আজঃ সোমবার ০৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

করোনার নতুন ঢেউয়ে সংক্রমণ বাড়ছে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ জুন ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রায় তিন মাস নিম্নমুখী ছিল। চলতি মাসের প্রথম থেকে ভাইরাসটিতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। সর্বশেষ গত এক সপ্তাহে শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যাও আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে কয়েক গুণ। শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যায় আবারো ঊর্ধ্বগতিকে সংক্রমণের নতুন ঢেউ বা পর্যায় হিসেবে দেখছেন রোগতত্ত্ব ও ভাইরাস বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, করোনার নতুন ধরন বা উপধরনগুলো সংক্রমণ ও মৃত্যুহার বৃদ্ধির জন্য দায়ী। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে নতুন কোনো ধরন শনাক্ত করা যায়নি। তবে বেশি করে নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করলে হয়তো নতুন ধরন শনাক্তের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে চলমান পরিস্থিতি আরো অবনতিরও শঙ্কা রয়েছে।

গত চার এপিডেমিওলজিক্যাল সপ্তাহে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার কয়েকশ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এ সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, গত ৩০ মে থেকে ৫ জুন পর্যন্ত সারা দেশে ২১০ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। আগের সপ্তাহের তুলনায় শনাক্তের হার তখন ঊর্ধ্বমুখী ছিল না। এ সপ্তাহে একজনের মৃত্যু হলেও মৃত্যুর হার পূর্ববর্তী এপিডেমিওলজিক্যাল সপ্তাহের তুলনায় নিম্নমুখী ছিল। তবে পরবর্তী সময়ে ৬ থেকে ১২ জুন পর্যন্ত রোগী শনাক্তের হার বাড়তে থাকে। এ সময়ে ৪৫৮ জনের শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হলে আগের সপ্তাহের তুলনায় তা ১১৮ শতাংশ বেশি হয়। ১৩ থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত ২ হাজার ২১২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ায় শনাক্তের হার সপ্তাহের ব্যবধানে ৩৮৩ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। এ দুই সপ্তাহের মধ্যে কারো মৃত্যু হয়নি। সর্বশেষ ২০ থেকে ২৬ জুন পর্যন্ত সাতদিনে কভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছে ৮ হাজার ৮৪৬ জন। তাতে সপ্তাহের ব্যবধানে শনাক্তের হার দাঁড়ায় ২৯৯ শতাংশে।

গত সপ্তাহে নয়জনের মৃত্যু হওয়ায় মৃত্যুর হার পূর্ববর্তী সপ্তাহের তুলনায় ৯০০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। গত চার এপিডেমিওলজিক্যাল সপ্তাহে ক্রমান্বয়ে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ সপ্তাহে আগের সপ্তাহের তুলনায় ৫৩ শতাংশ নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো হয়। এতে সর্বশেষ সপ্তাহে নমুনা পরীক্ষা করা হয় ৬৬ হাজার ৭৫৮টি। যদিও একইভাবে গত সপ্তাহে বেড়েছে সুস্থতার হার।

বর্তমান সংক্রমণ পরিস্থিতিকে দেশে করোনার পঞ্চম ঢেউ বা পর্যায় বলে মন্তব্য করেন রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ও সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুশতাক হোসেন।  তিনি বলেন, আমার মতে গত ফেব্রুয়ারিতে ওমিক্রনের সংক্রমণ ছিল চতুর্থ পর্যায়ের সংক্রমণ। ২০২০ সালের শুরুতে করোনার প্রথম ঢেউ শুরু হয়। এরপর ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে আলফা ভ্যারিয়েন্ট দিয়ে শুরু হয়ে মার্চে করোনার বিটা ধরন দিয়ে দ্বিতীয় ঢেউ শেষ হয়। একই বছরে এপ্রিলে (ঈদের পরে) গ্রাম থেকে গ্রামে ছড়িয়ে পড়ল ডেল্টা ধরনের সংক্রমণ। সেটা ছিল তৃতীয় ঢেউ, যা আগস্ট পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। অনেকেই ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করে আগস্ট পর্যন্তকে বলে দ্বিতীয় ঢেউ। কিন্তু আমি বলি এ সময়ে দুটি ঢেউ ছিল। চতুর্থ ঢেউ হচ্ছে ওমিক্রন ধরনের সংক্রমণ, যা চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে মার্চ পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। আর এখন হচ্ছে পঞ্চম ঢেউ।

সব ভাইরাসের আচরণ এক নয় উল্লেখ করে এ রোগতত্ত্ববিদ বলেন, করোনাভাইরাসের টিকা নিলে বা আক্রান্ত হলে এর কোনো স্থায়ী প্রতিরোধক্ষমতা গড়ে উঠছে না। যেসব দেশ খুব কড়াকড়িভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে সেসব দেশে অন্তত ছয় মাস পরপর ঢেউ আসে। আর বাংলাদেশের মতো যারা স্বাস্থ্যবিধি মানে না তাদের ক্ষেত্রে তিন বা আড়াই মাস পরপর আসে। কোভিড-১৯-এর ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে সংক্রমিত হলে প্রাকৃতিকভাবে যে ইমিউনিটি হয় সেটা তিন থেকে ছয় মাস স্থায়ী হচ্ছে। টিকা নিলেও তা তিন থেকে চার মাস আক্রান্ত হওয়া থেকে বাঁচাচ্ছে। তবে যারা আগে টিকা নিয়েছে বা আক্রান্ত হয়েছে তারা গুরুতর অবস্থা থেকে রেহাই পাচ্ছে। কিন্তু যারা টিকা নেয়নি কিংবা টিকা নিলেও দীঘমেয়াদি জটিল রোগে আক্রান্তরা করোনা হলে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ছে।

সরকারের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১৩ হাজার ৪৮৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করলে ২ হাজার ৮৭ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়। সংক্রমণ বাড়ার মধ্যে টানা দ্বিতীয় দিন দুই হাজারের বেশি কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ লাখ ৬৯ হাজার ৩৬১। গতকাল সর্বশেষ আরো তিনজন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ২৯ হাজার ১৪৫। করোনাভাইরাসের ওমিক্রনের সংক্রমণ দেশে কিছুটা কমে এলে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা হাজারের নিচে নেমে আসে। এর ধারাবাহিকতায় গত ২৬ মার্চ দৈনিক শনাক্ত কমে একশর নিচে দাঁড়ায়। মে মাসের শুরুতে দৈনিক নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১ শতাংশের নিচে নেমে আসে। তবে ওই মাসের শেষের দিকে শনাক্তের সংখ্যা ফের বাড়তে শুরু করে। এতে ১১ সপ্তাহ পর গত ১২ জুন দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা ১০০ অতিক্রম করে। আর গত সোমবার এ সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়ে যায়। মঙ্গলবার দৈনিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শতকরা শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৮ শতাংশ। সর্বশেষ আরো ২০০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে ওঠায় মোট সুস্থতার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৭ হাজার ৬৭।

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে সরকারি ও বেসরকারি ১২৬টি হাসপাতালে ১২ হাজার ৯৮৮টি সাধারণ শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেখানে ভর্তি রয়েছে ৩৬১ জন করোনা রোগী। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জনস্বাস্থ্যবিষয়ক পরামর্শক কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. আবু জামিল ফয়সাল  বলেন, বর্তমানে স্বাস্থ্যবিধি মোটেও মানা হচ্ছে না। সংক্রমণের তীব্রতা কম তাই মানুষ পরীক্ষাও করে না। এতে আক্রান্ত মানুষটি অন্যদের মাঝে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। গত ঢেউগুলোতেও পরীক্ষা করার সংখ্যাটা খুব বেশি না থাকলেও এখনকার থেকে অনেক বেশি ছিল। আগের ঢেউগুলোয় আক্রান্ত ব্যক্তিরা কিছুটা হলেও আইসোলেশনে থাকত। স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে উল্লেখ করে এ জনস্বাস্থ্যবিদ বলেন, বর্তমানে এক-দুজন করে মৃত্যু হচ্ছে, হঠাৎ করে এটা বেড়েও যেতে পারে। দীর্ঘমেয়াদি রোগ যেমন ডায়াবেটিস, কিডনি, ক্যান্সার, উচ্চরক্তচাপে ভোগা ব্যক্তি ও বয়োবৃদ্ধরা আক্রান্ত বেশি হলে মৃত্যু প্রভাবিত হবে। এখনো বহু ব্যক্তি বুস্টার ডোজ টিকা নেয়ার বাইরে রয়ে গেছেন।

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারের পক্ষ থেকে ছয়টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এ নির্দেশনায় বলা হয়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধ করতে সব গণমাধ্যমে অনুরোধ জানাতে হবে। সব ক্ষেত্রে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা, নো মাস্ক নো সার্ভিস নীতি প্রয়োগ করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, জনসমাগম যথাসম্ভব বর্জন করতে হবে। ধর্মীয় প্রার্থনার স্থানগুলোয় (যেমন মসজিদ, মন্দির, গির্জা ইত্যাদি) মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এছাড়া  জ্বর, সর্দি, কাশি বা কোভিড-১৯-এর উপসর্গ দেখা দিলে পরীক্ষার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে হবে। দোকান, শপিং মল, বাজার, ক্রেতা-বিক্রেতা, হোটেল-রেস্টুরেন্ট সবাইকে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান করতে হবে। অন্যথায় তাকে আইনানুগ শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন ও মাস্ক পরিধানের বিষয়ে সব মসজিদে জুমার নামাজের খুতবায় ইমামরা সংশ্লিষ্টদের সচেতন করবেন।

করোনা সংক্রমণের নতুন ঢেউ বা পর্যায় শুরু হয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন  বলেন, বলা হচ্ছে চতুর্থ বা পঞ্চম ঢেউ শুরু হয়ে গিয়েছে। বিষয়টি তো সরকারিভাবে বলার কিছু নয়। আমাদের দেশে ৮০ শতাংশ মানুষকে দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেয়া হয়েছে। তৃতীয় ডোজ বা বুস্টার ডোজ দেয়া যায়নি প্রায় একই সংখ্যক মানুষকে। তৃতীয় ডোজ দিলেও যে সংক্রমণ কমবে তা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। অনেক দেশে চতুর্থ ডোজ দেয়ার পরও সংক্রমণ কমানো যায়নি। সংক্রমণ ঠেকাতে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিকল্প নেই। অনেক দেশে ঘোষণা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি শিথিল করা হয়েছে, তবে আমাদের দেশে এমন কিছুই করা হয়নি। তবুও মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা নেই বললেই চলে। উল্লেখ্য, দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী প্রথম শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। এরপর মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে প্রথম মৃত্যুর কথা জানায় সরকার।

নিউজ ট্যাগ: করোনাভাইরাস

আরও খবর



গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গুচ্ছভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের মানবিক অনুষদভুক্ত বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আগামীকাল শুক্রবার (৩ মে) অনুষ্ঠিত হবে। এদিন বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা আয়োজনের জন্য ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জিএসটি কর্তৃপক্ষ।

জিএসটি কর্তৃপক্ষের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, গুচ্ছের বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য এবার ৯৪ হাজার ৬৩১ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষাসংক্রান্ত অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্নের জন্য পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগেই সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে পৌঁছানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

নির্বিঘ্নে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্নের জন্য জিএসটি কর্তৃপক্ষ প্রায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন গুচ্ছ ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক ও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনও। পাশাপাশি পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের অভিবাবকরা যেন কেন্দ্রে না আসেন, সেজন্য অনুরোধ করেছেন তিনি।

ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেছেন, দেশজুড়ে তাপপ্রবাহ চলছে। যেহেতু শিক্ষার্থীরা তাদের সুবিধা অনুযায়ী নিকটবর্তী কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন, সেহেতু এবার আমরা অভিভাবকদের কেন্দ্রে না আসার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।


আরও খবর



‘হিটস্ট্রোকে’ এক সপ্তাহে ১০ জনের মৃত্যু: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে হিটস্ট্রোকে গত এক সপ্তাহে ১০ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে সোমবার (২৯ এপ্রিল) তিনজনের মৃত্যু হয়েছে হিটস্ট্রোকে। তিনজনই পুরুষ।

এছাড়া হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে আরও পাঁচজন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এসব তথ্য জানায়।

কন্ট্রোল রুম জানায়, এ পর্যন্ত সারা দেশে হিটস্ট্রোকে মারা যাওয়া ১০ জনের মধ্যে আটজন পুরুষ ও দুজন নারী। হিটস্ট্রোকে নতুন করে মারা যাওয়া তিনজনের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে মাদারীপুর জেলায়। আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রাম জেলায়।

তারা জানায়, মারা যাওয়া ১০ জনের মধ্যে দুজন মাদারীপুরের। এ ছাড়া চুয়াডাঙ্গা, খুলনা, হবিগঞ্জ, রাজবাড়ী, ঝিনাইদহ, লালমনিরহাট, বান্দরবান ও চট্টগ্রাম জেলায় একজন করে মারা গেছেন।

উষ্ণতাজনিত অসুস্থতার চিকিৎসায় একটি গাইডলাইন তৈরি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত ২২ এপ্রিল এই নির্দেশিকা ব্যবহারে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।


আরও খবর



কালবৈশাখী ঝড়ে গাছচাপায় অন্তঃসত্ত্বা মা ও ছেলের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুরে কালবৈশাখী ঝড়ে ঘরে গাছ পড়ে অন্তঃসত্ত্বা নারী ও তার ৫ বছর বয়সী সন্তান নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও একজন আহত হয়েছেন। শনিবার (৪ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে নিয়ামতপুর হাজিপাড়া ঘোনারবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- ওই গ্রামের আব্দুল কাইয়ুমের ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মোছা. রুপ তারা (৪৫) এবং তার ছেলে তাইজুল ইসলাম (৫)।

করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শনিবার দিবাগত রাত অনুমানিক সাড়ে ১১টার সময় প্রচণ্ড ঝড় শুরু হলে করিমগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর হাজিপাড়া ঘোনারবাড়ি গ্রামে কৃষক আ. কাইয়ুমের দোচালা টিনের ঘরে একটি গাছ উপড়ে পড়ে। এতে ঘর ভেঙে আ. কাইয়ুমের ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মোছা. রুপ তারা এবং তার ছোট ছেলে তাইজুল ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনায় রুপ তারার মা আহত হয়েছেন।


আরও খবর



‘ইসরায়েল হামলা চালালে সেকেন্ডের মধ্যে জবাব দেবে ইরান’

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

এবার ইসরায়েলকে আরও কঠোর হুঁশিয়ারি দিলো ইরান। দেশটির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলি বাঘেরি কানি বলেছেন, ইসরায়েল যদি আবার আক্রমণ চালায়, তবে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে তার জবাব দেবে ইরান।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাতে ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাঘেরি বলেন, ইসরায়েলের যে কোনো প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তেহরানের পাল্টা আক্রমণ হবে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের ব্যাপার। ইরান এবার জবাব দেওয়ার জন্য ১২ দিন অপেক্ষা করবে না; এমনকি, এক ঘণ্টাও দেরি করবে না।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ফ্রান্সকে ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান না নিতে আহ্বান জানিয়েছেন ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর জ্যেষ্ঠ মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল ফজল শেকারচি। তিনি বলেন, ইরান প্রমাণ করেছে যে তারা যুদ্ধবাজ নয় ও যুদ্ধের বিস্তার চায় না। তবে ইসরায়েল যদি প্রতিশোধ বা উসকানিমূলক কোনো আগ্রাসন চালায়, তবে ইরান আরও শক্তিশালী জবাব দেবে।

গত শনিবার (১৩ এপ্রিল) ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে নজিরবিহীন হামলা চালায় ইরান। সম্প্রতি সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে ১৩ জনকে হত্যার প্রতিক্রিয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানায় তেহরান। দামেস্কে ১ এপ্রিলের ওই হামলার পরপরই কঠোর প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল ইরান।


আরও খবর



পদ্মা সেতুতে একদিনে প্রায় ৫ কোটি টাকা টোল আদায়ের রেকর্ড

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

একদিনে টোল আদায়ে সর্বোচ্চ রেকর্ড গড়েছে পদ্মা সেতু। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) পদ্মা সেতুতে টোল আদায়ের এই নতুন রেকর্ড তৈরি হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় সেতু পাড়ি দিয়েছে ৪৫ হাজার ২০৪টি যানবাহন। এতে টোল আদায় হয়েছে ৪ কোটি ৯০ লাখ ৬৭ হাজার ৫০ টাকা। যা একদিনে টোল আদায়ের সর্বোচ্চ রেকর্ড। পদ্মা সেতু সাইট অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আমিরুল হায়দার চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রায় গতকাল যানবাহনের ঢল থাকলেও আজ অনেকটাই চাপশূন্য ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে ও পদ্মা সেতুর মাওয়া টোলপ্লাজা। ঈদযাত্রার শেষ দিনে বুধবার (১০ এপ্রিল) সকাল থেকে এই পথে যানবাহনের ক্রমাগত উপস্থিতি থাকলেও নেই কোনো জট কিংবা গাড়ির সারি। এতে অনেকটাই ভোগান্তিহীন স্বস্তি নিয়ে বাড়ি ফিরছে মানুষ।

সেতু সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এদিন সেতুর মাওয়া প্রান্ত হয়ে ৩০ হাজার ৩৩০টি ও জাজিরা প্রান্ত হয়ে ১৪ হাজার ৮৭৪টি যানবাহন সেতু পাড়ি দেয়। এতে মাওয়া প্রান্তে ইটিসিএস, ক্রেডিটসহ আয় হয় ২ কোটি ৭৬ লাখ ৬৯ হাজার ৬৫০ টাকা আর জাজিরা প্রান্তে আয় হয় ২ কোটি ১৩ লাখ ৯৭ হাজার ৪০০ টাকা।

এর আগে পদ্মা সেতুর সর্বোচ্চ টোল আদায় হয়েছিল গতবছর ২০২৩ সালের ২৭ জুন। সেদিন সেতু দিয়ে ৪৩ হাজার ১৩৭টি যানবাহন পারাপার হয়। টোল আদায় হয় ৪ কোটি ৬০ লাখ ৫৩ হাজার ৩০০ টাকা। যা বর্তমানে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সেতু তৃতীয় সর্বোচ্চ টোল আদায়ের পরিমাণ ৪ কোটি ১৯ লাখ ৩৯ হাজার ৬৫০ টাকা। যা আদায় হয়েছিল গত বছরের ৮ জুলাই।

সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে আরও জানা যায়, এ পর্যন্ত সেতুতে মোট টোল আদায় হয়েছে ১৪৫৩ কোটি ১৪ লাখ ১২ হাজার ৮০০ টাকা। মোট যানবাহন পারাপার হয়েছে ১ কোটি ৮ লাখ ৫৫ হাজার ৬৬২টি।

দেখা যায়, মাওয়া টোলপ্লাজায় ৭টি বুথের মধ্যে ৬টি দিয়ে গণপরিবহন ও পণ্যবাহী ট্রাকসহ বিভিন্ন ব্যক্তিগত যানবাহন পাড়ি দিচ্ছে সেতু। মোটরসাইকেলের জন্য রয়েছে অপর একটি নির্ধারিত টোলবুথ। টোলপ্লাজায় আসা মোটরসাইকেল পর্যায়ক্রমে সারিবদ্ধভাবে টোল প্রদান করে সেতুতে উঠছে। তবে মোটরসাইকেল আরোহীদের হেলমেট ছাড়া উঠতে দেওয়া হচ্ছে না সেতুতে। গাড়ির উপস্থিতি তেমন না থাকায় টোল প্রদানে খুব একটা অপেক্ষা করতে হচ্ছে না কাউকে।


আরও খবর