আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

মাদক পাচার রোধে মিয়ানমার সীমান্তে গুলি চালানো হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ অক্টোবর ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ অক্টোবর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার থেকে অবৈধ অস্ত্র, মাদক ও মানবপাচার রোধে প্রয়োজনে সীমান্তে গুলি চালানো হবে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন।

তিনি বলেন, মিয়ানমার ও বাংলাদেশ সীমান্তে গুলি না চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধে এখন থেকে গুলি চালানো হবে। তাহলেই মানব, মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান বন্ধ হবে।

মঙ্গলবার এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভারত সরকারের উপহারের অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে সকল ধরনের চোরাচালান বন্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে।

অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হয়ে বক্তব্য রাখেন আব্দুল মোমেন। এর আগে সকালে বিমানে সিলেট আসেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম দ্বোরাইস্বামীসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বক্তব্য রাখেন।

এদিকে ওসমানী বিমানবন্দর-বাদাঘাট সড়ক দীর্ঘ ১২ বছর ধরে ঝুলিয়ে রাখায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সিলেট-১ (সদর-নগর) আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল মোমেন। এই ব্যর্থতার জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পদত্যাগ করা উচিৎ বলে মন্তব্য করেন তিনি। এই সফরে বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এদিকে দুপুরে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সম্মিলিত নাট্য পরিষদ, সিলেট আয়োজিত সিলেটের সংস্কৃতি চর্চা ও উন্নয়ন বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।


আরও খবর



অবশেষে চট্টগ্রামে নামল বৃষ্টি, মানুষের স্বস্তির নিশ্বাস

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

দীর্ঘ দাবদাহে পুড়তে থাকা চট্টগ্রাম নগরবাসী অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টির দেখা পেয়েছেন। বুধবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে নগরীর বিভিন্ন জায়গায়।

রাত থেকে শুরু হয় বাতাস, বিদ্যুৎ চমকানো আর বজ্রপাত। বৃহস্পতিবার ভোরের আলো ফুটতে ফুটতে বাড়ে বৃষ্টির পরিমাণ। বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত বৃষ্টি হতে দেখা গেছে। বৃষ্টির পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কেউ কেউ সৃষ্টিকর্তার নিকট কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। 

আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আবহাওয়াবিদ আবদুল বারেক বলেন, চট্টগ্রামে বুধবার মধ্যরাত থেকে থেমে থেমে হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এর মধ্যে কক্সবাজার অঞ্চলে বৃষ্টি হয়েছে। কক্সবাজারে ২ মিলিমিটার, টেকনাফে ৩ মিলিমিটার এবং কুতুবদিয়ায় ১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



সোনার দাম বেড়ে ভরি এক লাখ ১৭ হাজার ছাড়াল

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

দেশের বাজারে সোনার দাম আবারও বেড়েছে। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ১ হাজার ৮৩২ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১৭ হাজার ২৮২ টাকা হয়েছে।

স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে। আগামীকাল রোববার (১২ মে) থেকে এই দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।

এর আগে গত ৮, ৬ ও ৫ মে তিন দাফায় সোনার দাম বাড়ানো হয়। ৮ মে প্রতি ভরি সোনার দাম ৪ হাজার ৫০২ টাকা এবং ৬ মে ৭৩৫ টাকা ও ৫ মে প্রতি ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৫০ টাকা বাড়ানো হয়। এখন আবার দাম বাড়ানোর ফলে চার দফায় ভরিতে সোনার দাম বাড়লো ৮ হাজার ১১৯ টাকা।

এই দাম বাড়ার আগে আট দফায় সোনার দাম ভরিতে ১০ হাজার ২৬২ টাকা কমানো হয়। এর মধ্যে ১ হাজার ৮৭৮ টাকা, ৩০ এপ্রিল ৪২০ টাকা, ২৯ এপ্রিল ১ হাজার ১১৫ টাকা, ২৮ এপ্রিল ৩১৫ টাকা, ২৭ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৫ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২ হাজার ৯৯ টাকা এবং ২৩ এপ্রিল ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমানো হয়।

আট দফা দাম কমার পর এখন চার দফায় সোনার দাম বাড়নোর কারণ হিসেবে বাজুস বলছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বেড়েছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, যা রোববার (১২ মে) থেকে কার্যকর হবে।

শনিবার (১১ মে) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে নতুন করে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরবর্তীতে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

নতুন মূল্য অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৮৩২ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার ২৮২ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১১ হাজার ৯৫১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৫০৫ টাকা বাড়িয়ে ৯৫ হাজার ৯৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ২৪৯ টাকা বাড়িয়ে ৭৯ হাজার ৩৩৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

অবশ্য সোনার গহনা কিনতে ক্রেতাদের এর থেকে বেশি অর্থ গুনতে হবে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে সোনার গহনা বিক্রি করা হয়। সেই সঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে আগামীকাল থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার গহনা কিনতে ক্রেতাদের ১ লাখ ২৬ হাজার ৬৪৫ টাকা গুনতে হবে।

এর আগে ৮ মে সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৪ হাজার ৫০২ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ১৫ হাজার ৪৫০ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৪ হাজার ৩০৪ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১০ হাজার ২০১ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৩ হাজার ৬৮৬ টাকা বাড়িয়ে ৯৪ হাজার ৪৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৬০১ টাকা বাড়িয়ে ৭৮ হাজার ৯০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

সোনার দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।


আরও খবর



বিএনপি নেতাদের সঙ্গে দেখা করবেন না ডোনাল্ড লু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ঢাকা সফরে আসছেন আজ। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উচ্চপর্যায়ের কোনো কর্মকর্তার এটি প্রথম সফর।

লুর এই সফরকে ঘিরে কয়েকদিন ধরেই আলোচনা চলছে দেশের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক অঙ্গনে। তবে এবারের সফরে বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোনো বৈঠক করবে না বলে জানা গেছে। কী কারণে এমন সিদ্ধান্ত বিষয়টি জানতে চাওয়া হয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রেস ব্রিফিংয়ে।

সোমবার (১৩ মে, স্থানীয় সময়) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রেস সচিব বেদান্ত প্যাটেল বিষয়টি পরিষ্কার করেন সাংবাদিকের সামনে।

প্যাটেলের কাছে প্রশ্ন করা হয়, ১৭ মাসের মধ্যে বাংলাদেশে তৃতীয়বারের মতো সফর করছেন সহকারী সচিব। তার আগের দুটি সফরে তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। কিন্তু এবারের সফরে বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক না করার কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ আছে কি না?

অপর আরেক প্রশ্নে জানতে চাওয়া হয়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র অবস্থান পরিবর্তন করেছে কি না?

জবাবে এম আর প্যাটেল বলেন, আমাদের সরকারি কর্মকর্তারা কাদের সঙ্গে মিলিত হবেন বা হবেন না, তার মধ্যে অনেকগুলো কারণ রয়েছে - এর মধ্যে সফরের সময়সূচিসহ অন্যান্য অনেক বিষয় থাকে।

প্যাটেল আরও বলেন, সহকারী সেক্রেটারি লু দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ– বিশেষ করে ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশে যাচ্ছেন। তিনি প্রতিটি দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার এবং একটি মুক্ত, উন্মুক্ত এবং সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য মার্কিন সমর্থনের বিষয়টি প্রদর্শন করছেন।

বাংলাদেশে তিনি সরকারি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের নেতা এবং অন্যান্য নাগরিকের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সহযোগিতাকে কীভাবে আরও গভীর করার যায় সে বিষয়ে কথা বলবেন। যার মাধ্যমে অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও গভীর করা সহ জলবায়ু সমস্যা মোকাবিলায় আমরা আরও সহযোগিতা করতে পারব।

উল্লেখ্য, ডোনাল্ড লু এর আগে গত বছরের জুলাইতে সর্বশেষ বাংলাদেশ সফর করেন। সে সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়ার সঙ্গী হয়ে ঢাকায় আসেন। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে এবং মার্কিন ভিসানীতিসহ নানামুখী তৎপরতার মধ্য দিয়ে সেই সফরটি আলোচিত ছিল।

এই সফরকে ঘিরে আবারও সরগরম রাজনৈতিক অঙ্গন। আওয়ামী লীগ বলছে, দুই দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে এ সফর গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে ডোনাল্ড লুর এই সফর নিয়ে কোনো আগ্রহই নেই, এমন দাবি বিএনপির।

তবে তার এবারের সফর যতটা না রাজনৈতিক তার চেয়েও বেশি কূটনৈতিক বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। আলোচনা হবে জলবায়ু সংকট ও দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের বিষয়ে। এ ছাড়া সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন তিনি।


আরও খবর



ফের ২০ বিলিয়নের নিচে নামল রিজার্ভ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দীর্ঘদিন ধরেই দেশে ডলার সংকট চলছে। ঈদের আগে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ার কারণে কিছুটা বাড়লেও আবারো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দিন শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়ায় ১৯ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলার। গত সপ্তাহ শেষে রিজার্ভ ২০ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলার ছিল। হুন্ডি প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স কমাসহ বিভিন্ন কারণে রিজার্ভ কমেছে বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের আগস্টে দেশের ইতিহাসে রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর ছাড়িয়েছিল। বিদেশ থেকে ঋণ নেওয়াসহ বিভিন্ন উপায়ে ওই সময় রিজার্ভ বাড়ানো হয়। এরপর থেকে ডলার সংকট কাটাতে গিয়ে ২৯ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে কমতে কমতে গত নভেম্বর শেষে রিজার্ভ ১৯ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলারে নেমেছিল। এরপর আবার বেড়ে ডিসেম্বরে ২১ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন হয়। তারপর আবার কমতে কমতে গত মার্চ শেষে ১৯ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলারে নেমেছিল। এরপর গত সপ্তাহ শেষে তা বেড়ে ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছিল।

সাধারণত প্রতি বছর রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে রেমিট্যান্স বাড়ে। তবে এবার তার উলটো চিত্র দেখা গেছে। গত মার্চে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছেন, যা আগের বছরের একই মাস বা আগের মাস ফেব্রুয়ারির তুলনায় কম।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২০১৩-১৪ অর্থবছরে রিজার্ভ ছিল ২১ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ছিল ২৫ দশমিক ০২ বিলিয়ন ডলার। ২০১৫-১৬ তে  ৩০ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৩৩ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রিজার্ভ ছিল ৩২ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ছিল ৩২ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলার। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ছিল ৩৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন। ২০২০-২১ অর্থবছরে রিজার্ভ ছিল ৪৬ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার। ২০২১-২২ অর্থবছরে ৪১ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার এবং সব শেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরে রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ৩১ বিলিয়ন ডলার।


আরও খবর



গরমে যে নিয়মে ডিম খেলে শরীর সুস্থ থাকে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

প্রচন্ড তাপপ্রবাহে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে জনজীবন। গরমে শরীর না ঘামলেও অনুভূত হচ্ছে অসহনীয় তাপ; যেন শরীর জ্বালাপোড়া করে পুড়ে যাচ্ছে! অসুস্থ হয়ে পড়ছেন মানুষ। গরমে শরীর সুস্থ রাখা জরুরি। শরীর সুস্থ রাখতে গরমে চিকিৎসকেরা হালকা খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন । মাংসও ঘন ঘন খেতে বারণ করেন। পরিমাণেও রাশ টানার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। বরং সবজি দিয়ে পাতলা মাছের ঝোল কিংবা ডাল খেতে বলেন। তবে ডিমের বিষয়টি আলাদা।

ডিম শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি জোগায়। চনমনে রাখে। প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে তোলে। তাই বলে গরমে ইচ্ছেমতো ডিম খেয়ে যাওয়া কি ঠিক? পুষ্টিবিদদের মতে, গরমে ডিম খাওয়া যাবে না, এই ধারণা একেবারেই ভ্রান্ত। ডিম খেলে হজমের গোলমাল হওয়ার কোনও কারণ নেই। ভাল করে সেদ্ধ করে নিলে সালমোনেলা ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণেরও ভয় নেই। গরমের সঙ্গে ডিমের কোনও বিরোধ নেই।

স্বাস্থ্য সুরক্ষায় শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিনের জন্য চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ, সকলেই প্রতিদিন একটি করে ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেন। বেশিরভাগ পুষ্টিকর উপাদান প্রাকৃতিকভাবে যেসব খাবারে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় তার মধ্যে অন্যতম হলো ডিম। যেমন- ডিমে আছে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন, ভিটামিন এ, ডি, বি এবং বি-টুয়েলভ্। এছাড়াও ডিমে আছে লুটেইন ও যিয়াস্যানথিন নাম দুটি প্রয়োজনীয় উপাদান যা বৃদ্ধ বয়সে চোখের ক্ষতি ঠেকাতে সাহায্য করে।

পুষ্টিবিদদের মতে, গরমে ডিম খেলে যে ক্ষতির কোনও কারণ নেই কিন্তু কী খাচ্ছি, তার চেয়েও কতটা খাচ্ছি, সে দিকে নজর রাখা জরুরি। গরমে ডিম খাওয়ার পরিমাণে কতটা রাশ টানা জরুরি? আসলে পরিমাণটা অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। যারা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন, খেলাধুলোর সঙ্গে যুক্ত কিংবা অক্লান্ত শারীরিক পরিশ্রম করেন, তাদের পর্যাপ্ত প্রোটিন খাওয়া জরুরি সে ক্ষেত্রে। সেই প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে দিনে দু-তিনটি ডিম খান অনেকেই। কিন্তু অনেকের আবার শারীরিক পরিশ্রম কম। শরীরচর্চাও করেন না। সে ক্ষেত্রে দিনে একটির বেশি ডিম না খাওয়াই ভাল। বয়স, উচ্চতা, শারীরিক পরিশ্রমের পরিমাণ এবং আরও বেশ কয়েকটি বিষয় জড়িয়ে থাকে ডিম খাওয়ার সঙ্গে।

গরমে হালকা খাবারই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তবে, গরমের খাদ্যতালিকায় রাখতেই পারেন ডিমকে। ডিম হল সুপারফুড। পুষ্টিগুণে ভরপুর। প্রোটিন, ভিটামিন ডি, বি, জিংক ও ক্যালসিয়ামে ভরপুর ডিম।

স্বাস্থ্যে একাধিক উপকারিতা প্রদান করে ডিম। এমনকি ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যকেও ভালো রাখে। হজমের সমস্যা না থাকলে প্রতিদিনই ডিম খাওয়া যায়। কিন্তু একটার বেশি ডিম খেলে এই গরমে কি শারীরিক সমস্যা বাড়বে?

অনেকের ধারণা, গরমকালে ডিম খাওয়া উচিত নয়, এতে কোলেস্টেরল বেড়ে যায়। এটা শুধু ধারণা মাত্র। ডিমের মধ্যে ভালো কোলেস্টেরল রয়েছে, যা আদতে হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কিন্তু গরমে ভারী খাবার একটু এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।

এমনকি পেট গরম হতে পারে ভেবে অনেকে ডিম খাওয়াও কমিয়ে দিয়েছেন। গরমে ডিম খাওয়া মানা নয়। তবে পরিমাণের দিকটা খেয়াল রাখতে হবে। গরমে দিনে দুটির বেশি ডিম খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, কারও হজমশক্তি খুব ভাল হলেও বেশি ডিম খাওয়া ঠিক হবে না। ডিম দিয়ে কী বানাচ্ছেন সেটাও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। ডিম দিয়ে অনেক মুখরোচক খাবার তৈরি করা যায়। জেনে নিন গরমে যে নিয়মে ডিম খেলে শরীর সুস্থ থাকে

ডিম সেদ্ধ করুন এমন ভাবে, যাতে ডিমের সাদাটি সিদ্ধ হয়ে যায়। কিন্তু অথচ কুসুমটি নরম তুলতুলে থাকে। এই ভাবে ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এই ভাবে সেদ্ধ করলে ডিমের মধ্যে থাকা ক্ষতিকারক জীবাণুও মরে যায়। টোস্ট আর ডিম পোচ জুটির বাঙালি বাড়িতেও কম জনপ্রিয়তা নেই। এই গরমে ডিম খেতে হলে পোচ বানিয়ে খাওয়াই ভাল। পেটের গোলমাল হওয়ার ভয় নেই। শরীরও শক্তি পায়। শারীরিক কোনও অস্বস্তি হয় না।

অনেকেই হাফ বয়েল ডিমে আঁশটে গন্ধ পান। তাদের জন্য পুরো সেদ্ধ ডিমই সেরা। মিনিট পাঁচেক পানিতে ফুটিয়ে নিলেই ডিম সিদ্ধ তৈরি। চটজলদি খাবার হিসাবে ডিম সেদ্ধর বিকল্প নেই। লবণ আর মরিচ দিয়েই খেয়ে নিতে পারেন। এ ছাড়াও সেদ্ধ ডিম দিয়ে বানাতে পারেন এগ সালাদ কিংবা এগ স্যান্ডউইচ।

গরমকালে ডিম খেলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি থাকবে। এতে মুখরোচক খাবার খাওয়া থেকেও দূরে থাকতে পারবেন। এতে সহজেই ওজন কমবে। আর দেহে পুষ্টির ঘাটতিও পূরণ হবে। তাই স্বাস্থ্যের কোনও গন্ডগোল না থাকলে প্রতিদিন একটি করে ডিম খেতে পারেন।


আরও খবর