নান্দনিক অভিনয় গুণে একজন ভার্সেটাইল অভিনয়শিল্পী হয়ে উঠেছিলেন হুমায়ুন ফরীদি। পর্দায় তার অভিনয়ে বারবরই মুগ্ধ হতো দর্শকরা। জায়গা করে নিয়েছিলেন কোটি বাঙালির হৃদয়ে। কিন্তু হঠাৎ করেই ২০১২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান কিংবদন্তি এই অভিনেতা।
এ অভিনেতার মৃত্যু যেমন ইন্ডাস্ট্রিতে শূন্যতা তৈরি করেছে, তেমনি শূন্যতা তৈরি হয়েছে ভক্তহৃদয়ে। তাদের হৃদয় আজও চির অমলিন। আর প্রিয় এই সহকর্মী ও তারকার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সোশ্যাল মিডিয়া এবং বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছেন সবাই।
হুমায়ুন ফরীদির অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল মঞ্চ থেকে। তারপর টেলিভিশন নাটক ও চলচ্চিত্রে দ্যুতি ছড়িয়েছেন। নব্বইয়ের দশকে চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলো হলো দহন, বীর পুরুষ, লড়াকু, বিশ্বপ্রেমিক, দুর্জয়, আনন্দ অশ্রু, আসামী বধূ, প্রাণের চেয়ে প্রিয়, কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি, ভণ্ড, ব্যাচেলর, শ্যামল ছায়া ও মেহেরজান প্রভৃতি।
এ অভিনেতা তার সৃজনশীল কর্মযজ্ঞের জন্য স্বীকৃতিস্বরূপ ‘মাতৃত্ব’ সিনেমার জন্য ২০০৪ সালে সেরা অভিনেতা শাখায় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। এছাড়া নাট্যাঙ্গনে অসামান্য অবদানের জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সম্মাননা প্রদান করেন হুমায়ন ফরীদিকে।
হুমায়ুন ফরীদির জন্ম ঢাকায় ১৯৫২ সালের ২৯ মে। ছেলেবেলায়ই হাতেখড়ি অভিনয়ে। ক্রমে সেটিই হয়ে ওঠে জীবনের ধ্যানজ্ঞান। শুধু খল চরিত্র নয়, নানা নিরীক্ষাধর্মী চরিত্রেও অভিনয়ের মুন্সিয়ানায় মুগ্ধ করেছেন দর্শকহৃদয়। কীর্তিমান এই অভিনয়শিল্পী রূপালি পর্দায় বর্ণিল আলো ছড়ালেও সাদামাটা জীবনেই খুঁজেছেন আশ্রয়।