রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কেবিন থেকে সিসিইউতে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেডিকেল বোর্ড। লিভারজনিত রোগে শরীরে পানি বেড়ে যাওয়ায় নানা জটিলতা দেখা দিচ্ছে তার।
বর্তমানে শারীরিক অবস্থা কিছুটা অবনতি হয়েছে। এ কারণে বেগম জিয়াকে আরও ক্লোজ মনিটরিংয়ে রেখে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য রোববার (১৩ আগস্ট) এই সিদ্ধান্ত নেয় বোর্ড।
বিষয়টি ইতোমধ্যে বেগম জিয়াকে জানানোও হয়েছে। রাজি হলে আজ সোমবার (১৪ আগস্ট) তাকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হতে পারে। সেক্ষেত্রে তিনি সিসিইউতে বেড নং -৪২১৯ তে ভর্তি হবেন। হাসপাতাল সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
হাসপাতালের অন্য একটি সূত্রের দাবি, বর্তমানে খালেদা জিয়ার ফুসফুসে পানি জমেছে। এমন প্রেক্ষাপটে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে তিনি সিসিইউতে যেতে রাজি হয়েছেন বলে দাবি ওই সূত্রের।
মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গত মঙ্গলবার রাতে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। তার স্বাস্থ্যের ইতোমধ্যে কয়েকটি পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে ফলাফল সন্তোষজনক আসেনি। এমন প্রেক্ষাপটে মেডিকেল বোর্ড ফের বেগম জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুপারিশ করেছে বলে জানা যায়।
খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য এর আগে বলেছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের লিভারের সমস্যা যে পর্যায়ে আছে, তার জন্য মাল্টি ডিসিপ্লিনারি হায়ার সেন্টার দরকার। তার সুনির্দিষ্ট চিকিৎসার প্রয়োজনে এই ধরনের সেন্টার বাংলাদেশসহ পার্শ্ববর্তী অনেক দেশেই নেই। এই সমস্যা এতোটাই জটিল ও সংবেদনশীল যে, এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনেক।
এর আগে রোববার (১৩ আগস্ট) রাত সাড়ে দশটার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেখতে যান দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এসময় তিনি খালেদা জিয়ার চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তার শারীরিক ও চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন। রাত পৌনে বারোটায় হাসপাতাল ত্যাগ করেন ফখরুল।