আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

ইউএনওর বদলির খবরে শিবপুরে মিষ্টি বিতরণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নরসিংদী প্রতিনিধি

Image

নরসিংদীর শিবপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিনিয়া জান্নাতকে বদলি করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব এটিএম শরিফুল আলমের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে বদলি করা হয়। জিনিয়া জান্নাতকে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষে বদলি করা হয়েছে। এদিকে তার বদলির খবরে শিবপুরে মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে।

সোমবার (২৮ আগস্ট) রাতে শিবপুরের ইউএনওকে বদলির খবরে শিবপুরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করা হয়।

ইউএনও জিনিয়া জান্নাতের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, ঘুষ-দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ উঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে তাকে শোকজ করা হয়েছিল।

জানা গেছে, জিনিয়া জান্নাত ইউএনওর দায়িত্বের পাশাপাশি শিবপুর পৌরসভার প্রশাসকের দায়িত্বে ছিলেন। দুটি দায়িত্বে থাকার সুযোগে তিনি ঘুষ কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েন। ঘুষ ছাড়া দপ্তরের কোনো ফাইল ছাড় করতেন না তিনি। তাছাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খানের মৃত্যুর পর উপজেলা পরিষদের অর্থ কেলেঙ্কারিতেও জড়িয়ে পড়েন এ কর্মকর্তা। একইসঙ্গে শিবপুর পৌরসভার প্রশাসকের ক্ষমতা খাটিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন। পৌরসভার ইজারাদারের নাম করে সড়ক থেকে চাঁদা তোলা হয়, যা নিয়ন্ত্রণ করেন ইউএনও।

এর বাইরে তার স্বামী দিনরাত সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে আসছিলেন। তাছাড়া সহকর্মীদের সঙ্গে জিনিয়া জান্নাতের অসৌজন্যমূলক আচরণ এবং সরকারি বিধিনিষেধ ভঙ্গের বিস্তর অভিযোগ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপরই তাকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ডেকে সতর্ক করা হয়।  তারপরও তার অনিয়ম থেমে থাকেনি।

এসবের জের ধরে সোমবার (২৮ আগস্ট) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিনিয়া জান্নাতকে বদলির আদেশ দেওয়া হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করা হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায়।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন ঈদুল আজহার আগের দিন রাতে ইউএনওর স্বামী সরকারি গাড়ি নিয়ে বের হন। পরে শহরের ছোনপাড়া কাঞ্চন আঞ্চলিক সড়কের মাঝামাঝি স্থানে ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় ইউএনওর সরকারি গাড়িটির। এতে গাড়ির সামনের বাম্পার ও ডানদিকে বডিতে প্রচন্ড চোট খায় এবং ফগ ও ইন্ডিকেটর লাইট ভেঙে যায়। তখন ট্রাক থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানাও আদায় করে ইউএনওর স্বামী। কোন ক্ষমতায় তিনি সরকারি গাড়ি ব্যবহার করেন। সরকার গাড়ি দিয়েছে আমাদের (জনগণের) সেবায় নিয়োজিত থাকার জন্য, স্বামী বা আত্মীয়-স্বজন সেই গাড়িতে ঘুরে হাওয়া খাওয়ার জন্য নয়। ওনার বদলিতে আমরা শিবপুরবাসী আনন্দিত। তাই আমরা মিষ্টি মুখের মাধ্যমে সেই আনন্দ ভাগাভাগি করছি।


আরও খবর



আমার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ছিল, আবার ছিলও না: মৌসুমী হামিদ

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ব্যক্তিগত জীবনে একাধিকবার সম্পর্কে জড়ালেও এখন পর্যন্ত বিয়ে করেননি ছোটপর্দার অভিনেত্রী মৌসুমী হামিদ। যা নিয়ে শোবিজ পাড়ায় হয়েছে নানা আলোচনাও। তবে এসব তোয়াক্কা না করে তিনি এগিয়ে গেছেন আপন গতিতে।

আর বিয়ের বিষয়ে ইতিমধ্যেই এই অভিনেত্রী জানিয়েছেন, তার জন্য লম্বা ছেলে খুঁজে পাওয়া কষ্টকর। এই অভিনেত্রীর উচ্চতা ৫ ফুট সাড়ে ৯ ইঞ্চি। আর এই উচ্চতার ছেলে মেলানোর চেষ্টাও করছেন তিনি। যা পেলেই শুভ কাজটি সেরে ফেলবেন তিনি।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মৌসুমী হামিদ জানিয়েছেন, প্রেমের সম্পর্কগুলো টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করলেও বিপরীত ব্যক্তির মিথ্যা বা অসৎ আচরণের কারণেই সেই সম্পর্কের পরিণতি পায়নি। 

আরও পড়ুন>> বডি শেমিংয়ের শিকার হলেন এনা সাহা

তার কথায়, আমি সবসময় চেষ্টা করেছি প্রেমের সম্পর্কগুলো টিকিয়ে রাখতে। আমি কখনোই ওই রকম ব্যাড গার্লফ্রেন্ড না। কখনো কোনো বয়ফ্রেন্ডকে বলিনি- আমাকে এটা দাও, ওটা দাও। বরং চেষ্টা করেছি নিজেই কিছু দেওয়ার। কারণ, আমি নিজেই তো আয় করি।

তারপরও কেন সম্পর্কগুলো ভাঙল- এমন প্রশ্নে জবাবে এই তারকা বলেন, আমি মিথ্যা কথা কিংবা অসততা কখনোই পছন্দ করি না। সহ্য করতে পারি না। সম্পর্কের ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময় এটাই ঘটেছে। সম্পর্কের ব্যাপারে অনেক বেশি বিশ্বস্ত ছিলাম। কিন্তু একটা সময় এসে মনে হয়েছে, সে হয়তো আমার কেউই ছিল না। তারা আমার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ছিল, আবার ছিলও না। আর এসব কারণে সম্পর্কগুলো পূর্ণতা পায়নি।’ 

আরও পড়ুন>> কুশার জন্য মালাইকাকে ছাড়লেন অর্জুন!

এদিকে গেল ১৮ আগস্ট মুক্তি পেয়েছে মৌসুমী হামিদ অভিনীত সিনেমা ১৯৭১ সেই সব দিন। প্রয়াত ড. ইনামুল হকের গল্পে এটি নির্মাণ করেছেন অভিনেত্রী ও নির্মাতা হৃদি হক। মুক্তির অপেক্ষায় আছে নয়া মানুষযাপিত জীবন সিনেমা দুটি।


আরও খবর
রণবীরের জন্মদিনে স্মৃতিকাতর আলিয়া

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

জয়ের জন্মদিনে বীরের শুভেচ্ছা

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




ফুলবাড়ীতে ফুলকপি চাষের ধুম

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
দিনাজপুর প্রতিনিধি

Image

আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার মৌসুম শুরুর আগেই দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলায় ফুলকপির চাষ শুরু হয়েছে। এখন কৃষকরা ক্ষেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। কৃষকেরা নিড়ানি, কীটনাশক ছিটানো, সেচ দেয়া ও শীতকালীন সবজির চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

দিনাজপুর ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের রাজারামপুর গ্রামের নদীপাড়ের কৃষক সাহেব বাবু এবার ৯৯ শতাংশ জমিতে ফুলকপির চারা রোপণ করেছেন।

তিনি রোববার দুপুরে জানান, ফুলবাড়ী উপজেলার আমডুঙ্গি হাটের পাশের জমিতে ফুলকপি চাষ করছেন। ৯৯ শতাংশ জমিতে এখন সার ও নিড়ানি দিচ্ছেন ৭ জন মজুর। গ্রামে সাধারণত এই সময়ে কৃষি শ্রমিকদের কাজ থাকে না। আগাম কপি চাষ করায় কৃষি শ্রমিকদের কর্মসংস্থান হয়েছে। পাশাপাশি তিনিও লাভের আশা করছেন।

সাহেব বাবু বলেন, ফুলকপি ৬০ দিনের ফসল। ২০ হাজার চারা রোপণ করেছি। ফলন পাওয়া পর্যন্ত জমি চাষ, সার, কীটনাশক, নিড়ানি, শ্রমিকসহ খরচ হবে ২ লাখ টাকা। একটি কপি ২০ টাকা করে বিক্রি করলে ২০ হাজার কপি ৪ লাখ টাকায় বিক্রি হবে। আশা করছি, খরচ বাদ দিয়ে ২ লাখ টাকা লাভ হবে।

জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার পাটকপাড়া গ্রামের কৃষক শরিফউদ্দিন ৩ বিঘা জমিতে ফুলকপি আর ১০ কাঠা জমিতে বেগুন, পটল, ঝিঙা, বরবটি চাষ করছেন। তিনি বলেন, এবার আবহাওয়া ভালো। রবি ফসলে লাভ হয়ে থাকে।

উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, এরই মধ্যে শিম, বাঁধাকপি, ফুলকপি ঝিঙা, বেগুন, মুলাসহ বেশকিছু শীতের আগাম সবজি বাজারে উঠেছে। অন্য বছরের তুলনায় এসব সবজির দাম বেশি। ভালো দাম পাওয়ায় শীতকালীন সবজি চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের।

জেলার ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. শাহানুর আলম বলেন, এই উপজেলার ওপর দিয়ে ছোট-বড় ৩টি নদী প্রবাহিত। নদী এলাকায় ব্যাপক পলি জমি রয়েছে, যা সবজি চাষের উপযোগী। ফুলবাড়ী উপজেলায় সবজি চাষের উপযোগী ৪৯০ হেক্টর জমি রয়েছে, যার মধ্যে চলতি খরিপ-২ মৌসুমে ৫৫ হেক্টর জমিতে ফুলকপি চাষ হচ্ছে।

সবজি আগাম উঠাতে পারলে লাভ বেশি। এবার বৃষ্টি কম হওয়ায় সবজি আগে চাষ সম্ভব হয়েছে। সাধারণত কার্তিক মাসে শীতকালীন সবজি চাষ শুরু হয়। এ মৌসুমে উপজেলায় ১ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: ফুলকপি চাষ

আরও খবর



আ.লীগ কখনই অস্ত্রবাজি করে ক্ষমতায় আসেনি, আসবেও না: কৃষিমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

Image

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আওয়ামী লীগ কখনই অস্ত্রবাজি করে ক্ষমতায় আসেনি এবং অস্ত্রবাজি করে ক্ষমতায় আসতেও চায় না।আমরা অস্ত্রবাজি ও আগুন সন্ত্রাসে বিশ্বাস করি না। আমাদের শক্তি এ দেশের জনগণ। আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে, স্বাধীন বাংলাদেশ যেন দুর্বৃত্ত, অর্থপ্রচারকারী, জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির হাতে কোনো ভাবেই যেতে না পারে।

রোববার দুপুরে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার মুশুদ্দি আফাজ উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয় মাঠে সুবিধাভোগী সদস্যদের মধ্যে ঋণের চেক বিতরণ ও মুশুদ্দি আফাজ উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ের নব নির্মিত একাডেমিক ভবন উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে দেশে দৃশ্যমান অনেক উন্নয়ন হয়েছে। মানুষ এসব উন্নয়ন দেখেছে। কাজেই আগামী জাতীয় নির্বাচনে আগুন সন্ত্রাস নয়, উন্নয়নের পক্ষে জনগণ ভোট দেবে। মানুষ বিএনপি জামায়াতের আগুন সন্ত্রাসের কথা এখনও ভুলে যায়নি। তাদের জ্বালাও পোড়াও, সন্ত্রাসী কার্যক্রম, চাঁদাবাজির কথা মনে করে দেশের বেশির ভাগ মানুষ নৌকায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনবে।

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্ন দেখেছিলেন সমবায়ের মাধ্যমে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে গড়ে তুলবেন। তারই ধারাবাহিকতায় শেখ হাসিনা সমবায়, কৃষি ও কৃষকদের সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

ধনবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসলাম হোসাইনের সভাপতিত্বে ও ধনবাড়ী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনছার আলীর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন- সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক শফিকুর রেজা বিশ্বাস, ঢাকা বিভাগীয় যুগ্ম নিবন্ধক শেখ কামাল হোসেন, সাবেক অতিরিক্ত নিবন্ধক ও বঙ্গবন্ধু মডেল গ্রামের সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান দুলাল, বঙ্গবন্ধু মডেল গ্রাম পাইলট প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. হেলাল উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মীর ফারুক আহমাদ ফরিদ, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মঞ্জুরুল ইসলাম তপন, ইউপি চেয়ারম্যান আবু কায়সার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হযরত আলী প্রমুখ।


আরও খবর



থানায় পাঠানো হলো তারেক-জোবায়দার সাজা পরোয়ানা

প্রকাশিত:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৯ বছর ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় সম্প্রতি এ রায় হয়। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাসহ সাজা পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

জানা যায়, গত ১০ আগস্ট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামানের আদালত থেকে রাজধানীর ভাষানটেক থানার ৬, শহীদ মইনুল রোডের বাড়ির ঠিকানায় তারেক-জোবায়দার পরোয়ানা থেকে পাঠানো হয়। এ পরোয়ানা তামিলের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট থানার।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার কামরুল আহসান বলেন, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে জারি করা সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা ভাষানটেক থানায় পাঠানো হয়েছে। এ পরোয়ানা তামিলের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট থানার।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের সেরেস্তাদার রিয়াজুল ইসলাম বলেন, আদালত থেকে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে জারি করা সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করে তা তামিল করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাঠিয়েছি।

এর আগে গত বুধবার (২ আগস্ট) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে দুদক আইনের ২৬(২) ধারায় তারেক রহমানের তিন বছর ও ২৭(১) ধারায় ছয় বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। দুই ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন। এছাড়া দুদক আইনের ২৭(১) ধারায় জোবায়দা রহমানের তিন বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তারেক রহমানকে তিন কোটি টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও তিন মাস সাজা ভোগ করতে হবে।

অন্যদিকে, জোবায়দা রহমানকে কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৩৫ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাস সাজা ভোগ করতে হবে। একই সঙ্গে তারেক-জোবায়দা দম্পতির অপ্রদর্শিত সম্পদ হিসেবে দুই কোটি ৭৪ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এর আগে চার মামলায় তারেক রহমানের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আরও একাধিক মামলা চলমান। তবে, জোবায়দার এটি প্রথম ও একমাত্র মামলার রায় বলে জানান বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা।

মুদ্রা পাচারের মামলায় ২০১৩ সালে তারেক রহমানকে প্রথমে খালাস দেন ঢাকার আদালত। তবে, তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিলের পর হাইকোর্টের রায়ে সাত বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। তার পাঁচ বছর পর ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে তারেককে কারাদণ্ড দেন আদালত।

এ মামলায় খালেদা জিয়ার হয় পাঁচ বছর কারাদণ্ড, তারেকের হয় ১০ বছর। পরে ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলার মামলার রায়ে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। হত্যা ও বিস্ফোরক আইনের দুই মামলার প্রতিটিতে কয়েকটি ধারায় তাকে তিনবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি বিস্ফোরক আইনের আরেকটি ধারায় তার কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয় ২০ বছর। তবে সবগুলো সাজা একসঙ্গে কার্যকরের উল্লেখ থাকায় তারেককে যাবজ্জীবন সাজা খাটার বিষয়টি রায়ে উল্লেখ করা হয়।

সবশেষ ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের অভিযোগে নড়াইলে দায়ের হওয়া মানহানি মামলায় তারেক রহমানকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। পাশাপাশি তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে তারেক-জোবায়দার মামলার রায় ঘোষণার জন্য বুধবার (২ আগস্ট) দিন ধার্য করেন। এ মামলায় ৫৬ জন সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ৪২ জন সাক্ষ্য দেন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় তারেক ও জোবায়দার বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলাটি করেন দুদকের উপ-পরিচালক জহিরুল হুদা। এতে তাদের বিরুদ্ধে ঘোষিত আয়ের বাইরে চার কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। এছাড়া মামলায় আসামি করা হয় তারেক রহমানের শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুকে।

এরপর ২০০৮ সালে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম। এ মামলা থেকে সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

এর আগে ২০২২ সালের ১ নভেম্বর অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। বর্তমানে তারা পলাতক। চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল তারেকের বিরুদ্ধে দুদক আইনের ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। আর জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে তারেক রহমানকে সহযোগিতার অভিযোগে ১০৯ ধারায় অভিযোগ গঠন করেন।

নিউজ ট্যাগ: তারেক-জোবায়দা

আরও খবর



মরক্কোয় শক্তিশালী ভূমিকম্প, নিহত বেড়ে ৮২০

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আফ্রিকার দেশ মরক্কোতে ভয়াবহ ভূমিকম্পের আঘাতে নিহদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮২০ জনে। এছাড়া আহত হয়েছে কমপক্ষে ৬৭২ জন।

মরক্কোর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে সরকারী টিভি চ্যানেল আল আওলা এ তথ্য জানিয়েছে। ধংসস্তুপ থেকে উদ্ধারকাজ চলছে, বিধায় আহত ও নিহতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধির শঙ্কা কর্তৃপক্ষের।

শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) মরক্কোর স্থানীয় সময় রাত ১১টার একটু পর আটলাস পর্বতমালার কাছে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।

মূলত ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পুরাতন মারাখেস শহর ও পাহাড়ি অঞ্চলগুলো। বিশেষ করে আল-হাউজ, মারাকেচ, কোয়ারজাজাতে, আজিলাল, চিচাওয়া ও টারোডেন্ট এলাকায় প্রাণহানির সংখ্যা বেশি বলে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এই ভূমিকম্পটি দেশের এক শতাব্দীর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প বলে জানিয়েছেন মরক্কোর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ জিওফিজিক্সের প্রধান। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল দক্ষিণ-পশ্চিম মরক্কোর আল-হাউজ অঞ্চল বলে জানান তিনি।

এদিকে ভূমিকম্পের প্রভাবে ধসে পড়েছে অসংখ্য বাড়ি-ঘর। আর ধসে পড়া বাড়ির নিচে আটকে পড়াদের উদ্ধার এবং বাঁচাতে এখন হাতে করে ধ্বংসস্তূপ সরাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেল আল আওলা জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর আশপাশের সড়ক ভেঙে যাওয়ায় বা ধ্বংসস্তূপ পড়ে আটকে যাওয়ার কারণে যেতে পারছেন না উদ্ধারকারীরা।

ভূমিকম্পের পর থেকে রাত পেরিয়ে দেশটিতে মাত্র সকাল হয়েছে। আর এখনই শুরু হবে আসল উদ্ধার অভিযান। ধারণা করা হচ্ছে পরবর্তীতে নিহতের সংখ্যা আরও অনেক বাড়তে পারে।


আরও খবর
নেদারল্যান্ডসে বন্দুক হামলায় নিহত ৩

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩