দরজায় কড়া নাড়ছে
ঈদ। আর মাত্র বাকি এক দিন। এতদিন ক্রেতারা হাটে ঘুরে গরু দেখলেও কেনার তাড়া ছিল কম।
এবারতো কিনতে হবে। তাইতো পছন্দের গরু কিনতে শেষ সময়ে কোরবানির হাটে ছুটছেন নগরবাসী।
বিভিন্ন হাট ঘুরে দেখা যায়, পছন্দের সঙ্গে দামে মিলাতে পারছেন না অনেকে।গতকাল মঙ্গলবার (২৭ জুন) সকাল থেকে রাজধানী জুড়ে বৃষ্টি হওয়ায় বেপারিরা কিছু বড় গরু কম দামে ছেড়ে দেয়। তুলনামূলক বড় আকারের গরুর দাম কম। তবে মধ্যবিত্তের কাছে চাহিদা বেশি মাঝারি আকারের গরুর। মধ্যবিত্তের সেই কাঙ্খিত মাঝারি আকারের গরু লাখ টাকার নিচে মিলছে না।
আরও পড়ুন: আবারও মা হতে যাচ্ছেন শুভশ্রী
এদিকে মঙ্গলবার
হাটে ক্রেতা সমাগম কয়েক গুণ বাড়লেও কাঙ্খিত বিক্রি হয়নি। তবে বুধবার (২৮ জুন) বেচাবিক্রি
বাড়বে বলে আশা করছেন বিক্রেতারা। ঈদ ঘনিয়ে আসায় আশানুরূপ পশু বিক্রি করতে না পেরে নির্ঘুম
সময় পার করছেন বেপারিরা। আবার ক্রেতারাও বাজেটের মধ্যে পছন্দের পশুটি কিনতে না পেরে
আছেন দুশ্চিন্তায়।
রাজধানীর আফতাবনগরে পশুর হাট ঘুরে দেখা যায়, মাঝারি ও বড় গরুরই বেশি। মাঝারি গরুর চাহিদা সব চেয়ে বেশি। তবে মাঝারি গরুর দাম পড়ছে ১ লাখ ২০ হাজার থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। একটু বড় আকারের গরুর দাম পড়ছে এক লাখ ৬০ হাজার থেকে এক লাখ ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত। অপরদিকে বড় গরুর দাম পড়ছে ৪ থেকে ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরের অর্ধশত গ্রামে কাল ঈদ
আফতাবনগরে গরু
কিনতে এসেছেন রামপুরা বনশ্রী এলাকার লিয়াকত হোসেন। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি
করেন তিনি। বললেন আমরা ৪ জনে মিলে এবার কোরবানি দিব। বাজেট দেড় লাখ থেকে এক লাখ ৬০
হাজার। কিন্তু এই টাকায় পছন্দমত গরু পাচ্ছি না। যেটা পছন্দ হয়। তার দাম খুব বেশি। বাজেটে
কুলায় না।
বাড্ডা এলাকার
বাসিন্দা তুষার বলেন, এক লাখের নিচে মাঝারি গরু পাওয়াই যাচ্ছে না। সব গরু লাখ টাকার
ওপরে। যেগুলোর দাম ৭০-৭৫ হাজার টাকা বলছে, সেগুলো একেবারেই ছোট বাছুর। আর ৬০-৭০ হাজার
টাকায় গরুই মিলছে না।
গাজীপুরের বেপারি সোহেল আহমেদ বলেন, এবার লোকসানে পড়তে হবে। আসলে গরুর দাম বেশি না। খরচের তুলনায় কমেই আছে। একটা গরু লালনপালন থেকে শুরু করে হাট পর্যন্ত আসতে অনেক খরচ। কষ্ট অনুসারে লাভ হয় না। বৃষ্টির কারণে টেনশানে আছি। হাটে ক্রেতাদের চাপ কম। তাই কম লাভে গরু ছেড়ে দিচ্ছি। তারপরেও বিক্রি হচ্ছে না। ক্রেতারা দোটানায় আছেন।
আরও পড়ুন: তিন লাল কার্ডের ম্যাচে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন কুয়েত
প্রসঙ্গত এ
বছর সরকারি হিসাবে কোরবানিযোগ্য মোট গবাদিপশুর সংখ্যা ১ কোটি ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ৩৩৩টি।
কোরবানির পশুর সম্ভাব্য চাহিদা ১ কোটি ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৭৩৯। সে হিসাবে এ বছর ২১ লাখ
৪১ হাজার ৫৯৪টি পশু উদ্বৃত্ত রয়েছে।