আজঃ সোমবার ০৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

কোরিয়ার বিপক্ষে ব্রাজিলের একাদশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ জুন 2০২2 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ জুন 2০২2 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে নেইমারকে পাওয়া যাবে কিনা সেটা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। ম্যাচের আগে অনুশীলনে এই ফরোয়ার্ড পায়ে চোট পাওয়াতেই অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত নেইমারকে নিয়েই ম্যাচের মূল একাদশ সাজিয়েছেন কোচ তিতে।

এই ম্যাচের আগে অনুশীলনেই চোটে পড়েছিলেন নেইমার। অনুশীলনে নেইমারের সঙ্গে এক সতীর্থের সংঘর্ষ হয়। এরপরই তিনি লুটিয়ে পড়েন মাটিতে, ডান পায়ে যে ব্যথা পেয়েছেন, তা ছিল স্পষ্ট। সঙ্গে সঙ্গে একজন ট্রেইনার এসে নেইমারের চোটটা বোঝার চেষ্টা ক্রেন। এরপর নেইমার খোঁড়াতে খোঁড়াতে মাঠ ছাড়েন।

তাই দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে নেইমারের চূড়ান্ত একাদশে থাকা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল।

দক্ষিণ কোরিয়া একাদশ

কিম, লি ইয়ং, উইয়াং, ইনবেওম, সন, সিউংহো, হি চ্যান, হং চুল, উইজো, ইয়াংওয়ান, কিয়ংওন

ব্রাজিল একাদশ

ওয়েভারটন, অ্যালেক্স সান্দ্রো, মার্কউইনোস, থিয়াগো সিলভা, দানি আলভেস, নেইমার, কাসেমিরো, ফ্রেড, পাকুয়েতা, রাফিনহা, রিচার্লিসন


আরও খবর



সাবেক এমপি’র বিরুদ্ধে ভোটারদের প্রতিরোধ করার হুমকির অভিযোগ

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জামালপুর প্রতিনিধি

Image

জামালপুরের সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার মো.মোজ্জাফ্ফর হোসেনের বিরুদ্ধে বিজন বাবুর (মোটরসাইকেল প্রতীক) বাইরে ভোট দিলে আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রতিহত করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই ছাত্র সমাবেশের তাঁর দেওয়া বক্তব্যের এক মিনিট ৪ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে ভোটাদের মাঝে আতঙ্ক ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

গতকাল রবিবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে ছাত্রলীগ আয়োজিত বাবু বিজন কুমার চন্দের (মোটরসাইকেল প্রতীক) নির্বাচনী ছাত্র সমাবেশে সদর উপজেলার দিগপাইত ইউনিয়নের ছোনটিয়া কাচারি মাঠে তিনি এ বক্তব্য দেন। আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার মো.মোজাফ্ফর হোসেন সদর (জামালপুর-৫) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিজন কুমার চন্দ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

এ ছাত্র সমাবেশে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাফিউল করীম রাব্বি। এ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী বাবু বিজন কুমার চন্দ। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন ছানু, সাংগঠনিক সম্পাদক আ.ফ.ম জাফর ইকবাল জাফু, সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মো.মোজাফ্ফর হোসেন, জেলা যুবলীগের সভাপতি রাজন সাহা রাজুসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন।

সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার মো.মোজাফ্ফর হোসেনকে ভিডিও ক্লিপটিতে বলতে শোনা যায়- আমি বলতে চাই, বিজন বাবুকে ছাড়া তোমরা যদি আর কাউকে ভোট দেওয়ার চেষ্টা করো, তাহলে আমার ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সর্বস্তরের জনগণ প্রতিরোধ করবে ইনশাআল্লাহ। তাই বলতে চাই আর দেরি নাই, আর মাত্র দুটো দিন আছে, এখনো সময় আছে আসো। আমাদের সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে, আমাদের পিছে আসো। বিজন বাবুর মোটসাইকেল মার্কা ভোট দাও, তা না হলে মানুষ ক্ষমা করবে না। আবার চেয়ারম্যানগিরী করতে চাও, করতে পারবা যদি বিজন বাবু উপজেলার চেয়ারম্যান হয় তাহলেই পারবা। না হলে পারবা না।'

ওই বক্তব্যের বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মো.মোজাফ্ফর হোসেন প্রথমেই সাংবাদিকদের কাছে অস্বীকার করলেও পরে তাঁকে ভিডিও রয়েছে বললে তিনি তাঁর কোন স্বদ্যোত্তর দিতে পারেননি।

এসব বিষয়ে জামালপুর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার সাংবাদিকদের  বলেন-'এই বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। এই ঘটনায় একটি অভিযোগও দিয়েছে কাপ পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী এডভোকেট হাফিজুর রহমান স্বপন। বক্তব্য দেয়া ব্যাক্তির বিরুদ্ধে কেনো আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না? তা জানতে চেয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে মোজাফফর হোসেনকে।

মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার আরো বলেন- এই ঘটনায় মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী বাবু বিজন কুমার চন্দের প্রার্থীতা বাতিল করতে কেনো নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পত্র প্রেরন করা হবে না? তা জানতে চেয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বাবু বিজন কুমার চন্দকে।

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জামালপুর সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আগামী ৮ মে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর



যশোরে গরমে অসুস্থ হয়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
যশোর প্রতিনিধি

Image

যশোরে ধান কেটে বাড়ি আসার পর আহসান হাবিব (৩৭) নামে একজন শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। মৃত্যুবরণকারী শিক্ষক যশোর সদরের আমদাবাদ হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক।

স্থানীরা বলছেন, হিট স্ট্রোকে তিনি মারা গেছেন। সংশ্লিষ্ট ডাক্তার বলছেন, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ছাড়া তাঁর মৃত্যুর কারণ বলা যাচ্ছে না।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহারুল ইসলাম বলেন, আহসান হাবিব সকালে মাঠে ধান কেটে বাড়িতে আসেন। বাড়িতে এসেই সকাল পৌনে ৯টার দিকে হঠাৎ করেই বুকে ব্যথা এবং শরীর জ্বলে যাচ্ছে বলে কাতরাতে থাকেন। এরপর পরিবারের সদস্যরা তাঁকে দ্রুত যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। আমাদের ধারণা, প্রচণ্ড তাপের কারণে হিট স্ট্রোকে তিনি মারা গেছেন। আসরের নামাজের জানাজা শেষে তাঁকে দাফন করা হবে।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক হাসিব মোহাম্মদ আল হাসান জানান, হাসপাতালে আসার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কী কারণে মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ছাড়া বলা সম্ভব নয়।

এদিকে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিক্ষক আহসান হাবিব মাদকাসক্তও ছিলেন। নিয়মিত মাদক সেবন করতেন। ফলে তাপপ্রবাহে মাঠে কাজ করার প্রভাবে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।


আরও খবর



ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে ‘প্রস্তুত’ ইউরোপের ৩ দেশ

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তত রয়েছে ইউরোপের ৩ দেশ। স্পেন, আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে তৃতীয় দেশটি হচ্ছে নরওয়ে। স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজের সঙ্গে বৈঠকের পর ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়ে নিজেরা প্রস্তুত বলে জানায় আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ে। সূত্র: আল জাজিরা

শুক্রবার (১২ এপ্রিল) ডাবলিনে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী সানচেজের সঙ্গে বৈঠকের পর আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আয়ারল্যান্ড শীঘ্রই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে চায়, তবে স্পেন এবং আরও ইউরোপীয় দেশগুলোর সাথে সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমে।

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী সানচেজ বলেন, স্পেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে চায়। নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গাহর স্টোয়ারও একই কথা বলেছেন। তিনি বলেন, তার দেশও অন্যান্য দেশের মতো ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত রয়েছে।

সানচেজ বলেন, ইচ্ছুক দেশগুলো তাদের ঘোষণা দেবে যখন পরিস্থিতি উপযুক্ত হবে এবং তারা নতুন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য হওয়ার সমর্থন করবে।

এর আগে ইউরোপের দেশ মাল্টা ও স্লোভেনিয়া জানিয়েছিল, তারা ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে। স্পেন, আয়ারল্যান্ড, নরওয়ের প্রধানমন্ত্রীর সাথে মাল্টা ও স্লোভেনিয়ার প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর যৌথভাবে এ ঘোষণা দেয় তারা।


আরও খবর



১৯ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৪০৯৬ কোটি টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলতি এপ্রিল মাসের প্রথম ১৯ দিনে বৈধ পথে দেশে ১২৮ কোটি ১৫ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশীয় মুদ্রায় যার (প্রতি এক ডলার সমান ১১০ টাকা ধরে) পরিমাণ প্রায় ১৪ হাজার ৯৬ কোটি টাকার বেশি। এ হিসাবে গত ১৯ দিনে দৈনিক গড়ে ৬ কোটি ৭৪ লাখ ডলার বা ৭৪১ কোটি টাকার বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। প্রবাসী আয়ের এ ধারা অব্যাহত থাকলে পুরো মাস শেষে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় দুই বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি এপ্রিল মাসের ১৯ দিনে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১২৮ কোটি ১৫ লাখ ১০ হাজার ডলার এসেছে। তার মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১১ কোটি ৩২ হাজার ডলার, বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে একটি ব্যাংকের (কৃষি ব্যাংক) মাধ্যমে ৭ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১০৮ কোটি ৮১ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৯ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার।

অন্যদিকে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা রয়েছে ৯টি। যার মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক ও আইসিবি ইসলামী ব্যাংক। বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং উরি ব্যাংক।

এর আগে বিদায়ী মার্চ মাসের পুরো সময়ে বৈধ পথে প্রায় দুই বিলিয়ন (১ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স আসে। ওই মাসটির পুরো সময়ে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক, বিদেশি খাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমে।

এর আগে চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ২১০ কোটি বা ২ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল এবং দ্বিতীয় মাস ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার। ২০২৩ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স।

গত বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার, ফেব্রুয়ারিতে আসে ১৫৬ কোটি ডলার, মার্চে ২০২ কোটি, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি, মে মাসে ১৬৯ কোটি, জুনে ২২০ কোটি, জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৩ কোটি, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি, নভেম্বর মাসে এসেছিল ১৯৩ কোটি ডলার এবং শেষ মাস ডিসেম্বরে আসে ১৯৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স।

২০২০ সালে হুন্ডি বন্ধ থাকায় ব্যাংকিং চ্যানেলে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল। বিদায়ী ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২ হাজার ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। এটি এ যাবৎকালের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে করোনাকালীন ২০২০-২০২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিটেন্স এসেছিল দেশে।


আরও খবর



ঈদ যাত্রায় ঢাকা ছাড়তে ৯৮৪ কোটি টাকার অতিরিক্ত ভাড়া গুনবেন যাত্রীরা

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নাড়ির টানে ঈদে ঢাকা ও আশেপাশের অঞ্চল থেকে প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ মানুষ গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন। এই ঈদযাত্রায় কেবল ঢাকা ছাড়তেই ৯৮৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকা অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হবে এসব যাত্রীদের। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণে এই তথ্য উঠে এসেছে।

রবিবার (৭ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি এই তথ্য জানায়। এতে বলা হয়, তাদের গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় পর্যবেক্ষণ উপ-কমিটির সদস্যরা গত ৩ এপ্রিল থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত ঢাকা থেকে দেশের সড়ক, রেল, নৌ ও আকাশ পথে ঈদযাত্রা পরিস্থিতি, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রী সেবার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছে। পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, কিছু অসাধু বাস মালিক-চালকেরা ঈদে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য মেতে উঠেছে। সড়ক ও নৌ-পথের বিভিন্ন টার্মিনালে ভিজিল্যান্স টিমের অস্থায়ী অফিসে সদস্যরা বসে থাকলেও তারা এসব দেখার বা প্রতিকার করার প্রয়োজন মনে করছে না।

ভিজিল্যান্স টিমের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কোনও যাত্রী অভিযোগ দিলে তারা ব্যবস্থা নেবেন। যাত্রীরা জানাচ্ছেন, ভিজিল্যান্স টিমের সদস্যদের সামনে ভাড়া নৈরাজ্য চললেও তারা দেখেও না দেখার ভান করে আছেন। তাদের জানিয়ে আর কী লাভ হবে।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, এবারের ঈদে সবচেয়ে বেশি যাত্রী নৌ-পথে পরিবহন হবে। ঢাকার সদরঘাট ও নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরসহ বিভিন্ন ঘাট দিয়ে প্রায় ৬০ লাখ যাত্রী দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যাবেন। যাত্রীপ্রতি গড়ে ৫০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। গড়ে যাত্রী প্রতি ২০০ টাকা হারে বাড়তি ভাড়া আদায় হলে ঈদের আগে এসব যাত্রীর কাছ থেকে ১২০ কোটি টাকা অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হবে।

রাজধানীতে চলাচলকাররী সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় ঈদকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য মেতে উঠেছে। ঈদে কেনাকাটা, বিভিন্ন টার্মিনালে যাতায়াতের পাশাপাশি দৈনন্দিন নানা কাজে এসব অটো ব্যবহার করতে গিয়ে প্রত্যেক যাত্রীকে গড়ে প্রতি ট্রিপে ২০০ টাকা হারে বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে। ঈদে আগে রাজধানীতে চলাচলকারি ২৫ হাজার সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় প্রায় ৭০ লাখ ট্রিপ যাত্রীকে ১৪০ কোটি টাকার বেশি বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে।

ইজিবাইক, মোটররিকশা, প্যাডেল চালিত রিকশা ঈদ বকশিসের নামে যাত্রীপ্রতি গড়ে ২০ টাকা হারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। যাত্রী কল্যাণ সমিতি মনে করে, রাজধানীতে চলাচলকারি প্রায় ১০ লাখ ইজিবাইক, ব্যাটারিচালিত রিকশা, প্যাডেল চালিত রিকশায় ১৪ কোটি ট্রিপ যাত্রীর যাতায়াত হতে পারে। এই যানবাহনে যাত্রীদের ২৮০ কোটি টাকা বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে।

লেগুনা, দুরন্ত, দিগন্ত নানা নামে পরিচিত রাজধানীতে চলাচলকারী ৭ হাজার হিউম্যান হলারে ঈদের আগে প্রায় ৮০ লাখ ট্রিপ যাত্রীকে ঈদ বকশিসের নামে গড়ে প্রায় ২০ টাকা ভাড়া বাড়তি দিতে হবে। সেই হিসেবে ঢাকার লেগুনায় কেবল ১৬ কোটি টাকার বেশি বাড়তি ভাড়া আদায় হবে।

এবারের ঈদে লম্বা ছুটির কারণে ঢাকা থেকে ব্যক্তিগত পরিবহন প্রাইভেটকার, জিপ ও মাইক্রোবাসের প্রায় ৩০ লাখ যাত্রীর যাতায়াত হচ্ছে। এসব যানবাহনে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিজেদের পরিবহন ব্যবহার করলেও ১৫ লাখ যাত্রীকে ভাড়ায়চালিত যানবাহনে ঈদে বাড়ি যেতে ট্রিপ প্রতি গড়ে ৩৫০০ টাকা হারে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে। সেই হিসেবে এই পরিবহন ব্যবহারকারী যাত্রীদের ১১২ কোটি টাকা বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে।

এবারের ঈদে ঢাকা থেকে বাসে দূরপাল্লার রুটে ৩০ লাখ যাত্রীর যাতায়াতে যাত্রী প্রতি গড়ে ৩০০ টাকা হারে বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে। সেই হিসেবে বাসের যাত্রীদের ৯০ কোটি টাকা অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হবে।

প্রতিবছর ঈদে ঢাকা মহানগরীতে চলাচলকারি সিটি সার্ভিস বাসগুলো ঈদের ২ দিন আগে থেকে যেকোনও গন্তব্যে গেলে ঈদ বকশিসের নামে ৫০ টাকা হারে যাত্রীর মাথাপিছু ভাড়া আদায় করে থাকে। এবারও ঈদের আগের ২ দিনে ঢাকার ৪ হাজার সিটি বাসে ৪৮ লাখ ট্রিপ যাত্রীর কাছ থেকে গড়ে মাথাপিছু ৩০ টাকা হারে বাড়তি নিলে এইখাতে ১৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা যাত্রীদের বাড়তি গুনতে হবে।

গণপরিবহন সংকট, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, সঠিক সময়ে টিকিট না পাওয়া, যানজটসহ নানান ঝক্কি-ঝামেলা এড়াতে এবারের ঈদে প্রায় ১২ লাখ যাত্রী মোটরসাইকেলে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন। তাদের ৩০ শতাংশ নিজেদের বাইক ব্যবহার করছেন। অন্যরা রাইড শেয়ারিংয়ের মোটরসাইকেলে যাত্রীপ্রতি গড়ে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ৩০০ টাকা বেশি ভাড়া দিচ্ছেন। এতে ৮ লাখ ৪০ হাজার মোটরসাইকেল যাত্রীদের ২৫ কোটি ২০ টাকা বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে।

এবারের ঈদে অতিরিক্ত কোচ, ঈদ স্পেশাল হিসেবে অতিরিক্ত রেল রেক যুক্ত করার পরে ঢাকা ৭ লাখ যাত্রী দেশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছেন। দৈনিক ৪০ হাজার যাত্রী নিয়মিত টিকিটের পাশাপাশি ১৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিটসহ ৪৬ হাজার টিকিটধারী যাত্রী হিসেবে ১ সপ্তাহে ৩ লাখ ২২ যাত্রী রাজধানী ছাড়বেন। এর বাইরে ট্রেনের ছাদে, ইঞ্জিনে, দুই বগির মাঝে, কোচের ভেতরে বিনা টিকিটে যাতায়াত করবে আরও প্রায় ৩ লাখ ৭৮ হাজার যাত্রী। এত বড় সংখ্যক যাত্রী বিনা টিকিটে রেল ভ্রমণে কর্তৃপক্ষ বড় ধরনের রাজস্ব হারালেও চলমান ট্রেনে কর্মরত টিটিই, গার্ড, সরকারি-বেসরকারি স্টুয়ার্ড, বেসরকারি কেন্টিন অপারেটরের লোকজন, ট্রেনে দ্বায়িত্বরত জিআরপি, এনআরবি ও স্টেশনে দ্বায়িত্বরত টিকিট চেকারদের যাত্রী প্রতি গড়ে ৩০০ টাকা হারে ১১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ঘুস দিতে হবে।


আরও খবর