দুই দিন আগে গত বুধবার নরসিংদীর বাসাইলের নরসিংদী ক্লাবে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম খাঁন হিরুকে বিজয়ী করার লক্ষে এক মত বিনিময় সভায় অনুষ্ঠানে যোগ দেয় জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আহসানুল ইসলাম।
নরসিংদী-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ কামরুল ইসলামের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন “স্বতন্ত্র মতন্ত্র বুঝিনা, মাইরের উপর কোন ঔষধ নাই। ছাত্রলীগের পোলাপাইন স্বতন্ত্ররে মানতো না। স্বতন্ত্ররে কেমনে পিডাইতে অয়,হে-ই আমাদের দেহায়সে। হেরে আমরা এমনেই পিডামু।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির এমন বক্তব্য মূহুর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার নরসিংদী যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ এবং নরসিংদী-১ নির্বাচনী এলাকার নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির সদস্য নাহিদুর রহমান নাহিদ ব্যাখ্যা চান ছাত্রলীগের ওই নেতার কাছে। এমন বক্তব্যে নির্বাচনী আইন ভঙ্গের কারণে কেন তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবেনা, তার কারণ জানতে চেয়েও শোকজ করা হয় এবং ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাকে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।
উল্লেখিত ঘটনার দুদিনের মাথায় আজ শুক্রবার দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে ডিবি পুলিশ কর্তৃক গ্রেপ্তার হয়েছেন ভাইরাল হওয়া জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আহসানুল ইসলাম রিমন।
ছালীগ সভাপতি আহসানুল ইসলাম রিমনের দেওয়া এমন বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। যা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ (১৯৭২ সনের রাষ্ট্রপতি আদেশ নং ১৫৫) এর ৭৩ ও ৮৪ (ক) এবং সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর ধারা ১১ (ক) এর লংঘন।
পরবর্তীতে আজ দুপুর ১২ টা ৫০ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হল গেট থেকে ডিবি পুলিশ তাকে আটক ও গ্রেপ্তার করে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার নরসিংদী ড. বদিউল আলম বলেন, ‘আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন উপহার দিতে চাই। এতে কেউ বাধা প্রদান করলে বা নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা ভঙ্গ করলে আমরা কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’