আজঃ শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

ক্যারিয়ারে ব্যর্থতা, আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন কমল হাসান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

অভিনেতা ও সংগীতশিল্পী বিজয় অ্যান্টনির ১৬ বছরের কন্যা মীরার আত্মহত্যার ঘটনায় এখনো শোকাহত তামিল ইন্ডাস্ট্রি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে পড়াশোনার চাপ সইতে না-পেরে এই সিদ্ধান্ত নেয় মীরা। তবে এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, ভারতজুড়ে অনেক ছাত্রই পড়াশোনার চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার মতো চরম সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। সম্প্রতি চেন্নাইয়ের এক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে গিয়ে নিজের জীবনের দুর্বল এবং সংবেদনশীল এক মুহূর্তের কথা তুলে ধরলেন দক্ষিণের সুপারস্টার কমল হাসান। 

আরও পড়ুন>> দুই বাংলায় নিয়মিত ব্যস্ততায় মিম

আত্মহত্যার প্রসঙ্গ উঠতেই কমল হাসান নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরেন। আত্মহত্যার ভাবনা ঘিরে ধরেছিল তরুণ কমল হাসানকেও। তিনি বলেন, আমার বয়স ২০ কী ২১ হবে, তখন আমি অনেকবার আত্মহত্যা করার কথা ভেবেছি। ভেবেছি এই জীবন রেখে কী হবে।

দক্ষিণী সিনেমার তারকা হলেও কমল হাসানের জনপ্রিয়তা সারা ভারতে। শিশুশিল্পী হিসাবে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন ৬ বছর বয়সী কমল হাসান। এরপর নায়কন, দশাবতারম, ইন্ডিয়ান, তো রয়েছেই, পাশাপাশি, সাম্প্রতিক সময়ে বিক্রম-এর মতো সিনেমায় দর্শকের নজর কেড়েছেন অভিনেতা। দেখতে দেখতে শোবিজে ৬২ বছর কাটিয়ে ফেলেছেন তিনি। ক্যারিয়ারে তাঁর ঝুলিতে রয়েছে অজস্র সাফল্য। কিন্তু ক্যারিয়ারের শুরুতে এমনটা ছিল না। যৌবনে পা দেওয়ার পর কমল হাসান কাজ দিয়ে সমালোচকদের নজর কাড়লেও দর্শকমহলে নিজের স্থান করে নিতে পারছিলেন না। আর তাতেই অবসাদ ঘিরে ধরেছিল তাঁকে।

তিনি বলেন, আসলে আমার কাজ সেই সময় বাণিজ্যিক ছবির নির্মাতাদের চোখে পড়ছিল না। তখন ভেবেছিলাম আমি মরে গেলে হয়তো এই ইন্ডাস্ট্রি বুঝবে কত বড় প্রতিভাবান শিল্পী হারিয়েছে তাঁরা। তখন আমার গুরু আনানথু বলেছিলেন এ সব চিন্তা বাদ দিয়ে সঠিক সময়ের অপেক্ষা করো।

পড়ুয়াদের উদ্দেশে কমল হাসানের বার্তা, এই ধরনের নেতিবাচক চিন্তা মাথায় আসলে তাঁরা যেন সঠিক পদক্ষেপ নেয়। সবশেষে তিনি বলেন, মৃত্যু জীবনেরই একটা অংশ। আমি এখন জীবন ও মৃত্যুকে আলাদা করে দেখি না। জীবন অনন্ত নয়, মৃত্যু তো আসবেই। সেটা ডেকে আনার প্রয়োজন নেই

কমল হাসানকে আগামীতে দেখা যাবে এস শংকরের ইন্ডিয়ান ২ এবং নাগ অশ্বিনের কল্কি ২৮৯৮ সিনেমাতে।


আরও খবর
ভিন্ন রকম ছয় গল্পে বাণী কাপুর

শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩

হিন্দি সিনেমায় জয়া আহসানের অভিষেক

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩




ডোমিনিকান রিপাবলিকে ভারী বৃষ্টিতে ২১ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের রাষ্ট্র ডোমিনিকান রিপাবলিকে ভারী বৃষ্টিতে টানেল ধসে ও বিভিন্ন দুর্ঘটনায় ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (২০ নভেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটিতে ভারী বৃষ্টির কারণে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও ব্রীজ এবং রাস্তা-ঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন। ভারী বৃষ্টির পর ১৩ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

ভারী বৃষ্টির কারণে ডোমিনিকান রিপাবলিকের রাজধানী সান্তো ডোমিংগোতে একটি হাইওয়ে টানেল ধসে ৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনায় আরও ১২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে তিনজন শিশুও রয়েছে।

ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার জানিয়েছে, আড়াই হাজারের বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং প্রায় ২৬০০টি ঘর-বাড়ি ঝড়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এদিকে নিহতদের মধ্যে চারজন মার্কিন নাগরিক এবং তিনজন প্রতিবেশী হাইতির নাগরিক বলে এএফপির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

গত ৪৮ ঘণ্টা ধরে প্রবল ঝড়ের পর এটিকে দেশের ইতিহাসে ‌সবচেয়ে ভয়াবহ বৃষ্টিপাতের ঘটনা বলে অভিহিত করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট লুইস আবিনাদের। দেশটিতে আগামী বুধবার পর্যন্ত সব ধরনের ক্লাস বন্ধ থাকবে বলে জানান তিনি।


আরও খবর



নির্বাচনী অ্যাপ মনোনয়ন জমা সহজ করবে, আচরণবিধি ভঙ্গ ঠেকাবে: ইসি

প্রকাশিত:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই স্মার্ট নির্বাচনী ব্যবস্থাপনা অ্যাপ বা স্মার্ট ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ উদ্বোধন করেছে নির্বাচন কমিশন। এই অ্যাপ নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ, মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে শোডাউন, প্রতিপক্ষকে মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়া এবং এই কেন্দ্রিক সহিংসতা বন্ধ করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অনলাইনে মনোনয়ন জমা পদ্ধতি ও স্মার্ট নির্বাচনী ব্যবস্থাপনা অ্যাপ উদ্বোধন করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। এ সময় কমিশনের অন্যান্য কমিশনার ও সচিব উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের বক্তব্য থেকে উল্লিখিত বিষয়গুলো উঠে আসে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল অনলাইনে মনোনয়ন জমা পদ্ধতি ও স্মার্ট নির্বাচনী ব্যবস্থাপনা অ্যাপ প্রসঙ্গে বলেন, এই পদ্ধতি শুধু আমাদের তথ্য সরবরাহই সহজ ও দ্রুত করে দেবে তা নয়, স্বচ্ছতার ক্ষেত্রেও এটি খুবই সহায়ক হবে। আমাদের একটু কষ্ট করে শিখে নিতে হবে অ্যাপের মাধ্যমে কীভাবে বিভিন্ন তথ্য আমরা অবলোকন করব।

সিইসি বলেন, অনলাইন সাবমিশনটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে যে শোডাউন হয় তা আমাদের সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। কিন্তু এটি করতে গিয়ে আচরণবিধি ভঙ্গ হতে পারে, অনেক সময় সংঘাতও হতে পারে। তাই এটাকে সহজ করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান বলেন, অতীতে দেখা গেছেপ্রথম দিনেই মনোনয়ন সাবমিশন করতে আসার সময় কিন্তু সম্মানিত প্রার্থীরা শত শত মোটরসাইকেল নিয়ে আসেন। এতে তাদের শক্তি প্রদর্শিত হতো। কিন্তু এতে তাঁরা প্রথম দিনেই নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করলেন। এই অ্যাপ দুটি বিশেষ পদ্ধতির, যার ফলে তাদের আচরণবিধি ভঙ্গ করতে দেবে না। এ ছাড়া আমাদের সমাজে দেখা যায়, অনেকে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলে বাধা দেওয়া হয় বা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে বল প্রয়োগ করা হয়। এই অ্যাপের ফলে আর কেউ এ রকম সুযোগ পাবে না।

নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা বলেন, আমরা জানি এবং মানি, আমরা চাই বা না চাই, আমাদের প্রত্যেকের জীবন এখন প্রযুক্তি ওপর নির্ভরশীল। প্রযুক্তিকে আমরা অস্বীকার করতে পারি না। মনোনয়ন সাবমিশন করতে এসে বিভিন্ন শোডাউন করে। কিন্তু আইনে বলা আছে, মনোনয়ন জমার সময় শোডাউন করা যাবে না। আমরা বিশ্বাস করি, এই অ্যাপের ফলে ভোট অনেক স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হবে এবং সাধারণ জনগণ এটাকে খুব ভালোভাবে নেবে।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর জানান, গত কমিশন অনলাইনে মনোনয়ন দাখিলের বিষয়টি আইনে অন্তর্ভুক্ত করেছিল। কিন্তু সেটা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। তিনি বলেন, সেটা আজ বাস্তবায়িত হলো, সে জন্য খুব ভালো লাগছে। 

আরও পড়ুন>> আমার কাছে ক্ষমতা বড় না, দেশের স্বার্থ বড়: প্রধানমন্ত্রী

নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেন, আগে সশরীরে মনোনয়ন জমা দিতে এসে অনেক লোকসমাগম হতো এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার শিকার হতে হতো। এসব কারণেই একটা অনলাইন সিস্টেম চালু করা হয়েছে। নতুন অ্যাপ অধিকতর জবাবদিহি এবং স্বচ্ছতার টুলস হিসেবে ব্যবহৃত হবে। এই কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই সবকিছু স্বচ্ছভাবে করে আসছে।

নিউজ ট্যাগ: নির্বাচন কমিশন

আরও খবর



দলের প্রার্থী কতজন জানেন না বিএনএম মহাসচিব শাহজাহান

প্রকাশিত:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের প্রার্থী কতজন, তা নিশ্চিত নন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) মহাসচিব মো. শাহজাহান। কিংস পার্টি হিসেবে পরিচিতি পাওয়া এই দলের কতজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, তাও নিশ্চিত করতে পারেনি দলটি। বিএনএম দাবি করেছে, বিএনপির ১৭ জন সাবেক সংসদ সদস্য তাদের হয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করছেন। যদিও দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি তারা।

আজ শনিবার রাজধানীর গুলশানে দলের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন বিএনএমের মহাসচিব মো. শাহজাহান। দলের প্রার্থী সংখ্যা নিয়ে তৈরি হওয়া অস্পষ্টতা দূর করতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। কিন্তু দলটির পক্ষ থেকে তাদের প্রার্থীদের বিষয়টি স্পষ্ট করতে পারেনি। বরং সংবাদ সম্মেলনে নানা ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপন করতে থাকেন দলের মহাসচিব। একসময় দলের প্রার্থী কারা ও কতজন, তা নিয়ে নিজেই তালগোল পাকিয়ে ফেলেন।

বিএনএমের মহাসচিব শাহজাহান বলেন, ৪৭৮টি ফরম বিক্রি করলেও মাত্র ৮২ জনকে দলের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। মনোনয়ন পাওয়ার পরে এলাকায় যেতে দেরি হয়েছে অনেকের। অনেকে কাগজপত্র গোছাতে পারেননি। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ব্যাংকের যে সার্ভারে ট্রেজারি চালান দিতে হয়, সেটাতে তিন ঘণ্টায় ঢোকা যায়নি। কয়েকজন এ বিষয়ে রিট করবেন।

গত ৩০ নভেম্বর ছিল রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময়। ইসির হিসাব অনুযায়ী, বিভিন্ন আসনে বিএনএমের হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৪৯ জন। তবে দলের কতজন প্রার্থী, এ বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দেননি দলের মহাসচিব। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ইসির কাছ থেকে তালিকা পাইনি। আমরা ইসির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে তালিকা চাইব।

সংবাদ সম্মেলনের একপর্যায়ে বিএনএমের মহাসচিব দাবি করেন, তাঁদের দলের প্রার্থী সংখ্যা আসলে ১০২। ৮২ জনের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। বাকি ২০ জন হিডেন (লুকানো) প্রার্থী। এই ২০ জনের সবাই সাবেক সংসদ সদস্য বলে তিনি দাবি করেন।

এরপর বিএনএম কীভাবে সরকার গঠন করতে পারবে, সেটারও একটি হিসাব তুলে ধরেন দলের মহাসচিব শাহজাহান। তিনি বলেন, বরাবরই বলেছি, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে সরকার গঠন করতে পারব। ৮২ জন প্রার্থী, এর সঙ্গে ২০ জন হিডেন। এই ১০২টি আসন পেলে কোয়ালিশন করলে আমরাই সরকার গঠন করব। সেটা না হলে প্রথমবারের মতো বিরোধী দলে যাব।

শাহজাহান বলেন, আমরা বলেছিলাম ২০ জন সাবেক সংসদ সদস্য যোগ দেবেন। তবে ২৫ থেকে ৩০ জন পেয়েছি। এর মধ্যে ২০ জনের নাম প্রকাশ করা হয়নি। তাঁরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। নির্বাচনে বিজয়ী হলে আমাদের দলের হয়ে সংসদে যাবেন।

বিএনএমের মহাসচিব শাহজাহান দাবি করেন, যে ২০ জন হিডেন সাবেক সংসদ সদস্য তাঁদের দলের হয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করছেন, তাঁদের মধ্যে ১৭ জন বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য। ১ জন জাপা ও ২ জন স্বতন্ত্র ছিলেন।

তখন একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য নির্বাচনে আছেন পাঁচজন। এর জবাবে বিএনএমের মহাসচিব বলেন, আমরা এই ১৭ জনকে মনোনয়ন দিয়েছি। দাখিল না করলে আমরা কী করতে পারব?

বিএনপি থেকে কতজন সাবেক সংসদ সদস্য বিএনএমে যোগ দিয়েছেন ও প্রার্থী হয়েছেনএমন প্রশ্নের জবাবে একেকবার একেক তথ্য দেন বিএনএমের মহাসচিব। প্রথমে তিনি বলেন, দলের প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ৯ জন। খানিক পরেই বলেন, বিএনপি থেকে এসেছেন ৭ জন। সব দল মিলিয়ে ১০ জন সাবেক সংসদ সদস্য প্রার্থী হয়েছেন।

একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, আপনাদের দলীয় মনোনয়নের তালিকায় সাবেক সংসদ সদস্য আছেন ছয়জন। এর জবাবে শাহজাহান বলেন, ছয়জন না। সাতজন আছেন। এরপর তিনি নিজেই দলের প্রার্থী তালিকায় থাকা সংসদ সদস্যদের সংখ্যা গুনতে শুরু করেন। ছয়জন গোনার পরে বলেন, তালিকার শেষে আরেকজন আছে। তখন সাংবাদিকেরা আরেকজনের নাম জানতে চান। জবাবে বিএনএমের মহাসচিব বলেন, আরেকজনের নাম আমরা পরে আপনাদের পাঠিয়ে দেব।

দেশের রাজনীতিতে কিংস পার্টি হিসেবে পরিচিতি পাওয়া বিএনএম থেকে সাবেক সংসদ সদস্যসহ বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের অনেকেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন, এমন আলোচনা ছিল। দলটির পক্ষ থেকেও নানা চমকের কথা বলা হয়েছিল। নানা কথা বলে দলের নেতারা আলোচনার জন্ম দিলেও শেষ পর্যন্ত সাড়া ফেলার মতো কিছু ঘটাতে পারেনি।


আরও খবর
বাহাউদ্দিন নাছিমকে শোকজ

শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩




ইসির সঙ্গে বসতে চায় ইইউ

প্রকাশিত:বুধবার ২২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আগামী ২৭ নভেম্বর বৈঠকের সময় চেয়ে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি। ইসি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, বুধবার (২২ নভেম্বর) ই-মেইলের মাধ্যমে ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি সিইসির কাছে বৈঠকের সময় চেয়ে মেইল করেন। ই-মেইলে হোয়াইটলি সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে ইতোপূর্বে মতবিনিময় করায় ইসিকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের বর্তমান কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আরও বিস্তারিত জানতে আপনার দফতরে একটি সভায় অংশ নিতে সুযোগ চাই। 

আরও পড়ুন>> এখন যেসব কাজ করতে পারবেন না মন্ত্রী-এমপিরা

আগামী ২৭ নভেম্বর বিকাল ৩টায় বৈঠকের জন্য সময় চেয়েছে ইইউ। তবে ওই ই-মেইলে আলোচনার জন্য নির্দিষ্ট এজেন্ডা উল্লেখ করেনি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আগামী ৩০ নভেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন নির্ধারিত রয়েছে। মনোনয়নপত্র দাখিলের দুদিন আগে ২৭ নভেম্বর বৈঠকের সময় চাইলো ইইউ।

ইতোমধ্যে একাধিক নির্বাচন কমিশনার বিভিন্ন জেলায় সফর শুরু করেছেন। আগামী ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত তাদের সফরসূচি রয়েছে। ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চার্লস হোয়াইটলির চিঠি নথিতে উত্থাপন করা হয়েছে। বুধবার পর্যন্ত বৈঠকের বিষয়ে ইসি সিদ্ধান্ত জানায়নি।

এবার নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন চার সদস্যের একটি কারিগরি পর্যবেক্ষক টিম পাঠানোর কথা জানিয়েছে। আর্থিক সংকটের কারণ দেখিয়ে তারা বড় আকারে পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে না বলে ইসিকে জানিয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: ইইউ

আরও খবর



নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনপূর্ব অনিয়ম নিষ্পত্তি করতে ৩০০ বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা নিয়ে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন মন্ত্রণালয়।

নির্বাচন কমিশনের আদেশক্রমে বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) এ প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়। শনিবার (২৫ নভেম্বর) গণমাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) বিধান মতে, বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের দিয়ে দেশের প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় একটি করে মোট ৩০০টি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়।

এতে বলা হয়, কমিটিকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, আচরণবিধি ও ভীতি, বাধা, দমন বা মিথ্যা তথ্য প্রকাশসহ অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনায় বাধাগ্রস্ত করে এমন বিষয়গুলো অনুসন্ধানসহ সুপারিশ করে তিন দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন পাঠাতে হবে। অনুসন্ধান কমিটির দায়িত্ব পালন সংক্রান্ত জ্বালানি ও আপ্যায়ন ব্যয়সহ বিভিন্ন ব্যয় নির্বাহের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দেয়া হবে। অনুসন্ধান কার্য পরিচালনার ব্যাপারে কমিটির চাহিদা অনুসারে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক, পুলিশ কমিশনার, পুলিশ সুপার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা/ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপজেলা/ থানা নির্বাচন কর্মকর্তারা প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবেন।

এতে আরও বলা হয়, দায়িত্বপ্রাপ্ত অনুসন্ধান কমিটির কর্মকর্তারা নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনে ন্যস্ত থাকবেন এবং প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ হতে ওই কর্মকর্তারা নিজ দপ্তর থেকে তাৎক্ষণিকভাবে অবমুক্ত বলে গণ্য হবেন। নির্বাচনের ফলাফল সরকারি গেজেটে প্রকাশের সময় পর্যন্ত নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় উপস্থিত থেকে সার্বক্ষণিক নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবেন।

এছাড়া দায়িত্ব পালনকালে নির্বাচন পূর্ব অনিয়ম সংঘটিত হলে তা অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে প্রেরণ করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ওই অনুসন্ধান প্রতিবেদন সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় বরাবর প্রেরণ করবেন এবং ওই প্রতিবেদন পিডিএফ ফরমেটে অত্র সচিবালয়ের আইন অনুবিভাগের উপসচিব ও সিনিয়র/সহকারী সচিবের ইন্টারনাল একাউন্টে প্রেরণ করবেন।


আরও খবর