দেশের আদালতে মামলাজট কমাতে যা যা প্রয়োজন সরকার তাই করবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, ‘আদালতের মামলার জট কমাতে পৃথিবীতে যেসব পদ্ধতি আছে, যা যা অনুসরণ করা প্রয়োজন, আমরা তাই করব।’
রোববার রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সহকারী জজ ও সমপর্যায়ের বিচারকদের বিশেষ বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতি নিয়োগের ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি যখনই মনে করবেন তখনই নিয়োগ দেবেন।’
এর আগে অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বিচারকেরা হলেন বিচার বিভাগের প্রধান চালিকাশক্তি। তাই তাদের দক্ষতা উন্নয়নে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে এই ইনস্টিটিউটে একই সঙ্গে দুটি ব্যাচের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সে ৭০ জন অংশ নিতে পেরেছেন।’
আনিসুল হক বলেন, সরকার বিচার বিভাগের জন্য জেলায় জেলায় সুউচ্চ অবকাঠামো নির্মাণ করছে। বিচারকদের দেশীয় প্রশিক্ষণের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া, চীন, জাপান ও ভারতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে। নজিরবিহীনভাবে বিচারকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করেছে। এসব কিছু করার উদ্দেশ্য হচ্ছে জনগণকে সময়মতো ন্যায়বিচার প্রদান ও জনগণের প্রত্যাশা মেটানো। মামলাজট কমানো এখন বিচারকদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এখনই এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে না পারলে ভবিষ্যতে তা আরও জটিল হয়ে দাঁড়াবে।
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার এবং ইনস্টিটিউটের পরিচালক গোলাম কিবরিয়া বক্তব্য রাখেন।