সাজগোজের ক্ষেত্রে কাজলের পর যার নাম আসে, তা লিপস্টিক। ঠোঁট রাঙাতে তরুণী থেকে শুরু করে সব বয়সী নারীরই পছন্দ লিপস্টিক। কিন্তু ঠোঁট রাঙাতে লিপস্টিক দেওয়াটা কিন্তু বেশ কৌশলের কাজ। আর বাজারেও রয়েছে নানান রঙের, নানান নামের লিপস্টিক।
আরো পড়ুন: ঠোঁটের লিপস্টিকের রঙ বলে দেবে নারীর চরিত্র
কিন্তু যারা লিপস্টিক ভালোবাসেন না, তারা কী করবেন? সুন্দর একটি পোশাক পরে খালি ঠোঁটে বের হবেন, এ তো হতেই পারে না। তাই লিপস্টিক যারা ব্যবহার করতে চান না, তাদের জন্য আছে বিকল্প উপায়; যা সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে দেবে অন্যভাবে। এ জন্য চাইলে ব্যবহার করতে পারেন লিপগ্লস।
আজকাল বাজারে মিলছে কয়েক ধরনের লিপস্টিক। যার মধ্যে আছে ম্যাট ও সেমি ম্যাট। ম্যাট লিপস্টিক ঠোঁটে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শুকিয়ে যায়। অন্যদিকে সেমি ম্যাট কিছুটা ভেজা ভেজা থাকে। তবে লিপগ্লস একটু আঠালো হয়। যদি লিপগ্লসের আঠালো ভাবটা পছন্দ হয়, তবে এটি ব্যবহার করতে পারবেন সহজেই।
আরো পড়ুন: লিপস্টিক বেশিক্ষণ ধরে রাখার ৫টি টিপস
বাজারে বিভিন্ন ধরনের লিপগ্লস বিক্রি হয়। ভালো ব্র্যান্ডের লিপগ্লস যেমন ম্যাক, ল’রিয়েল, ল্যাকমি, জর্ডানা, নিয়ন, লিপআইসের দাম পড়বে ৩০০ থেকে ১ হাজার টাকার মধ্যে। লিপস্টিকের মতো লিপগ্লস বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও মাথায় রাখতে হবে কয়েকটি বিষয়। যেমন—গায়ের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে লিপগ্লস ব্যবহার করুন। অথবা যেটিতে নিজেকে ভালো লাগে, সেটিই বেছে নিন।
আরো পড়ুন: গাঢ়রঙের লিপস্টিক ব্যবহারে যে ক্ষতি হতে পারে
নিয়মিত একটা ব্র্যান্ডের লিপগ্লস ব্যবহার করলে ভালো হয় বলে পরামর্শ দেন রূপচর্চা বিশেষজ্ঞরা। তাই কেনার আগে অবশ্যই নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের লিপগ্লসের গুণগত মান সম্পর্কে জেনে নেবেন। কমদামি অনেক লিপগ্লসে ক্ষতিকর কেমিক্যাল থাকে; যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
আরো পড়ুন: লিপস্টিক দেওয়ার সঠিক পদ্ধতি
লিপগ্লস বা লিপস্টিক ব্যবহারের আগে ঠোঁট লিপলাইনার দিয়ে আঁকিয়ে নিন। তাহলে দেখতেও সুন্দর দেখাবে, আবার দীর্ঘক্ষণ ঠোঁটে লিপগ্লসও থাকবে। গরমের দিনে দিনের বেলা হালকা লিপগ্লসের আবেদন বেশি। গাঢ় রঙের লিপগ্লস রাতে ব্যবহার করা ভালো। লিপগ্লস দুই রকমের পাওয়া যায়। স্টিক লিপগ্লস ও লিকুইড লিপগ্লস। স্টিক লিপগ্লস সরাসরি লাগানো ঠোঁটে লাগানো যায়। আর তুলির সাহায্যে লিকুইড লিপগ্লস ঠোঁটে লাগাতে হয়।
আরো পড়ুন: লিপস্টিকের রং দেখে বোঝা যাবে আপনার ব্যক্তিত্ব
খেয়াল রাখবেন, আপনার ব্যবহৃত লিপগ্লসের মেয়াদ আছে কি না। মেয়াদহীন লিপগ্লস দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে।