আজঃ শুক্রবার ০৫ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

ড্র করে কোপার কোয়ার্টারে জায়গা করলো ব্রাজিল

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

শেষ বাঁশি বাজার পর বেশ উত্তেজিতই দেখা গেল ব্রাজিল কোচ দোরিভাল জুনিয়রকে। হওয়াটাই স্বাভাবিক। পুরো ম্যাচে সুবিধা করতে না পারা ব্রাজিল তখনই সম্ভাবনা দেখিয়েছিল ম্যাচে ফেরার। আরেকটা আক্রমণ পেতেই পারত তারা। কিন্তু রেফারির বাঁশিতে শেষ হলো ম্যাচ। তিন ম্যাচে দুই ড্র নিয়ে অনেকটা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে কোপা আমেরিকার শেষ আট নিশ্চিত করলো নয়বারের চ্যাম্পিয়নরা। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে অপেক্ষা করছে উরুগুয়ে।

'ডি' গ্রুপের ম্যাচে কলম্বিয়া মাঠে নেমেছিল টানা ২৫ ম্যাচ আর ২ বছর অপরাজিত থাকার রেকর্ড নিয়ে। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বেও এই দলের কাছেই ২-১ গোলের হার সইতে হয়েছিল সেলেসাওদের। তবে এরপর কোচের বদল হয়েছে, ব্রাজিলের খেলার ধারাতেও এসেছে পরিবর্তন। কিন্তু কলম্বিয়াকে হারানো হয়নি আর। প্রথম লিড নিয়েও ১-১ গোলে ড্র করেছে ব্রাজিল। তাতে 'ডি' গ্রুপ থেকে রানারআপ হয়ে শেষ আটে যাচ্ছে দোরিভাল জুনিয়রের শিষ্যরা।

ম্যাচের সব রঙ দেখা গিয়েছিল মূলত প্রথমার্ধেই। ম্যাচের ১২ মিনিটে রাফিনিয়ার দুর্দান্ত ফ্রি-কিক জালে না জড়ালে হয়ত হার দিয়েই ম্যাচটা শেষ করতে হতো সেলেসাওদের। পুরো প্রথমার্ধে চাপের মুখে থেকেও ব্রাজিল পুরো ম্যাচে নিজেদের টিকিয়ে রেখেছে রাফিনিয়ার ওই গোলের কল্যাণেই। দুর্দান্ত ছন্দে থাকা কলম্বিয়া আরও আগেই ব্রাজিলের ওপর চেপে বসেছিল, কিন্তু রাফিনিয়ার গোল যেন কিছুটা তাঁতিয়ে দিয়েছিল হামেস রদ্রিগেজদের।

কলম্বিয়ার দাপুটে দিনে সমতায় প্রথমার্ধ পার ব্রাজিলের জেফারসন লারমা, লুইস দিয়াজরা এরপর খুব একটা সুযোগই দিলেন না ব্রাজিলকে। মাঝমাঠে আধিপত্য বিস্তার করে বারবার আক্রমণে উঠেছেন। ১৮ মিনিটে পেয়ে যায় গোলটাও। কিন্তু অফসাইডে থাকার কারণে শেষ পর্যন্ত বাতিল হয় সেই গোল। যদিও সেটা কলম্বিয়ার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে বহুগুণে। ম্যাচে এরপর শারীরিক ফুটবল উপহার দিয়েছে দুই দলই। কিন্তু সেটাতেও ব্রাজিলকে খুব একটা ম্যাচে ফিরতে দেখা যায়নি।

উল্টো প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে গোল হজম করে বসে সেলেসাওরা।  ডানপ্রান্তে ওভারল্যাপ করেছিলেন ক্রিস্টাল প্যালেসের এই রাইটব্যাক। হামেস রদ্রিগেজ নিজেই খানিকটা সরে এসে জায়গা করে দেন তাকে। গোলের জন্য পাসটাও বাড়িয়েছিলেন কলম্বিয়ান নাম্বার টেন। সহজ এক পাস থেকে অ্যালিসন বেকারকে পরাস্ত করতে বেগ পেতে হয়নি মুনোজের। ১-১ গোলের সমতা নিয়ে বিরতিতে যায় দুই দল।

দ্বিতীয়ার্ধে এসে বরং কিছুটা ঢিমেতালে ফুটবল খেলেছে দুই দলই। প্রথমার্ধের সেই ঝাঁঝালো ফুটবল দেখা যায়নি কারোর মাঝেই। ব্রাজিলও আক্রমণ ছেড়ে কিছুটা মনোযোগী হয় রক্ষণে। তবুও সুযোগ পেলেই ভয় ধরাচ্ছিলেন হামেস রদ্রিগেজ আর জন কর্দোবা। দুজনে মিলে ব্যস্ত রেখেছিলেন ব্রাজিলের রক্ষণকে। গোলের নিশ্চিত সুযোগ মিসও করেছিল কলম্বিয়া।

৬৯ মিনিটে কর্দোবার শট ঠেকিয়ে দেন ব্রাজিল গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকার। আর ৮৪ মিনিটে রাফায়েল বোরে মিস করেছেন ওপেন নেট। ব্রাজিল বিপরীতে উপহার দিয়েছে ছন্নছাড়া ফুটবল। ৯৫ মিনিটে আন্দ্রেয়াস পেরেইরার শটের আগে দ্বিতীয়ার্ধে একবারও লক্ষ্যে বল রাখতে পারেনি তারা। ১-১ ড্র-টাই তাই শেষ পর্যন্ত সঙ্গী হলো ব্রাজিলের।

কলম্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটা ব্রাজিল খেলতে নেমেছিল ৪ তারকার নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকি নিয়ে। যে তালিকায় ছিলেন দলের সেরা তারকা ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের নামটাও। ম্যাচের ৭ মিনিটের মাথায় শঙ্কাটাই সত্যি হয়ে এলো ব্রাজিল ভক্তদের জন্য। টানা দুই ম্যাচ হলুদ কার্ড হজম করে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ছিটকে গেলেন ব্রাজিলিয়ান নাম্বার সেভেন। কোপার নকআউট পর্বের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তাই রিয়াল মাদ্রিদের এই তারকাকে ছাড়াই পরিকল্পনা সাজাতে হবে কোচ দোরিভাল জুনিয়রকে।


আরও খবর



ভাঙনরোধে কাজ করছে সরকার : এনামুল হক শামীম

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
শরীয়তপুর প্রতিনিধি

Image

সাবেক পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম এমপি বলেছেন, আগামী বর্ষাকে সামনে রেখে সারাদেশে নদীভাঙন রোধে কাজ করছে সরকার। কোথাও যেন ভাঙন না হয়, সে লক্ষ্যে আগে থেকেই কাজ করা হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে স্থায়ী প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশের মানুষ অনেকাংশে জলাবদ্ধতা ও নদীভাঙন থেকে রক্ষা পাবে।

বুধবার (৩ জুলাই) সকালে শরীয়তপুরের নড়িয়ায় পদ্মা নদীর ডানতীর রক্ষা প্রকল্প পরিদর্শন ও বিভিন্ন স্থানে জিও ব্যাগ ডাম্পিং শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।

এনামুল হক শামীম আরও বলেন, দেশকে পিছিয়ে নেওয়ার জন্য বিএনপি-জামায়াত এখনো নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। এরা গুজব ছড়িয়ে বাংলাদেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চায়। তারা জানে দেশের মানুষের ভোটের মধ্য দিয়ে তারা কখনোই ক্ষমতায় আসতে পারবে না। এ কারণে তারা ভোটের রাজনীতি ছেড়ে সরকারের বিরুদ্ধে, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তাই এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ কাজ করতে হবে।

আওয়ামী লীগের সাবেক এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার যে দুর্নীতিবিরোধী জিরো টলারেন্স নীতি তা বাস্তবায়ন করতে হবে। সমাজের সর্বস্তরের মানুষ এগিয়ে এলে দুর্নীতিকে প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।

এসময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন, শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আহসান হাবীব, নড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক মাল, সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান খোকন, সখিপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির মোল্যা, সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান মানিক সরকার প্রমূখ। পরে বিকালে তিনি সখিপুর হাজী শরীয়তউল্যাহ কলেজ ও সিরাজ সিকদার কলেজে বৃক্ষরোপন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।


আরও খবর



রাসেলস ভাইপারের দংশনের শিকার হলে কী করবেন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

শুধু রাসেলস ভাইপার নয়, যে কোনো সাপের কামড়ের শিকার হলেই ওঝার কাছে যাওয়া যাবে না বলে জোর পরামর্শ দেন বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা ফা-তু-জো খালেক মিলা (জোহরা মিলা)।

তিনি বলেন, ওঝার কাছে না গিয়ে যত দ্রুত সম্ভব নিকটস্থ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জেলা সদর হাসপাতাল বা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শে নির্দিষ্ট অ্যান্টিভেনম প্রয়োগ করতে হবে।

এক্ষেত্রে সম্ভব হলে যে সাপ দংশন করেছে, তা চিহ্নিত করার জন্য সেই সাপের ছবি তুলে স্থানীয় বন কর্মকর্তা ও চিকিৎসককে দেখানোর পরামর্শও দেন জোহরা মিলা।

এদিকে চিকিৎকদের মতে, রাসেলস ভাইপারের কামড়ালে আক্রান্ত ব্যক্তির হাত-পা অস্বাভাবিক ফুলে ওঠে। তাছাড়া রাসেলস ভাইপারের দংশনের পর চিকিৎসা নিতে দেরী হলে রোগী মারা যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। মৃত্যুর কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে শক, পেশী প্যারালাইসিস, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল রক্তক্ষরণ এবং কিডনি অথবা রেনাল ফেইলিয়র।

এ বিষয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যাপক মোহাম্মদ হাসান তারিক বলেন, রাসেলস ভাইপারের দংশনের শিকার ব্যক্তির কিডনি দ্রুত অকেজো হতে শুরু করে। শরীর জ্বালাপোড়া করার পাশাপাশি দংশনের স্থানে পচন ধরে।

একইসঙ্গে দংশনের শিকার ব্যক্তির রক্ত জমাট বাঁধতে শুরু করে। এসব ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসা দেওয় না হলে আক্রান্ত ব্যক্তিকে বাঁচানো সম্ভব হয় না।

সাপটির দংশনের শিকার ব্যক্তিদের চিকিৎসার অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে চিকিৎসক আরও বলেন, রাসেলস ভাইপারের এন্টিভেনম থাকলেও সেটা খুব একটা কাজ করে না।

২০১৫ সালের দিকে আমরা প্রথম রাসেলস ভাইপারে কামড়ানো রোগী পেয়েছিলাম। সে সময় আক্রান্ত হাত-পা কেটে ফেলেও রোগীকে বাঁচানো যায়নি। তাই সাপটির কবল থেকে বাঁচতে সচেতনতাই কার্যকর পথ।


আরও খবর



নীলফামারীতে অতিরিক্ত গবাদী পশুর সংখ্যা এক লাখ ৩৩ হাজার ৯২টি

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জুয়েল বসুনীয়া, নীলফামারী

Image

নীলফামারীর ছয় উপজেলায় দুই লাখ ৭৬ হাজার ২০১টি গবাদী পশু আসন্ন কোরবানীর ঈদ উপলক্ষে প্রস্তত করা হয়েছে। এর মধ্যে সদরে ৫১ হাজার ৭২৮, সৈয়দপুরে ৪০ হাজার ২৫৫, ডোমারে ৪২ হাজার ৮০৬টি, ডিমলায় ৪৩ হাজার ৫০১, জলঢাকায় ৫২ হাজার ২২৮ ও কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ৪৫ হাজার ৬৮৩টি গবাদী পশু রয়েছে। জেলার ছয় উপজেলায় ৩০ হাজার ৯৭২ খামারীসহ কৃষকের বাড়ীতে এসব পশু লালন পালন করা হয়েছে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এবার নীলফামারীতে গবাদী পশুর সংখ্যা দুই লাখ ৭৬ হাজার ২০১ টি। অপরদিকে, জেলায় কোরবানীর ঈদে পশুর চাহিদা রয়েছে এক লাখ ৪৩ হাজার ১০৯ টি। চাহিদার চেয়ে এবার এক লাখ ৩৩ হাজার ৯২টি পশু অতিরিক্ত (বেশী) রয়েছে।

সুত্র জানায়, খড়, ঘাস, খৈল, চালের কুড়া ও ভূষি খাইয়ে গরু মোটাতাজা করছেন খামারীসহ কৃষকরা। প্রস্ততকৃত গবাদী পশু সর্বক্ষনিক দেখা শুনা করছেন, প্রাণিসম্পদ বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, ওষুধের অপব্যবহার, রাশায়নিক খাবার বর্জনসহ খামারীদের নানাভাবে পরামর্শ দিয়ে আসছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ। এছাড়াও কোরবানীর অনুপযোগি পশু ক্রয় বিক্রয় না করার পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি করে যাচাই টিম গঠন করা হয়েছে।

জেলা শহরের হাজি মহসিন সড়ক সংলগ্ন মোস্তাফিজার রহমান মুক্তি জানান, ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৩০টি গরু দেশীয় পদ্ধাতিতে খড়-ঘাস খাইয়ে মোটাতাজা করা হচ্ছে। এবারে আমাদের দেশীয় গরু দিয়ে কোরবানীর হাট পরিপূর্ণ হবে। প্রচুর গরু রয়েছে কৃষক ও খামারীদের কাছে। আশা করি, এসব পশু ক্রেতার ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে বেচাকেনা হবে।

রামনগর ইউনিয়নের বাহলীপাড়া গ্রামের মতিয়ার রহমান বলেন, এবার কোরবানীর জন্য দেশী জাতের ১২ টি গরু পালন করেছি। তবে খাদ্যের চড়া দাম (খড়, ঘাস, ভূষি) ও খামারে কাজের লোকের হাজিরা বেশী (প্রতিদিন ৭০০টাকা হাজিরা)। একটি গরুর পিছনে যে টাকা ব্যয় হয় তা পুশিয়ে নিতে কৃষক ও খামারীদের হিমশিম খেতে হবে।

ওই ইউনিয়নের গরু ব্যবসায়ী মো. অলিয়র রহমান, হামিকুল ইসলাম বলেন, গত বছর চেয়ে এবার গরুর দাম অনেক বেশী হবে। বাজারে এমনিতেই ৭০০ টাকা মাংসের কেজি। ফের খাওয়ার খরচ নিয়ে টানাটানি। তারপরেও গত বারের চেয়ে এবার দ্বিগুন দামে বিক্রিসহ প্রচুর গরু কেনা বেচা হবে। এতে কৃষক, খামারী, ব্যবসায়ী, ছোট ব্যবসায়ী (ফরিয়া দালাল) উভয় লাভবান হবে।

সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের অফিস সহকারী আব্দুল মালেক জানান, এবার সদরে প্রস্ততকৃত গবাদী পশুর সংখ্যা ৫১ হাজার ৭২৮টি। আশা করি, এই ঈদে গবাদী পশুর সংকট পড়বেনা। এতে খামারী ও ব্যবসায়ী উভয় লাভবান হবেন।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সিরাজুল হক বলেন, এবার কোরবানীর ঈদে দেশীয় পদ্ধাতিতে খৈইল, ঘাস ভূষি ও চালের কুড়া খাইয়ে গরু, ছাগল ও ভেড়া মোটাতাজা করা হয়েছে। জেলার ছয় উপজেলায় দুই লাখ ৭৬ হাজার ২০১টি গরু প্রস্তত করা হয়েছে। চাহিদার তুলনায় একলাখ ৩৩ হাজার ৯২টি গবাদী পশু অতিরিক্ত রয়েছে। আশা করি ঈদুল আজহায় কোরবানীর পশুর ঘাটতি হবেনা।

নিউজ ট্যাগ: নীলফামারী

আরও খবর



কুমারী রেখা রাণী গার্লস স্কুলে আর্থিক অনুদান প্রদান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) উদ্যোগে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলের এক জীবনসংগ্রামী নারীর হাতেগড়া কুমারী রেখা রাণী গার্লস হাই স্কুলকে ৫ লক্ষ টাকা অনুদান প্রদান। পাশাপাশি দুইজন অনাথ অসচ্ছল ছাত্রীর পড়ালেখার দায়িত্ব গ্রহণ করলেন সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বিকালে দামপাড়াস্থ  সিএমপির পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক)  উদ্যোগে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিএমপি কমিশনার (অ্যাডিশনাল আইজিপি) কৃষ্ণ পদ রায়।এসময় গোপালগঞ্জের কলাবাড়ী ইউনিয়নের প্রত্যন্ত বুরুয়া গ্রামে অবস্থিত কুমারী রেখা রাণী গার্লস হাই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা রেখা রাণী ওঝার হাতে ৫ লক্ষ টাকার অনুদানের চেক তুলে দেন চট্টগ্রাম পুনাক সভানেত্রী রীতা দাস ও সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়।

অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে স্কুলটির প্রতিষ্ঠাতা কুমারী রেখা রাণী দাস তাঁর জীবন-সংগ্রামের গল্প তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বুরুয়া গ্রামে দরিদ্র পরিবারের মেয়েদের জন্য জীবনের সব সঞ্চয় দিয়ে নিজের নামে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেছেন। একসময় সরকারি হাসপাতালের নার্স ছিলেন। অবসরে যাওয়ার পর পেনশনের টাকা দিয়ে জমি কিনে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করা হয়।

তিনি আরও বলেন, ছাত্রাবস্থায় নিজের খরচ চালানোর জন্য মঞ্চে অভিনয় পাশাপাশি ওষুধের দোকান চালিয়েছেন। এ জীবনে অনেক ছেলেমেয়েকে পড়াশোনা করার জন্য সহায়তা করেছি। তাঁদের অনেকেই এখন সমাজে প্রতিষ্ঠিত। এত দূর আসতে কারও কাছে হাত পাতেননি। তবে এখন আর পারছি না। ক্যান্সারসহ স্বাস্থ্যগত নানা জটিলতা দেখা দিয়েছে। স্কুলটি চালাতে কষ্ট হচ্ছে। শিক্ষকদের বেতন দিতে পারছি না বলে শিক্ষকেরা চাকরি ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। যদিও শিক্ষকেরা এমপিওভুক্ত না হওয়া পর্যন্ত বিনা বেতনেই পড়াবেন এমন শর্তেই যোগ দিয়েছিলের।

তিনি বক্তব্যে তাঁর প্রতিষ্ঠিত স্কুলের জন্য ৫ লক্ষ টাকা অনুদান প্রদান করায় চট্টগ্রাম পুনাক প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এছাড়াও তিনি তাঁর স্কুলটিকে এমপিওভুক্তকরণের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান।

সিএমপি কমিশনার বলেন, পুনাক অনেক ভালো কাজ করে। কিন্তু আজকের কাজটি অন্য কাজগুলোর চেয়ে ব্যতিক্রম। কারণ, আজকে আমরা এমন একজন মহান নারীকে সামনে পেয়েছি যিনি মানুষ গড়ার কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা চেষ্টা করছি এমন একটি সমাজ গড়ে তোলার যেখানে নারী ও পুরুষ সমাজে যার যার অবদান রাখার সুযোগ পায় এবং শৈশব থেকেই সমান সুযোগ পায়। অনুষ্ঠানে স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা রেখা রাণী অনুরোধে দুইজন অনাথ অসচ্ছল ছাত্রীর লেখাপড়ার খরচ চালানোর দায়িত্ব গ্রহণ করেন সিএমপি কমিশনার। এছাড়াও স্কুলটিকে এমপিওভুক্তকরণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

সিএমপির পৃনাক সভানেত্রী রীতা দাস বলেন, নারী সংগঠন হিসেবে শিক্ষা-চিকিৎসায় আমরা নারীদের পাশে দাঁড়াই৷ পুনাক পরিবার আজ গর্বিত আপনার স্বপ্নপূরণের অংশীদার হতে পেরে।

অনুষ্ঠানে সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) আ স ম মাহাতাব উদ্দিন; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মাসুদ আহাম্মদ; উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) মোঃ আব্দুল ওয়ারীশ, সিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং সিএমপির পুনাস নেতৃবৃন্দ-সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টের ছাদে উঠে ফিলিস্তিনপন্থিদের বিক্ষোভ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় পার্লামেন্ট ভবনের ছাদে উঠে বিক্ষোভ করেছেন ফিলিস্তিনপন্থি চার বিক্ষোভকারী। তাদের সঙ্গে থাকা একটি ব্যানারে লেখা ছিল, নদী থেকে সমুদ্র, ফিলিস্তিন থাকবে মুক্ত।

বৃহস্পতিবার ক্যানবেরায় অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টের ছাদে উঠে পড়েন ফিলিস্তিনপন্থি এ বিক্ষোভকারীরা।

ডয়চে ভেলের খবরে বলা হয়, চার বিক্ষোভকারী প্রায় এক ঘণ্টা পার্লামেন্টের ছাদে ছিলেন। তাদের একজনের হাতে ছিল একটি মেগাফোন। সেখান থেকে ফিলিস্তিনের পক্ষে এবং ইসরাইলের বিরুদ্ধে বক্তৃতা করছিলেন তিনি। ওই বিক্ষোভকারী বলেন, আমরা ভুলব না। আমরা ক্ষমা করব না এবং আমরা প্রতিরোধ করে যাব।

একজন প্রত্যক্ষদর্শী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ঘটনার সময় পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর কয়েকজন সদস্য ভবনের প্রধান প্রবেশপথে দাঁড়িয়ে লোকজনকে ওই পথ এড়িয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দেন। আরও কয়েকজন সদস্য ছাদে উঠে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন।

এদিকে পার্লামেন্টের বিরোধীপক্ষ প্রশ্ন তুলেছে, কীভাবে সব নিরাপত্তাব্যবস্থা ভেঙে এভাবে ছাদে উঠে গেলেন বিক্ষোভকারীরা? এ ঘটনার পর পার্লামেন্ট ভবনে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়।

সম্প্রতি ফিলিস্তিন প্রশ্নে অস্ট্রেলিয়ার এক সিনেটরকে সাসপেন্ড করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী। তিনি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন।


আরও খবর