ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ দেশটির বিভিন্ন
শহরে ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইউক্রেনের উমানের
কেন্দ্রীয় শহরের আবাসিক ভবনে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতের পর ১০ জন মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: বজ্রপাতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ১৬ জনের মৃত্যু
স্থানীয় মেয়রের দেওয়া তথ্য মতে, এই বিমান
হামলায় ডিনিপ্রো শহরে একজন নারী এবং তার তিন বছরের মেয়ে নিহত হয়েছে।
বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স জানিয়েছে,
ক্রেমেনচুক এবং পোলতাভা শহরেও বিস্ফোরণ হয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি
বলেছেন, রাশিয়ার হামলায় উমানে ১০টি আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, এই হামলা রাশিয়ার বিরুদ্ধে
আরও আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন দেখায়।
আরও পড়ুন: গুলি ফুরিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনীয় বাহিনীর
রাশিয়ার ওপর বৈশ্বিক নিষেধাজ্ঞা বাড়ানোর
দাবি করে একটি টুইট বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, শত্রুকে অস্ত্র দিয়ে থামানো যায়- আমাদের
রক্ষকরা তা করছেন। রাশিয়ার এমন হামলা নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে বন্ধ করা যেতে পারে। বৈশ্বিক
নিষেধাজ্ঞাগুলো অবশ্যই বাড়াতে হবে।
কিয়েভের সামরিক প্রশাসনের প্রধান বলেছেন,
৫১ দিনের মধ্যে রাজধানীতে এটিই প্রথম রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। তাৎক্ষণিকভাবে বেসামরিক
হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
টেলিগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে ইউক্রেনীয়
কর্মকর্তারা বলেছেন, ২৩টির মধ্যে ২১টি ক্ষেপণাস্ত্র এবং দুটি ড্রোন ইউক্রেনের বিমান
প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দ্বারা ভূপতিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবার জেলেনস্কি-শি ফোনালাপ
ইউক্রেনের স্টেট বর্ডার সার্ভিসের টেলিগ্রামে
পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, হামলার পর উমানে একটি আবাসিক ভবনে আগুন জ্বলছে।
বিবিসি বলছে, পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে
পাওয়া ট্যাংকসহ নতুন সরঞ্জাম নিয়ে ইউক্রেন যখন সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে,
তখনই এ হামলাগুলো করল রাশিয়া।