আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

মহারাষ্ট্রে করোনা হাসপাতালে আগুন, ১৩ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ এপ্রিল ২০২১ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৩ এপ্রিল ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ভারতের মহারাষ্ট্রে একটি কোভিড-১৯ হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারালেন ১৩ রোগী। বার্তা সংস্থা এএনআইর বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে যায় মুম্বাইয়ের কাছে পালঘরে অবস্থিত ভিরারের বিজয় বল্লভ কোভিড হাসপাতালে। দুদিন আগেই মহারাষ্ট্রের নাসিক জেলায় একটি হাসপাতালে অক্সিজেন ট্যাঙ্কার লিক হয়ে অক্সিজেনের অভাবে ২৪ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছিল।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত রাত সাড়ে ৩টা নাগাদ বিজয় বল্লভ কোভিড হাসপাতালে আগুন লাগে। অভিযোগ উঠেছে হাসপাতালে পর্যাপ্ত সংখ্যক চিকিৎসক বা চিকিত্সাকর্মী ছিলেন না। এই অবস্থাতেই হাসপাতালে মোট ৯০ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মোট ১৭ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। তাঁদের মধ্যে প্রাণ হারান ১৩ জন। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ১০টি ফায়ার ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পাশাপাশি করোনা রোগীদের ওই হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরের কাজ চলছে।

আগুন লাগার পর রোগী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আজ ভোর সাড়ে ৫টার মধ্যে ওই হাসপাতাল‌ের আগুন নেভানো সম্ভব হয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী অবিনাশ পাতিল এই দুর্ঘটনার বিষয়ে বলেন, হাসপাতালে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা বিকল ছিল। ওয়াটার স্প্রিঙ্কলার বা অগ্নি নির্বাপক সিলিন্ডার কাজ করছিল না। ঘটনার সময় কোনো চিকিত্সক ছিলেন না। শুধু দুজন নার্স তখন হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। আমি আইসিইউ-তে আগুন লাগতে দেখি। কীভাবে রোগীরা পুড়ে যায় সেই আগুনে, তা দেখি। আমি মাকে এই হাসপাতালে ভর্তি করতে এসে এই ঘটনার সাক্ষী হই।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার জানিয়েছে, ওই হাসপাতালের প্রধান কার্যনির্বাহী কর্মকতা দিলীপ শাহ বলেছেন, আইসিইউ-তে রাত ৩টা নাগাদ আগুন লাগে। এতে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। যে ২১ জন রোগীর অবস্থা সংকটজনক ছিল, তাঁদের অন্য হাসপাতালে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে এই আগুন লাগার ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



হ্রাস পাচ্ছে ফসল উৎপাদন

রামগঞ্জে ফসলি জমির মাটি গিলে খাচ্ছে ইটভাটা

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

রামগঞ্জ উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নে ফসলি জমিতে গড়ে ওঠা ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে কৃষি ও ফসলি জমির মাটি। মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রির ফলে উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের একটি বিলেই রয়েছে প্রায় দুই শতাধীক পুকুর। সরকারি খাল-ডোবা নালা, আবাদি জমির মাটি ভেকু মেশিন দিয়ে কাটার ফলে যত্রতত্রে পুকুরে সয়লাভ। এসব জমির বেশিরভাগই ধানের জমি। এতে দিনদিন কমছে চাষাবাদের জমি। ফলে হ্রাস পাচ্ছে ফসল উৎপাদন।

অন্যদিকে একের পর এক গড়ে ওঠা ইটভাটা গ্রাস করে নিচ্ছে ফসলি জমি। বৈধ-অবৈধ ইটভাটাগুলো এখন কৃষকদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

চলতি মৌসুমে ইট ভাটার আশপাশে চলছে মাটি কাটার মহোৎসব। মাটি খেঁকোদের খপ্পরে পড়ে জমির টপ সয়েল যাচ্ছে ইটভাটায়, পুড়ছে আগুনে।

শুক্রবার বিকালে ভোলাকোট ইউনিয়নের একটি মাঠে গিয়ে দেখা যায় মাটি কাটার এ কর্মযজ্ঞ।

রামগঞ্জ উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের দেহলা গ্রামের আমির হোসেন ডিপজলের ইটভাটার পিছনে দেহলা ও সমেষপুর কৃষি জমির চিত্র এটি।

পুরো ফসলি জমির মাঠ জুড়ে বিশাল বিশাল পুকুরে সয়লাভ। এসব পুকুরের কারণে কোন ধরনের ফসল ফলানো স্থানীয় কৃষকদের জন্য অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় লোকজন জানান, চলতি বছরের জানুয়ারী মাস থেকে উক্ত বিলে ৩০টির বেশী পুকুর খনন করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এলাকার ভুক্তভোগী কৃষক ও এলাকাবাসী কয়েকবার  মানববন্ধন, প্রশাসনের নিকট লিখিত অভিযোগ, গণস্বাক্ষর সম্বলিত স্বারকলিপি প্রদান, সাংবাদিক সম্মেলন করে আসলেও বন্ধ হয়নি মাটি কাটা।

শুক্রবার ২৬ (এপ্রিল) দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ২০ থেকে ২৫টি অবৈধ ট্রলি ও ভেকু মেশিন দিয়ে ফসলি জমিতে পুকুর খনন করে মাটি নিয়ে যাচ্ছে পার্শ্ববর্তী আল মদিনা ও জেবিএম ইটভাটায়।

আবদুস সালাম, কালা মিয়া, রাজা মিয়াসহ কয়েকজন কৃষক জানান, ভোলাকোট ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বশির আহম্মদ মানিক, আওয়ামী লীগ নেতা দুলাল পাটোয়ারী, ইটভাটা মালিক আমির হোসেন ডিপজল, জাহাঙ্গীর কোম্পানী, সিরাজ মিয়াসহ মাটি ব্যবসায়ী এই চক্রটি জমি কিনে নিয়ে ৪০ থেকে ৫০ ফুট গভীর করে মাটি নিয়ে যায়।

এত পার্শ্ববর্তী জমি ভেঙ্গে পড়ে পুকুরে পতিত হয়। পার্শ্ববর্তী জমির মালিক বাধ্য হয়ে মাটি খেকোদের কাছে অল্প দামে জমি বিক্রি করে দিচ্ছেন। আবার অনেক কৃষককে জমির মাটি বিক্রিতেও বাধ্য করা হয় কখনো কখনো। নামমাত্র মূল্যে ২বা ৩ ফুট কাটার কথা বলা হলেও অল্প কদিনেই ভেকু মেশিন দিয়ে কোথাও কোথাও তা ৪০/৫০ ফুট গভীর করে মাটি নিয়ে যায়।

সিরাজ নামের একজন কৃষক জানান, সমস্ত মাঠটাকে যেভাবে ধ্বংস করে ফেলছে, আমরা কৃষক কিভাবে চাষাবাদ করবো, কি খাবো।

শাহ আলম নামের আরেক কৃষক জানান, পুরো মাঠজুড়ে পুকুর। পুকুরের কারণে নিজের জমিতেই যাওয়া যায়না। কিছু কিছু জমির ধান পেকে আছে অথচ ধান কেটে কিভাবে আনবো-নৌকায় করেও আনা সম্ভব নয়।

ভোলাকোট গ্রামের দেহলা, শাহারপাড়া, শাকতলা ও ভাদুর ইউনিয়নের সমেষপুর ও সিরুন্দিসহ ৫ গ্রামের কয়েক হাজার কৃষক যুগ যুগ ধরে এ মাঠে চাষাবাদ করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। কয়েক বছর আগে থেকেই এ মাঠটি মাটি খেকোদের কুনজর পড়েছে। এখন চাষাবাদ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই বেশীভাগ কৃষক কৃষিকাজ ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশা জড়িত হতে বাধ্য হচ্ছেন।

মাটিকাটায় অভিযুক্ত দুলাল পাটোয়ারী জানান, সবাই কাটে-আমরা কাটলে দোষ হয়? আপনারা আসছেন, আপনারা নিউজ করেন-আমরা আমাদের কাজ করি।

লক্ষ্মীপুর জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক হারুন অর রশিদ পাঠান জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দিলু জানান, আমি অসহায়। আমার কিছু করার নেই মাটিকাটা বন্ধে। আপনারা নিউজ করে দেখেন কিছু করতে পারেন কি না।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. শারমিন ইসলাম জানান, সর্বশেষ মাসিকসভায় এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। মাটি কাটা রোধে সরকারি সবধরনের আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

কনক মজুমদার, রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর)


আরও খবর



বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের দুর্নীতি অুনসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালা উদ্দিন রিগ্যান সোমবার (২২ এপ্রিল) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিটটি দায়ের করেন। বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চে এটির শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

এ বিষয়ে দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলছেন, তারা রিটের একটি কপি হাতে পেয়েছেন। সেখানে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। রিটে বিবাদী করা হয়েছে দুদক চেয়ারম্যান, সচিবসহ চারজনকে।

এর আগে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ৩৪ বছর ৭ মাস চাকরি করে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে অবসরে যান। অবসর গ্রহণের পর দেখা যায়, বেনজীর আহমেদ তার স্ত্রী ও কন্যাদের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি অর্জন করেছেন যা তার আয়ের তুলনায় অসম।

গত ৩১ মার্চ দৈনিক কালের কণ্ঠে ঢাকায় বেনজীরের জন্ম আলাদীনের চেরাগ” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক মহাপরিদর্শক তার স্ত্রী জিশান মির্জা এবং দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন।

বেনজীর আহমেদ তার পদের অপব্যবহার করে তার আয়ের তুলনায় প্রতিবেদনে উল্লিখিত সম্পত্তিগুলি অধিগ্রহণ করেছেন বলে বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলে চিঠিতে জানান ব্যারিস্টার সুমন। এমন পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, স্ত্রী, বড় মেয়ে এবং ছোট মেয়ের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ সংগ্রহের জন্য তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুদককে অনুরোধ করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দৈনিক কালের কণ্ঠে ঢাকায় বেনজীরের জন্ম আলাদীনের চেরাগ” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ মিলেছে। এরপর থেকেই বেশ আলোচনায় পুলিশের সাবেক এই আইজিপি।

জাতীয় ওই দৈনিকে বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যেখানে তার নানা অর্থ সম্পদের বিবরণ তুলে ধরা হয়। বেনজীরের বিপুল সম্পদের মধ্যে রয়েছে, গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়নে সাভানা ইকো রিসোর্ট নামের এক অভিজাত ও দৃষ্টিনন্দন পর্যটনকেন্দ্র। এছাড়াও তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ছয়টি কোম্পানির খোঁজ পাওয়া গেছে। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোতে বেনজীর আহমেদের দামি ফ্ল্যাট, বাড়ি আর ঢাকার পাশে বিঘার পর বিঘা জমি রয়েছে। দুই মেয়ের নামে বেস্ট হোল্ডিংস ও পাঁচতারা হোটেল লা মেরিডিয়ানের রয়েছে দুই লাখ শেয়ার। পূর্বাচলে রয়েছে ৪০ কাঠার সুবিশাল জায়গাজুড়ে ডুপ্লেক্স বাড়ি, যার আনুমানিক মূল্য কমপক্ষে ৪৫ কোটি টাকা। একই এলাকায় আছে ২২ কোটি টাকা মূল্যের আরও ১০ বিঘা জমি।

অথচ গত ৩৪ বছর সাত মাসের দীর্ঘ চাকরিজীবনে বেনজীর আহমেদ বেতন-ভাতা বাবদ মোট আয় এক কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকার মতো হওয়ার কথা।


আরও খবর



যাত্রীর কাপড় পুড়িয়ে মিলল সাড়ে চার কোটি টাকার স্বর্ণ

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ থেকে আসা শহীদ মিয়া নামে এক যাত্রীর কাছ থেকে প্রায় সাড়ে চার কেজি ওজনের স্বর্ণ উদ্ধার করেছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের একটি টিম। যার বাজার মূল্য সাড়ে চার কোটি টাকারও বেশি।

শুক্রবার (১৭ মে) ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিএস ৩৪৬ নম্বর ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণের পর তাকে আটক করা হয়। পরে তল্লাশি করে এ স্বর্ণ পাওয়া যায়। এরপর ফৌজদারি মামলা দিয়ে তাকে বিমানবন্দর থানায় সোপর্দ করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত সার্কেলের সহকারী পরিচালক প্রদীপ কুমার সরকার।

তিনি জানান, স্বর্ণসহ এক যাত্রী আসার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে বোর্ডিং গেট, ট্রানজিট পয়েন্ট, গ্রিন চ্যানেলসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সতর্কতামূলক অবস্থান নেওয়া হয়।

তিনি আরও জানান, ওই যাত্রী ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে সকাল সাড়ে ৯টায় গ্রিন চ্যানেলের স্ক্যানিং মেশিন অতিক্রম করলে তাকে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর টিমের সদস্যরা চিহ্নিত করেন। তার কাছে স্বর্ণালংকার বা স্বর্ণজাতীয় কোনও কিছু আছে কিনা জানতে চান। তখন তিনি তার কাছে ১০০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণালঙ্কার থাকার কথা স্বীকার করেন। আর কোনও স্বর্ণ থাকার কথা অস্বীকার করায় তাকে আর্চওয়ে করানো হয়। তার পরনে অত্যধিক পরিমাণ জামাকাপড়ের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।

কাস্টমস কর্মকর্তা জানান, জামাকাপড়ের ওজন অস্বাভাবিক মনে হওয়ায় ওই জামাকাপড় খুলে স্ক্যান করা হয়। জামাকাপড়ের মধ্যে বিশেষভাবে লুকায়িত স্বর্ণের ইমেজের অস্তিত্ব পাওয়া গেলে যাত্রীকে কাস্টমস হলে নিয়ে আসা হয়।

কাস্টমস কর্মকর্তা জানান, স্বর্ণের পরিমাণ নির্ণয়ের জন্য যাত্রীর শরীরে পরিহিত ১৬ পিস কাপড় (শর্ট প্যান্ট-৯টি, স্যান্ডো গেঞ্জি-৬টি ও ফুল প্যান্ট-১টি) বিমানবন্দরের ক্যানোপি-১ এ নিয়ে পোড়ানো হয়। পোড়ানোর পর অপরিশোধিত চার হাজার ৪৬২ গ্রাম পরিমাণ স্বর্ণ নির্ণয় করা হয়। প্রাপ্ত মোট স্বর্ণের পরিমাণ দাঁড়ায় চার হাজার ৪৯২ গ্রাম বা প্রায় সাড়ে চার কেজি। এ সময় স্থানীয় স্বর্ণকার, যাত্রী ও বিমানবন্দরে দায়িত্বরত বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা উপস্থিতি ছিলেন।


আরও খবর



রুপালি পর্দায় ফিরছেন কাজী নজরুল ইসলাম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ইতোমধ্যে অনেক গুণী মানুষের জীবনের গল্পই উঠে এসেছে রুপালি পর্দায়। এবার বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জীবনী নিয়ে সিনেমা নির্মিত হচ্ছে কলকাতায়। এটি পরিচালনা করবেন আবদুল আলীম। বিদ্রোহী কবির চরিত্র রূপায়ন করবেন কলকাতার কিঞ্জল নন্দ। সিনেমাটির নামকরণ করা হয়েছে কাজী নজরুল ইসলাম’।

ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে কিঞ্জল নন্দ বলেন, প্রথমবার কাজী নজরুল ইসলামের জীবন নিয়ে বায়োপিক নির্মিত হচ্ছে। সিনেমাটিতে নজরুলের গোটা জীবন তুলে ধরা হবে। এই সুযোগ পেয়ে সত্যি আমি উচ্ছ্বসিত। চিত্রনাট্য পড়েছি; চরিত্রটি খুব চ্যালেঞ্জিং। যার নাম শুনে বড় হয়েছি, তাকে নিয়ে এমন একটা সিনেমা হচ্ছে, যার কেন্দ্রীয় চরিত্রে আমি, এটা ভাবতেই কেমন লাগছে! এটুকু বলতে পারি, আমরা নজরুল সম্পর্কে যেটুকু জানি, তার থেকে অনেক বেশি কিছু আছে এই সিনেমায়।

চরিত্রটির জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, নির্মাতার সঙ্গে কথা হয়েছে। কিছু বই পড়ছি। চিত্রনাট্য রচনা করেছেন চিত্রনাট্যকার সৌগত বসু। তার সঙ্গেও আলোচনা করব। কারণ, নজরুল সম্পর্কে আমরা সবাই কম-বেশি জানি, তাই চরিত্রটিকে ফুটিয়ে তোলা বেশ কঠিন কাজ।

জানা গেছে, কাজী নজরুলের এই বায়োপিকে ফজলুল হক চরিত্রে অভিনয় করবেন কলকাতার খরাজ মুখার্জি, বিরজাসুন্দরী দেবী চরিত্রে অভিনয় করবেন কাঞ্চনা মৈত্র। এছাড়াও আলি আকবর খান চরিত্রে অভিনয় করবেন বাংলাদেশের ফজলুর রহমান বাবু, সজনীকান্ত দাস চরিত্রে শান্তিলাল মুখার্জি। তবে এখনও সিনেমার অনেক কাস্টিং বাকি রয়েছে।

সিনেমাটিতে কবিগুরুর চরিত্রে কে অভিনয় করবেন, তা নিয়ে আলোচনা করছেন নির্মাতারা। আপাতত চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তীর কথা ভাবা হচ্ছে। তবে শেষ পর্যন্ত কে এই চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয় করবেন, সেটা সময়ই কথা বলবে।

প্রসঙ্গত, আগামী শীতে শুরু হবে সিনেমাটির শুটিং। বহু ঐতিহাসিক চরিত্র জীবন্ত হয়ে উঠবে এই সিনেমায়। বায়োপিকটির সংগীত পরিচালনা করবেন জয় সরকার। আগামী কয়েক মাস চলবে কাস্টিংয়ের কাজ। এটি প্রযোজনা করছে জেবি প্রোডাকশন।


আরও খবর



প্রয়োজনে শুক্রবারও খোলা রাখা হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রাকৃতিক বিপর্যয়সহ বিভিন্ন ছুটির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে শহরের চেয়ে প্রান্তিক শিক্ষার্থীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল ইসলাম চৌধুরী নওফেল।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের একেক অঞ্চলের তাপমাত্রা একেক রকম। এখন উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও হাওড় এলাকার তাপমাত্রা কম। তবে অতি বৃষ্টিতে কয়েকদিনের মধ্যেই সেখানে বন্যার কারণে পাঠদান বন্ধ রাখতে হবে। এ জন্য প্রয়োজনে প্রাকৃতিক বিপর্যয়সহ বিভিন্ন ছুটির কারণে লার্নিং গ্যাপ কমাতে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবারও ক্লাস-পরীক্ষা চালু রাখার সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

তিনি আদালতের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানিয়ে বলেন, নির্বাহী বিভাগ বিভিন্ন এলাকার পাঠদান বিষয়ে আবহাওয়া দফতর এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের সঙ্গে সমন্বয় করে নির্দেশনা দিয়ে আসছে। তবে স্বতঃপ্রণোদিত সিদ্ধান্ত এলে আমাদের কাজের ব্যঘাত ঘটে। তবে আমরা আদালতের সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।

আপিল না করা পর্যন্ত আদালতের সিদ্ধান্ত মেনে চলা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।

এর আগে, দুপুরে হাইকোর্টে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জানান, গরমের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করবে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তাপপ্রবাহের মধ্যে প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুল ও মাদ্রাসার ক্লাস বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪