১৯৭৫ সালের
৯ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বহুজাতিক কোম্পানি শেল অয়েলের কাছ
থেকে তিতাস, বাখরাবাদসহ ৫টি গ্যাসক্ষেত্র কিনে তাতে বাংলাদেশের শতভাগ মালিকানা প্রতিষ্ঠা
করেন। বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর ২০১০ সাল থেকে ৯ আগস্ট জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা
দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে।
২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ইচ্ছে রয়েছে এ সরকারের। ইতোমধ্যে যা ছাড়িয়েছে ২৭ হাজার মেগাওয়াট। এরিমধ্যে বিদ্যুতে এসেছে আলোর ঝলকানি। পারমানবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকারি দেশগুলোর এলিট ক্লাবে এখন বাংলাদেশের অবস্থান। সব মিলে শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে বিদ্যুৎ খাত।
আরও পড়ুন>>শেখ হাসিনায় আস্থা রাখেন ৭০ শতাংশ মানুষ: আইআরআই
তবে বিপুল পরিমাণ
প্রাকৃতিক গ্যাসের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন ভূতত্তবিদেরা। তারা বলছেন, বিশ্বব্যাপি
প্রতি ৫টি অনুসন্ধানে ১টি কূপ পাওয়া যায়। অথচ বাংলাদেশে প্রতি ৩টি অনুসন্ধানে গ্যাসের
অবস্থান নিশ্চিত হচ্ছে।
সম্প্রতি মার্কিন
কোম্পানির সাথে গভীর সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের কথা চলছে। বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবেই
দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
দেশের ৫টি খনিতে প্রায় ২ বিলিয়ন টন কয়লা মজুদ রয়েছে। যা প্রায় ৭০ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সমান জ্বালানি। আর ২০৪১ সালের মধ্যে কয়লা থেকে ৫০ ভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রত্যাশা করছে সরকার।
আরও পড়ুন>> দুপুরের মধ্যেই ঝড়ের পূর্বাভাস, নদীবন্দরে সতর্ক সংকেত
তবে, গ্যাসের
মজুদ কমায় চাপ বেড়েছে কয়লার ওপর। আবার ভূগর্ভস্থ কয়লা উত্তোলনও সম্ভব হচ্ছে না। তাই
বঙ্গবন্ধুর দর্শন অনুসরণ করে সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।