আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

কৃষ্ণ প্রেমের টানে রাজপথে জন্মাষ্টমীর মহাশোভাযাত্রা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ আগস্ট ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে দুষ্টের দমন, শিষ্টের পালন এবং ধর্ম রক্ষার লক্ষ্যে মহাবতার ভগবান রূপে জন্মগ্রহণ করেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। অর্ধরাত্রিকাল সময় রোহিণী নক্ষত্র উঠলো।সঙ্গে সঙ্গে প্রকৃতি মাতা তাঁর ভাণ্ডার উন্মোচন করে দিলেন। 

চতুর্দিকে এক দিব্যজোতি দেখা গেলো। বনের পশু, পক্ষী, বৃক্ষ প্রত্যেকেই নিজ নিজ আনন্দে উদ্ভাসিত হলো। নদী, সাগরে জলতরঙ্গের জোয়ার উঠলো। চতুর্দিকে কেবল আনন্দ। স্বর্গের দেবতারা স্তব করতে লাগলেন, আনন্দ শঙ্খধ্বনি বাজাতে শুরু করলেন এবং পুষ্পবৃষ্টি করতে লাগলেন। এই শুভ মুহূর্তে বসুদেব চর্তুভূজ, শঙ্খ-চক্র-গদা-পদ্মধারী সুন্দর আকৃতি ও তেজঃপুঞ্জ কলেবর সেই নবজাতককে দেখতে লাগলেন। ভগবান তাঁর পুত্ররূপ নিয়ে জন্ম নিয়েছেন। 

সঙ্গে সঙ্গে তিনি ও দেবকী ভগবানের স্তব করতে আরম্ভ করলেন। ঠিক সেই মুহূর্তে বসুদেব ভগবানের আদেশ অনুসারে পুত্রকে সঙ্গে নিয়ে কংসের কারাগার থেকে বাইরে এলেন। একে একে বৃহৎ লৌহ কপাট সব খুলে গেল। 

ঠিক তখনই যশোদার গৃহে যোগমায়া জন্ম নিলেন। প্রচণ্ড বজ্রবিদ্যুৎপূর্ণ রাতে অনন্তদেব সহস্র ফনা বিস্তার করে বৃষ্টির হাত থেকে নিস্তারের জন্য বসুদেবের পিছু নিলেন। মথুরাবাসী এবং ব্রজবাসীদের অজান্তে নিশুতি রাতের সমস্ত ঘটনার সাক্ষী রইলেন শুধুমাত্র দেবতারা। 

এদিকে নন্দের পুত্র জন্মগ্রহণ করার পর পরমানন্দে নতুন বস্ত্র ধারণ ও তিলক লেপে ব্রাহ্মণকে ডেকে পুত্রের জাত কর্ম করালেন। ব্রজবাসীরা মহানন্দে নন্দ উৎসব করতে লাগলেন। ব্রজের গোপরা আনন্দে আত্মহারা হয়ে গেলেন। কৃষ্ণের জন্ম সংবাদে আকাশ-বাতাস, জল, পশু, পক্ষী, বাগানের পুষ্প সকলেই আনন্দে আত্মহারা হয়ে উঠলো। ব্রজবাসীর ঘরে আনন্দের প্লাবন। 

শোভাযাত্রা কয়েক লাখ মানুষের অংশগ্রহণে পরিণত হয় মিলনমেলায়। বিভিন্ন সাজে সজ্জিত হয়ে নেচে গেয়ে বাদ্য বাজনা বাজিয়ে মহাশোভাযাত্রা রাজপথ পরিভ্রমণ করে। শিশু, মহিলা, বৃদ্ধ থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের মানুষের ছিল সরব অংশগ্রহণ, যেন কৃষ্ণ প্রেমের এক অদৃশ্য টানে ছুটে চলেছেন তারা শেকড়ের সন্ধানে।  


আরও খবর
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী আজ

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩




দুর্নীতির মামলায় বিএনপি নেতা আমানের স্ত্রী কারাগারে

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

দুর্নীতির মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমানের স্ত্রী সাবেরা আমানের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক আবুল কাশেম কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন।

এদিন আদালতে আত্মসর্পণ করে জামিনের আবেদন সাবেরা আমান। শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। 

আরও পড়ুন>> ভারতের ওড়িশায় বজ্রপাতে নিহত অন্তত ১০

২০০৭ সালের ৬ মার্চ সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানায় আমান দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। ওই বছরের ২১ জুন আমান উল্লাহ আমানকে ১৩ বছর এবং তার স্ত্রী সাবেরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন বিশেষ জজ আদালত। এরপর ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন তারা। ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট তাদের খালাস দেন।

পরে হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করে দুদক। আপিল বিভাগ ২০১৪ সালের ২৬ মে হাইকোর্টের রায় বাতিল করে আপিলটি পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন।

আরও পড়ুন>> ঢাকার সঙ্গে সারা দেশের রেল চলাচল বন্ধ

গত ৩০ মে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় আমানের ১৩ বছর ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের তিন বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখে আদেশ দেন। উচ্চ আদালতের রায়ে অনুলিপি পৌঁছানোর ১৫ দিনের মধ্যে আমান দম্পতিকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়।


আরও খবর



কোথাও বলিনি পাঁচ ম্যাচের বেশি খেলব না: তামিম

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

বিশ্বকাপের স্কোয়াড ঘোষণার শেষ দিন ২৮ সেপ্টেম্বর। এ সময়ের দুই দিন আগেই দল দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যেখানে সবচেয়ে বড় চমক তামিম ইকবালের জায়গা না পাওয়া। নির্বাচকদের ব্যাখ্যা চোটের কারণে এ অভিজ্ঞ ওপেনারকে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে নেওয়া হয়নি।

এ বিষয় নিয়ে দেশ সেরা ওপেনার তামিম ইকবাল ফেসবুকের এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, বিশ্বকাপে ৫ ম্যাচের বেশি খেলব না এমন কথা আমি কখনো বলিনি। এমনকি জাতীয় দলের নির্বাচকরা বলেছেন আমি আনফিট। কিন্তু ফিজিও রিপোর্টে খেলার জন্য আমার কোনো বাধা ছিল না।

ভিডিও বার্তায় তামিম বলেন-আমাকে নিয়ে মিডিয়াতে যা লেখা হয়েছে আর যা ঘটছে তা পুরোপুরি উল্টো। আমি পুরো বিষয়টি আপনাদের জানাতে চাই। আমার কাছে মনে হয় আমার ফ্যান এবং ক্রিকেট লাভার সবার বিষয়টি জানা উচিত।

আমি অবসরে যাওয়ার পেছনেও একটা কারণ ছিল। প্রধানমন্ত্রী বলায় আমি ফিরে এসেছি। আমি নিজেকে ফিট করার জন্য বোর্ডের চাহিদা মতো সব কিছু করেছি।

চোট থেকে ফিরে আমি প্রথম ম্যাচে ৩০-৩৫ ওভার ফিল্ডিং করেছি। দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছি, তখন চেষ্টা করেছি রান করার এবং আমি নিজে কেমন খেলি সেটা আমার নিজেরও দেখা দরকার ছিল।

নিউজ ট্যাগ: তামিম ইকবাল

আরও খবর



শ্রীলংকার বিপক্ষেও কি ওপেনিংয়ে নাইম-মিরাজ?

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

শ্রীলঙ্কার সাথে প্রথম দিন বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার ছিল ভুলে ভরা। শ্রীলঙ্কায় থিকসেনা আর ধনঞ্জয় ডি সিলভার মত দু'দুজন হাই কোয়ালিটি অফস্পিনার থাকার পরও বাংলাদেশ ব্যাটিং অর্ডারে প্রথম ৪ জনই বাঁহাতি ব্যাটার খেলানো হয়েছে। ওপেন করেছেন দুই বাঁহাতি তানজিদ তামিম ও নাইম শেখ। ওয়ান ডাউন খেলেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। আর চার নম্বর পজিশনে ছিলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

প্রথম ৪ জন বাঁহাতি ব্যাটার হওয়ায় লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকার কৌশল ও পরিকল্পনা সাজাতে সুবিধা হয়েছে। তিনি ২ অফস্পিনার থিকসেনা ও ধনঞ্জয় ডি সিলভাকেই শুরুতে ব্যবহার করেছেন। তারা সফলও হয়েছেন।

ঠিক পরের ম্যাচেও আফগান একাদশে ছিলেন দুই অফস্পিনার মুজিব উর রহমান আর মোহাম্মদ নবি। তবে সে খেলায় টপ অর্ডারে প্রথম ৪ বাঁহাতি ব্যাটারের বদলে কৌশল পাল্টে নাইম শেখের সঙ্গে মেকশিফট' ওপেনার হিসেবে মেহেদি হাসান মিরাজকে খেলানো হয়।

তিন নম্বরে নাজমুল হোসেন শান্তর বদলে পাঠানো হয় হৃদয়কে। তাতে করে প্রথম ৪ জনের মধ্যে সমান দুজন করে ডান ও বাঁহাতি ব্যাটার খেলেন। আর সে কারণেই শুরুতে আফগান অফস্পিনাররা চেপে বসতে পারেননি। মেহেদি মিরাজ আর নাজমুল শান্ত দুজনই শতরান হাকিয়ে দলকে সাড়ে তিনশোর খুব কাছে পৌঁছে দেন। শেষ পর্যন্ত আফগানিস্তানের সাথে ৮৯ রানের বড় জয়ের দেখা মেলে। তাতে করে সুপার ফোরও হয় নিশ্চিত।

পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচেও সে ফর্মুলায় হাঁটে টিম ম্যানেজমেন্ট। নাইম শেখের সঙ্গে মিরাজকে দিয়ে ওপেন করানো হয়। আফগান বোলারদের বিপক্ষে শতরান করলেও পাকিস্তানের সাথে মিরাজ প্রথম বলেই ফিরে যান। হারিস রউফ, শাহিন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ ও ফাহিম আশরাফের সাঁড়াশি পাকিস্তানি ফাস্টবোলিংয়ের বিপক্ষে দুই অভিজ্ঞ যোদ্ধা সাকিব আর মুশফিক ছাড়া আর কেউ হালে পানি পাননি। ১৯৩ রানে অলআউট হয়ে ৭ উইকেটের পরাজয় সঙ্গী হয় সাকিব বাহিনীর।

এখন সবার একটাই প্রশ্ন, আগামীকাল ৯ সেপ্টেম্বর কী করবে বাংলাদেশ? শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কি আবার আগের ফর্মূলায় ফিরে যাবেন অধিনায়ক সাকিব? আবারও টপ অর্ডারে বাঁহাতির সংখ্যা বাড়বে? মানে দুই বাঁহাতি নাইম শেখ আর তানজিদ তামিমই কি আবার ইনিংসের সূচনা করবেন? নাকি নাইম শেখের সাথে মিরাজকে দিয়েই ওপেন করানো হবে?

যেহেতু প্রথম ম্যাচে চার বাঁহাতিকে শুরুতে খেলিয়ে ভুগতে হয়েছিল, তাই আরেকবার সেই ভুল সম্ভবত করবে না বাংলাদেশ। সেক্ষেত্রে মিরাজ পাকিস্তানের বিপক্ষে ব্যর্থ হলেও ওপেনিংয়ে ডানহাতি বাঁহাতি কম্বিনেশন ঠিক রাখতে আরও একবার শুরুতে ব্যাটিংয়ে আসতে পারেন। ফলে মিরাজ-নাইম জুটিকেই দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।


আরও খবর



নতুন দিনের স্বপ্ন নিয়ে যেতে চাই বহুদূর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
এস এম নুরে আলম সিদ্দিকী

Image

বর্তমানে দেশের মুদ্রিত সংবাদপত্র এক কঠিন সময় পার করছে। কারণ ছাপার কাগজ ও ছাপার সামগ্রীর দাম যেভাবে বাড়ছে তাতে পত্রিকা চালানো অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন অনেক বড় বড় পত্রিকারও সার্কুলেশন কমিয়ে ফেলেছে। আমাদেরও কমাতে হচ্ছে। কারণ কাগজের দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে, বেড়েছে প্লেটসহ অন্যান্য সামগ্রীরও দাম। এমন পেক্ষাপটে পত্রিকারও মূল্য বৃদ্ধি করা সম্ভব নয়, কারণ তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে মুদ্রিত সংবাদপত্রের পাঠক কমে গেছে বিপুলভাবে। অথচ পাঠকই সংবাদপত্রের প্রাণ ও মূল চালিকাশক্তি।

অনলাইন নিউজপোর্টালে প্রকাশিত সংবাদ তাৎক্ষণিকভাবে মুছে ফেলা যায়। কিন্তু ছাপা সংবাদ মুছে ফেলার সুযোগ নেই। কারণ প্রিন্ট ইজ প্রুফ (ছাপাই প্রমাণ)। এ জন্যই আমি আশাবাদী, যতোই প্রতিকূলতা আসুক না কেন প্রিন্ট পত্রিকা টিকে থাকবে। ভবিষ্যতে অতীত হবে না ছাপা কাগজ।

সংবাদপত্র সাধারণ মানুষের কথা বলে, সমাজের কথা বলে, দেশের কথা বলে। দেশ পরিচালনায় সরকারের ভুলত্রুটি তুলে ধরে, সমালোচনা করে সরকারকে সঠিক পথনির্দেশনা দেয়। রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে সংবাদপত্র সমাজকে সজাগ করে, সম্ভাবনার কথা বলে। সমাজ প্রগতির কথা বলে, সমাজকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করে। এ কারণে সংবাদপত্রকে সমাজের দর্পণ বলা হয়। সেই দর্পণে সমাজের সঠিক চিত্র প্রতিফলিত হওয়াটাই স্বাভাবিক। সংবাদপত্র পরিচ্ছন্নভাবে পরিচালনা করা সমাজের সঠিক প্রতিবিম্ব ও প্রতিফলনের চিত্র তুলে ধরার পূর্বশর্ত। তাই সংবাদপত্রকে সমাজের অন্যকোনো বিষয়ের সাথে তুলনা করা চলে না। এ কারণে সংবাদপত্র ও সাংবাদিককে চলতে হয় বন্ধুর পথে, অতিক্রম করতে হয় অনেক দুর্গম পথ। এভাবেই সংবাদপত্র হয়ে ওঠে সাধারণ মানুষের আস্থার প্রতীক।

আর সেই সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করে হাঁটি হাঁটি পা পা করে আমরা পেরিয়ে এসেছি অনেকটা পথ। আজ (২২ সেপ্টেম্বর) আজকের দর্পণের জন্মদিন। ৯ বছর আগে ‘সত্যের খোঁজে প্রতিদিন’ স্লোগান নিয়ে আমার বড়ভাই মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপির সম্পাদনা ও প্রকাশনায় আজকের দর্পণ-এর যাত্রা শুরু করেছিলেন। অদম্য মনোবল আর প্রচণ্ড সাহস নিয়ে শুরু হয়েছিল আজকের দর্পণের পথচলা। নানা বাধাবিপত্তি ডিঙিয়ে নয়টি বছর পেরিয়ে দশ বছরে পর্দার্পণ করলো আজকের দর্পণ।

এরই মধ্যে পাঠকের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে পত্রিকাটি। ব্যাপক জনপ্রিয় না হলেও পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে ‘আজকের দর্পণ’ এ আমার আত্মবিশ্বাস। পত্রিকাটির জন্ম আমার হাতে না হলেও আজ এটি আমার সন্তানের মতো। এ কাগজটি প্রতিষ্ঠিত করার পেছনে প্রিয়পাঠক, বিজ্ঞাপনদাতা ও শুভানুধ্যায়ীদের ভূমিকাই বেশি।

একমাত্র পাঠকের ভালোবাসায়, বিজ্ঞাপনদাতাদের সহযোগিতায়, হকার ও এজেন্টদের আন্তরিকতায় কোনো বড় গ্রুপের অর্থলগ্নি ছাড়াই পথ চলছে ‘আজকের দর্পণ’। এ আমাদের এক অন্যরকম শক্তি। এ কারণেই ‘আজকের দর্পণ’ কারো মুখাপেক্ষী নয়। ‘আজকের দর্পণ’ এমন একটি জাতীয় দৈনিক যেটা দেশের কথা বলবে, দেশের মানুষের কথা বলবে। এ দেশের আপামর মানুষের কণ্ঠই প্রতিধ্বনিত হচ্ছে ‘আজকের দর্পণ’ পত্রিকায়। এ জায়গা থেকে আমরা একটুও সরে আসিনি, একচুল পরিমাণও ছাড় দেইনি। দেশপ্রেম প্রশ্নে একচুলও আপস করিনা আমরা। ‘আজকের দর্পণ’ বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে দেশের মানুষের কাছেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কোনো দল বা গোষ্ঠীর কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নয়, দায়বদ্ধও নয়। তাই ‘আজকের দর্পণ’ সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলতে দ্বিধা করে না। এর ব্যত্যয় ঘটবে না কখনো।

প্রিয় পাঠক, আপনাদের সাথে নিয়েই আমাদের এ পথচলা। আমাদের এ পথচলায় আমরা সবসময় আপনাদের পাশে পেয়েছি। আপনাদের সহযোগিতায় আমাদের এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে। আপনাদের অবদানের কথা আমরা সবসময়ই কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করি। আপনাদের ভালোবাসায় ‘আজকের দর্পণ’ অসম সাহস ও ধৈর্য নিয়ে এগোবেই।

সম্প্রতি আজকের দর্পণ-এর ই-পেপার ও অনলাইন পোর্টাল আরো আপগ্রেড করা হয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে পত্রিকাটিকে আরো পাঠকপ্রিয় কাগজে পরিণত করা হবে। আর এ জন্য প্রয়োজন পাঠক, বিজ্ঞাপনদাতা  ও শুভানুধ্যায়ীদের সমর্থন ও সহযোগিতা। আশা করি, আপনাদের পরামর্শ ও সহযোগিতার হাত আগের মতো প্রসারিত থাকবে।

পরিশেষে আজকের দর্পণের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রিয়পাঠক, বিজ্ঞাপনদাতা ও শুভানুধ্যায়ীদের জানাই আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন। সবাই সুস্থ থাকুন, নিরাপদে থাকুন। যতোই সংকট থাকুক, প্রতিকূলতা আসুক, নতুন দিনের স্বপ্ন নিয়ে আমরা যেতে চাই বহুদূর।


সম্পাদক ও প্রকাশক, আজকের দর্পণ


আরও খবর
জীবনযাত্রার ব্যয় সংকটে অস্থির ইউকে এবং ইইউ

বৃহস্পতিবার ২৩ ফেব্রুয়ারী 20২৩




অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন শুরু আগামী সপ্তাহে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩১ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩১ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শুরু হচ্ছে আগামী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস থেকে। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে ফরম পূরণ ও ফি জমা দেয়া যাবে। বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন ফি জরিমানা ছাড়া ৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব বিষয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের জানিয়ে ইতোমধ্যে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ড।

শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের তথ্য আপলোড করতে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সমন্বয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি রেজিস্ট্রেশন কমিটি গঠন করতে হবে। অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হওয়ার পর চূড়ান্ত তালিকা ফাইনাল সাবমিটের আগে কমিটির সদস্যদের দ্বারা ভর্তি ফরম ও সনদের সঙ্গে মিলিয়ে যথাযথভাবে নিশ্চিত হবেন। নিশ্চিত হওয়ার পর ফাইনাল সাবমিট করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন হওযার পর চূড়ান্ত তালিকা প্রিন্ট আউট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের।

বোর্ড বলছে, নতুন পাঠদানের অনুমতি পাওয়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় (যেসব প্রতিষ্ঠান ইতোপূর্বে নিজ নামে জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়নি) ব্যানবেইস থেকে ইআইআইএন সনদ সংগ্রহ করার পর সোনালী ব্যাংকের সোনালী সেবার মাধ্যমে ১ হাজার ৫০০ টাকা জমা দিয়ে বোর্ডের স্কুল শাখার মাধ্যমে লগইন পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করবে।

বোর্ড জানিয়েছে, শিক্ষার্থীর বাবা-মায়ের এসএসসি সনদ থাকলে তাদের মূলসনদ অনুযায়ী বা প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা পাসের সনদ অনুযায়ী বাবা মায়ের নাম এন্ট্রি করতে হবে। শিক্ষার্থীর বাবা মা এসএসসির সনদধারী না হলে হলে জন্মনিবন্ধন সনদ বা জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী বাবা-মায়ের নাম এন্ট্রি করতে হবে। শিক্ষার্থীরা নামের আগে মিস্টার, মিসেস, শ্রী, শ্রীমতি ইত্যাদি থাকলে তা ব্যবহার করা যাবে না। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি হালনাগাদ থাকতে হবে।

বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সব তথ্য নিশ্চিত হয়ে ডাটা এন্ট্রি করতে হবে। নির্ধারিত তারিখের মধ্যে শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন করতে না পারলে এর দায় প্রতিষ্ঠান প্রধানকে নিতে হবে। হালনাগাদ স্বীকৃতি নবায়ন নেই এ ধরণের কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করলে পরবর্তীতে রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

নিউজ ট্যাগ: অষ্টম শ্রেণি

আরও খবর