আজঃ মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

কতদিন পর পর ফেসিয়াল করলে উপকার পাবেন?

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

ত্বক ভালো রাখার জন্য স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি কিছু যত্নও নেওয়া প্রয়োজন। ত্বকে যদি ফেসিয়াল করেন তবে তা ত্বককে সুন্দর করতে কাজ করে। সেইসঙ্গে ত্বক কিছু প্রয়োজনীয় পুষ্টিও পায়। ফেসিয়াল করার চর্চা নারীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। তবে ফেসিয়াল কতদিন পর পর করতে হয় সে সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা নেই। কেউ হয়তো ঘন ঘন ফেসিয়াল করেন, কেউ আবার অনিয়মিত। চলুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত-

ফেসিয়াল ত্বকে উজ্জ্বলতা আনে: আপনি যদি মাসে দুইবার অর্থাৎ প্রতি ১৫ দিন পর পর ফেসিয়াল করেন তবে ত্বক পরিষ্কার থাকবে। সেইসঙ্গে ত্বকের মৃত কোষ দূর করে বাড়াবে উজ্জ্বলতা। আমাদের ত্বকের পোরস পরিষ্কার রাখতে কাজ করে এই পদ্ধতি। দূর করে হোয়াইটহেডস ও ব্ল্যাকহেডসও। তাই মাসে দুইবার ফেসিয়ালের সাহায্য নিতে পারেন। এতে ত্বকের শুষ্কতা দূর হবে এবং আর্দ্রতা বজায় থাকবে। তবে আপনার ত্বক যদি খুবই সেনসেটিভ হয়, সেক্ষেত্রে ফেসিয়াল করার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেবেন।

ফেসিয়াল যে কারণে প্রয়োজন: ফেসিয়াল হলো এক ধরনের স্কিনকেয়ার ট্রিটমেন্ট। এটি সম্পন্ন করতে আধ ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টার মতো সময় লাগে। ত্বক ভালো রাখতে এই ট্রিটমেন্ট করানো হয়। এক্সফোলিয়েশনের সাহায্যে ত্বকের মৃত কোষ সরিয়ে ফেলা হয়। সুদিং মাস্ক এবং ক্রিমের সাহায্যে সঠিক আর্দ্রতার জোগান দেওয়া হয়। ফেসিয়াল মাসাজ ত্বক টানটান রাখতে সাহায্য করে।

যেভাবে ফেসিয়াল করা হয়: ক্লিনজারের সাহায্যে মুখ পরিষ্কার করে নেওয়া হয়। স্ক্রাব ব্যবহার করে ত্বক এক্সফোলিয়েট করা হয়। ট্যান তোলার জন্যে একটি মাস্ক লাগানো হয়। ফেস মাসাজ করা হয়। এই সময়ে ত্বকের রিল্যাক্সেশনের দিকে নজর দেওয়া হয়। মালিশের পদ্ধতিতে ফেস কন্টোরিং করা হয়। ২০ মিনিট ধরে এই মাসাজ করা হয়। এবার মুখ পরিষ্কার করে ফেস প্যাক লাগানো হয়। মুখ আবার পরিষ্কার করে নেওয়া হয় এবং ক্রিম ও সানস্ক্রিন লাগানো হয়।

বাড়িতে ফেসিয়াল করবেন যেভাবে: ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন। তারপর স্ক্রাব ব্যবহার করে এক্সফোলিয়েট করে নিন। এরপর ফেস স্টিম নিন। অ্যালোভেরা জেলের সাহায্যে ভালো করে মুখ মাসাজ করে নিন। অন্তত ১০ মিনিট মাসাজ করবেন। এবার মুখ পরিষ্কার করে নিন এবং ফেসপ্যাক লাগান। ১০ মিনিট অপেক্ষা করে মুখ ধুয়ে ফেলুন এবং টোনার ও ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।

নিউজ ট্যাগ: ফেসিয়াল

আরও খবর



চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.৩ ডিগ্রি

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তীব্র তাপপ্রবাহ এখন প্রকট আকার ধারণ করে রূপ নিয়েছে অতি তাপপ্রবাহে। প্রতিদিনই বাড়ছে তাপমাত্রা। তাপমাত্রার পারদ ৪০ থেকে ৪১ ডিগ্রির ঘরে ওঠানামা করলেও তা ৪২ ডিগ্রি ছাড়ালো।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একইসঙ্গে তীব্র তাপ প্রবাহ শুরু হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এরআগে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) তীব্র দাবদাহের কারণে জেলায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যেতে নিষেধ করেছে জেলা প্রশাসন।

চলতি বছরের এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু, মাঝারি ও তীব্র তাপপ্রবাহ। শুধু চলতি বছর নয়, আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর টানা প্রায় ১৩ দিন ধরেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়েছে। আর এটি ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর আশপাশেই থাকছে। টানা তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে চুয়াডাঙ্গার জনজীবন। বর্তমানে সে তাপমাত্রা ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, বৈশাখের প্রথম সপ্তাহ থেকে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মাঝারি থেকে তীব্র দাবদাহ চলমান রয়েছে। দাবদাহের কারণে মানুষের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। আজও চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। এখনও পর্যন্ত কোনো বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা কমবে না। ২০২৩ সালে ১৯ ও ২০ এপ্রিল জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ বছর ৪৩ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যেতে পারে। তাপমাত্রা বেশি হওয়ার কারণে গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে।


আরও খবর



তাপপ্রবাহে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি নিয়ে আসছে নতুন সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে চলতি সপ্তাহজুড়ে বন্ধ রয়েছে প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিকের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আগামী শনিবার এই ছুটি শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

এদিকে, সিলেবাস শেষ করতে মাধ্যমিকের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি না বাড়িয়ে অনলাইনে ক্লাস চালুর চিন্তা করছে মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

অন্যদিকে, প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ছুটি বাড়ছে না কি ক্লাস কমিয়ে আগামী রবিবার থেকে খুলছে, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।

যদিও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একটি সূত্র বলছে, মাধ্যমিকের মতো ছুটি না বাড়িয়ে অনলাইন ক্লাস চালুর চিন্তা করছে শিক্ষা অধিদপ্তর এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টরা। সেক্ষেত্রে দুয়েকদিনের মধ্যে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের শীর্ষকর্তারা বৈঠকে বসে সিদ্ধান্ত নেবেন।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর সাপ্তাহিক ছুটিসহ অন্য ছুটি বাদে ১৮০ দিনের মতো প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা থাকার কথা। এর মধ্যে তাপপ্রবাহের কারণে অনির্ধারিতভাবে পাঁচ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এই ছুটি দীর্ঘায়িত হলে সিলেবাস শেষ করা অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে। এসব চিন্তা করেই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকলে অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার চিন্তা-ভাবনা চলছে।

গতকাল বুধবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত বলেন, তাপপ্রবাহের কারণে প্রাথমিকের ছুটি আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। এখন আগামী রবিবার থেকে ক্লাস কমিয়ে খুলছে নাকি ছুটি বাড়ানো হচ্ছে, সে বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আগামী শুক্রবার এ বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। এছাড়া অনলাইন ক্লাস চালুর কথাও ভাবছে।

এদিকে, সারাদেশের আবহাওয়ার পূর্বাভাস পাঁচদিনে উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে গতকাল বুধবার এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।


আরও খবর



টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আম্পায়ারের তালিকা প্রকাশ, আছেন সৈকত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

দরজায় কড়া নাড়ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। অংশগ্রহণকারী দলগুলোর মধ্যে বিশ্বকাপ নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে। ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে আইসিসিও। বিশ্ব আসরকে সামনে রেখে আম্পায়ার এবং ম্যাচ রেফারির তালিকা প্রকাশ করল ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

শুক্রবার (৩ মে) বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডের জন্য আম্পায়ার এবং ম্যাচ রেফারির তালিকা প্রকাশ করেছে আইসিসি। ২৬ জনের তালিকায় ম্যাচ রেফারি আছেন ৬ জন, আর আম্পায়ার আছেন ২০ জন। আম্পায়ারদের তালিকায় আছেন বাংলাদেশের শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। 

গত বছর ভারতে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপে আম্পায়ারিং করেছেন সৈকত। অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার টেস্ট ম্যাচে আম্পায়ারিং করে সুনাম কুড়িয়েছেন বাংলাদেশের এই আম্পায়ার। কয়েকদিন আগেই পেয়েছেন আইসিসির এলিট প্যানেল আম্পায়ারের স্বীকৃতি। ওয়ানডে বিশ্বকাপে আম্পায়ারিং করার আগে মেয়েদের বিশ্বকাপ এবং অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপেও আম্পায়ারিং করেছেন সৈকত।

চলতি বছরের ১ জুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে বসবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এবারের আসরে অংশ নেবে ২০ দল। ২৮ দিন ব্যাপী আসরের পর্দা নামবে ২৯ জুন।

বিশ্বকাপে দায়িত্বপ্রাপ্ত আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারিদের তালিকা

আম্পায়ার: ক্রিস ব্রাউন, কুমার ধর্মসেনা, ক্রিস জেফানি, মাইকেল গগ, আদ্রিয়ান হোল্ডস্টক, রিচার্ড এলিংওর্থ, আল্লাহুদিন পালেকার, রিচার্ড কেটেলবোরো, জয়ারামান মাদানাগোপাল, নিতিন মেনন, স্যাম নোগাস্কি, এহসান রাজা, রশিদ রিয়াজ, পল রাইফেল, ল্যাংটন রুসিয়ার, শহীদ সৈকত, রডনি টাকার, অ্যালেক্স হোয়ার্ফ, জোয়েল উইলসন ও আসিফ ইয়াকুব।

ম্যাচ রেফারি: ডেভিড বুন, জেফ ক্রো, রঞ্জন মাদুগালে, অ্যান্ড্রু পাইক্রফট, রিচি রিচার্ডসন ও জাভাগাল শ্রীনাথ।


আরও খবর
টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪




স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিতে ইবি ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ইবি প্রতিনিধি

Image

বর্বর ইসরায়েল বাহিনী কর্তৃক নিরীহ ফিলিস্তিনি মুসলিমদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগ। বিশ্বব্যাপী চলমান ছাত্র-আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে তারা এ বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভ শেষে ছাত্র সমাবেশেরও আয়োজন করে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

সোমবার (৬ মে) দুপুর ১ টায় ছাত্রলীগের দলীয় টেন্ড থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে সংঠনটি। এরপর ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় একইস্থানে এসে মিলিত হয়। এরপর সেখানে ছাত্রসমাবেশ করেন সংগঠনটি।

এসময় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি মৃদুল হাসান রাব্বি, রাকিবুল ইসলাম, আরিফুল ইসলাম খান ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম সহ বিভিন্ন হলের নেতা কর্মীরা।

এর আগে, কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন করেন সংগঠনটি। এসময় স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান দিতে থাকেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।

ফিলিস্তিনের উপরে ইসরায়েল কর্তৃক চলমান বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড বন্ধের দাবী জানিয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, ফিলিস্তিনের নিরীহ মানুষের ওপর ইসরায়েলের নির্যাতন নিপীড়ন বন্ধ করতে হবে। ফিলিস্তিনিদের উপর পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থী সমাজ, শিক্ষক ও সচেতন নাগরিকরা যে আন্দোলনের সূচনা করেছে আমরা তার প্রতি সংহতি প্রকাশ করছি। সেই সাথে আমরা একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি জানাই।


আরও খবর



সরকার পরিচালনাকারী সবাই ফেরেশতা নয় : তথ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সরকার যারা পরিচালনা করেন তারা সবাই ফেরেশতা নয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত।

সরকারের ব্যত্যয়-বিচ্যুতি ধরিয়ে দিতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, এ ধরনের সব সমালোচনাকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে যখন সমালোচনার নামে অপতথ্য, মিথ্যাচার, অপপ্রচারের মাধ্যমে এক ধরনের এজেন্ডা বেইজড, সিস্টেমেটিক মিথ্যাচার ছড়ানো হয়, সেগুলো আমরা বুঝি কে করছে, কারা করছে, কেন করছে। সেই বিষয়গুলোকে আমরা নিন্দা জানাই। কিন্তু গঠনমূলক সমালোচনাকে আমরা সব সময় স্বাগত জানাই এবং জানাবো। কারণ আমরা মনে করি না, সরকার যারা পরিচালনা করছেন, তারা সবাই ফেরেশতা। সবাই মানুষ। আমাদের ভুল-ত্রুটি হতে পারে, ব্যত্যয়-বিচ্যুতি থাকতে পারে, ব্যর্থতা থাকতে পারে। সেগুলো ধরিয়ে দেওয়ার জন্য গণমাধ্যম আছে, এটি গণমাধ্যমের দায়িত্ব। গঠনমূলকভাবে ধরিয়ে দিলে সেটি স্বীকার করে নিতে এবং সেগুলো শুদ্ধ করে নিতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।

শনিবার (৪ মে) বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে ‌গ্রহের জন্য গণমাধ্যম: পরিবেশগত সংকট মোকাবিলায় সাংবাদিকতা শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে সম্পাদক পরিষদ।

বৈঠকে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা জানি, আজকে পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে। এর জন্য প্রধানত দায়ী উন্নত বিশ্ব। এর প্রধান ভুক্তভোগী যারা হতে যাচ্ছে এর মধ্যে বাংলাদেশ একটি। বিশ্ব পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ একটি লিডারশিপ রোল নিয়েছে ভুক্তভোগীদের পক্ষে। কাজেই এখানে আমাদের সরকারিভাবে যে নীতি গ্রহণ করা হয়েছে পরিবেশ সুরক্ষার ক্ষেত্রে, সেখানে পরিবেশ সুরক্ষার জন্য যে সাংবাদিকতা সেই সাংবাদিকতাকে আমরা প্রণোদনা, উৎসাহ, সমর্থন ও সুরক্ষা দিতে চাই। এখানে কোনো বিরোধের জায়গা আমি দেখি না। তবে হ্যাঁ, ক্ষেত্রবিশেষে তৃণমূলে বিভিন্ন ধরনের ব্যত্যয় ঘটে। সেই ব্যত্যয়গুলোকে আমাদের সাংবাদিক বন্ধুরা তুলে ধরবেন। সরকারের অবস্থান পরিবেশ সুরক্ষার পক্ষে।

তিনি বলেন, শুধু পরিবেশ সুরক্ষা না, মুক্ত গণমাধ্যম, গণমাধ্যমের সুরক্ষা এবং মুক্ত গণমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা নিশ্চিত করা সেই বিষয়েও আমাদের অঙ্গীকার আছে এবং থাকবে। তবে রাজনীতিতে যেমন অনেক ক্ষেত্রে অপরাজনীতি আছে, বিভিন্ন পেশায় যেমন কিছু নেতিবাচক দিক আছে, তেমন তথ্যের সাথেও আমরা অপতথ্যের বিস্মৃতি অনেক সময় দেখি। সাংবাদিকতার ক্ষেত্রেও আমরা অপসাংবাদিকতা আমরা দেখি। এটি শুধু আমি বলছি না, আমাদের সাংবাদিক বন্ধুরাও বলেন। সব সাংবাদিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, যেগুলোর রেজিস্ট্রেশন নেই, সেগুলো বন্ধ করে দেন।

মফস্বলের সাংবাদিকতা একটু কঠিন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ঢাকায় তো বিভিন্ন ধরনের প্রটেকশন পাওয়া যায়। এই কঠিনটা যাতে সহজতর হয়, সেই পদক্ষেপ আমরা নেব। আবার এটাও সত্যি, মফস্বলে অপসাংবাদিকতার চর্চা অনেক হয়। যেখানে পেশাদারিত্বের অভাব দেখা যায়। এই অপসাংবাদিকতার চর্চা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করে পেশাদার সাংবাদিকদের। তারা (সাংবাদিক সংগঠন) নিজেরাই এই কথা বলছেন। তারা বলছেন, এখানে শৃঙ্খলা আনা দরকার, আমরা (সরকার) বলছি না। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে গণমাধ্যমের রেজিস্ট্রেশনসহ এ ধরনের কিছু পদক্ষেপ আমি নিচ্ছি।

মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়েও বিশাল দাবি আছে। গণমাধ্যমকর্মী আইন গত সংসদে পাশ হওয়ার কথা ছিল। শেষের দিকে এসে এটি স্ট্যান্ডিং কমিটিতে গিয়েছিল। আমি সেই গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়ে নতুন করে আবার কাজ শুরু করছি। যতগুলো সাংবাদিক সংগঠন আছে সবাইকে মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে, প্রতিটি সংগঠন থেকে দুইজন করে প্রতিনিধি দেওয়ার জন্য। তাদের সঙ্গে বসে গণমাধ্যমকর্মী আইনটি পর্যালোচনা করে একটি পূর্ণাঙ্গ আইন করে আমরা দ্রুততম সময়ে সংসদে পাশ করার ব্যবস্থা করব।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের গণমাধ্যম শুধু মুক্ত নয়, উন্মুক্ত হয়ে আছে। এখানে কোনো ধরনের শৃঙ্খলা ও আইনকানুন নেই। সাংবাদিক বন্ধুরাই বলছেন, এখানে শৃঙ্খলা আনা দরকার। তবে আমরা প্রচণ্ডভাবে বিশ্বাস করি, গণমাধ্যম যত মুক্ত হবে, তার স্বাধীনতা যত চর্চা করবে এবং অপতথ্যের বিপরীতে যত তথ্যের প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে ততই সমাজে গুজব, অপপ্রচার এগুলো রোধ হবে। এবং আমি মনে করি, সরকারের মধ্যে সেই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জায়গাও তৈরি হবে। আমরা (সরকার) মনে করি, গণমাধ্যম এবং পেশাদার সাংবাদিকতা আমাদের বন্ধু। তারা আমাদের সহযোগিতা করেন। কারণ যেসব সমস্যা আমাদের চোখে পড়ে না, সেটি তারা দেখিয়ে দেন এবং আমরা সেখানে গিয়ে কাজ করতে পারি।

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্ট যেটা আছে আছে, সেটা আমি পূর্ণাঙ্গভাবে বিশ্বাস করি। রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্টের অধীনে কোনো গণমাধ্যম জনগণের পক্ষে যে তথ্য চাইবে সেটা আমি তড়িৎ গতিতে দিতে বাধ্য থাকবো। এ ধরনের মানসিকতা তৈরি করার জন্য প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে আমরা ওরিয়েন্টেশন করবো। কারণ তথ্য দিলে আমার কোনো সমস্যা নেই তো। যদি না আমার মধ্যে কোনো গলদ থাকে। যে তথ্য পাওয়ার অধিকার মানুষের আছে, সেটি দিতে হবে। এটি আমি নিশ্চিত করবো। একইসঙ্গে বলতে চাই যেগুলো সংবেদনশীল তথ্য, যেগুলো প্রাইভেসি অ্যাক্টের মধ্যে পড়ে, এগুলো যদি কেউ চুরি করে প্রকাশ করার চেষ্টা করে, সে চোর। তার কোনো পেশা আমরা দেখবো না। এই ধরনের সেনসেটিভ অ্যান্ড সিক্রেট ইনফরমেশন প্রটেকশনের আইন সবদেশে আছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মতো সংবেদনশীল প্রতিষ্ঠানগুলোকে সব তথ্য দিতে হবে যেগুলো মানুষের জানার অধিকার আছে। একইসঙ্গে সংবেদনশীল তথ্য গোপন রাখবে। কাজেই একটি সিস্টেম করতে হবে যাতে সব তথ্য তারা অবহিত করতে পারে, আবার সংবেদনশীল তথ্য প্রটেকশনটাও রাখা জরুরি। আমরা এটি ঘেটে দেখছি, পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সেন্ট্রাল ব্যাংকগুলো কীভাবে অপারেট করে। সাংবাদিকদের এক্সেস কতটুকু আছে? আন্তর্জাতিক যে স্ট্যান্ডার্ড আছে, তার মধ্যে আমরা সবকিছু রাখার চেষ্টা করবো।

সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ও বণিকবার্তা সম্পাদক দেওয়ান মাহমুদ হানিফের সঞ্চালনায় গোলটেবিল বৈঠকে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক পিনাকী রায়। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) সভাপতি ও সমকালের প্রকাশক একে আজাদ, সম্পাদক পরিষদের সহ-সভাপতি ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, দেশ রূপান্তরের সম্পাদক মোস্তফা মামুন, পরিবেশবাদী সংগঠন বেলার নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান, ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক জাফর সোবহান।


আরও খবর