আর মাত্র কয়েকদিন পরেই ঈদ। গরু ও ছাগল জবাই দিতে এবং মাংস কাটতে দা, বঁটি, চাকু ও ছুরির প্রয়োজন। এজন্য বাজারে দা, বঁটি ও ছুরি কিনতে এসেছি। তবে গত বছরে এসব জিনিসের দাম খানিকটা বেশি।

চাপাতি কিনতে আসা আব্দুর সুবাহান বলেন, আগের চাপাতিটা আর চলে না। তাই দাম দর করে একটি চাপাতি নিয়েছি ৪০০ টাকায়। মাংস ও হাড় কাটার জন্য এটা কিনেছি।

খানসামা বাজারে কোরবানির যন্ত্রপাতি কিনতে আসা আ. সালাম বলেন, বছরের অন্য সময়ের তুলনায় এই সময়ে অনেক ভিড় থাকে। বাজারে অনেক দোকান থাকায় এখানে অনেক সাশ্রয়ী মূল্যে কাজ করা যায়। তবে লোহার দাম বাড়ায় এসব যন্ত্রপাতির দামও বেড়েছে।

নিউজ ট্যাগ: কামারশালা

আরও খবর