তফসিল অনুযায়ী আগামী ৫ জানুয়ারি সারাদেশে
অনুষ্ঠিত হবে পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন। সোমবার (৩ জানুয়ারি) রাত ১২টার
পর থেকে শেষ হচ্ছে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের ৪৮টি জেলায়
নিষিদ্ধ করা হয়েছে মোটরসাইকেল চলাচল।
সোমবার (৩ জানুয়ারি) রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার
(৬ জানুয়ারি) সকাল ৬টা পর্যন্ত ৫৪ ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকবে মোটরসাইকেল চলাচল। এ ছাড়া
আজ মধ্যরাতের পর থেকে আর নির্বাচনী প্রচারণা চালানো যাবে না।
ইসির উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান জানান, মোটরসাইকেলের
পাশাপাশি মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) মধ্যরাত ১২টা থেকে বুধবার (৫ জানুয়ারি) রাত ১২টা পর্যন্ত
সব যন্ত্রচালিত যান চলাচলও বন্ধ থাকবে। ইসির অনুমোদন নেওয়া গাড়ি এই নির্দেশনার বাইরে
থাকবে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের
জন্য নির্দেশনা দিয়েছে কমিশন।
নির্দেশনায় বলা হয়, যান চলাচল বন্ধ থাকলেও
রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট, দেশি-বিদেশি
পর্যবেক্ষকদের (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা শিথিল থাকবে।
এ ছাড়া নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের কাজে
নিয়োজিত দেশি-বিদেশি সাংবাদিক (পরিচয়পত্র থাকতে হবে), নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী,
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শক এবং জরুরি সেবা যেমন-
অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক, টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি কার্যক্রমে
ব্যবহারের জন্য যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।
আইন অনুযায়ী, ভোটগ্রহণ শুরুর ৩২ ঘণ্টা আগেই বন্ধ করতে হবে নির্বাচনী প্রচারণা। ভোটগ্রহণ শুরু হবে ৫ জানুয়ারি (বুধবার) সকাল ৮টা থেকে। সে হিসেবে ৩ জানুয়ারি রাত ১২টার পর প্রার্থীরা আর প্রচার চালাতে পারবেন না।এই সময়ের মধ্যে প্রার্থীরা কোনো মিছিল, বিজয় মিছিল, মশাল মিছিল, আনন্দ র্যালিও করতে পারবে না। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, প্রার্থীদের বিষয়টি অবহিত করার জন্য ইতোমধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
৫ জানুয়ারির ৭০৭ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে
চেয়ারম্যান পদে ৩ হাজার ২০৭ জন, সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৭ হাজার ৮০৪ জন ও সাধারণ সদস্য
পদে ২৪ হাজার ৮৪৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে পঞ্চম
ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ১৯৩ জন প্রার্থী। এদের মধ্যে চেয়ারম্যান
পদে ৫২ জন, সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৩২ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ১০৯ প্রার্থী রয়েছেন।
এর আগে গত, ২১ জুন ও ২০ সেপ্টেম্বর প্রথম
ধাপের দুই দফায় ৩৬৯টি এবং ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে ৮৩৩টি ইউনিয়নে,২৮ নভেম্বর তৃতীয়
ধাপে এক হাজার ইউনিয়নে এবং ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে ৮৪০টি ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত
হয়।
প্রসঙ্গত, দেশে চার হাজার ৫৭১টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় চার হাজার ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বাকি ইউনিয়নগুলোতে মামলা জটিলতার কারণে নির্বাচন আটকে রয়েছে।