আজঃ শনিবার ১১ মে ২০২৪
শিরোনাম

খুলনায় নারী ফুটবলারদের ওপর হামলা, আটক ১

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০১ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০১ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে হওয়া সংঘর্ষে কয়েকজন নারী খেলোয়াড়ের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত একজন খেলোয়াড় এখনো হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এই ঘটনায় চারজনকে অভিযুক্ত করে মামলা হয়েছে, একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বটিয়াঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শওকত কবির বলেছেন, শনিবার সন্ধ্যার পর ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

পরদিন অর্থাৎ রোববার এ ঘটনায় একটি মামলা হয়। এরপর রোববারই পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে।

হামলার শিকার ফুটবলারদের একজন, সাদিয়া নাসরিন, যিনি মামলাটি দায়ের করেছেন, তিনি জানিয়েছেন যাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে, সেই পরিবারের লোকজন এখন ফোন করে তাকে হুমকি দিচ্ছে।

সাদিয়া নাসরিন খুলনা বিভাগীয় অনুর্ধ্ব-১৭ নারী ফুটবল দলের একজন সদস্য।

কী ঘটেছিল সেদিন?

পুলিশ বলছে, বটিয়াঘাটা উপজেলার তেঁতুলতলা এলাকার একটি মাঠে মেয়েদের ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে এই ঘটনার সূত্রপাত।

তেঁতুলতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে বেশ কয়েক বছর ধরে সুপার কুইন ফুটবল অ্যাকাডেমি নামে মেয়েদের একটি ফুটবল ক্লাব পরিচালনা করছেন ওই স্কুলের শিক্ষক এবং স্থানীয় কয়েকজন ক্রীড়া সংগঠক।

ক্লাবে সেখানকার স্কুল ও কলেজে পড়ুয়া অনেক মেয়ে নিয়মিত ফুটবল প্র্যাকটিস করে থাকেন।

সাদিয়া নাসরিন এই ক্লাবে ফুটবলার হিসেবে অনুশীলন করছেন বেশ কয়েকবছর বলে বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন। তিনি এখন স্থানীয় একটি কলেজে প্রথম বর্ষে পড়ালেখা করেন।

সাদিয়া নাসরিন বলেছেন, গত বৃহস্পতিবার তিনি যখন ফুটবল খেলছিলেন তখন তার একটি ছবি তোলেন মাঠের সাথে লাগোয়া একটি বাড়িতে থাকা এক তরুণী।

সেদিন খেলা শেষে বাসায় ফিরে সাদিয়া জানতে পারেন ঐ তরুণী সাদিয়ার মা এবং আত্মীয়স্বজনকে মাঠে তোলা তার ছবি পাঠিয়ে তার "পোশাক নিয়ে কটুক্তি করেছে"।

এরপর শনিবার বিকেলে সাদিয়া ঐ তরুণীর বাসায় গিয়ে তার ছবি তোলা ও তা পাঠানোর কারণ জানতে চান। তখন ঐ তরুণী ও তার মা সাদিয়ার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ করেন সাদিয়া নাসরিন।

সাদিয়া নাসরিন বলেন,তার মা আমাকে বলছে যে তুমি হাফপ্যান্ট পরে ফুটবল খেলবা আর আমরা সেটা নিয়ে কিছু বলতে পারবো না।

সাদিয়া জানান তাদের কথোপকথন এক পর্যায়ে হাতাহাতিতে গড়ায়। তিনি বলেন ঐ তরুণী ও তার মা তাকে মারধর করেন।

সাদিয়া নাসরিন আরও বলেন, এরপর নিজের বাড়িতে ফিরে গিয়ে তিনি তার মাকে সব ঘটনা জানান।

সন্ধ্যার পর আমার মা, নানি ও বন্ধু মঙ্গলী তাদের (ওই তরুণীর) বাসায় যাই। আমার মা তার বাবাকে জিজ্ঞেস করে যে আমাকে কেন মারধর করা হল, বলছিলেন সাদিয়া। 

এ সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ঐ তরুণীর মা সাদিয়ার মাকে আঘাত করেন বলে অভিযোগ সাদিয়ার। সাদিয়ার বন্ধু মঙ্গলী বাগচী বাধা দিতে গেলে তাকেও আঘাত করা হয় এবং পরে ঐ তরুণীর বাবা লোহার রড দিয়ে মঙ্গলীর মাথায় আঘাত করেন বলে অভিযোগ করেন সাদিয়া নাসরিন।

ওই রাতে লোহার রড দিয়ে আঘাত করার পর মঙ্গলী অচেতন হয়ে যায় এবং এরপর ওই তরুণীর বাড়ির লোকজন মঙ্গলীকে বাড়ির ভেতর নিয়ে বেঁধে রাখে বলে দাবি করেন সাদিয়া নাসরিন।

এরপর পরিস্থিতি দেখে সাদিয়া ও তার মা ফুটবল ক্লাবের সভাপতিকে ঘটনাটি জানান এবং পরবর্তীতে পুলিশের শরণাপন্ন হন।

পুলিশের কাছে খবর দেয়ার কিছুক্ষণ পরই মঙ্গলীকে ছেড়ে দেয়া হয় এবং তাকে বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দিতে নিয়ে যাওয়া হয় বলেন সাদিয়া। মঙ্গলী বাগচী এখনো বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন। বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কমকর্তা মিজানুর রহমান জানিয়েছেন মঙ্গলী এখন আশঙ্কামুক্ত অবস্থায় রয়েছেন।

পুলিশ কী বলছে?

বটিয়াঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শওকত কবির জানিয়েছেন ঘটনার পরদিন সাদিয়া নাসরিন ঐ তরুণী, তার মা, বাবা ও ভাইকে আসামি করে বটিয়াঘাটা থানায় মামলা করেছেন।

মামলার এজাহারে সাদিয়া উল্লেখ করেছে যে অনুমতি না নিয়ে তার ছবি তোলার বিষয়ে অভিযুক্তের কাছে জানতে চাইলে তাকে মারধর করা হয়। পরে এই বিষয়ে তার মা ও বন্ধুকে সাথে নিয়ে অভিযুক্তের বাড়িতে গিয়ে আবার জিজ্ঞাসা করলে তাকে আবার মারধর করা হয় ও হত্যার উদ্দেশ্যে তার বন্ধুকে আঘাত করা হয়, বলছিলেন মি. কবির।

পুলিশ এ পর্যন্ত একজনকে গ্রেফতার করেছে।

অভিযুক্ত বাকি তিন আসামি পলাতক রয়েছে বলে জানান মি. কবির।

পুলিশ জানিয়েছে পলাতক আসামিরা মামলার বাদি সাদিয়া ও তার বন্ধুদের হুমকি দিচ্ছে বলে থানায় অভিযোগ করেছেন তারা। সাদিয়া ও তার বন্ধুদের নিরাপত্তার বিষয়টির উপরও পুলিশ নজরে রাখছে বলে জানান শওকত কবির।

হাফপ্যান্ট পরে ফুটবল খেলিস, লজ্জা-শরম নাই!

মঙ্গলী বাগচীর বলেন, ওই দিন কথা কাটাকাটির সময় তারা (অভিযুক্ত তরুণীর পরিবারের সদস্যরা) বারবার বলছিল যে "হাফপ্যান্ট পরে ফুটবল খেলিস, লজ্জা-শরম নাই। তাছাড়া তারা আমার ধর্ম তুলেও গালাগাল করে।

ঐ তরুণীর পরিবারের সাথে আগে থেকে সাদিয়া বা তার পরিবারের কোনো বিরোধ ছিল না বলে জানান মঙ্গলী বাগচী।

তিনি বলেন, তাদের গ্রামের মানুষ সাধারণত মেয়েদের ফুটবল খেলা নিয়ে কখনো বাধা দেয়নি, বরং সহযোগিতা করেছে।

তবে গ্রামে কিছু মানুষ মেয়েদের খেলার বিষয়টি পছন্দ করে না। তারা কখনো সুযোগ পেলেই আমাদের কটু কথা শোনাতো, বলছিলেন মঙ্গলী।

সাদিয়া নাসরিনও বলেছেন তাদের গ্রামের মানুষ কখনো মেয়েদের ফুটবল খেলায় বাধা দেয়নি।

কিন্তু বাংলাদেশে নারীদের খেলাধুলার বিরোধিতা করে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার নজির বিরল নয়।

দুই হাজার আঠারো সালে কুড়িগ্রামে ইসলামী আন্দোলন নামের একটি দলের বিরোধিতার মুখে বন্ধ করে দিতে হয় নারীদের একটি ফুটবল টুর্নামেন্ট।

সেসময় তারা দাবি করেছিল যে ফুটবল খেলায় অংশ নেয়া মেয়েদের পোশাক "শালীন নয়"।

কয়েক বছর আগে হাফপ্যান্ট পরে ফুটবল খেলার কারণে জাতীয় দলের এক নারী ফুটবলারকে বাসে হেনস্থা হতে হয়েছিল।

এরপর একজন নারী ফুটবলারের বাবাকে নিজের এলাকায় মারধর করা হয়, কারণ তার মেয়ে হাফপ্যান্ট পরে মাঠে ফুটবল খেলে।


আরও খবর



২৫ জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ নিয়ে নতুন ঘোষণা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশজুড়ে তীব্র তাপদাহে দেশের ২৫ জেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শুক্রবার (৩ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, দেশে চলমান তাপদাহের কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ‘আবহাওয়া পূর্বাভাস’র ভিত্তিতে খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের সকল জেলার, ঢাকা বিভাগের ঢাকা ও টাঙ্গাইল জেলার, চট্টগ্রাম বিভাগের চাঁদপুর জেলার এবং রংপুর বিভাগের রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী ও দিনাজপুর জেলার সকল মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগামীকাল শনিবার, ৪ মে ২০২৪ তারিখ বন্ধ থাকবে।

এর আগে, গত ২০ এপ্রিলে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সব স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়। এরপর গত ২৮ এপ্রিল খুলে দেয়া হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে পরের দিন সোমবার হাইকোর্ট দেশের সব প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুল ও মাদ্রাসার ক্লাস বন্ধের নির্দেশ দেন।

হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আলাদা আলাদা নোটিশ জারি করে সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে সিদ্ধান্ত রয়েছে মাধ্যমিকে পাঠদান চলবে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনিবারেও। সে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শনিবার থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান শুরুর কথা জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় রোববার (৫ মে) থেকেই ক্লাস শুরু করতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে এতে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনাগুলো হলএক শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়গুলো প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে। দুই শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়গুলোয় প্রথম শিফট সকাল ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা এবং দ্বিতীয় শিফট সকাল পৌনে ১০টা থেকে থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে। তাপ প্রবাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি (প্রাত্যহিক সমাবেশ) বন্ধ থাকবে।

এছাড়াও, উপজেলা শিক্ষা অফিসার, সংশ্লিষ্টদের নিয়ে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর হতে প্রেরিত রুটিন বিবেচনায় নিয়ে উপজেলা ভিত্তিক শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সাপ্তাহিক রুটিন প্রণয়ন করবেন। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।


আরও খবর



জয়পুরহাট হিমাগারে আলু পচন, ক্ষুদ্ধ কৃষক ও ব্যবসায়ীরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটের কালাইয়ে মান্নান অ্যান্ড সন্স বীজ হিমাগারে রাখা আলুতে পচন ধরেছে। এতে লোকসানে পড়েছেন স্থানীয় কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। হিমাগার কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন তারা। আলুতে পচনের জন্য কৃষক ও ব্যবসায়ীদের দায়ী করেছে হিমাগার কর্তৃপক্ষ।

উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের একই মালিকের দুটি হিমাগার মান্নান অ্যান্ড সন্স বীজ হিমাগার এবং মুসলিমগঞ্জ মান্নান বীজ হিমাগারে রোমানা জাতের আলু প্রায় ৬০ থেকে ৬৫ কেজি ওজনের ৩০ হাজার বস্তা পচা ও দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ নিরুপায় হয়ে কৃষক ও ব্যবসায়ীদের সংবাদ দিয়ে তাদের পচা ও দুর্গন্ধযুক্ত আলু বের করে দিচ্ছে। বস্তা খুলে দেখা যায় ৬০ থেকে ৬৫ কেজি ওজনের মধ্যে প্রায় ৩০ কেজি আলু পচে গেছে। বাজারে যেখানে ৬০ কেজি আলুর দাম ২৫শ টাকা সেখানে হিমাগারে শেডে পাইকারি বিক্রি করছে এক হাজার থেকে ১২শ টাকা, এতে করে কৃষক ও ব্যবসায়ীর প্রতি বস্তায় লোকসান গুনতে হচ্ছে ১৩শ থেকে ১৫শ টাকা।

হিমাগার চুক্তিভিত্তিক আলু বাছাইকারী নারী শ্রমিক দেলোয়ারা বেগম, রওশন আরা, ফিরোজা জানান, প্রতি বস্তায় ৬০ থেকে ৬৫ কেজি আলু থাকে, সেখানে প্রায় ৩০ কেজি আলু পচে গেছে।

উদয়পুর ইউনিয়নের সানাইপুকুর গ্রামের খায়রল ইসলাম বলেন, নষ্ট আলু নিতে গেলে ক্ষতিপূরণ না দিয়ে উল্টো বস্তাপ্রতি ৩৪০ টাকা ভাড়া নিচ্ছে। এল্লাগাড়ি গ্রামের ইয়াছিন বলেন, অভিযোগ করলেও প্রতিকার পাই না।

হিমাগার কর্তৃপক্ষ জানায়, হিমাগারে নিয়ে আসা আলুর বয়স কম এবং আলুর সঙ্গে মাটি লেগে থাকার কারণে এই পচন ধরেছে। রোমানা জাতের আলু ছাড়া অন্য কোনো জাতের আলুতে পচন ধরেনি।

কালাই কৃষি কর্মকর্তা অরুণ চন্দ্র রায় জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই কথা বলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবুল হায়াত।


আরও খবর



পঞ্চগড়ে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী দুই যুবক নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
পঞ্চগড় প্রতিনিধি

Image

পঞ্চগড়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি ২ যুবক নিহত হয়েছেন।

বুধবার (৮ মে) ভোরে জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার রণচন্ডী বিওপি আওতাধীন এলাকা সীমান্ত পিলার ৪৪৬/১৪ আর এর নিকট খয়খাটপাড়া দরগাসিং এলাকায় ভারতের ফকির পাড়া বিএসএফ ক্যাম্পের টহলদলের গুলিতে তারা মারা যান।

জানা গেছে, নিহত ইয়াসিন আলী (২৩) জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলা ব্রহ্মতোল গ্রামের কেতাব আলীর ছেলে এবং আব্দুল জলিল (২৪) একই উপজেলার সদর ইউনিয়নের মাগুরা গ্রামের জুনু মিয়ার ছেলে।

স্থানীয়, পুলিশ ও বিজিবি সূত্রে জানা যায়, বুধবার ভোরে তেঁতুলিয়া উপজেলার রণচন্ডী এলাকার দরগাসিং সীমান্ত এলাকায় হঠাৎ ওই যুবকদের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। পরে তারা বিজিবি ও পুলিশকে খবর দেয়৷ অন্যদিকে ভারতীয় বিএসএফ ওই যুবকদের লাশ ভারতে নিয়ে যায়৷ জানা যায় তারা অবৈধ ভাবে গরু আনতে তারাকাটা কেটে ভারতের প্রবেশের চেষ্টা করছিল৷

তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজয় কুমার বলেন, নিহত দুজনের পরিবার ও প্রতিবেশীদের কাছ থেকে জানা গেছে ভারত থেকে অবৈধভাবে গরু আনতে গেলে বিএসএফ তাদের গুলি করে হত্যা করে লাশ ভারতে নিয়ে যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল জুবায়েদ হাসান বলেন, ভারতের অভ্যন্তরে দুজন বাংলাদেশি যুবক মারা গেছেন এমন খবর পেয়েছি তবে এখন পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাইনি৷ বিষয়টি আমরা দেখছি।

নিউজ ট্যাগ: পঞ্চগড় বিএসএফ

আরও খবর



মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে অভ্যন্তরীণ বোরো সংগ্রহ কার্যক্রম

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের অভ্যন্তরীণ বোরো সংগ্রহ কার্যক্রম উদ্বোধন হচ্ছে আগামী মঙ্গলবার (৭ মে)। খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।

গত ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অভ্যন্তরীণ বোরো সংগ্রহ মৌসুমে ৫ লাখ মেট্রিক টন ধান, ১১ লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল, ১ লাখ মেট্রিক টন আতপ চাল এবং ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

অভ্যন্তরীণ বোরো সংগ্রহ মৌসুমের সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সংশ্লিষ্ট জেলার একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকসহ খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা সংযুক্ত থাকবেন।

এছাড়াও ধান সরবরাহকারী কৃষক ও দুজন মিল মালিক উপস্থিত থাকবেন। অভ্যন্তরীণ বোরো সংগ্রহ মৌসুমে সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে (অনলাইন) সংশ্লিষ্ট সকলকে যথাসময়ে সংযুক্ত হওয়ার জন্য খাদ্য অধিদপ্তর থেকে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টদেরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিলো বিজিপির আরও ১২ সদস্য

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ১২ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপির আষাঢ়তলী, জামছড়ি ও ঘুমধুম ইউপির রেজু সীমান্ত দিয়ে তারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এ নিয়ে তিন দিনে দেশটির মোট ২৮ সেনা ও বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় ‍নিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সরকারি জান্তা বাহিনীর সদস্যরা সংঘাতে বিদ্রোহীদের সঙ্গে টিকতে না পেরে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের নিরস্ত্রীকরণ করে বিজিবির তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন বলেন, ৮ নম্বর ওয়ার্ড জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে ১০ বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের বিজিবির তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে।

ঘুমধুম ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য বাবুল কান্তি চাকমা জানান, ওয়ার্ডের ফাত্রাঝিরি রেজু আমতলী পাড়া সীমান্ত দিয়ে দুই বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিজিবির গণসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম আজ সকালে ১২ বিজিপি সদস্য আশ্রয় নেওয়ার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন।

নতুন করে আসা ২৮ জনই নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে ১১ বিজিবি হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওখানে আগে থেকে ১৮০ জন আশ্রয়ে রয়েছে। ফলে সেখানে এখন মিয়ানমারের মোট ২০৮ জন সেনা ও বিজিপি সদস্য রয়েছেন।

আগে থেকে থাকা ১৮০ জনের মধ্যে গত ৩০ মার্চ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তিনজন সদস্য নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। এর আগে ১১ মার্চ আশ্রয় নেন আরও ১৭৭ জন বিজিপি ও সেনাসদস্য।

তারও আগে কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন আরও ৩৩০ জন। যাদের গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩৩০ জনকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।


আরও খবর