আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

জানাজা ও জুমার নামাজ থেকে মোবাইল চুরি করত চক্রটি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানী ও আশপাশের জেলায় জুমার নামাজ ও জানাজায় অংশ নিতো সংঘবদ্ধ চোর চক্রের সদস্যরা। তাদের টার্গেট থাকতো মুসল্লিদের পকেটের দিকে। সময় বুঝে পকেট থেকে মোবাইল ও টাকা হাতিয়ে চম্পট দিতো চক্রটি। এমনই একটি চোর চক্রের ৯ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ) সদস্যরা।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, তারা হলেন- মো. বাহাউদ্দিন হোসেন মিজি ওরফে বাহার, রমজান আলী, মো. হামিম আহমেদ ওরফে হামিম, মো. আতিকুল ইসলাম, মো. পারভেজ হাসান, মো. মাসুদুর রহমান ওরফে মাসুদ, মো. সাইফুল ইসলাম, মো. ফয়সাল আহমেদ রনি ও মো. মিল্লাত হোসেন। চক্রটি পায়জামা, পাঞ্জাবি ও টুপি পরে জুমার নামাজ ও জানাজা থেকে মোবাইল ফোন চুরি করতো।

গত বুধবার রাতে রাজধানীর চাঁনখারপুল, জুরাইনের বিক্রমপুর প্লাজা ও বুড়িগঙ্গা সেতু মার্কেট, যমুনা ফিউচার পার্কসহ কয়েকটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গতকাল রাজধানীর বারিধারায় এটিইউ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির পুলিশ সুপার (অপারেশনস) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন।

গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে ৩টি ল্যাপটপ, একটি মনিটর, ৭টি মোবাইল, কম্পিউটার ও ল্যাপটপ সামগ্রী এবং মোবাইলের আইএমইআই পরিবর্তনের কাজে ব্যবহৃত ১৬টি ডিভাইস উদ্ধার করা হয়েছে। চক্রটি পায়জামা, পাঞ্জাবি ও টুপি পরে জানাজা ও জুমার নামাজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি করতো। গতকাল রাজধানীর বারিধারায় এটিইউ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির পুলিশ সুপার (অপারেশনস) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন।

তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতরা ঢাকা ও আশপাশের জেলাগুলোর বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা, ওয়াজ মাহফিল এবং জানাজাসহ জনসমাগমস্থল থেকে মোবাইল ফোন চুরি করে। এরপর চোরাই মোবাইলের আইএমইআই পরিবর্তন করে কেনাবেচা করে। চক্রটির সদস্যরা অনলাইনের মাধ্যমে ঢাকা ও এর আশপাশে কোনো জানাজা আছে কিনা তা খুঁজতে থাকে। কোনো জানাজার সন্ধান পাওয়ার পর তারা খোঁজ-খবর নিতে থাকে সেখানে কেমন মানুষের সমাগম হতে পারে। এ কাজের সাংকেতিক নাম দেয় বডিকাজবডিকাজ বলতে তারা বুঝায় লাশের কাজ, মানে জানাজার কাজ। জানাজার স্থান নির্ধারণ হওয়ার পর তারা সেখানে পায়জামা, পাঞ্জাবি ও টুপি পরে যায়। সেখানে গিয়ে তারা গ্রুপে গ্রুপে বিভক্ত হয়ে যায়।

প্রতিটি গ্রুপে তিনজন করে সদস্য থাকে। এই গ্রুপের সদস্যরা জানাজার ভিড়ের মধ্যে কৌশলে একজনের পকেটে থেকে মোবাইল চুরি করে গ্রুপের দ্বিতীয় সদস্যকে দেয়। দ্বিতীয় সদস্য মোবাইলটি আবার তৃতীয় আরেকজনকে দেয়। মোবাইল হাতে পাওয়ার পর তৃতীয় ব্যক্তি জানাজার স্থান ছেড়ে চলে যায়। পকেট থেকে মোবাইলটি যে চুরি করে তাকে বলা হয় মহাজন। জানাজা ছাড়াও চক্রটির টার্গেটে থাকত শুক্রবারের জুমার নামাজ। শুক্রবার যেসব মসজিদে বেশি মানুষ জুমার নামাজ আদায় করতে আসেন, সেসব মসজিদে চক্রটির সদস্যরা তিনজনের গ্রুপ করে অবস্থান নিত। জুমার নামাজের কাতারে গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে একই কায়দায় মোবাইল চুরি করে নিয়ে যায় তারা। মসজিদের এই চুরিকে তারা মসজিদ কাম বলে থাকে। জুমার নামাজকে কেন্দ্র করে চক্রটির সব থেকে বেশি গ্রুপ সক্রিয় থাকে বায়তুল মোকাররম মসজিদে।

এটিইউ কর্মকর্তা ছানোয়ার আরও বলেন, চোরাই মোবাইল গ্রুপগুলোতে থেকে সংগ্রহ করত চক্রের সদস্য বাহার। তার একজন মোটরসাইকেল চালক আছে। যে বাহারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গ্রুপগুলো থেকে মোবাইল সংগ্রহ করে। বাহার পরে মোবাইলগুলো গ্রেফতার মাসুদের কাছে পাঠিয়ে দিত। গ্রেফতার মাসুদের কাজ হচ্ছে চোরাই মোবাইলগুলো নির্দিষ্ট দোকানে পৌঁছে দেওয়া। তদন্তে এমন তিনটি দোকানের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। দোকানগুলো হলো, জুরাইনের বিক্রমপুর প্লাজার এসআই টেলিকম যার মালিক গ্রেফতার সাইফুল, জুরাইনের সেতু মার্কেটের ফয়সাল টেলিকম যার মালিক গ্রেফতার ফয়সাল ও যমুনা ফিউচার পার্কের চতুর্থ তলার একটি দোকান যার মালিক গ্রেফতার মিল্লাত। এ দোকানগুলোতে চলত টেকনিক্যাল ও মোবাইল বিক্রির কাজ। প্রথমে মোবাইলগুলোর আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করা হতো। তারপর মোবাইলগুলোর প্যাটার্ন লক খোলা হতো। সর্বশেষ মোবাইল থেকে ল্যাপটপের মাধ্যমে ফ্লাশ দিয়ে বিক্রি করা হতো।


আরও খবর



বৃষ্টির কারণে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ গড়ালো রিজার্ভ ডে’তে

প্রকাশিত:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

বারবার বৃষ্টির হানা। মাঝে একটু কমলে মাঠ শুকিয়ে খেলা শুরু করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু সব ঠিকঠাক হতেই ফের নামে বৃষ্টি। শেষ পর্যন্ত এশিয়া কাপে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার সুপার ফোরের ম্যাচটি গড়িয়েছে রিজার্ভ ডেতে। সোমবার বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে তিনটায় ফের শুরু হবে এই ম্যাচটি। ২৪.১ ওভারে ২ উইকেটে ১৪৭ রান নিয়েই মাঠে নামবে ভারত।

অর্থাৎ ভারতের বাকি ইনিংস শেষ করার চেষ্টা করা হবে আগামীকাল। বৃষ্টি হানা না দিলে ৫০ ওভার করেই হবে ম্যাচটি। বৃষ্টি এলে অবস্থা বুঝে ওভার কমানোর ব্যবস্থা। যদিও সোমবারও ম্যাচটির ফলাফল বের করা সম্ভব না হয় তাহলে সমান এক পয়েন্ট করে ভাগাভাগি করবে দুই দল।

এর আগে কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠান পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। রোহিত শর্মা আর শুভমান গিল রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছেন পাকিস্তানি বোলারদের ওপর। উদ্বোধনী জুটিতেই তারা ১০০ বলে তুলে দেন ১২১ রান।

মারকুটে এই জুটি অবশেষে ভাঙেন শাদাব খান। রোহিতকে ফাহিম আশরাফের ক্যাচ বানান পাকিস্তানি এই লেগস্পিনার। ৪৯ বলে রোহিতের ৫৬ রানের ইনিংসে ছিল ৬ বাউন্ডারি আর ৪ ছক্কার মার।

পরের ওভারে আরেক মারকুটে ওপেনার গিলকে ফেরান শাহিন শাহ আফ্রিদি। তার লেগকাটার বুঝতে না পেরে ব্যাট পেতে দেন গিল, কভারে সহজ ক্যাচ নেন শাদাব। ৫২ বলে ১০ বাউন্ডারিতে ৫৮ রান করে ফেরেন গিল।

টানা দুই ওভারে দুই হাফসেঞ্চুরিয়ানকে সাজঘর দেখিয়ে ম্যাচে ফেরে পাকিস্তান। উইকেটে আছেন বিরাট কোহলি ৮ আর লোকেশ রাহুল ১৭ রান নিয়ে।


আরও খবর



বিশ্ব পর্যটন দিবসকে কেন্দ্র করে কক্সবাজার সাঁজছে উৎসবের রঙে

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

সৈকত শহর কক্সবাজারে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী পর্যটন মেলা ও বীচ কার্নিভালের আয়োজন করছে জেলা প্রশাসন। তাই ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত এই উৎসব ঘিরে থাকছে নানা আয়োজন।

পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই উৎসবে মাতোয়ারা থাকবে কক্সবাজার। এরই মধ্যে হোটেল-মোটেল-রিসোর্টে ৬০ থেকে ৫০ শতাংশ এবং রেস্তোঁরায় ১৫ শতাংশ ও কক্সবাজারগামী বিমান ও দূরপাল্লার বাস কর্তৃপক্ষ মূল্যছাড়সহ বিশেষ সুবিধার ঘোষণা দিয়েছে।

পর্যটকদের আনন্দ দিতে এবং কক্সবাজারের পরিচিতি বিশ্বের কাছে বাড়াতে এই পর্যটন মেলা ও বীচ কার্নিভালের আয়োজন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। তাদের দেয়া তথ্য মতে, সপ্তাহব্যাপী আয়োজনের আগে আগামী বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় উন্মোচন হবে থিম সং।

আরও জানা যায়, ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিনই সকাল ১০টায় থেকে ঘন্টাব্যাপী চলবে সৈকত এলাকা পরিচ্ছন্নতার অভিযান। ২৫ সেপ্টেম্বর দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে শিশুদের চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা। ২৭ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টায় সৈকতের লাবনী পয়েন্ট হতে শুরু হয়ে সুগন্ধা পয়েন্ট ঘুরে পুনরায় লাবনী পয়েন্ট পর্যন্ত থাকছে বর্ণাঢ্য র‌্যালি। এরপর সকাল সাড়ে ৯টায় উদ্বোধন করা হবে পর্যটন মেলা ও বীচ কার্নিভাল। সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে থাকছে বৃক্ষরোপণ ও আলোচনা সভা। আর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিআইডব্লিউটিএ ঘাট হতে মহেশখালী জেটি পর্যন্ত চলবে নৌ র‌্যালি।

এ ছাড়া প্রতিদিনই থাকবে নানা আয়োজন। এসবের মধ্যে রয়েছে সার্কাস প্রদর্শনী, বীচ বাইক র‌্যালি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ডিজে শো, আতশবাজি, রোড শো, সেমিনার, ঘুড়ি উৎসব, ম্যাজিক শো, ফায়ার স্পিন, লাইফ গার্ড রেসকিউ প্রদর্শনী, ফানুস উৎসব, সার্ফিং প্রদর্শনী, বীচ ম্যারাথন, বীচ ভলিবল, পুরস্কার বিতরণী ও সমাপনী অনুষ্ঠান, কনসার্ট ইত্যাদি।

সরেজমিনে সৈকতের লাবনীর পয়েন্ট ঘুরে দেখা যায়, জোরেশোরে চলছে পর্যটন মেলা আয়োজনের প্রস্তুতি। লাবণী পয়েন্টের হোটেল কল্লোল প্রাঙ্গণ থেকে শুরু করে ট্যুরিস্ট পুলিশের গেইট পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে তৈরি করা হচ্ছে স্টল। পর্যটন মেলাকে দর্শনার্থীদের কাছে আকর্ষণীয় করতে ২০০টির মতো স্টল স্থাপন করা হচ্ছে।

কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন বলেন, মেলায় পর্যটন বিষয়ক রচনা প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন, ক্ষুদ্র-নৃ-তাত্ত্বিক উৎসবসহ নানা আয়োজন থাকছে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে স্থানীয়, আঞ্চলিক ও জাতীয় মানের তারকা শিল্পীরা অংশ নেবেন।

হোটেল কক্স-টুডের ব্যবস্থাপক আবুল তালেব শাহ বলেন, পর্যটন মেলা ও বীচ কার্নিভাল উপলক্ষে ৫০ শতাংশ বিশেষ ছাড়ে রুমে পাবেন পর্যটকরা। আর রেস্তোঁরায় ১০ শতাংশ ছাড় দেয়া হয়েছে। এই বিশেষ ছাড় আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত থাকবে।

কক্সবাজার জেলা রেস্তোঁরা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম ডালিম বলেন, জেলা রেস্তোঁরা মালিক সমিতির আওতাধীন ১১০টি রেস্তোঁরা রয়েছে। মেলা উপলক্ষে এসব রেস্তোঁরা ১৫ শতাংশ বিশেষ ছাড়ের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। কোন ব্যবসায়ী যদি ঘোষিত ১৫ শতাংশ না দেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ফেডারেশন অব ট্যুরিজম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, বিশ্ব পর্যটন দিবসকে উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী এই আয়োজনের জন্য প্রশাসনকে সাধুবাদ জানাই।

কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন বলেন, বিশ্বের বুকে দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতকে তুলে ধরতে ও কক্সবাজারকে একটি আন্তর্জাতিক মানের পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে এই আয়োজন করা হচ্ছে।


আরও খবর
শরৎকালের ভ্রমণে ধুলাবালি থেকে রক্ষা পেতে

শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩




হাঁসের খামারে স্বাবলম্বী জয়পুরহাটের রেহেনা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

সংসারে অভাব অনটনের পরিবারে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে কিনে আনলেন ৩০টি হাঁস। খামারের অভিজ্ঞতা না থাকলেও ধীরে ধীরে স্থানীয় প্রাণিসম্পদ বিভাগের নানা প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে নিজেকে ঝালিয়ে নিলেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে অভিজ্ঞতা। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে হাঁসের সংখ্যাও।

মাত্র ৩০টি হাঁস দিয়ে শুরু করা পারিবারিক খামারে এখন হাঁসের সংখ্যা ১ হাজার ৬০০। পাশাপাশি তিনি নিজ বাড়িতেই স্থাপন করেছেন একটি মিনি হ্যাচারি। এ হ্যাচারিতে ডিম থেকে হাঁসের বাচ্চাও উৎপাদন করছেন তিনি। এসব হাঁসের বাচ্চা সরবরাহ করছেন জয়পুরহাটসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলায়।

গল্পটি জয়পুরহাটে খামারি রেহেনা বেগমের। এ খামার থেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন তিনি। পরিবারকে করেছেন সচ্ছল। জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার মাত্রাই ইউনিয়নের শাইলগুন গ্রামের সাহসী এই নারী হাঁসের খামার করে হয়েছেন নন্দিত।

কালাই উপজেলার মাত্রাই শালগুইন গ্রামের আজিজার রহমান ও আছিয়া বেগমের তৃতীয় সন্তান মোছা. রেহেনা বেগম। বাবার সামর্থ্য না থাকায় লেখাপড়া তেমন করা হয়নি তার। মাত্র ১৫ বছর বয়সে একই গ্রামের রেহেনার চেয়ে ১০ বছরের বড় ইউসুফ আলী সঙ্গে বিয়ে হয়। বর ইউসুফ সহজ সরল হওয়ায় পৈতৃক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হন। কিশোরী রেহেনা অপরিপক্ব বয়সের ঘোর লাগা চোখে চেয়ে দেখলেন ঘোর দুর্যোগ। এ অবস্থা সামাল দেবেন কীভাবে বুঝে উঠতেই বেগ পেতে হয় তাকে। এরপরও দমে যাননি রেহেনা। তখন থেকেই হাঁস ও মুরগি পালন করে সংসার চালিয়েছেন। এরই মধ্যে এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানের মা হয়েছেন তিনি। বর্তমানে ছেলে ও স্বামী মিলে রেহেনার হাঁসের হ্যাচারি দেখাশোনা করেন।

নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খামারি রেহেনা বেগম বলেন, আমার পরিবারের আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো ছিল না। সে জন্য নিজের সচ্ছলতা বাড়ানোর জন্য ৩০টি হাঁস কিনে পালন শুরু করি। এরপর হাঁস ও ডিম বিক্রি করে লাভ হওয়ায় হাঁসের সংখ্যা আরও বাড়াতে থাকি। এখন আমার খামারে ১ হাজার ৬০০ হাঁস রয়েছে। এর মধ্যে শতাধিক হাঁস প্রতিদিন ডিম দেয়। সেই ডিম তিন দিন পরপর বিক্রি করি।

অদম্য রেহেনার সহায়তায় এগিয়ে এসেছে স্থানীয় একটি এনজিও। তাদের কারিগরি সহায়তায় বাড়িতে একটি মিনি হ্যাচারি স্থাপন করেছেন রেহেনা। হ্যাচারির নাম দিয়েছেন মেসার্স রেহেনা হ্যাচারি। এরপর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। খামারে উৎপাদিত ডিম থেকে নিয়মিত এই হ্যাচারিতে বাচ্চা উৎপাদন হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকার মানুষ এসে কিনে নিয়ে যাচ্ছে ডিম ও বাচ্চা।

রেহেনার এই খামারের বর্তমান খরচ ৩ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে প্রায় ৮ লাখ টাকার বিনিয়োগ আছে তার। এ ছাড়া প্রতি মাসে ডিম ও বাচ্চা বিক্রি করেই ৩০-৪০ হাজার টাকা আয় হয় রেহেনার। 

প্রতিবেশী চান্দা আক্তার বলেন, রেহেনা বেগমের খামার দেখে খুব ভালো লাগছে। আমারও ইচ্ছা আছে এ রকম খামার করার। মোশারফ হোসেন নামের আরেক গ্রামবাসী বলেন, একজন নারী খামারি হয়ে এতটা সফল হয়েছে। এটা আমাদের সবার জন্যই গর্বের। সরকারি সহযোগিতা পেলে আমরাও হাঁসের খামার করব।

এ বিষয়ে জয়পুরহাট প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাফুজার রহমান বলেন, রেহেনা বেগম একজন সফল খামারি। আমরা তাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। এ ছাড়া যারা এ রকম খামার করছেন তাদের জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে নিয়মিত প্রশিক্ষণসহ সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।

নিউজ ট্যাগ: জয়পুরহাট

আরও খবর
পেঁয়াজের দাম কেজিতে বাড়লো ১৩ টাকা

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




ঈশ্বরদীতে রক্ত শূন্যতায় প্রসূতির মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি :

ঈশ্বরদীতে সন্তান প্রসবের সময় এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত দিপা খাতুন (২০) ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চর সাহাপুর এলাকার মো. সজীবের স্ত্রী এবং চরমিরকামারী মাথালপাড়া গ্রামের মো. শাহাদাৎ আলীর মেয়ে।

হাসপাতাল ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, রাতে দিপার প্রসব বেদনা উঠলে ভোর সাড়ে ৩ টার দিকে তাকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন পরিবারের সদস্যরা। এরপর সকাল ৭টা ৫ মিনিটে দিপার স্বাভাবিক ডেলিভারির মাধ্যমে একটি ছেলে বাচ্চা হয়। তবে বাচ্চা প্রসবের সময় বাচ্চা এবং মা উভয়েই সুস্থ থাকলেও সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে দিপার মৃত্যু হয়।

ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মিডওয়াইফ দিব্বা ভারতী মন্ডল জানান, দিপার প্রসবের সময় আমার ডিউটি ছিলো। তার পূর্বের করা সকল মেডিকেল রিপোর্টগুলোতে তার রক্তের পরিমাণ অনেক কম ছিলো। আমাদের কারণে দিপার মৃত্যু ঘটেনি। দিপার মৃত্যু হয়েছে শরীরে রক্তের তীব্র ঘাটতির কারণে।

দিপার স্বামী মো. সজীব হোসেন বলেন, বাচ্চা পেটে থাকা অবস্থায় ডাক্তার দিপার রক্ত শূন্যতার কথা বলেছিলেন। আমরা সেটার জন্য স্যালাইন দিয়েছিলাম। কিন্তু আজকে জানতে পারলাম দিপার নাকি রক্ত শূন্যতার কারণেই মৃত্যু হয়েছে।

জানতে চাইলে ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, দিপা মৃত্যুর ঘটনায় এখনো পর্যন্ত আমরা কোন অভিযোগ হয়নি। তবে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর
পেঁয়াজের দাম কেজিতে বাড়লো ১৩ টাকা

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




শেরপুরে ৫৫ বোতল ভারতীয় মদসহ যুবক গ্রেফতার

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মো. নাজমুল হোসাইন, শেরপুর

Image

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় মাদক বিরোধী অভিযানে ৫৫ বোতল ভারতীয় মদসহ হাসিবুল হাসান ইমন (২১) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার গভীর রাতে তাকে পৌর শহরের দক্ষিণ বাজার এলাকার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ইমন পৌর শহরের দক্ষিণ বাজার এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টায় পৌর শহরের দক্ষিণ বাজার এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে থানা পুলিশ।

ওইসময় নজরুল ইসলামের বসতঘরে তল্লাশি করে ৫৫ বোতল ভারতীয় রয়েল স্টাজ ব্র্যান্ডের মদসহ হাসিবুল হাসান ইমনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপরে বুধবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বলেন, গ্রেফতারকৃত ইমন দীর্ঘদিন যাবত মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর
পেঁয়াজের দাম কেজিতে বাড়লো ১৩ টাকা

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩