আজঃ মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
শিরোনাম

ইসরায়েলে যেভাবে কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন নেতানিয়াহু

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর জনপ্রিয়তায় এত ধস আগে কখনো নামেনি। ১৪ নভেম্বর একটি জরিপে দেখা গেছে, ইসরায়েলের ইহুদিদের মধ্যে তাঁর জনসমর্থন মাত্র ৪ শতাংশের মতো। এমন পরিস্থিতিতে নেতানিয়াহুর বিরোধী, এমনকি তাঁর ঐতিহাসিক মিত্ররাও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে চলমান সংঘাত শেষে তাঁর পদত্যাগ চাইছেন।

 ইসরায়েলের কোনো প্রধানমন্ত্রীই নেতানিয়াহুর মতো এমন নড়বড়ে অবস্থায় পড়েননি বলে মনে করেন ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান মিডল ইস্ট ইনস্টিটিউটের ফিলিস্তিন-ইসরায়েল বিশেষজ্ঞ খালেদ এলগিনদি। তিনি বলেন, নেতানিয়াহুর আমলে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গোয়েন্দা ব্যর্থতার মুখে পড়েছে ইসরায়েল। এতে করে রাজনৈতিক জীবনে যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অবশ্য আগে থেকেই সমালোচনার মুখে ছিলেন নেতানিয়াহু। গত বছরের নভেম্বরে নির্বাচনে জিতে ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে ডানপন্থী সরকার গঠন করেন তিনি। এরপর দেশটির বিচারব্যবস্থায় সংস্কারের চেষ্টা করে তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়েন। বিশেষজ্ঞদের অনেকে বলছেন, এরপরও ইসরায়েলে নেতানিয়াহুর যেটুকু সমর্থন ছিল, গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর তার প্রায় সবই হারিয়েছেন তিনি।

জিম্মিদের উদ্ধারে ব্যর্থতা

৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন। এ ছাড়া ২০০ জনের বেশি মানুষকে জিম্মি করে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যায় নিয়ে যান হামাস সদস্যরা। এসব ঘটনার জন্য ইসরায়েলের ৯৪ শতাংশ মানুষ নেতানিয়াহু সরকারকে অন্তত আংশিক দায়ী করছেন।

হামাসের সঙ্গে সংঘাত শুরুর কয়েক দিন পরই ইসরায়েলের জনগণের বড় একটি অংশ মনে করত, সংঘাত শেষে নেতানিয়াহুর পদত্যাগ করা উচিত। নেতানিয়াহুকে নিয়ে তাদের এই অসন্তোষ পরে বেড়েছে বৈকি কমেনি। বেশির ভাগ সমালোচনা হয়েছে হামাসের হাতে জিম্মি ব্যক্তিদের মুক্ত করার ক্ষেত্রে নেতানিয়াহুর আগ্রহের ঘাটতি নিয়ে।

গত শুক্রবার এমন দুই জিম্মির মরদেহ উদ্ধার করেছে ইসরায়েল। এর আগে কাতারসহ কয়েকটি দেশের মধ্যস্থতায় আরও চার জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস। তবে সাময়িক যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে বেশিসংখ্যক জিম্মিকে মুক্ত করার হামাসের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন নেতানিয়াহু। বলেছেন, সব জিম্মিকে মুক্তি দিলেই কেবল গাজায় হামলা বন্ধের বিষয়টি ভাববেন তিনি।

গাজায় হামলার প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে তুমুল বিক্ষোভের মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও যুদ্ধবিরতির ক্ষেত্রে নেতানিয়াহুকেই সমর্থন দিয়ে আসছেন। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটির ফিলিস্তিন-ইসরায়েল বিশেষজ্ঞ জাচারি লকম্যান বলেন, ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। তবে বাইডেন প্রশাসনের ধৈর্য একসময় শেষ হয়ে যেতে পারে। শুধু যুক্তরাষ্ট্রই নয়, ইউরোপসহ অন্যান্য অঞ্চলেও যুদ্ধবিরতির পক্ষে জনসমর্থন বাড়ছে।

দলের ভেতর অসন্তোষ

নেতানিয়াহু হয়তো এখন বাইডেনের সমর্থন পাচ্ছেন, তবে তাঁর নিজের ঘাঁটিই নড়বড়ে হয়ে পড়ছে। ইসরায়েলের নেতিভত শহরে নেতানিয়াহুর দল লিকুদ পার্টিসমর্থিত মেয়র ইয়েহিয়েল জোহার সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলকে বলেন, সংঘাত শেষের পর লিকুদ পার্টির ভেতরে বড় একটি দল থাকবে, যারা বতর্মান পরিস্থিতি বদলে দেবে।

নেতানিয়াহুকে নিয়ে লিকুদ পার্টির মধ্যে অসন্তোষ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে অনেকেই দল ছেড়ে যাচ্ছেন। এমনই একজন দলের সদোত নেগেভ আঞ্চলিক কাউন্সিলের প্রধান তামির ইদান। টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারের সময় তিনি লিকুদ পার্টির সদস্য কার্ড ছিঁড়ে ফেলেছেন।

ইসরায়েলের গণমাধ্যমগুলোর মধ্যে ইসরায়েল হাইয়োম নামে ডানপন্থী একটি সংবাদপত্র প্রায়ই নেতানিয়াহুকে সমর্থন দিয়ে থাকে। সেই সংবাদপত্রও লিখেছে, এই ব্যর্থতার দায় আপনাকে (নেতানিয়াহু) নিতে হবে এবং এটি আপনি অন্য কারও ওপর চাপাতে পারবেন না।

এমন পরিস্থিতিতে একমাত্র কট্টর ডানপন্থীদের সমর্থনেই নেতানিয়াহু সরকার টিকে আছে বলে মনে করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত তারা নেতানিয়াহুকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে তারা গাজা পরিস্থিতির দিকে সবার দৃষ্টি থাকার সুযোগ কাজে লাগিয়ে পশ্চিম তীরে অভিযান চালাচ্ছে।

ফিলিস্তিন-ইসরায়েল বিশেষজ্ঞ খালেদ এলগিনদি বলেন, নেতানিয়াহু তাঁর রাজনৈতিক জীবন বাঁচাতে লড়াই করছেন। সবার নজর গাজার দিকে। এই সুযোগে জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির ও অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোত্রিচের মতো কট্টর ডানপন্থীরা পশ্চিম তীরে যা খুশি তা-ই করতে পারছেন। সেখানে বসতি স্থাপনকারীরা তাণ্ডব চালাচ্ছে। একই কাজ করছে ইসরায়েলি বাহিনী। খুব কম মানুষের নজর সেখানে রয়েছে। তাই কট্টর ডানপন্থীরা পশ্চিম তীরে তাঁদের লক্ষ্য বাস্তবায়নের সুযোগ পেয়ে যাচ্ছেন।

তবে এখানেও ফাটল দেখা দিচ্ছে। গত শুক্রবার গাজায় প্রতিদিন দুই ট্রাক জ্বালানি প্রবেশের অনুমোদন দেয় নেতানিয়াহুর যুদ্ধকালীন সরকারের মন্ত্রিসভা। যদিও এই জ্বালানি গাজার ২৩ লাখ মানুষের জন্য খুবই সামান্য বলে মনে করা হচ্ছে। এরপরও ইসরায়েল সরকারের এ পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছেন বেন-গভির ও স্মোত্রিচ।

শিকারে প্রস্তুত বিরোধীরা

ইসরায়েলে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন নেতানিয়াহু। এ সময় তাঁর অনেক শত্রু তৈরি হয়েছে। নেতানিয়াহুকে শিকারে একপ্রকার মুখিয়ে রয়েছেন তাঁরা। এমনই একজন সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গাৎস। নেতানিয়াহুর জনপ্রিয়তা যতই কমছে, ততই উত্থান হচ্ছে তাঁর।

গাৎস বর্তমানে নেতানিয়াহুর যুদ্ধকালীন সরকারের মন্ত্রিসভায় রয়েছেন। নেতানিয়াহু হামাসের হামলার দায় ইসরায়েলি গোয়েন্দা ও সামরিক বাহিনীর ওপর চাপালে, তাঁর কড়া সমালোচনা করেন গাৎস। ফিলিস্তিন-ইসরায়েল বিশেষজ্ঞ জাচারি লকম্যানের মতে, ইসরায়েলে দীর্ঘদিনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর পদ দখলের স্বপ্ন দেখছেন গাৎস।

লকম্যানের ভাষায়, ইসরায়েলের রাজনীতির কেন্দ্রে গাৎস নিজেকে এমন একজন নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন, যিনি ডান, বাম ও মধ্যপন্থীদের এক ছাতার নিচে আনতে পারবেন। আর নেতানিয়াহুর মতো অনেক বোঝাই তাঁকে বইতে হচ্ছে না। যেমন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা রয়েছে, যা গাৎসের নেই।

১৪ নভেম্বরের এক জরিপে অংশগ্রহণকারীদের জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, নেতানিয়াহু, নাকি গাৎসকাকে তাঁরা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেশি যোগ্য মনে করেন? দেখা যায়, জরিপে নেতানিয়াহুর চেয়ে ২২ শতাংশ পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছেন গাৎস। তবে তিনি নেতানিয়াহুকে সরাতে পারবেন কি না, তা এখনই সুর্নিদিষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না। কারণ, হামাসের হামলার পর তিনি নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়েছেন। নেতানিয়াহুর অনেক সমালোচক এই কাজ করেননি।

নেতানিয়াহুর আরেকজন বিরোধী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ। গত বুধবার তিনি দাবি তুলেছেন নেতানিয়াহুকে সরিয়ে লিকুদ পার্টির অন্য কাউকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়ার। খালেদ এলগিনদি বলেন, আগে সংঘাত শেষের পর নেতানিয়াহুর পদত্যাগ চাওয়া হচ্ছিল। তবে এখন সংঘাতের সমাপ্তির আগেই তাঁর পদত্যাগ চাওয়া হচ্ছে।

তবে রাজনৈতিক প্রতিকূল পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার ইতিহাস আছে নেতানিয়াহুর। গত বছরের নির্বাচনে এ দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন তিনি। দুর্নীতির অভিযোগ ঘাড়ে নিয়েও নির্বাচনে জিতে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। খালেদ এলগিনদি বলেন, আমার মনে হয় না রাজনৈতিকভাবে বর্তমান পরিস্থিতি সামলে উঠতে পারবেন নেতানিয়াহ। হামাসের হামলা ও জিম্মিদের নিয়ে জনগণের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। এমনকি ৭ অক্টোবরের আগে থেকেই তাঁর জনপ্রিয়তা কমছে। এরপরও এসব সমস্যা সামাল দেওয়ার কৌশল যদি কারও জানা থাকে, তিনি শুধু নেতানিয়াহুই।


আরও খবর



সৌদিতে চলতি বছরে প্রথম বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলতি হজ মৌসুমে সৌদি আরবে বাংলাদেশি একজন হজযাত্রী মারা গেছেন। এটিই এবারের হজে প্রথম কোন বাংলাদেশির মৃত্যু। মো. আসাদুজ্জামান নামের এ হজযাত্রী গত ১৫ মে মদিনায় মারা গেছেন। তার পাসপোর্ট নম্বর এ-১৩৫৬১০৩৪।

শনিবার (১৮ মে) ভোররাত ৩টার দিকে হজ পোর্টালের আইটি হেল্পডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার পর গত রাত ৩টা পর্যন্ত ২৭ হাজার ১১১ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। অন্যদিকে এখনো ৪ হাজার ২৫৬ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।

সবশেষ হিসাবে যত হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন তাদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ৩ হাজার ৭৪৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ২৩ হাজার ৩৬৪ জন। এখন পর্যন্ত সৌদি আরব যাওয়ার হজফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে ৬৮টি।

এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ২৫টি, সৌদি এয়ারলাইন্সের ২৩টি ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স পরিচালিত ফ্লাইট সংখ্যা ২০টি।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার ফ্লাইট শুরু হয় গত ৯ মে। আগামী ১০ জুন পর্যন্ত যাওয়ার ফ্লাইট চলবে। হজ শেষে ২০ জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। দেশে ফেরার ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ২২ জুলাই।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ৮১ হাজার একজন হজযাত্রীর ভিসা হয়েছে। এ বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন। সে হিসাবে এখনো ৪ হাজার ২৫৬ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।

এবার বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৫৬২ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সির মাধ্যমে ৮০ হাজার ৬৯৫ জন হজ করতে যাবেন।


আরও খবর



এমপি আনোয়ারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ওসিকে রির্টানিং কর্মকর্তার নির্দেশ

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মে ২০24 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

Image

লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রামগঞ্জ থানার ওসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠায় এমপির বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে এ লিখিত নির্দেশনা দেন রির্টানিং কর্মকর্তা প্রিংয়কা দত্ত।

ওসিকে দেওয়া চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের বিষয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ এবং নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পক্ষপাতিত্ব করার বিষয়ে একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন। উক্ত অভিযোগের বিষয়ে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অভিযোগপত্রের ছায়ালিপি এতদসঙ্গে প্রেরণ করা হলো।

রবিবার (১৯ মে) রাতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী ইমতিয়াজ আরাফাতের করা অভিযোগের ভিত্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ বিষয়ে শনিবার (১৮ মে) রির্টানিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন আনারস প্রতীকের প্রার্থী ইমতিয়াজ আরাফাত।

রির্টানিং কর্মকর্তার কাছে দেওয়া চিঠিতে ইমতিয়াজ অভিযোগ করেন, সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খান আচরণ বিধি ভঙ্গ করে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন দেওয়ান বাচ্চুকে জয়ী করার লক্ষ্যে নানা পরিকল্পনা করছেন। নোয়াগাঁও ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো. হোসেন রানাকে নোয়াগাঁও বাজার থেকে গাড়িতে উঠিয়ে খান টাওয়ারে নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে তাকে দেওয়ান বাচ্চুর পক্ষে নির্বাচনী কাজ করার জন্য নানাভাবে হুমকি-ধমকি দেন। পরে রানা কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে যান। যা নির্বাচনী আচরণবিধির পরিপন্থি।

চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান রবিবার রাতে বলেন, চিঠি হাতে পাইনি। হাতে পেলে চিঠি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ২য় ধাপে আগামী ২১ মে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর



ব্যাংকঋণের সুদহার ১৪ শতাংশের বেশি হবে না: বাংলাদেশ ব্যাংক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

ব্যাংক ঋণের সুদ ১৪ শতাংশের বেশি হবে না বলে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) নেতাদের আশ্বস্ত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। তবে ব্যবসায়ী সংগঠনটির মতে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বারবার নীতি পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দেশের অর্থনীতি নিয়ে গভর্নরের সঙ্গে আলোচনা শেষে এসব কথা জানিয়েছেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম।

এ সময় অন্যদের মধ্যে এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি জসিম উদ্দিন, বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান কচি, বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন, বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম এবং প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আহসান খান চৌধুরীসহ শীর্ষ ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, হঠাৎ করেই ডলারের দাম ৭ টাকা বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আমরা গভর্নরকে বলেছি এটি যেন ১১৭ টাকায় থাকে। তিনি আমাদের এক টাকা কম অথবা বেশির মধ্যে রাখার কথা বলেছেন। ডলার নিয়ে এখনো সমস্যা আছে। আমরা এলসি করার সময়ও একই রেট থাকার কথা বলেছি। গভর্নর আমাদের বলেছেন ডলার সংকট রয়েছে, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সংকট পুরোপুরি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।

সুদহার বিষয়ে মাহবুবুল আলম বলেন, ডলারের মতো সুদহার বাজারের ওপরে ছেড়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন যে সুদের হার আছে তাতে ১৪ শতাংশের ওপরে উঠবে না বলে আশ্বাস দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ, এর মধ্যেই আটকে দেবে সুদহার। তবে ব্যাংকগুলোর ঋণ বিতরণে খরচ ৬ থেকে ৮ শতাংশ হলে সুদের হার ১২ শতাংশের ওপরে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।

ডলার রেটের কারণে একক গ্রাহক ঋণসীমা হঠাৎ বেড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডলারের দাম একবারে বেশি হওয়ায় ঋণও বেড়েছে। সেই সঙ্গে ডলারের দাম একসঙ্গে ৭ টাকা বাড়ার কারণে যে পরিমাণ ঋণ বেড়েছে সে পরিমাণ টাকার দীর্ঘমেয়াদি ঋণের আবেদন করেছেন ব্যবসায়ীরা। এখানে বিশেষ বিবেচনায় ছাড় দেয়ার কথা জানিয়েছেন গভর্নর।

তিনি বলেন, বারবার নীতি পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। আমরা গভর্নরকে অনুরোধ করেছি পলিসিটা যেন দীর্ঘমেয়াদি নেয়া হয়। কারণ, কেউ একটা প্রজেক্ট করার পরই যখন দর বাড়বে তাকে ক্ষতি মেনে নিতেই হবে। এখানে আমাদের ব্যবসায় পলিসিতেও হ্যাম্পার হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা যেন বেশি ক্ষতিগ্রস্ত না হন, তেমন ব্যবস্থা ভবিষ্যতে নেয়া হবে। আমি মনে করি দেশের মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির সঙ্গে সুদহারের কোনো সম্পর্ক নেই।

প্রসঙ্গত, গত ৮ মে ব্যাংক ঋণের সুদহার নির্ধারণ পদ্ধতি সিক্স মান্থ মুভিং অ্যাভারেজ রেট (স্মার্ট) প্রত্যাহার করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই নির্দেশনার ফলে এখন থেকে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ঋণের সুদহার নির্ধারিত হবে।

নিউজ ট্যাগ: বাংলাদেশ ব্যাংক

আরও খবর



তরুণরাই স্মার্ট বাংলাদেশের অভিযাত্রার সূর্য সারথি: তথ্য সচিব হুমায়ন

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মোঃ হুমায়ন কবির খোন্দকার বলেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যার মধ্যে শতকরা ৬৮ ভাগ হলো কর্মক্ষম জনসংখ্যা। আবার এদের মধ্যে অধিকাংশ হলো যুবক। তথ্য প্রযুক্তির বিভিন্ন দিক রয়েছে যেগুলো যুবকরা খুব সহজে বুঝতে পারে কিন্তু আমাদের পক্ষে অনেক সময়ের ব্যাপার। তাই তরুণরাই স্মার্ট বাংলাদেশের অভিযাত্রার সূর্য সারথি।

শনিবার বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সভা কক্ষে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের ম্যানেজার নূর আনোয়ার হোসেনর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে একুশে পদক প্রাপ্ত প্রখ্যাত সাংবাদিক আবুল মোমেন, বাংলা একাডেমি পুরস্কার প্রাপ্ত কবি, লেখক ও সাংবাদিক রাশেদ রউফ, বাংলা একাডেমি পুরস্কার প্রাপ্ত কবি ও সাংবাদিক বিশ্বজিৎ চৌধুরী বক্তৃতা করেন। এছাড়া এতে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দ ও বিটিভির কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

তথ্য সচিব বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ক্ষেত্রে সরকার বহুমাত্রিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সমাজ, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট নাগরিক এ চারটি স্তম্ভের উপর স্মার্ট বাংলাদেশ নির্ভর করছে। সরকার ডি-নথি, ই-লার্নিং, স্টার্টআপ, ফ্রিল্যান্সার, ক্যাশলেস সোসাইটি ও পেপারলেস অফিস করার মধ্যদিয়ে ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনিমার্ণের পথে এগিয়ে চলছে।

তিনি আরো বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরে গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাংবাদিকরা আজকের সমাজের এম্বেসেডর হিসেবে কাজ করে। বাংলাদেশে রয়েছে গণমাধ্যম এবং তথ্য প্রবাহের দীর্ঘদিনের চর্চা। জনগণের আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটানোর পাশাপাশি গণমাধ্যম জাতিকে পথরেখা প্রণয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করে আসছে।

সচিব বলেন, গণমাধ্যমের প্রথম ভূমিকা হলো স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রগতি, দর্শন, লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যগুলো জনগণের মধ্যে নানামুখী প্রতিবেদন তৈরি ও প্রকাশের মাধ্যমে পৌঁছানো এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিষয়ে জনগণকে প্রতিবেদন প্রচার ও প্রকাশের মাধ্যমে সম্পৃক্ত করা, স্মার্ট বাংলাদেশ প্রক্রিয়ার চ্যালেঞ্জগুলো বিবেচনায় এতে নানামুখী প্রতিবেদন প্রকাশ করা, সময় সময় অগ্রগতিগুলো তুলে ধরা।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



শ্যামবাজার ঘাটে লঞ্চে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর শ্যামবাজার ঘাটে এমভি বাঙালি লঞ্চের তৃতীয় তলায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিটের প্রায় ৫০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ২টা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম।

এর আগে দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে এমভি বাঙালি লঞ্চের তৃতীয় তলায় আগুন লাগে।

তালহা বিন জসিম বলেন, রাজধানীর শ্যামবাজার ঘাটে এমভি বাঙালি লঞ্চের তিন তলায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সদরঘাট নদীর ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট ও পোস্তগোলা ফায়ার স্টেশনের দুইটি ইউনিটসহ মোট পাঁচটি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ, ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের কোনো খবর জানা যায়নি।


আরও খবর