আজঃ শনিবার ২৯ জুন ২০২৪
শিরোনাম

মাঝ আকাশে বিমানের উইন্ডশিল্ডে ফাটল, ঢাকায় জরুরি অবতরণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

উড্ডয়নের পর বিমানের সামনের কাঁচে (উইন্ড শিল্ড) ফাটল দেখা দেওয়ায় ঢাকায় জরুরি অবতরণ করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট। গতকাল সোমবার রাত ১০টার পর চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আবুধাবির উদ্দেশ্যে রওনা করেছিল বিমানের বিজি-১২৭ ফ্লাইটটি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে বিমানটি চট্টগ্রাম থেকে উড্ডয়নের পর এর উইন্ড শিল্ডে ফাটল দেখা দেয়। এ সময় পাইলট আবুধাবি না গিয়ে জরুরি অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন। তবে অবতরণের আগে ফ্লাইটটি জ্বালানি কমাতে তিন ঘণ্টা নরসিংদীর আকাশে চক্কর দেয়। মূলত ঢাকা বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) টাওয়ার থেকে ফ্লাইটটিকে নরসিংদীর আকাশে চক্কর দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বিমান চলাচল পর্যবেক্ষণকারী ওয়েবসাইট ফ্লাইট রাডারের তথ্য বলছে, ফ্লাইটটি রাত ১০টা চার মিনিটে চট্টগ্রাম থেকে আবুধাবির জন্য উড়াল দেয়। তবে ত্রুটির কারণে নরসিংদীর বেলাবো এলাকার আকাশে প্রায় ২৬-২৭ বার চক্কর দেয়।

বিমানের জেনারেল ম্যানেজার (জনসংযোগ) বুশরা ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, বিষয়টি তেমন সিরিয়াস নয়। জ্বালানি নিঃশেষ করতে উড়োজাহাজটিকে কয়েকবার চক্কর দিতে হয়েছে। যে উচ্চতায় প্লেনটি উড়েছে তা নিরাপদ ছিল।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর ছিল ফলপ্রসূ ও আন্তরিকতাপূর্ণ: কাদের

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর অত্যন্ত চমৎকার, ফলপ্রসূ ও আন্তরিকতাপূর্ণ ছিল বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (২৪ জুন) আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি একথা বলেন। বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নিয়মমাফিক অপপ্রচার ও মিথ্যাচারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সর্বদা দেশ ও জনগণের মর্যাদা ও স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে সরকার পরিচালনা করেন। রাষ্ট্র পরিচালনায় অভ্যন্তরীণ ও পররাষ্ট্র যে কোনো নীতিতে তার প্রধান বিবেচ্য দেশের জনগণের স্বার্থ ও নিরাপত্তা।

ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফরও এর ব্যতিক্রম নয়। প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর ছিল অত্যন্ত চমৎকার, ফলপ্রসূ ও আন্তরিকতাপূর্ণ। এই সফরে দুই দেশের সম্পর্কের অগ্রগতি ও অর্জনগুলো স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে। যেখানে ১০টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে এবং ১৩টি সুনির্দিষ্ট ঘোষণা এসেছে।

তিনি বলেন, বিএনপি ও মির্জা ফখরুলরা কখনো বর্তমান সরকারের কোনো প্রকার সফলতা দেখে না। ভারত বাংলাদেশের বৃহৎ প্রতিবেশী রাষ্ট্র। বাংলাদেশের স্বার্থে ভারতের সঙ্গে কৌশলগতভাবে সম্পর্ককে জোরদার করতে হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনা এই সফরে তারই প্রতিফলন ঘটিয়েছেন। বিএনপির শাসনামলে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে এক ধরনের অনাস্থা ও অবিশ্বাসের সৃষ্টি হয়েছিল। শেখ হাসিনা এই আস্থা পুনরায় ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন। যার ফলে বাংলাদেশি রোগীদের জন্য ভারতের ই-মেডিকেল ভিসা চালুর সিদ্ধান্তে দুই দেশ ঐক্যমত হয়েছে। এতে বাংলাদেশের জনগণের ভোগান্তি কমবে।

তিনি আরও বলেন, নতুন নতুন রুটে বাস-ট্রেন চালু এবং নতুন উপ-হাইকমিশন খোলার ঘোষণা দুই দেশের মানুষের সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে। তিস্তায় পানি বণ্টন ছিল এই সফরের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে ভারতের কেন্দ্র সরকার ও রাজ্য সরকারের মধ্যে মতদ্বৈততা রয়েছে। এই সমস্যা থাকার পরও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সুস্পষ্টভাবে তিস্তার পানি সংরক্ষণ প্রকল্প বিষয়ে কারিগরি সহায়তা দল পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতৃবৃন্দের মুখে দেশের স্বার্থ নিয়ে কথা বড্ড বেমানান। তাদের নেত্রী খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ভারত সফরে গিয়ে গঙ্গার পানি চুক্তির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে ভুলে গিয়েছিল। অথচ জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেই ৩০ বছর মেয়াদি গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি সম্পন্ন করেন। এবারের সফরে এই চুক্তি নবায়নের বিষয়টিও উঠে এসেছে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউর রহমানের আমলে ভারত দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ দখল করে নিয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে দুই দেশের সীমানা জটিলতা নিরসনে সীমান্ত ও ছিটমহল বিনিময় চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।

তিনি বলেন, পাশাপাশি ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে আন্তর্জাতিক পরিসরে আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। অন্যদিকে বিএনপির সময় ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সহায়তা দিতে দশ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালনের ঘটনা ঘটেছিল এবং ভারতীয় সন্ত্রাসীগোষ্ঠীকে বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করার সুযোগ দেওয়ায় দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কে অনাস্থা দেখা দিয়েছিল। বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় ভারত থেকে বাংলাদেশে পুশব্যাকের মতো ঘটনা ঘটেছিল। বিএনপি তো সেই দল যারা ভারতের নির্বাচনে বিজেপির জয়লাভের পর ভারতীয় দূতাবাসের দরজা খোলার আগেই অভিনন্দন জানাতে মিষ্টি ও ফুল নিয়ে হাজির হয়েছিল। পরিতাপের বিষয় যে, তারাই আজ বাংলাদেশে ভারতবর্জন ও ভারতবিদ্বেষী রাজনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছে। এটা তাদের চিরাচরিত দ্বিচারিতা ছাড়া আর কিছু নয়।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরে তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনাই একমাত্র সরকার প্রধান যিনি যে কোনো দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক দরকষাকষি করে বাংলাদেশের জনগণের মর্যাদাপূর্ণ স্বার্থ সুরক্ষিত করেছেন।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের ভারতসহ অন্যান্য রাষ্ট্রের সাথে বিরাজমান অমীমাংসিত দ্বিপাক্ষিক বিষয়গুলোর শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধান হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে মুসল্লির ঢল

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করতে রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে মুসল্লির ঢল নেমেছে। ঈদের জামাতে অংশ নিতে সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুসল্লিরা জড়ো হতে থাকেন। পায়জামা পাঞ্জাবি, টুপি পরে ও নানা ধরনের আতর সুগন্ধি মেখে আসেন মানুষ। ছোটরা আসেন বড়দের হাত ধরে।

রাজধানীর হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে জাতীয় ঈদগাহে প্রধান ঈদের জামাতে সর্বস্তরের মুসল্লিদের সঙ্গে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

সোমবার (১৭ জুন) সকাল সাড়ে ৭টায় রাষ্ট্রপতি তার পরিবারের সদস্য ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেন।

এছাড়াও সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদসহ সব শ্রেণিপেশার মানুষ জামাতে অংশ নেন।

এদিকে, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথম জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা এহসানুল হক। মুকাব্বির ছিলেন বায়তুল মোকাররমের অবসরপ্রাপ্ত মুয়াজ্জিন হাফেজ ক্বারী মো. আতাউর রহমান। নামাজ শেষে সালাম ফিরিয়ে দল বেঁধে বেরিয়ে যাচ্ছেন মুসল্লিরা।

বায়তুল মোকাররমে ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায়, তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায়, চতুর্থটি সকাল ১০টায় এবং পঞ্চম ও সর্বশেষ ঈদের জামাত হবে বেলা পৌনে ১১টায়।


আরও খবর



বর্ষায় রান্নাঘরের যে ৫ বিষয়ে খেয়াল রাখবেন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

গরম যদিও কমেনি তেমন, তবে বর্ষাকাল তো শুরু হয়ে গেছেই। মাঝে মাঝে দুই-এক পশলা বৃষ্টি এসে মনে করিয়ে দিচ্ছে সেকথা। বর্ষাকালে সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য খাবারের দিকে নজর রাখা জরুরি। তেমনই খেয়াল রাখতে হবে রান্নাঘরের কিছু বিষয়েও। এসময় ফ্লু, অন্ত্রের সমস্যা এবং জ্বর সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।

স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের প্রজনন স্থল হয়ে ওঠে। এসময় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর মধ্যে একটি হলো রান্নাঘর। ক্রমাগত রান্না এবং পানির প্রবাহ স্বয়ংক্রিয়ভাবে আরও স্যাঁতসেঁতে করে তোলে। যা অনেক সময় খাদ্য দূষণ এবং খাদ্যের বিষক্রিয়ার কারণ হতে পারে। তবে চিন্তা করবেন না, আপনার রান্নাঘরকে সতেজ এবং নিরাপদ রাখার কিছু সহজ উপায় আছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

রান্নাঘরের চিমনি এবং এক্সজস্ট ফ্যান পরিষ্কার করুন: উচ্চ তাপে রান্না করলে স্যাঁতসেঁতে হয়ে যায়, তাই বিশেষজ্ঞরা রান্নাঘরে আলো এবং বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখার পরামর্শ দেন। তবে বর্ষাকালে এমন পরিবেশ বজায় রাখা কিছুটা কঠিন হতে পারে। এক্ষেত্রে এক্সজস্ট ফ্যান এবং চিমনি কাজে আসে। বর্ষাকালের আগে এই যন্ত্রপাতিগুলোকে পরিষ্কার করুন যাতে এটি আরও ভালোভাবে কাজ করে।

এয়ার টাইট বয়াম ব্যবহার করুন: বায়ুমণ্ডলের অতিরিক্ত আর্দ্রতা আপনার লবণ এবং চিনির বয়ামে প্রভাব ফেলতে পারে। এ কারণে মসলাগুলোকে আর্দ্রতা এবং ব্যাকটেরিয়া থেকে মুক্ত রাখতে, এবং সেইসঙ্গে আপনার খাবারের সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্যবিধিকে আরও উন্নত করতে এয়ার টাইট কাঁচের বয়াম ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

নিরাময় মসলা হাতের কাছে রাখুন: বাঙালির রান্নাঘর হলো বিভিন্ন ধরনের মসশলার ভান্ডার। সেগুলো রান্না ছাড়াও অনেক কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। দারুচিনি, লবঙ্গ, শুকনো আদা ইত্যাদি মসলায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা আপনার মৌসুমী স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য ঘরোয়া প্রতিকার হিসাবে কাজ করতে পারে। তাই এ ধরনের মসলা হাতের নাগালেই রাখুন।

সিঙ্ক পাইপ পরিষ্কার করুন: আপনার রান্নাঘরের লুকানো জায়গাগুলোতে, বিশেষ করে সিঙ্কের পাইপ এবং ড্রেনে যেন কোনো পানি জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন। কারণ এসব স্থান থেকে মশা এবং মাছি এসে রান্নাঘর এবং সেখানে থাকা খাবারকে দূষিত করে। সুতরাং, বর্ষাকাল পুরোপুরি শুরু হওয়ার আগে এটি ভালোভাবে পরিষ্কার করুন এবং নিজেকে সুস্থ ও নিরাপদ রাখুন।

পর্যাপ্ত মৌসুমি ফল ও সবজি সংরক্ষণ করুন: মৌসুমি খাবারের গুরুত্ব আমাদের অজানা নয়। মৌসুমি রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য পর্যাপ্ত পুষ্টির মাধ্যমে নিজেকে শক্তিশালী করার জন্য আপনার খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত বর্ষাকালীন ফল এবং শাক-সবজি রাখা গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং, আপনার খাদ্যতালিকায় পরিবর্তন করুন এবং সেই অনুযায়ী খাবার কিনুন।

নিউজ ট্যাগ: রান্নাঘর

আরও খবর



বেনজীর কীভাবে দেশত্যাগ করলেন, প্রশ্ন ফখরুলের

প্রকাশিত:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

দুর্নীতির অভিযোগ থাকার পরও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ সপরিবারে কীভাবে দেশত্যাগ করলেন- সরকারের কাছে এমন প্রশ্ন রেখেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, সরকার মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে। অসংখ্য আজিজ-বেনজীর সৃষ্টি করেছে আওয়ামী লীগ সরকার, লুটের সাম্রাজ্য তৈরি করেছে। লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে সরকারকে পরাজিত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।

শনিবার (১ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

মির্জা ফখরুল বলেন, পাকিস্তান একদিনে হয়নি, বাংলাদেশ একদিনে হয়নি। ২৫ বছর সংগ্রাম করতে হয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য। আমরা তো মাত্র কয়েক বছর লড়াই করলাম, মাত্র ১৫ বছর। আমরা হেরে গেছি- এটা মনে করার কোনো কারণ নেই।

তিনি বলেন, এ লড়াই সাধারণ লড়াই নয়, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক লড়াই, ৬০ লাখ আসামি। এ লড়াইয়ে আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী প্রাণ দিয়েছেন। আমরা জেলে যাচ্ছি, কারাগারে যাচ্ছি। হ্যাঁ, সাফল্য আসেনি। তবে একদিন সাফল্য আসে না। খালেদা জিয়া এখনো কারাগারে, তাকে মুক্ত করতে পারিনি। লড়াই থেমে যায়নি। যতক্ষণ বিজয় অর্জন না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত লড়াই চলবে। সেখান থেকে সরে আসিনি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপি সবচেয়ে বড় দল, শক্তিশালী দল। বিএনপির রিসার্চ সেল আছে। বিএনপিপন্থি বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। ফ্যাসিবাদী সরকারকে সরিয়ে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করছে বিএনপি। এখনো পিছপা হইনি আমরা। বিজয় অর্জন করতেই হবে, সাফল্য আনতেই হবে। লক্ষ্য থেকে সরে আসবে না বিএনপি, মাঝেমধ্যে কৌশল পরিবর্তন হবে।

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ তিন মেয়ে ও স্ত্রীসহ গত ৪ মে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে ঢাকা ছাড়েন। স্ত্রী জীশান মির্জার চিকিৎসাজনিত কারণে তারা এখন সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।


আরও খবর



মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে জাবি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

একাত্তরের বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই, সারাবাংলায় খবর দে, কোটাপ্রথার কবর দে স্লোগান নিয়ে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহালের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও ঢাকা আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় দুইশত শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সকাল এগারোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে একটি মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি শহীদ মিনার হয়ে প্রধান ফটকে অবস্থান নেয়। এরপর ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক পাঁচ মিনিট প্রতিকী অবরোধ করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা।

বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা বলেন, সরকারি চাকরিতে ৩০% কোটা আমরা কখনো মানব না। ২০১৮ সালে আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার সে সময় কোটা পদ্ধতি বাতিল করে। কিন্তু আজকে হাইকোর্ট সেই কোটা পুনর্বহাল করেছেন, এটা আমাদের সাথে বৈষম্য। এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমরা লড়াই চালিয়ে যাবো।

এসময় পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাহফুজ ইসলাম মেঘ বলেন, ১৮ সনের কোটা আন্দোলনের পর পুনরায় কোটা বহাল করার যেই পায়তারা চলছে তা দেশের মেধাবী, যোগ্য চাকুরি প্রার্থীদের সাথে বৈষম্য। এই অন্যায় সিদ্ধান্ত কখনোই মেনে নেয়া যায়না। একটি স্বাধীন দেশে এরকম বৈষম্য থাকবে, তা কখনোই আমাদের কাম্য নয়। এর জন্য যতো কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার প্রয়োজন সে পর্যন্ত যাবে এদেশের আপামর জনতা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়াম বলেন, শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবিকে প্রত্যাখ্যান করায় আমরা আজ প্রতীকী অবরোধ কর্মসূচি পালন করছি। কোটাব্যবস্থা পুনর্বহাল হলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবো।

উল্লেখ্য, গতকাল এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সরকারি চাকরিতে ৩০% কোটা বহালের রায় দেন।


আরও খবর