আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

কঠোর নিরাপত্তার মধ্যেও থেমে নেই শাহজালালে স্বর্ণ চোরাচালান

প্রকাশিত:সোমবার ১৪ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ মার্চ ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

ঢাকা থেকে সুশান্ত সাহা

কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যেও থেমে নেই স্বর্ণ চোরাচালান। প্রতি মাসেই শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বর্ণের চালান জব্দ করা হচ্ছে। কোনো কোনো চালানে ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকার স্বর্ণও জব্দ করেছে কাস্টমস এবং শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ। তারপরেও স্বর্ণের চালান আসছেই। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন কোটি কোটি টাকার চালান আটকের পরেও পাচারকারীরা কীভাবে এই বিপুল পরিমাণ অর্থের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারে। এছাড়া স্বর্ণের বড় বড় চালান জব্দ হলেও চোরাচালানি চক্রের নেপথ্যের প্রভাবশালীরা বরাবরই ধরাছোঁয়ার আড়ালেই  থেকে যাচ্ছে। ফলে বিমানবন্দরকেন্দ্রিক চোরাচালান বন্ধ হচ্ছে না বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট অপরাধ বিশেষজ্ঞরা। এছাড়া কিছু বহনকারী ধরা পড়লেও জামিনে বের হয়ে আবারো স্বর্ণ চোরাচালানে জড়িত হচ্ছে। আবার মামলার দীর্ঘ সময়ক্ষেপণ, সাক্ষীর অভাব, তদন্ত প্রতিবেদনে দুর্বলতাসহ নানা কারণে অপরাধীদের শাস্তিও হচ্ছে না। গত কয়েক বছর ধরেই হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিভিন্ন সময় বিমানের টয়লেটে স্বর্ণ, বিমানের সিটের নিচে স্বর্ণের প্যাকেট, যাত্রীর জুতার ভেতরে স্বর্ণ, লাগেজে স্বর্ণ আবার কখনো বা যাত্রীর পেটের ভেতরে ও পায়ুপথেও পাওয়া যায় স্বর্ণ।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২ দফায় মোট ১০৭টি সোনার বার ও ৫০০ গ্রাম সোনার অলংকার জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা ও এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। এর মধ্যে ওই দিন বিকালে চীন থেকে আসা গার্মেন্টস এক্সেসরিজের কার্টন তল্লাশি করে ৯৬টি সোনার বার উদ্ধার করে শুল্ক গোয়েন্দা। আটক করা সোনার বারের ওজন প্রায় ১১ কেজি। এগুলোর বাজারমূল্য প্রায় ৮ কোটি টাকা। এদিন দুপুরে ঢাকার আল ফয়েজ জুয়েলার্সের হিসাবরক্ষক নুরুন্নবীকে ১১টি সোনার বার ও ৫০০ গ্রামের স্বর্ণালংকারসহ আটক করে এপিবিএন।

এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক জানান, নুরুন্নবী বিমানযাত্রী ছিলেন না। তিনি বিমানবন্দরে স্বর্ণ সংগ্রহ করতে এসেছিলেন। গত ২৫ ফেব্রæয়ারি শাহজালালে মো. সুরুজ্জামান নামে এক পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে চার কেজি ১৯৬ গ্রাম ওজনের ৩৬টি সোনার বারসহ আটক করে ঢাকা কাস্টমস হাউজ।

ঢাকা কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার মো. সানোয়ারুল কবির জানান, এমিরেটসের একটি ফ্লাইট থেকে একটি বাক্সে করে সোনার বারগুলো পাচারে সহায়তা করার সময় ওই কর্মীকে হাতেনাতে আটক করা হয়।

গত মাসে শাহজালালে তিন কেজি ৪৮০ গ্রাম ওজনের ৩০টি সোনার বারসহ বিমানের নিরাপত্তা কর্মী ইব্রাহীম খলিল এবং যাত্রী কামাল উদ্দীনকে আটক করে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ (এপিবিএন)।

জিজ্ঞাসাবাদে নিরাপত্তাকর্মী খলিল জানান, এই সোনার বার পাচার করতে পারলে প্রতিটি বারের জন্য তার ৬ হাজার ৫০০ টাকা করে মোট ১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা পাওয়ার কথা ছিল তার।

গত ১ ফেব্রæয়ারি চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভেতরে বিমান বাংলাদেশের ওয়ার্কশপে একটি গাড়ির চাকার ভেতর থেকে ৪৬টি সোনার বার উদ্ধার করে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) এবং কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

এপিবিএন জানিয়েছে, গত ২ বছরে শাহজালাল থেকে ৮১ কেজি স্বর্ণ জব্দ করেছে তারা। কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর জানায়, গত বছরের নভেম্বরে ৫৬ দশমিক ১৩৯ কেজি সোনা জব্দ করা হয়। জব্দ করা এসব সোনার মূল্য ২৬ দশমিক ৪৭ কোটি টাকা। ২০-২১ অর্থ বছরে এনবিআরের ঢাকা কাস্টমস হাউজ শাহজালাল থেকে ৪৯৪ দশমিক ৯২২ কেজি সোনা জব্দ করে, যার বাজার মূল্য ২৩০ দশমিক ৭৫ কোটি টাকা।

গত এক মাসে শাহজালালে সোনা চোরাচালান করতে গিয়ে যারা আটক হয়েছে, এদের মধ্যে জুয়েলারি ব্যবসায়ী ও যাত্রী যেমন রয়েছে তেমনি বেবিচক এবং বিমানের কর্মীও রয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত ১ মাস এবং ১ বছরে শাহজালাল বিমানবন্দরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে জব্দ হওয়া সোনার হিসাবই বলে দেয়, চোরাচালান একটুও কমেনি বরং বেড়েছে। যে পরিমাণ সোনা ধরা পড়ে তার চেয়ে অনেকগুণ বেশি সোনা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাকি দিয়ে বেরিয়ে যায়। এজন্য চোরাচালান বন্ধ হচ্ছে না।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্র বলছে, দেশের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর শাহজালালে সোনা চোরাচালান থামছে না। কয়েকদিন পর পরই কেজি কেজি সোনাসহ কাস্টমস ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হচ্ছেন চোরাচালানকারিরা। যারা ধরা পড়ছেন তারা সবাই বাহক। এদের পেছনে রয়েছে কয়েক ধাপের সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেট দেশে যেমন রয়েছে তেমনি রয়েছে বিদেশেও। তারা ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে।

বেবিচক ও বিমান বলছে, যাদের বিরুদ্ধে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কয়েকজনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক জানান, আমরা যাদের সোনাসহ ধরি তাদের বেশিরভাগই যাত্রী। তারা সোনা বহনকারী। আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, যে যাত্রী সোনা নিয়ে আসেন, এগুলো সাধারণত তার না বা তিনি এগুলো ব্যবসা করার জন্য কিনে আনেন না। গত বছর ১৪ কেজি লিকুইড সোনাসহ ৩ জনকে আটক করেছিলাম, তারা নিজেরা মালিক বলে স্বীকার করেছিলেন।

তিনি বলেন, সোনা চোরাচালানের সঙ্গে দেশি-বিদেশি চক্র জড়িত। একজন যাত্রী বাংলাদেশে আসার সময় বিদেশের এয়ারপোর্টে চোরাচালান সদস্যরা ওই যাত্রীকে কনভিন্স করে সোনা দিয়ে দেয় বলে এয়ারপোর্টে বা এয়ারপোর্টের বাইরে আমাদের লোক আছে তার কাছে দিয়ে দিলেই হবে। বিনিময়ে আপনি টাকা পাবেন। যাত্রী টাকার প্রলোভনে পড়ে আনতে রাজি হন।

জিয়াউল হক বলেন, যে সোনা বিমানে আসে, বিমানের বডিতে বা যাত্রী এনে বিমানের কোথাও লুকিয়ে রাখেন, সেই সোনাগুলো বের করে নিয়ে আসার সুযোগ শুধু বিমান বা বেবিচকের নির্দিষ্ট কিছু লোকজনের রয়েছে। বাইরের লোকজনের এয়ারপোর্টের স্পর্শকাতর জায়গা এপ্রোন সাইডে যাওয়ার সুযোগ নেই। অর্থের প্রলোভনে পড়েই হয় তো তারা এটা করেন।

ঢাকা কাস্টমস হাউজের ডেপুট কমিশনার সানোয়ারুল কবির বলেন, অতীতের চেয়ে এখন যাত্রীদের স্ক্যানিং এবং নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। যেসব রুটের ফ্লাইটে সোনা আসে সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়। কোনো ফ্লাইট ঝুঁকিপূর্ণ মনে হলে শতভাগ চেকিং করা হয়। গোয়েন্দা তথ্যের ওপর জোর দেওয়া হয়। এসব কারণে শাহজালালে চোরাচালানীরা সোনা নিয়ে বের হতে গিয়ে ধরা পড়ছে।

সোনা চোরাচালান বিষয়ে বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলি বলেন, বর্তমান অবস্থা আর আগের অবস্থার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আগে প্রায় প্রতিদিন সোনা চোরাচালান হতো। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর সোনা চোরাচালান রোধে বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছি। তার সুফল এখন পাচ্ছি। এখন নেই বললেই চলে, অলমোস্ট ৯৫ পারসেন্ট কমে গেছে। এটা একেবারে ভ্যানিশ করা যাবে না। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।


আরও খবর



ঢাকা-সিলেট ৬ লেন প্রকল্প: জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় এগোচ্ছে না কাজ

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

ঢাকা-সিলেট-তামাবিল ২৬৫ কিলোমিটার সড়কের ৬ লেন প্রকল্পে গতি নেই। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২০২৩ সালের মার্চে কাজ শুরু করে। কিন্তু গেল ১৪ মাসে সিলেট অংশে ১ শতাংশ জমিও বুঝে পায়নি তারা।

যদিও প্রকল্পের শর্ত অনুযায়ী কাজ শুরুর ২৭০ দিনের মধ্যে জমি অধিগ্রহণ শেষে প্রত্যাশী সংস্থাকে হস্তান্তর করতে হবে। অথচ ইতোমধ্যে পেরিয়েছে ৪০৫ দিন।

সিলেট অংশের প্রকল্প ব্যবস্থাপক দেবাশীষ রায় জানান, জমি বুঝে না পাওয়ায় ঠিকাদার শুধু যেখানে সরকারি জমি আছে সেখানেই কাজ করছে। গত ১৪ মাসে কাজের অগ্রগতি মাত্র ৫ শতাংশ বলে জানান তিনি।

জমি অধিগ্রহণে ধীরগতি হওয়ায় প্রকল্প সঠিক সময়ে শেষ হওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে সিলেট ১ আসনের সংসদ-সদস্য ড. একে আব্দুল মোমেন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, অধিগ্রহণ নিয়ে প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা একে অন্যের ওপর দোষ চাপাচ্ছেন এটা কাম্য নয়। এ প্রকল্পে গতি আনতে হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নজর দিতে হবে। কারণ তিনি যেদিকে নজর দেন সেই প্রকল্পই দ্রুত ও সুন্দরভাবে শেষ হয়।

জানা যায়, ভারত, নেপাল, ভুটান ও চীনের সঙ্গে আন্তঃদেশীয় যোগাযোগের লক্ষ্যে ২০১৮ সালে সিলেট সফরকালে ঢাকা-সিলেট-তামাবিল সড়ক ৬ লেন করার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে ৩০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ২৬৫ কিলোমিটার এই সড়কের ৬ লেনে উন্নীত করার প্রকল্প উদ্বোধন করেন ২০২১ সালের অক্টোবরে।

ঢাকা থেকে তামাবিল পর্যন্ত সড়কটি সাতটি জেলা অতিক্রম করবে। এই প্রকল্পে ৭৫ শতাংশ অর্থায়ন করে এডিবি বাকি ২৫ শতাংশ সরকার। প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণ করতে হবে ১৩৭১ একর। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জে ৬৯.০৯ একর, নরসিংদীতে ১৮২.২৪ একর, কিশোরগঞ্জে ১২.৩৫ একর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৭৭.১৯ একর, হবিগঞ্জে ৩৯২.৬৬ একর, মৌলভীবাজারে ২১.২১ একর। সবচেয়ে দীর্ঘ ৯২ কিলোমিটার সড়ক সিলেটে পড়েছে। সে কারণে এ জেলায় জমি অধিগ্রহণ করতে হবে ৬২৪ একর।

সম্প্রতি সরেজমিন দেখা যায়, জেলার শেরপুর থেকে সিলেট শহর পর্যন্ত ৩টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আওতায়। এরমধ্যে দুটি প্রতিষ্ঠান কার্যাদেশ পেয়ে কাজ শুরু করেছে। যেখানে সরকারি জমি রয়েছে শুধু সেখানেই কাজ করতে পারছে তারা। এক প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করেছে ২০২৩ সালের মার্চ থেকে, অন্যটি মে থেকে। শর্ত অনুযায়ী ২৭০ দিনের মধ্যে জমি বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও ১ শতাংশ ভূমিও পায়নি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো।

এ বিষয়ে সিলেট অংশের প্রকল্প ব্যবস্থাপক দেবাশীষ রায় বলেন, জমি হস্তান্তর না হওয়ায় তৃতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এখনো কাজ শুরু করেনি। যে প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করছে তাতে ১৪ মাস শেষে প্রকল্পের অগ্রগতি ৫ শতাংশ বলে দাবি তার।

সড়ক জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আমির হোসেন বলেন, অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া একটি জটিল প্রক্রিয়া তবুও চেষ্টা করা হচ্ছে দ্রুত তা সমাধানের। তার মতে, এই মুহূর্তে যেসব স্থানে সরকারি জমি রয়েছে সেসব স্থানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজ করতে তেমন অসুবিধা হবে না। তবুও কোথাও কোনো সমস্যা হলে বিভাগীয় প্রশাসন, জেলা প্রশাসনকে নিয়ে সেসব জটিলতা দূর করা হচ্ছে।

জমি অধিগ্রহণের ধীরগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বলেন, এই প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণ একটি জটিল প্রক্রিয়া। কারণ এক কিলোমিটারে জমির মালিকানা থাকে প্রায় ১ হাজার জনের। এদের মধ্যে কেউ আপত্তি উত্থাপন করলেই পুরোটা জটিলতায় পড়ে যায়। তবে অধিগ্রহণ দ্রুত শেষ করতে গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করছে জেলা প্রশাসন।

অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে জমি হস্তান্তর শুরু করতে আরও ৬ মাস লাগবে বলে জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান জানান।


আরও খবর



পাথরঘাটায় ২৫ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি:

বরগুনার পাথরঘাটায় ২৫ কেজি হরিণের মাংসসহ ৪টি পা উদ্ধার করেছে পাথরঘাটা দক্ষিণ স্টেশন কোস্টগার্ড। বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে পাথরঘাটা কোস্ট গার্ড।

এর আগে বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলা সদর ইউনিয়ন ৯ নম্বর ওয়ার্ড চরলাঠিমারা এলাকা থেকে হরিণের পা ও মাংস উদ্ধার করা হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কোস্টগার্ড জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের চরলাঠিমারা গ্রামে হরিণের মাংস পাচার হচ্ছে। এমন সংবাদ পেয়ে ওই এলাকায় অবস্থান নেয় কোস্টগার্ড সদস্যরা। তখন কোস্টগার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে মাংস ফেলে সেখান থেকে পালিয়ে যায় পাচারকারীরা।

এসময় ৪টি হরিণের পা সহ ২৫ কেজি মাংস উদ্ধার করে। পরে হরিণের মাংস পাথরঘাটা বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এসময় পাচারকারীরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করতে সক্ষম হয়নি কোস্টগার্ড।


আরও খবর



কুষ্টিয়ায় জাল ভোটের চেষ্টা, কাউন্সিলরসহ আটক ৩

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

Image

কুষ্টিয়া জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টাকালে এক কাউন্সিলরসহ ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। পরে পুলিশ তাদের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এর কাছে হস্তান্তর করেছে। গ্রেফতার কাউন্সিলরের নাম মীর রেজাউল ইসলাম বাবু।

তিনি কুষ্টিয়া পৌরসভার ১৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও কুষ্টিয়া শহর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

বুধবার (৮ মে) দুপুরে তাকে কুষ্টিয়া শহরের চৌরহাস কেন্দ্র থেকে আটক করা হয়।

কুষ্টিয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. সোহেল রানা জানান, দুপুরে তাকে কুষ্টিয়া শহরের চৌরহাস কেন্দ্র থেকে আটক করা হয়।

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ বলেন, জাল ভোট ও বিশৃঙ্খলার চেষ্টাকালে কুষ্টিয়ার বাড়াদি কেন্দ্র থেকে আরও দুজনকে আটক করা হয়। তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর



এসএমসি প্লাসের কর্ণধার ওয়ালিউল ইসলামকে অর্থদণ্ড

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

অনুমোদনহীন ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস বিক্রির কথা স্বীকার করায় এসএমসি প্লাসের কর্ণধার ওয়ালিউল ইসলামকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক আলাউল আকবরের আদালত তার জামিন মঞ্জুর আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মামলার বাদী ও নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের পরিদর্শক কামরুল হাসান।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে অবস্থিত বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে বৃহস্পতিবার সকালে আত্মসমর্পণ করেন এসএমসি প্লাসের কর্ণধার ওয়ালিউল ইসলাম। পরে বিচারক আলাউল আকবর তার জামিন মঞ্জুর করেন।

গত মঙ্গলবার (১৪ মে) বাজারে বিক্রি হওয়া অনুমোদনহীন পাঁচটি কোম্পানির ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকসের মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক আলাউল আকবরের আদালত। সেই সঙ্গে পাঁচটি কোম্পানির মালিকদের আগামী ৫, ৬ এবং ৯ জুন আদালতে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। এসএমসি প্লাস, প্রাণের এক্টিভ, ব্রুভানা, আকেজের রিচার্জ এবং টারবো- এগুলো ওষুধ নাকি এনার্জি ড্রিংকস সে বিষয়ে তারা ব্যাখ্যা দিবেন।

এর আগে ওই দিন সকালে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ক্ষমতাপ্রাপ্ত নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. কামরুল হোসেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। এ সময় নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক বলেন, এগুলোর একটিরও অনুমোদন নেই।

তিনি আরও বলেন, ওষুধ প্রশাসনও বলতে পারেনা এগুলো ওষুধ না ড্রিংকস। এর মধ্যে এসএমসি প্লাসের মডেল হয়ে পণ্যর প্রসারে প্রচারণা করছেন ক্রিকেটার তামীম ইকবাল। নিরাপদ খাদ্য আইন অনুযায়ী এটি অপরাধ। আমরা বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করতে বলেছি, শোনেনি কোনো কোম্পানি। কাজেই এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক।


আরও খবর



দুপুরের মধ্যে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস, নদীবন্দরে সতর্কসংকেত

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দুপুর ১টার মধ্যে সিলেট এবং ময়মনসিংহ অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার বেগে বজ্রবৃষ্টিসহ ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শনিবার (১৮ মে) ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরসমূহের জন্য দেওয়া এক সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, সিলেট এবং ময়মনসিংহ অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এ ছাড়া, টাঙ্গাইল, ঢাকা, বরিশাল এবং কুমিল্লা অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এর আগে আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরসমূহের জন্য দেওয়া অপর এক সতর্কবার্তায় বলা হয়েছিল সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছিল।


আরও খবর
বৃষ্টির পর আসছে হিট ওয়েভ

শনিবার ১৮ মে ২০২৪