চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি:
পাবনার চাটমোহর উপজেলার গ্রামে গ্রামে
ছড়িয়ে পড়েছে জ্বর, সর্দি ও কাশির প্রকোপ। সব বয়সী মানুষ এসব রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
আশপাশের প্রায় সব পরিবারেই জ্বর, সর্দি, কাশির সমস্যায় কেউ না কেউ হচ্ছেন আক্রান্ত।
আক্রান্ত অনেক রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
ও গ্রাম্য চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদিকে উপজেলার হাটবাজারের ফার্মেসিগুলোতে
প্যারাসিটামল ও এন্টিবায়োটিক জাতীয় ওষুধের চাহিদা বেড়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাটমোহর উপজেলার
প্রায় প্রতিটি পরিবারে গত এক সপ্তাহ থেকে ঠান্ডা জ্বর ও সর্দির প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।
শুধু একই পরিবার নয়, সারা দেশেই এমন ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দি-কাশি রোগের প্রকোপ বাড়ছে।
প্রতিটি ঘরেই কেউ না কেউ জ্বর বা সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। আক্রান্তরা জ্বরের
পাশাপাশি সর্দি, কাশি, মাথাব্যাথা, গলাব্যাথা অনুভব করছে। বাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসা
নিলেও এই জ্বর কমপক্ষে এক সপ্তাহ ভোগাচ্ছে। কেউ কেউ আবার একাধিকবার জ্বরে আক্রান্ত
হয়েছেন।
উপজেলার হান্ডিয়ালের আঃ আলীম বলেন, সে
প্রায় সপ্তাহ খানেক সর্দি জ্বরে ভোগেন। জ্বর হলে শরীরের তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে
কাঁপুনি, খিদের অভাব, ডিহাইড্রেশন, ডিপ্রেশন, মাথাব্যথা, অবসাদের মত লক্ষণে ভোগেন।
পরিশেষে এন্টিবায়োটিক খেয়ে সর্দি জ্বর হতে মুক্ত হোন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এটা হল আবহাওয়ার ট্রানজিশন
পিরিয়ড। এই সময়ে হঠাৎ করেই তীব্র গরম থেকে কিছুটা হলেও ঠান্ডা হয়েছে ধরণী। আর এই ভ্যাপসা
গরমে সক্রিয় হয়ে ওঠে বেশ কিছু ভাইরাস। আর এমন সব ভাইরাসের ফাঁদে পড়লেই শুরু হয়ে যায়
জ্বর, সর্দি ও কাশির মতো নানান সমস্যা।
চিকিৎসকদের মতে ঠান্ডা লাগা, পেটে সংক্রমণ,
ফুসফুসে সংক্রমণ, রক্ত স্বল্পতা হলেও জ্বর হয়। ঋতু পরিবর্তন, ভাইরাল ইনফেকশন বা অন্য
বড় রোগের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় কারো কারো জ্বর হয়। মানুষের শরীরের মধ্যে মেটাবলিজম চলাকালীন
যে ক্রিয়া-বিক্রিয়া চলতে থাকে, তা থেকেই বাড়তে পারে শরীরের তাপমাত্রা। তবে তাপমাত্রা
বেড়ে যাওয়ার কারণ নানা কিছু হতে পারে।