জয়পুরহাটে থামছেই না বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি। চলতি মাসের ২২ দিনে চুরি হয়েছে ৬৫টি ট্রান্সফরমার। চুরি ঠেকাতে নিজ দায়িত্বে পাহারা দিতে মাইকিং করছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।
এদিকে, গভীর ও অগভীর নলকূপের ট্রান্সফরমার চুরি হওয়ায় রবি শস্যের সেচ নিয়ে চরম উৎকণ্ঠায় চাষিরা। শস্যের ক্ষতির পাশাপাশি নতুন ট্রান্সফরমারের জন্য গুণতে হচ্ছে লাখ লাখ টাকা।
ভুক্তভোগী বজলুর রসিদ সাদেক বলেন, কিছুদিন আগেই আক্কেলপুরে ৩টি গভীর নলকূপ বসিয়েছিলাম। এগুলোর বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি হলে বন্ধ হয়ে যায় জমির সেচকাজ। প্রায় দেড় লাখ টাকা দিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কাছ থেকে নতুন ট্রান্সফরমার কিনতে হয়েছে। এ রকম চলতে থাকলে আমরা বাঁচব কীভাবে।
আবুল কালাম আজাদ নামে অপর এক ভুক্তভোগী বলেন, পাহারাদারকে বেঁধে আমার ৯টি ট্রান্সফরমার নিয়ে যায় একদল লোক। এখন আমি অনেক চিন্তায় আছি। টাকার অভাবে নতুন ট্রান্সফরমার নিতে পারছি না। সেচ দিতে না পারায় ক্ষতির মুখে আলু ও পেঁয়াজসহ আবাদ করা রবিশস্য।
চলতি বছর জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত জয়পুরহাটের বিভিন্ন উপজেলায় চুরি হয়েছে দুইশত ৩৭টি ট্রান্সফরমার। জয়পুরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার ইউসুফ আলী বলেন, আমাদের লোকজন টহল দিচ্ছে যেন ট্রান্সফরমার চুরি না হয়। পাশাপাশি গ্রাহক এবং পুলিশ প্রশাসনও তৎপর রয়েছে।
জয়পুরহাট পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নুরে আলম বলেন, ইতোমধ্যে ঘটে যাওয়া চুরির ঘটনাগুলো থেকে চোরদের মোটামুটি শনাক্ত করতে পেরেছি। শিগগির তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার পাশাপাশি মালামালগুলো উদ্ধার করা হবে।