আজঃ রবিবার ০২ জুন 2০২4
শিরোনাম

হ্যারি কেইনের গোল মিসের কারণ জানালেন ফরাসি গোলকিপার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৩ ডিসেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের মুখোমুখি হয় ইংল্যান্ড। এই ম্যাচে ২-১ ব্যবধানে হেরে প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে পড়ে ইংল্যান্ড। তবে এই বিদায়ের জন্য অধিনায়ক হ্যারি কেইনের ব্যর্থতাকেই দায়ী করছেন অনেকে।

হ্যারি কেইন দ্বিতীয় পেনাল্টিতে ব্যর্থ হলেন কেন? তা নিয়ে নানা আলোচনা হচ্ছে। আসল কারণ জানিয়ে দিলেন ফরাসি অধিনায়ক ও গোলকিপার হুগো লরিস।

ফ্রান্সের অধিনায়কের হুগো লরিসের সঙ্গে টটেনহ্যামে খেলেন ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেইন। লরিসের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বও রয়েছে। তবে কি ক্লাবের সতীর্থের বিরুদ্ধে পেনাল্টি মারতে গিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিলেন হ্যারি কেইন? লরিস বলেছেন, প্রথমত আমরা পরস্পরকে খুব ভালভাবে জানি। দুজনের খেলাই দুজনের কাছে নখদর্পনে।

তাই পেনাল্টি আমাদের দুজনের কাছেই বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। ও যেভাবে মারে সেভাবেই মেরেছে। প্রথমটায় গোল করেছে। ওর একটু বাঁ দিকে মারার প্রবণতা রয়েছে। সেটা জানতাম বলেই কিছুটা ডান দিকে সরে গিয়েও দ্বিতীয়বার বাঁ দিকেই ঝাঁপাই। হ্যারি কেনকে চাপে ফেলার জন্যই সেটা করেছিলাম। মনে হয় তাতেই একটু চাপে পড়ে যায়। তাই জোরে মারতে গিয়ে বাইরে মেরে দিয়েছে।

ম্যাচে দুটি পেনাল্টি পেয়েছিল ইংল্যান্ড। দুটিই মারতে যান হ্যারি কেইন। প্রথমবার সাফল্য পেলেও দ্বিতীয়বার ব্যর্থ হন। ফলে ২-১ ব্যবধানে হেরে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যায় ইংল্যান্ড। পরাজয়ের দায় মেনে নিয়ে ম্যাচের পর হ্যারি কেইন বলেছিলেন, নিজের প্রস্তুতিতে কখনও ফাঁক রাখি না। দ্বিতীয়বার পেনাল্টি মারতে যাওয়ার সময় আমার অন্যরকম কিছু মনে হয়নি। চাপও অনুভব করিনি। আত্মবিশ্বাসীই ছিলাম। তবু যা করতে চেয়েছিলাম, তা করতে পারিনি।

ক্লাবের সতীর্থের বিরুদ্ধে পেনাল্টি মারতে গিয়েই কি বিপত্তি? মানতে চাননি ইংল্যান্ড অধিনায়ক। হ্যারি কেইন বলেছেন, এই বিষয়টা নিয়ে চিন্তাই করিনি। কখনও এসব নিয়ে ভাবিও না। ম্যাচে একটা পেনাল্টি পেলে নিজেকে যেভাবে প্রস্তুত করি দুটি পেনাল্টি পেলেও সেভাবেই প্রস্তুত করি।


আরও খবর



ঘূর্ণিঝড় রেমালে জরুরি সহযোগিতার জন্য যেসব নম্বরে যোগাযোগ করবেন

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঘূর্ণিঝড় রেমালে যে কোনো জরুরি সহযোগিতার জন্য যোগাযোগ করতে কন্ট্রোল রুম খুলেছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড। রোববার (২৬ মে) বোর্ডের জনসংযোগ পরিদপ্তরের পরিচালক মোস্তফা খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমাল বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাবনার পরিপ্রেক্ষিতে পানি ভবনে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।

কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগের নম্বর : ০২২২২ ২৩০ ০৭০, ০১৭৬৫ ৪০৫ ৫৭৬, ০১৫৫৯ ৭২৮ ১৫৮

এদিকে, ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবিলায় উপকূলীয়দের পাশে থাকার জন্য সব মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

রোববার (২৬ মে) সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির সভা শেষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এরই মধ্যে ৮ লাখের বেশি মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছেন। বাকিদের আসার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে। উপকূলীয় অঞ্চলে আপাতত স্কুল খোলা থাকবে, তবে ক্লাস বন্ধ থাকবে। উপকূল থেকে ২৯৫ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল, যা আরও অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। যার ফলে দেশের সমুদ্রবন্দর ও উপকূলীয় জেলাগুলোতে সতর্কসংকেত দেওয়া হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঝড়টি সকালে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।

রিমালের প্রভাবে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। এ ছাড়া চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরেও ৯ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং তাদের কাছের দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে।

এ ছাড়াও নিরাপত্তাজনিত কারণে কক্সবাজার রুটের সব ধরনের বিমানের ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ নৌপথের সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়ছে।


আরও খবর



মহেশখালীতে বেড়িবাঁধ ভেঙে পানিবন্দি ১৫ হাজার মানুষ

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ভোর থেকে দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে দমকা হাওয়ার পাশাপাশি গুড়িগুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এ ছাড়া নদীতে পানির উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে ১ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে মহেশখালীর ৪টি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

রোববার (২৬ মে) দুপুর ২টার দিকে মহেশখালী পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডে সিকদার পাড়া এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করতে শুরু করে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ। এ ছাড়া বন্যা নিয়ন্ত্রণকারী মূল বাঁধের বেশ কিছু এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন পাড়ের মানুষ। এ অবস্থায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ টিকিয়ে রাখতে ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে একটানা মেরামতের কাজ করছেন শ্রমিকরা।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন মহেশখালী পৌরসভার মেয়র মকসুদ মিয়া। তিনি জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ভোর থেকে মহেশখালীতে দমকা হাওয়ার পাশাপাশি গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে মহেশখালী বেড়িবাঁধ ভেঙে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন অনেক মানুষ। তাদের সহায়তায় আমাদের পৌরসভার লোক কাজ করছে।

মহেশখালীর বাসিন্দা রাজেন সালেহ বলেন, কোহেলিয়া নদীর পাশে যে বেড়িবাঁধটি আছে সেটি ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। আরও কয়েকটি জায়গায় বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীকি চাকমা বলেন, বেড়িবাঁধের অনেক জায়গা ভেঙে গেছে। পানি কমলে তা মেরামত করা হবে।


আরও খবর



‘আনারকে হত্যার পর হাড়-মাংস আলাদা করে হলুদ মিশিয়ে ব্যাগে ভরা হয়’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকায় বসে ২/৩ মাস আগে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। ঢাকায় না পেরে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে কৌশলে নেওয়া হয় কলকাতায়। সেখানে তাকে হত্যার পর শরীর টুকরো টুকরো করে হাড্ডি ও মাংস আলাদা করা হয়। এরপর হলুদ মিশিয়ে ব্যাগে ভরে ওই বাসা থেকে বের করা হয়েছে। তবে কোথায় মরদেহের খণ্ডিত অংশ ফেলা হয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিকেল ৩টার দিকে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

ডিবিপ্রধান বলেন, দুই-তিন মাস আগে অপরাধীরা পরিকল্পনা করেছিল রাজধানীর গুলশান ও বসুন্ধরার বাসায় এমপি আনারকে হত্যা করার। কিন্তু বাংলাদেশ পুলিশের নজরদারি ও ঢাকায় হত্যাকাণ্ডের পরে সব হত্যার ক্লু পুলিশ বের করেছে বলেই হত্যাকারীরা কলকাতায় নিয়ে এমপিকে হত্যা করেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মাটিতে অপরাধ করার সাহস পায়নি অপরাধীরা। বিদেশের মাটিতে অপরাধ করলে বাংলাদেশ পুলিশের নজরে আসবে না, তাই অপরাধীরা কলকাতাকে বেছে নিয়েছে হত্যার নিরাপদ স্থান হিসাবে।

মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, বিদেশের মাটিতে এ হত্যাকাণ্ডের পরও তারা পালিয়ে থাকতে পারেনি। আমরা তিনজকে গ্রেপ্তার করেছি। আরও কয়েকজনকে নজরাদিতে রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে সেখানে হত্যার পর হত্যাকারীরা এমনভাবে লাশ গুমের চেষ্টা করেছে যাতে কোনো হদিস না মেলে। লাশ গুমের জন্য শরীর টুকরো টুকরো করে হাড্ডি ও মাংস আলাদা করা হয়। এরপর হলুদ মিশিয়ে ব্যাগে ভরে পৃথক পৃথক ট্রলিতে করে ওই বাসা থেকে বের করা হয়েছে। মাংস নিয়ে যাওয়ার সময় যাতে কেউ আটকালেও বুঝতে না পারে, সে জন্য মাংসের সঙ্গে মসলা মিশিয়ে খাবার উপযোগী মাংসের মতো বানানো হয়। তবে কোথায় মরদেহের খণ্ডিত অংশ ফেলা হয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়।

মরদেহ উদ্ধারের বিষয়ে ডিবিপ্রধান বলেন, মরদেহ উদ্ধারের কাজ চলছে। ভারতীয় পুলিশ গাড়ির চালককে নিয়ে তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। পুরোপুরি না পেলেও মরদেহের অংশ বিশেষ পাওয়া যাবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।


আরও খবর



পেনশন স্কিম প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে সিভাসু শিক্ষক সমিতির মানববন্ধন

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) শিক্ষক সমিতি।

সিভাসু ক্যাম্পাসে আজ সকাল সাড়ে ১১টায় এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন কর্তৃক ঘোষিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে সিভাসুর শিক্ষকরা অংশগ্রহণ করেন।

শিক্ষক সমিতির অন্যান্য দাবিসমূহ হলো-প্রতিশ্রæত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তন।

সিভাসু শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি ও পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ) প্রফেসর ড. মো: আশরাফ আলি বিশ্বাস এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ফুড সায়েন্স ও টেকনোলজি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. ফেরদৌসী আকতার, ফিশারিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. শেখ আহমাদ-আল-নাহিদ, বঙ্গবন্ধু শিক্ষক ফোরামের সভাপতি ও পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, প্রফেসর ড. মো: কবিরুল ইসলাম খান এবং প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নূরুল আবছার খান।


আরও খবর



বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হচ্ছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়, আঘাত হানতে পারে চলতি মাসেই

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

টানা বৃষ্টির পর আবারও বাড়তে শুরু করেছে তাপমাত্রা। মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে দেশের অধিকাংশ জেলায়। সামনের কয়েক দিনে তাপদাহের বিস্তৃতি বাড়তে পারে আরও। এরই মধ্যে আভাস মিলেছে শক্তিশালী এক ঘূর্ণিঝড়ের।

চলতি মে মাসের শেষের দিকে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া দপ্তর। বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়টি পূর্ণ রূপ নিলে এর নাম হবে রেমাল’। এই নামটি দিয়েছে ওমান।

ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মে মাসে বঙ্গোপসাগরে দুটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। ২০ মে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে ঘূর্ণাবর্ত। এরপর সেটি ক্রমে উত্তর দিকে হয়ে শক্তি বাড়িয়ে ২৪ মে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।

আগামী ২৫ মে সন্ধার পরে এই ঘূর্ণিঝড় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে বলে ভারতীয় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।

এক রিপোর্টের বরাতে হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, আগামী ২০ মে থেকে এই সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ স্পষ্ট হতে পারে। তবে কোথায়, কত গতিতে এই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। অনুমান করা হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশের মধ্যে কোথাও এটি আছড়ে পড়তে পারে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে ২৪ মে রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হতে পারে উপকূল এলাকায়। বৃষ্টি চলতে পারে ২৬ মে পর্যন্ত।

প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ২৫ মে সুন্দরবনে আঘাত হেনেছিল ঘূর্ণিঝড় আইলা। সেই ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের ১৫তম বর্ষের সন্ধ্যাতেই ঘূর্ণিঝড় রেমাল’ আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।


আরও খবর