আজঃ বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

জঙ্গিবাদ এখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে : এসবি প্রধান

প্রকাশিত:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে এখন জঙ্গিবাদ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম।

সোমবার (১ জুলাই) গুলশানে দীপ্ত শপথ ভাস্কর্যে হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় নিহতদের স্মৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

মনিরুল ইসলাম বলেন, আজ থেকে ৮ বছর আগে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে নারকীয় জঙ্গি হামলা হয়েছিলো। ওই রাতে পুলিশের দুই সদস্যসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা নিহত হয়েছিলেন। এটি শুধু বাংলাদেশে নয় আন্তর্জাতিক বিশ্বেও আলোচিত ঘটনা হিসেবে বিবেচিত। অনেক দেশ মনে করেছিল এই জঙ্গি হামলার পর বাংলাদেশ আর ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না। আরও জঙ্গি হামলায় বাংলাদেশ আফগানিস্তানে পরিণত হবে বলেও অনেকে মনে করেছিলো।

এসবি প্রধান বলেন, ওই ঘটনার পর আমরা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অভিযানে নামি। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানের পাশাপাশি সচেতনতাসহ জঙ্গিদের বিরুদ্ধে নানা কৌশল গ্রহণ করি। হলি আর্টিজানের ঘটনার পরপরই শোলাকিয়াতে একটি হামলা হয়। এরপর থেকে জঙ্গিরা ছোট কিংবা বড় কোনো হামলা করতে পারেনি। জঙ্গিরা সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করলে আমরা গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করে তাদের বিরুদ্ধে আগেই অভিযান পরিচালনা করি। ফলে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে চলে আসে, যা এখনো আছে।

তিনি বলেন, জঙ্গিরা একটি ভুল মতাদর্শ নিয়ে কাজ করে। ফলে এটি দমন করা অনেক লম্বা সময় প্রয়োজন ও জটিল প্রসেস। এই মতাদর্শ এখনো রয়েছে। তাই তারা অনলাইন ও বিচ্ছিন্নভাবে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করে। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গোয়েন্দা তথ্য, গবেষণা ও ক্ষেত্র বিশেষে অভিযান পরিচালনা করছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশান-২ এর লেক পাড়ের হলি আর্টিজান বেকারিতে ঘটেছিল দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলা। আট বছর আগের ওই রাতে অস্ত্রের মুখে বেকারিতে থাকা দেশি-বিদেশি নাগরিকদের জিম্মি করে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ শুরু করে জঙ্গিরা। ভয়াবহ সেই হামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তা ও ১৭ জন বিদেশি নাগরিকসহ নিহত হন ২২ জন।


আরও খবর



সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত চুয়েটের দুই ছাত্রের পরিবার পেলো ২০ লাখ টাকা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, গত ২২ এপ্রিল বিকেলে রাঙ্গুনিয়া থানাধীন সত্যপীরের মাজার সংলগ্ন সড়কে বাসের সাথে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই ছাত্র নিহত ও অপর ছাত্র আহত হওয়ার ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। সড়কে অকাল মৃত্যু আমরা কখনো কামনা করি না। এর পরেও দুর্ঘটনা থেমে নেই।

সড়ক দুর্ঘটনায় কারও অকাল মৃত্যু হলে ক্ষতিপূরণ দেয়ার কোন সুযোগ নেই। এর পরেও সরকার, জেলা প্রশাসন ও বাস মালিক সমিতিক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে। সড়ক পরিবহণ আইন মেনে গাড়ি চালালে দুর্ঘটনার ঝুঁকি কম থাকে। বাইক চালালে লাইসেন্স ও হেলমেট পরিধান বাধ্যতামূলক। লাইসেন্স ও ডকুমেন্টবিহীন গাড়ি চালানো যাবেনা।

দুর্ঘটনায় চুয়েটের নিহত দুই ছাত্র-যথাক্রমে শান্ত সাহা ও তাওফিক হোসেনের পরিবার ১০ লাখ টাকা করে মোট ২০ লাখ টাকা এবং আহত ছাত্র মোঃ জাকারিয়া হাসান হিমু ৩ লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা পেয়েছে। আজ ১৩ জুন বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত চুয়েটের দুইজন ছাত্রের পরিবার ও আহত ছাত্রের অনুকূলে মঞ্জুরিকৃত অর্থের চেক হস্তান্তর ও আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

তিনি বলেন, ঐদিন (২২ এপ্রিল) দুর্ঘটনার পর ছাত্রদের পক্ষ থেকে এ সড়ক প্রশস্তকরণ, নিহতদের ক্ষতিপূরণ ও নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর দাবি ছিল। আমরা সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিব মহোদয়কে বিষয়টি জানিয়েছি। তারা নিহত দুই ছাত্রের প্রত্যেক পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে মোট ১০ লাখ ও আহত শিক্ষার্থীর জন্য ১ লাখ টাকা দিয়েছেন। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক নহায়তা হিসেবে ৩ লাখ টাকা করে মোট ৬ লাখ ও আহত ছাত্রকে ১ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম-কাপ্তাই বাস মালিক সমিতির পক্ষ থেকে নিহত দুই ছাত্রের পরিবারকে ২ লাখ টাকা করে মোট ৪ লাখ ও আহত ছাত্রকে ১ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে।

জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে চুয়েটের সড়কটি প্রশস্তকরণ করা হবে। নিহত দুই ছাত্র শান্ত সাহা ও তৌফিকুর রহমানের নামে এ সড়কের নামকরণ করার বিষয়ে নিহত ছাত্রদ্বয়ের অভিভাবকের অনুরোধের প্রেক্ষিতে আমরা সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগকে প্রস্তাবনা পাঠাবো। দুর্ঘটনায় যে দুইজন ছাত্র মারা গেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের নামে কোন ভবন বা চত্ত¡র নামকরণ করা যায় কি না জেলা উন্নয়ন সমন্বয় সভায় বিষয়টি উপস্থাপনসহ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।

ডিসি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় চুয়েটের দুইজন ছাত্র নিহত হয়েছেন। একজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছিলেন। তিনি আমাদের মাঝে ফিরে এসেছেন। 

অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, দুই ছাত্র নিহত ও একজন ছাত্র আহত হওয়ার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তাৎক্ষণিক বৈঠক করেন। এসময় আমাদের ছাত্ররা বেশকিছু দাবি উত্থাপন করে। তিনি তাদের দাবিগুলো পূরণের অঙ্গিকার করেন। তিনি কথা রেখেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন আহমদ বলেন, আমরা মর্মাহত। যে ক্ষতি হয়েছে তা কখনোই পূরণ হওয়ার নয়। আমাদের দুই ছাত্র নিহত ও একজন ছাত্র আহত হওয়ার ঘটনায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক তাৎক্ষণিক যে পদক্ষেপ নিয়েছেন সেটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যার কারণে পরিস্থিতি অনেকটাই অনুকূলে চলে আসে। 

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম গোলাম মোর্শেদ খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত চেক বিতরণ অনুষ্ঠানেবক্তব্য রাখেন চুয়েট ছাত্র কল্যাণ পরিষদের পরিচালক অধ্যাপক মোঃ রেজাউল করিম। অনুষ্ঠানে পুত্রের মৃত্যুর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন নিহত ছাত্র শান্ত সাহার পিতা কাজল সাহা ও মৃত তাওফিক হোসেনের পিতা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন। দুর্ঘটনার বর্ণনা দেন আহত ছাত্র মোঃ জাকারিয়া হাসান হিমু। রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা, বিআরটিএর সহকারী পরিচালক রায়হানা আক্তার উর্থী, নিহত ও আহত ছাত্রদেও পরিবারের সদস্যরা এসময় উপস্থিত ছিলেন ।

উল্লেখ্য যে, গত ২২ এপ্রিল বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে মোটরসাইকেলে ঘুরতে বের হয়ে বাসের ধাক্কায় প্রাণ হারান চুয়েট পুরকৌশল বিভাগের দুই শিক্ষার্থী। রাঙ্গুনিয়া থানার সত্য পীরের মাজার গেইট সংলগ্ন সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থলে মারা যান চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা এবং গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তাওফিক হোসেন। এ ছাড়া গুরুতর আহত হন পুরকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মোঃ জাকারিয়া হাসান হিমু।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



নীতিশ-নাইডুর সঙ্গে যোগাযোগ করছে কংগ্রেস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সদ্যই শেষ হওয়া লোকসভার নির্বাচনে এবার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। দেশটির নির্বাচন কমিশনে প্রকাশিত অনানুষ্ঠানিক ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, মোদির বিজেপি এবার এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারবে না। ফলে সরকার গঠনে তাকে জোট গড়তে হবে।

আর বিজেপির এই জোট গঠনের প্রয়োজনীয়তার কারণে ভারতের রাজনীতিতে হঠাৎ করে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন মোদির জোটের বিহারভিত্তিক জনতা দল-ইউনাইটেডের (জেডি-ইউ) প্রধান নেতা নীতীশ কুমার। একই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন মোদির জোটের আরেক দল তেলেগু দেশম পার্টির (টিডিপি) প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডু।

সবাইকে অবাক করে দিয়ে বিহারে ১৫টি আসনে জয় পেতে যাচ্ছে নীতিশের দল। সরকার গঠনের জন্য এখন নীতিশকে প্রয়োজন হবে মোদির। আর এ বিষয়টি মাথায় রেখে নীতিশ এবং চন্দ্রবাবু নাইডুর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে মোদির সবচেয়ে বড় বিরোধী দল কংগ্রেস।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, কংগ্রেসের প্রধান নিজে তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। মূলত তাদের সঙ্গে যোগ দিতে এই দুজনকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

তবে একটি সূত্র সংবাদমাধ্যমটিকে জানিয়েছে তাদের আপাতত অবস্থান পরিবর্তনের কোনো সম্ভাবনা নেই। ফলে মোদির সরকার গঠন নিয়ে এ মুহূর্তে কোনো শঙ্কা নেই বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মধ্যে ৩৩৪টি আসনের ফল প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।

বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা পর্যন্ত ঘোষিত ৩৩৪টি আসনের মধ্যে দেখা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ক্ষমতাসীন দল বিজেপি পেয়েছে ১৬৩টি আসন। তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দল রাহুল গান্ধীর ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস পেয়েছে ৬৬টি আসন। তৃতীয় সর্বোচ্চ ২৪টি আসন পেয়েছে সমাজবাদী দল। আর বাকি আসনগুলো পেয়েছে অন্যান্য দলগুলো।

ভারতে কোনো দল যদি এককভাবে সরকার গঠন করতে চায় তাহলে তাদের ৫৪৩টি আসনের মধ্যে ২৭২টি আসনে জয় পেতে হবে। তবে মোদির বিজেপি এককভাবে এই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ফলে তাদের এখন সরকার গঠন করতে হবে এনডিএ জোটে থাকা অন্যান্য দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে। গত নির্বাচনেও বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট সরকার গঠন করেছিল। কিন্তু সেবার বিজেপি একাই ৩০২টি আসন পেয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল। ফলে তারা চাইলে জোট ছাড়াই সরকার গঠন করতে পারত। কিন্তু এবার তাদের আর সেই সুযোগ নেই।


আরও খবর



মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরেছেন কারাবন্দী ৪৫ বাংলাদেশি

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মিয়ানমারের জেলে বন্দী থাকা ৪৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরেছেন। রোববার (৯ জুন) সকালে দেশে ফেরেন তারা। এর আগে শনিবার (৮ জুন) সকালে রাখাইন রাজ্যের সিতওয়ে শহরের জেলে বন্দী এসব নাগরিক মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা হন। তাদের অধিকাংশই কক্সবাজার, নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জ জেলার বাসিন্দা।

রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাতের কারণে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয়গ্রহণকারী মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে আসা মিয়ানমার নৌবাহিনীর একটি জাহাজে করে ওই ৪৫ জন দেশে ফিরেছেন।

গত ২৩ এপ্রিল সর্বশেষ ও বৃহত্তম প্রত্যাবর্তনে ১৭৩ জন বাংলাদেশি নাগরিককে মিয়ানমার থেকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। বাংলাদেশ দূতাবাস, ইয়াঙ্গুন এবং বাংলাদেশ কনস্যুলেট, সিতওয়ের কর্মকর্তাগণ রাখাইনের সিতওয়েতে সশরীরে উপস্থিত থেকে এসব নাগরিকদের পরিচয় যাচাই ছাড়াও তাদের জন্য ভ্রমণের অনুমতি প্রদান (ট্রাভেল পারমিট) এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পুরো প্রক্রিয়ায় সমন্বয় করেন।

প্রসঙ্গত, এই দফায় ৪৫ জনসহ গত এক বছরে মিয়ানমারের বাংলাদেশ দূতাবাস মোট ২৪৭ জন বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে ফেরত পাঠাতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে।

নিউজ ট্যাগ: মিয়ানমার

আরও খবর



সিলেটে বন্যায় মৎস্য খাতে প্রায় ২০ কোটি টাকার ক্ষতি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় সিলেটের মৎস্যখাতে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। এতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন জেলার মৎস্য চাষী ও খামারিরা। টানা বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে জেলার জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, কানাইঘাট, জকিগঞ্জ উপজেলায় ঢলের পানিতে ভেসে গেছে ১ হাজার ৫৮৩ দশমিক ৪৮ হেক্টর মাছের ঘের। সৃষ্ট বন্যায় সব মিলিয়ে প্রায় ১৯ কোটি ৭৩ লাখ ৪০ হাজার টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে বলে জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে।

বিশেষ করে জৈন্তাপুর, জকিগঞ্জ, গোয়াইনঘাটসহ বিভিন্ন উপজেলায় শত-শত পুকুর বন্যার পানিতে ভেসে যায়। কোন কোন পুকুরের চিহ্ন ও দেখা যায়নি। আর বেশিরভাগ পুকুর বিশাল জলারাশির নিচে ঢাকা পড়ে যায়। খামারীরা শেষ চেষ্টা হিসেবে জাল ও নেট দিয়ে মাছগুলো আগলের রাখার শেষ চেষ্টা করলেও পানির তোড়ের কাছে তারা হার মানে না।

সিলেট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সীমা রাণী বিশ্বাস স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, বন্যার পানিতে ভেসে গেছে ৭ হাজার ৩৮২ জন মৎস্য চাষী ও খামারির ৮ হাজার ২৫৮টি পুকুর, দিঘি ও মৎস্য খামারের ৮ শত ৪৯ দশমিক ২৫ মেট্রিক টন মাছ ও ৫৬ দশমিক ৮৫ লাখ মাছের পোনা। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১৯ কোটি ৭৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এর মধ্যে মাছের মূল্য ১৬ কোটি ২৫ লাখ ৬০ হাজার, পোনার মূল্য ২ কোটি ৬৩ লাখ ৩০ হাজার ও অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে ৮৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার। ক্ষতিগ্রস্ত পুকুর, দিঘি ও খামারের আয়তন ১ হাজার ৫৮৩ দশমিক ৪৮ হেক্টর।

জেলার জকিগঞ্জ উপজেলায় ৯০০ জন মৎস্য চাষী ও খামারির ৭৫০টি পুকুর, দিঘি ও মৎস্য খামারের ২৬০ মেট্রিক টন মাছ ও ১৪ লাখ মাছের পোনা। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৬ কোটি ২০ লাখ টাকা। এর মধ্যে মাছের মূল্য ৫ কোটি ৭২ লাখ, পোনার মূল্য ৪২ লাখ ও অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে ৬ লাখ টাকার। ক্ষতিগ্রস্ত পুকুর, দিঘি ও খামারের আয়তন ৫১০ হেক্টর।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ২৯ জন মৎস্য চাষী ও খামারির ২৯টি পুকুর, দিঘি ও মৎস্য খামারের ১০৫ দশমিক ২৫ মেট্রিক টন মাছ ও ৭ লাখ ২৫ হাজার মাছের পোনা। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১ কোটি ৭৩ লাখ ১০ হাজার টাকা। এর মধ্যে মাছের মূল্য ১ কোটি ২৯ লাখ ৬০ হাজার, পোনার মূল্য ৩৫ লাখ ও অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকার। ক্ষতিগ্রস্ত পুকুর, দিঘি ও খামারের আয়তন ২০ দশমিক ৪৫ হেক্টর।

গোয়াইনঘাট উপজেলার ১ হাজার ৭০০ মৎস্য চাষী ও খামারির ২ হাজার ১০০টি পুকুর, দিঘি ও মৎস্য খামারের ৩৫০ মেট্রিক টন মাছ ও ২২ লাখ মাছের পোনা। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে মাছের মূল্য ৬ কোটি ৯৮ লাখ, পোনার মূল্য ৬০ লাখ ও অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে ২৫ লাখ টাকার। ক্ষতিগ্রস্ত পুকুর, দিঘি ও খামারের আয়তন ৩১০ হেক্টর।

জৈন্তাপুর উপজেলার ১ হাজার ৯৫৩ জন মৎস্য চাষী ও খামারির ২ হাজার ৭৫টি পুকুর, দিঘি ও মৎস্য খামারের ২৪ মেট্রিক টন মাছ ও ২১ দশমিক ৬০ লাখ মাছের পোনা। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এর মধ্যে মাছের মূল্য ৭২ লাখ, পোনার মূল্য ১ কোটি ৮ লাখ ৩০ হাজার ও অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে ৩৫ লাখ টাকার। ক্ষতিগ্রস্ত পুকুর, দিঘি ও খামারের আয়তন ৩৩৬ দশমিক ০৩ হেক্টর।

কানাইঘাট উপজেলার ২ হাজার ৮০০ জন মৎস্য চাষী ও খামারির ৩ হাজার ৩০০টি পুকুর, দিঘি ও মৎস্য খামারের ১১০ মেট্রিক টন মাছ ও ৬ লাখ মাছের পোনা। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১ কোটি ৮২ লাখ টাকা। এর মধ্যে মাছের মূল্য ১ কোটি ৫৪ লাখ, পোনার মূল্য ১৮ লাখ ও অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে ১০ লাখ টাকার। ক্ষতিগ্রস্ত পুকুর, দিঘি ও খামারের আয়তন ৪০৭ হেক্টর।

জৈন্তাপুর এলাকার এক মাছ চাষী বলেন, পুকুরে মাছ চাষের জন্য ঋণ নিয়েছি। বন্যার শুরুতে পুকুরের চারদিকে ঘের দিয়ে মাছ বাঁচানোর চেষ্টা করেও লাভ হয়নি। বন্যার তোড়ে সব মাছ ভেসে গেছে। একই উপজেলার আরেক মাছ চাষী বলেন, নির্ঘম রাত কাটিয়েও রক্ষা করতে পারিনি স্বপ্নের খামারটি। চোখের সামনেই ভেসে গেছে মাছ।

ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য খামারিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভেসে যাওয়া মাছের মধ্যে তেলাপিয়া, পাঙাশ, কাতল, রুই ও অন্যান্য জাতের মাছ ছিল। আকস্মিক সৃষ্ট বন্যায় তারা লোকসানের মুখে পড়েছেন। মাছের পাশাপাশি পোনা উৎপাদনের হ্যাচারি ভেসেও সকল পোনা চলে গেছে। এ অবস্থায় চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা। মৎস্য চাষীদের অনেকে বেশি সুদে ঋণ নিয়ে মাছ চাষ করেছিলেন। এখন মাছ ভেসে যাওয়ায় একদিকে সংসার চালানোর চিন্তা, অন্যদিকে ঋণ শোধের চিন্তা। সব মিলিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন তারা। ক্ষয়ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে মৎস্য ঋণ মওকুফ ও সরকারি সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করলে আগামী দিনে নতুনভাবে মৎস্য চাষে আগ্রহী হবেন বলে জানান মৎস্য চাষীরা।

সিলেট জেলা মৎস্য অফিসের সিনিয়র সহকারী পরিচালক সীমা রাণী বিশ্বাস আলাপকালে জানান, ভেসে যাওয়া মাছের মধ্যে দেশি মাছের সংখ্যা ছিল বেশি। এ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে খামারিদের ক্ষয়ক্ষতির প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে খামারিদের সহায়তা করা হবে।


আরও খবর



শুক্রবার হাতিরঝিলে বন্ধ থাকবে যান চলাচল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জয়বাংলা বলে আগে বাড়ো প্রতিপাদ্যে শুক্রবার (৭ জুন) ভোর ৫টায় ঢাকার হাতিরঝিলে ‌জয় বাংলা ম্যারাথন-২০২৪ শিরোনামে হাফ ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ম্যারাথন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে জনসাধারণের সুবিধার জন্য বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছে ডিএমপির ট্র্যাফিক-তেজগাঁও বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) ট্র্যাফিক-তেজগাঁও বিভাগ থেকে এ বিশেষ ট্র্যাফিক নির্দেশনা দেওয়া হয়।

ডিএমপির ট্র্যাফিক তেজগাঁওয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, ম্যারাথন উপলক্ষ্যে ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনার মধ্যে শুক্রবার ভোর রাত ৩টা থেকে হাতিরঝিলে নিরাপত্তার স্বার্থে গাড়ি প্রবেশ আটকানো হবে। হাতিরঝিল কেন্দ্রিক মোট ৯টি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রোড ব্লকার দিয়ে ডাইভারশন দেওয়া হবে। এছাড়া ৩২টি পয়েন্টে ফোর্স মোতায়েন করে অলিগলি থেকে গাড়ি বের হওয়া নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

জয়বাংলা ম্যারাথনে উপলক্ষ্যে সর্ব সাধারণের জন্য নির্দেশনা

মহানগর প্রজেক্ট, মালিবাগ, রামপুরা কিংবা বাড্ডা থেকে গুলশান, বনানী, উত্তরা যাওয়ার জন্য গুলশান বাড্ডা লিংক রোড ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হলো।

রামপুরা, মালিবাগ কিংবা মহানগর প্রজেক্ট থেকে ফার্মগেট, রমনা কিংবা শাহবাগ আসার ক্ষেত্রে রামপুরা রোড হযে ওয়ারলেস গেট লেফট টার্ন করে মগবাজার মোড় ব্যবহার করে গন্তব্যে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হলো।

রমনা, শাহবাগ থেকে গুলশান, বনানী যাওয়ার জন্য মগবাজার ফ্লাইওভার হয়ে মহাখালী দিয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হলো। এছাড়াও এসব এলাকা থেকে রামপুরা, মালিবাগ বা হাতিরঝিলে বসবাসরত বিভিন্ন প্রজেক্টে যাওয়ার জন্য মগবাজার মোড়, ওয়ারলেস গেট হয়ে রামপুরা রোড ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হলো।

গুলশান, বনানী, উত্তরা থেকে রামপুরা, বাড্ডা, আফতাবনগর কিংবা মালিবাগ যাওয়ার ক্ষেত্রে হাতিরঝিল ব্যবহার না করে গুলশান বাড্ডা লিংক রোড ব্যবহার করে বাড্ডা রামপুরা রোড ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হলো।

অনুষ্ঠানে আগত অতিথি ও অংশগ্রহণকারীদের গাড়ি পার্কিংয়ের স্থান 

মিরপুর, ক্যান্টনমেন্ট বা উত্তরা থেকে আসার রাস্তা এবং পার্কিং: কাকলী ক্রসিং লেফট টার্ন-গুলশান ২- গুলশান ১; ড্রপিং পয়েন্ট বিএসএসএফ কনভেনশন হল; পার্কিং- বিএসএসএফ কনভেনশন হল থেকে গুলশান-১ পর্যন্ত রাস্তার দুই সাইডে এক লেন পার্কিং।

রমনা, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর থেকে আসার রাস্তা এবং পার্কিং: মগবাজার ফ্লাইওভার-লাভরোড-তিব্বত-মহাখালী ইউটার্ন-ফনিক্স লেফট টার্ন-তেজগাঁও লিংক রোড-আড়ং; ড্রপিং পয়েন্ট জিএমজি মোড়: পার্কিং- জিএমজি মোড় থেকে হাতিরঝিল সংযোগ সড়ক (প্রয়োজনে জিএমজি মোড় থেকে শান্ত টাওয়ার পর্যন্ত এক লেন)-রাজউকের নগর ব্যবস্থাপনা ভবনের ডিজিটাল পার্কিংয়ে।

মালিবাগ, রামপুরা, গুলশান বাড্ডা লিংক রোড থেকে আসার রাস্তা এবং পার্কিং: মালিবাগ-রামপুরা-গুলশান বাড্ডা লিংক রোড-গুলশান ১ লেফট টার্ন-পুলিশ প্লাজা; ড্রপিং পয়েন্ট বিএসএসএফ কনভেনশন হল, পার্কিং- বিএসএসএফ কনভেনশন হল থেকে গুলশান-১ পর্যন্ত রাস্তার দুই সাইডে এক লেন পার্কিং।

মোটরসাইকেল আরোহীদের জন্য পার্কিং ব্যবস্থা: নিকেতন ৩ নম্বর গেট এবং তার বিপরীত পাশের রাস্তা ও পুলিশ প্লাজার পেছনের রাস্তা থেকে বাড্ডা লিংক রোড রাস্তা।


আরও খবর