আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

মিরসরাইয়ে ট্রেন দুর্ঘটনার ১৫ দিনেও প্রতিবেদন দিতে পারেনি তদন্ত কমিটি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ আগস্ট ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:

চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার খৈয়াছড়া ঝরনা এলাকায় লেভেল ক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় ১৩ মাইক্রোযাত্রী নিহতের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি ১৫ দিনেও তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি। ঘটনার দিন গত ২৯ জুলাই দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এই সপ্তাহে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে পারে বলে নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।

দুর্ঘটনার দিন গঠিত দুটি তদন্ত কমিটি করে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দিয়েছিলেন সংশ্লিষ্টরা। পূর্ব রেলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আরমান হোসেনকে প্রধান করে একটি ও বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) আনসার আলীকে প্রধান করে আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি দুটিতে চারজন করে সদস্য রাখা হয়েছে। এরপর তারা বৃহৎ তদন্তের স্বার্থে আরো এক সপ্তাহ সময় বাড়ান। কিন্তু ঘটনার ১৫দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও এখনো রিপোর্ট দিতে পারেনি গঠিত তদন্ত কমিটি।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. জাহাঙ্গীর  হোসেন বলেন, তদন্ত রিপোর্ট এখনো হাতে আসেনি। সময়তো শেষ হয়ে গেছে, এখনো তারা রিপোর্ট জমা দেয়নি। হয়তো এই সপ্তাহের শুরুতে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেবে। সময় ক্ষেপণ এর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, রেলওয়েতে নিয়োগ ছিলো তো, ওরা বিভিন্ন জায়গায় গেল, এজন্য হয়তো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়া সম্ভব হয়নি।

২৯ জুলাই দুপুরে মিরসরাই উপজেলার খৈয়াছড়া রেললাইনে উঠে পড়া পর্যটকবাহী একটি মাইক্রোবাসকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামমুখী মহানগর প্রভাতী এক্সপ্রেস ট্রেন ধাক্কা দিয়ে টেনে হিঁচড়ে এক কিলোমিটার দুরে নিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ১১জন মারা যান। পরে মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় আরো দুইজন। দুর্ঘটনার সময় দায়িত্বরত গেটকিপার সাদ্দাম হোসেন ঘটনাস্থলে ছিলো না। তিনি জুমার নামাজে ছিলেন। গেটবারও ফেলা ছিলো বলে তিনি ইতমধ্যে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন। ঘটনার কয়েক ঘন্টা পরই গিটকিপার সাদ্দাম গ্রেফতার হয়ে এখন কারাগারে রয়েছেন।


আরও খবর



অনির্দিষ্টকালের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কলেজ বন্ধ

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সব কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) জানিয়ে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর।

এতে বলা হয়, তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে পরবর্তী তারিখ ঘোষণা না করা পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজসমূহে ক্লাস বন্ধ থাকবে।

এর আগে শনিবার দুপুরে চলমান তাপদাহে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে খুলবে স্কুল-কলেজ।

এর আগে তীব্র গরমের কারণে সাত দিন মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজের ছুটি ঘোষণা করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। মাউশির পক্ষ থেকে বলা হয়, সারাদেশের ওপর দিয়ে চলমান দাবদাহ ও আবহাওয়া দপ্তরের সতর্কতা জারির প্রেক্ষিতে মাউশি অধিদপ্তরের আওতাধীন সকল সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামী ২৮ এপ্রিল খুলবে। এ প্রতিষ্ঠানগুলো ঈদের ছুটি শেষে ২১ এপ্রিল থেকে খোলার কথা ছিল।

দাবদাহের কারণে তিন দিন হিট অ্যালার্ট জারি করে আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়া অফিস বলছে, আজ শনিবার থেকে তাপমাত্রা বেশি থাকবে। এ সময় সবাইকে গরম থেকে বাঁচতে সতর্কতার সঙ্গে চলার নির্দেশনা দেয়া হয়।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪

একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




সিভাসুতে দিনব্যাপী ফুড ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) ফুড ফেস্টিভ্যাল ও বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড সায়েন্স ও টেকনোলজি অনুষদের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়।

বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বের করা হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা।

শোভাযাত্রায় ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান, ফুড সায়েন্স ও টেকনোলজি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. ফেরদৌসী আকতার, ফিশারিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. শেখ আহমদ-আল-নাহিদ, বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর মো: সফিকুল ইসলাম খান, রেজিস্ট্রার মীর্জা ফারুক ইমাম, পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ) প্রফেসর ড. মো: আশরাফ আলি বিশ্বাস, পরিচালক (বহিরাঙ্গন কার্যক্রম) প্রফেসর ড. একেএম সাইফুদ্দিনসহ অনুষদের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।

এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় ফুড ফেস্টিভ্যাল। দিনব্যাপী ফুড ফেস্টিভ্যালে স্থান পায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তৈরি বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু পিঠা ও হরেক রকমের উপাদানের খাবার। ফুড ফেস্টিভ্যালে মোট ১১টি স্টল ছিল। সন্ধ্যায় সিভাসু অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।


আরও খবর



প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলছে

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দেশের ৫৯ জেলার ১৩৯টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে এ ভোট একটানা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

এদিকে সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করেই কেন্দ্রে আসেন ভোটাররা। পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচন করতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন তারা।

নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, উপজেলায় এ পর্বে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে দুই কোটি ৮০ লাখের বেশি মানুষ। প্রায় সব উপজেলায় মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। ১৩৯টি উপজেলা পরিষদে প্রতিটি উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রায় ১৬শ প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ইসি জানায়, নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলার মধ্যে ২২টিতে ইভিএম এবং বাকিগুলোতে ব্যালট পেপারে ভোট হচ্ছে। এ ধাপে মোট এক হাজার ৬৩৫ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬২৫ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৪০ জন। প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৮, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ করে অর্থাৎ মোট ২৮ প্রার্থী এরই মধ্যে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন।

এদিকে, যৌথবাহিনীর অভিযান চলমান থাকায় পার্বত্য জেলা বান্দরবানের তিন উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত করেছে ইসি।

ইসি আরও জানায়, ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা বিবেচনায় গুরুত্বপূর্ণ ও সাধারণ কেন্দ্র বিবেচনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করেছে ইসি। সে হিসেবে সাধারণ কেন্দ্রে ১৭ জন ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১৮/১৯ সদস্য এবং দুর্গম এলাকায় সাধারণ কেন্দ্রে ১৯ জন ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ২০/২১ সদস্য মোতায়েন করেছে ইসি। উপজেলার আয়তন, ভোটার সংখ্যা ও ভোটকেন্দ্রের গুরুত্ব বিবেচনায় প্রতি উপজেলায় দু থেকে চার প্লাটুন বিজিবি দায়িত্ব পালন করছে।

উপকূলীয় এলাকার দ্বীপাঞ্চলে কোস্টগার্ড মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। ভোটারদের নিরাপত্তায় পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবির ভ্রাম্যমাণ ও স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। ভোটকেন্দ্রে আনসার ব্যাটালিয়ন মোবাইল/স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ভোটের আগের দুদিন, ভোটের দিন এবং ভোটের পরে দুদিন মোট পাঁচ দিন নিয়োজিত থাকবে।

ভোটারের নিরাপত্তায় মাঠে রয়েছে ১৪ হাজার ৬১০ বিজিবি সদস্য, ৪১ হাজার ৫৩০ পুলিশ সদস্য ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় ও পুলিশের ১১ হাজার ৮৮৩ জনের ভ্রাম্যমাণ টিম রয়েছে। এছাড়াও স্ট্রাইকিং ফোর্স ও অন্যান্য দায়িত্বে রয়েছেন পুলিশের ২৯ হাজার ২২০ সদস্য। অন্যদিকে র‌্যাবের দুহাজার ৬৪৮ ও আনসারের এক লাখ ৫৯ হাজার ৮৭৪ সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন।

এদিকে, নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করতে ৪০০ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত রয়েছেন। আর বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন ১৩৯ জন।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, প্রথম ধাপে ১১ হাজার ৫৫৬ কেন্দ্রের ৮১ হাজার ৮০৪ ভোট কক্ষে তিন কোটি ১৪ লাখ ৬৮ হাজার ১০২ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ এক কোটি ৬০ লাখ ২ হাজার ২২৪, নারী এক কোটি ৫৪ লাখ ৬৫ হাজার ৬৯০ এবং ১৮৮ জন হিজড়া ভোটার রয়েছেন।

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আওয়াল বলেন, দলীয় প্রতীকে উপজেলা নির্বাচনের সুযোগ থাকলেও দলীয় মনোনয়ন না থাকায় স্বতন্ত্র হয়ে লড়ছেন প্রার্থীরা। এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে। স্থানীয় সরকারের ভোট হওয়ায় মন্ত্রী ও এমপিদের প্রভাব বিস্তার প্রতিরোধে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি। প্রভাব বিস্তারের কারণে কিছু কিছু অ্যাকশনও নিয়েছি।


আরও খবর



আবারও ২৪ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বেশকিছু অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। এই অবস্থায় নতুন করে হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার জন্য এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ খোন্দকার হাফিজুর রহমানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে চলমান মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে।

এর আগে দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে গত ১৯ এপ্রিল প্রথমবারের মতো তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করেছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। এরপর কয়েক ধাপে তা বাড়ানো হয়। সবশেষ গত বৃহস্পতিবার (২ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার তাপপ্রবাহের সতর্কতা বা হিট অ্যালার্ট জারি করেছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এদিকে, আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৭২ ঘণ্টার সর্বশেষ পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায়ও তাপপ্রবাহের এমন দাপট অব্যাহত থাকতে পারে।

অন্যদিকে, দেশের নদীবন্দরের জন্য দেয়া আবহাওয়ার সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শনিবার বিকেল ৩টা ৪৫ থেকে রাত ১টা পর্যন্ত বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।


আরও খবর



বায়ুদূষণে শীর্ষে বাগদাদ, ঢাকার অবস্থান ৬

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তীব্র তাপপ্রবাহের সঙ্গে রাজধানী ঢাকার বায়ুদূষণ বাড়ছে। মাঝে শহরটির বাতাসের মানের কিছুটা উন্নতি হলেও কিছুদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় ঢাকার বাতাসের মান আবারও দূষণের দিকে যাচ্ছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৫২ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৬ নম্বরে উঠে এসেছে ঢাকা। আজ ঢাকার বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য অস্বাস্থ্যকর’।

দূষিত শহরের তালিকায় ৪০১ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ইরাকের বাগদাদ, ১৯৭ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি, ১৬৫ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে নেপালের কাঠমান্ডু, ১৬১ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই শহর। এ ছাড়া ১৫২ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে ভারতের কলকাতা।

আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে মাঝারি’ বা গ্রহণযোগ্য’ মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে তাকে খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু ধরা হয়। ৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে দুর্যোগপূর্ণ’ বা ঝুঁকিপূর্ণ’ ধরা হয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে দিনের পর দিন ঢাকায় বায়ুদূষণ বেড়েই চলেছে। এর তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুসারে, বিশ্বে বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ বাড়ছে।


আরও খবর