![Image](https://cdn.ajkerdarpon.com/images/a7fc8da7e88418c7e8f474366a8e2e09.jpeg)
চসিক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, কোরবানির বর্জ্য পরিস্কারে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এবার ৭ ঘন্টার মধ্যে নগরীকে কোরবানির বর্জ্যমুক্ত করা হবে৷ পশুর নাড়ি-ভুড়ি নেয়ার জন্য পলিথিন সরবরাহ করা হবে৷ চামড়া ব্যবসায়ীদের সাথে আমরা সভা করেছি৷ আশা করি এবার চামড়া নষ্ট হয়ে পরিবেশ বিনষ্ট হবেনা৷”
শনিবার জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ঈদ-উল-আযহার কেন্দ্রীয় জামাতের জন্য চট্টগ্রামের জমিয়তুল ফালাহ ঈদগাহ ময়দান সম্পূর্ণ প্রস্তুত। এবার সকাল সাড়ে ৭টায় ও সাড়ে ৮টায় দুটি জামাতে নামাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মুসল্লিদের সুবিধায় পর্যাপ্ত ফ্যান আর সামিয়ানা থাকবে। অজু করার জন্য মসজিদের অজুখানার পাশাপাশি অতিরিক্ত গাড়িতে পানির সুব্যবস্থা করা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য থাকছে সিসিটিভি মনিটরিংসহ পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রশিক্ষিত সদস্যরা। পাশাপাশি ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে ওয়ার্ডগুলোতে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
চসিক মেয়র বলেন, 'স্বাভাবিক বৃষ্টিতে নামাজ বিঘ্নিত না হওয়ার জন্য মসজিদের আশপাশের নালাগুলো পরিষ্কার করা হয়েছে। তবে অস্বাভাবিক বৃষ্টিতে পানি উঠলে মসজিদের ভিতরে জামাত হবে। এছাড়া মুরাদপুরের মুহাম্মদপুরে ঈদের নামাজ পড়তে পারবে এমন একটি ঈদগাহ নির্মাণ করেছি৷'
এসময় উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর আবুল হাসনাত মো. বেলাল, আবদুস সালাম মাসুম, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম।
এবারের চসিকের তত্ত্বাবধানে ঈদ-উল-আযহার প্রথম ও প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৭টা এবং দ্বিতীয় জামাত সকাল সোয়া ৮টায় জাতীয় মসজিদ জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে ৯টি মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে৷
মসজিদগুলো হল যথাক্রমে লালদিঘী সিটি কর্পোরেশন শাহী জামে মসজিদ, হযরত শেখ ফরিদ (রঃ) চশমা ঈদগাহ মসজিদ, সুগন্ধা আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, চকবাজার সিটি কর্পোরেশন জামে মসজিদ, জহুর হকার্স মার্কেট জামে মসজিদ, দক্ষিণ খুলশী (ভিআইপি) আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, আরেফীন নগর কেন্দ্রীয় কবরস্থান জামে মসজিদ, সাগরিকা গরুবাজার জামে মসজিদ এবং মা আয়েশা সিদ্দিকী চসিক জামে মসজিদ (সাগরিকা জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়াম সংলগ্ন)।
এছাড়াও নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরগণের তত্ত্বাবধানে একটি করে প্রধান ঈদ জামাত স্ব স্ব মসজিদ/ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হবে।