আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

মিয়ানমারকে অস্ত্র তৈরিতে সহায়তা করছে ভারত,যুক্তরাষ্ট্রসহ ১৩ দেশ: জাতিসংঘ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ভারত, জাপানসহ বিশ্বের অন্তত ১৩টি দেশের কোম্পানি অস্ত্র তৈরিতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে সহায়তা করছে বলে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। জাতিসংঘের এক সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তার বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। 

এতে বলা হয়, মিয়ানমারের যেসব নাগরিক সেনাবাহিনীর বিরোধিতা করে, তাদের বিরুদ্ধে নৃশংসতা চালাতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী স্বদেশে উৎপাদিত অস্ত্র ব্যবহার করে থাকে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটেছে। এর পর থেকে দেশটিতে সহিংসতা চলছে।

সম্প্রতি জাতিসংঘের দেওয়া মিয়ানমার-সংক্রান্ত প্রতিবেদনে সংস্থাটির বিশেষ উপদেষ্টা পরিষদ বলেছে, জাতিসংঘের বেশ কয়েকটি সদস্য রাষ্ট্র মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর কাছে অস্ত্র বিক্রি অব্যাহত রেখেছে। তবে এটিও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ যে মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী নিজেরাই বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র তৈরি করতে পারে এবং সেসব অস্ত্র বেসামরিক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশগুলো মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে কাঁচামাল, প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র সরবরাহ করে। ফলে দেশে উৎপাদিত অস্ত্র মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষায় ব্যবহারের প্রয়োজন হয় না। জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক প্রতিবেদনের অন্যতম লেখক ইয়াংহি লি বলেছেন, মিয়ানমারে কখনোই কোনো বিদেশি রাষ্ট্র আক্রমণ করেনি। এমনকি মিয়ানমার কোনো দেশে অস্ত্র রপ্তানি করে না। ১৯৫০ সাল থেকে দেশটি নিজের জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহার করার জন্য নিজেরাই অস্ত্র তৈরি করছে।

মিয়ানমারের সরকারি হিসাবমতে, সাম্প্রতিক অভ্যুত্থানের পর থেকে সামরিক বাহিনীর হাতে ২ হাজার ৬০০ মানুষ নিহত হয়েছে। তবে প্রকৃত মৃতের সংখ্যা ১০ গুণ বেশি বলে মনে করেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকেরা। সামরিক অভ্যুত্থাপের পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তারপরও দেশটির শাসকদের জন্য স্নাইপার রাইফেল, বিমান বিধ্বংসী বন্দুক, ক্ষেপণাস্ত্র, গ্রেনেড, বোমা, ল্যান্ডমাইনসহ বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র তৈরি করতে সমস্যায় পড়তে হয়নি।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনটিতে ইয়াংহি লির সহলেখক ছিলেন ক্রিস সিডোতি ও মারজুকি দারুসমান। তাঁদের কাছে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র সাবেক সেনাদের সাক্ষাৎকার, অস্ত্র কারখানার স্যাটেলাইট চিত্র ও সামরিক নথি ফাঁস করেছে। ২০১৭ সালে তোলা ছবিগুলো প্রমাণ করে, সেনা অভ্যুত্থানের আগেও দেশে তৈরি অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।  ক্রিস সিডোতি বলেছেন, সম্প্রতি সাগাইং অঞ্চলে একটি স্কুলে বোমা হামলা হয়েছে এবং অনেক শিশু নিহত হয়েছে। ওই হামলার পর ঘটনাস্থলে যে অস্ত্রগুলো পাওয়া গেছে, সেসব দেশীয় কারখানায় তৈরি বলে স্পষ্টভাবে শনাক্ত করা গেছে।

জাতিসংঘের বিশেষ উপদেষ্টা পরিষদ বলছে, অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহৃত কিছু সরঞ্জাম অস্ট্রিয়া থেকে এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অস্ট্রিয়ার জিএফএম স্টেয়ার যে অস্ত্রগুলো সবরাহ করেছে, সেগুলো বিভিন্ন সময়ে বিদ্রোহ দমন করকে সেনাবাহিনী ব্যবহার করেছে। 

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অস্ত্রগুলো যখন রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন হয়, তখন তাইওয়ানে পাঠানো হয়। সেখানে জিএফএম স্টেয়ারের প্রযুক্তিবিদেরা অস্ত্রগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করেন বলে জানা গেছে। তবে অস্ট্রিয়ার প্রযুক্তিবিদেরা মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গিয়ে কাজ করেন কি না, সে ব্যাপারে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। জাতিসংঘের প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে তারা জিএফএম স্টেয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। কিন্তু তারা এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি।

প্রতিবেদনের লেখকেরা স্বীকার করেছেন যে তাঁরা অস্ত্র উৎপাদন নেটওয়ার্কের একটি ভগ্নাংশ উন্মোচন করেছে। তাঁরা মনে করছেন, বেশ কয়েকটি দেশ মিয়ানমারের অস্ত্র উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত বলে মনে করা হচ্ছে। চীন ও সিঙ্গাপুর থেকে কাঁচামাল নিয়ে মিয়ানমারে অস্ত্র উৎপাদন করা হচ্ছে বলে শনাক্ত করা হয়েছে। এসব কাঁচামালের মধ্যে তামা ও লোহা রয়েছে। ভারত ও রাশিয়া বৈদ্যুতিক ডেটোনেটরের মতো সরঞ্জাম সরবরাহ করে থাকে। এ ছাড়া অস্ত্র কারখানার অন্যান্য যন্ত্রপাতি জার্মানি, জাপান, ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসে বলে জানা গেছে। ইসরায়েল ও ফ্রান্স থেকে প্রযুক্তিগত যন্ত্রপাতি ও সফটওয়্যার আসে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সিঙ্গাপুর একটি ট্রানজিট হাব হিসেবে কাজ করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সিঙ্গাপুরের কোম্পানিগুলো মিয়ানমারের সামরিক ক্রেতা এবং বহিরাগত সরবরাহকারীদের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করে থাকে। কয়েক দশক ধরে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী বিভিন্ন আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার শিকার হলেও তারা কখনো অস্ত্র উৎপাদন বন্ধ করেনি। কারখানার সংখ্যা বেড়ে চলেছে। ১৯৮৮ সালে দেশটিতে মাত্র ছয়টি অস্ত্র কারখানা ছিল। এখন সেই সংখ্যা বেড়ে ২৫টি হয়েছে।

ক্রিস সিডোটি বলেছেন, মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা খুব একটা কাজে আসেনি। অন্যদিকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদও মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি। ফলে অনেক কোম্পানির জন্য নিষেধাজ্ঞা এড়ানো সহজ হয়েছে। এখন পর্যন্ত ধারণা করা হচ্ছে, মিয়ানমার অন্য দেশে অস্ত্র রপ্তানি করে না। তবে ২০১৯ সালে থাইল্যান্ডের একটি অস্ত্র বাণিজ্য মেলায় বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র প্রদর্শন করেছিল মিয়ানমার।

নিউজ ট্যাগ: মিয়ানমার

আরও খবর



বান্দরবানের তিন উপজেলায় ভোট স্থগিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেছেন, যৌথ অভিযানের মধ্যে বান্দরবানের তিন উপজেলায় ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। থানচি, রোয়াংছড়ি ও রুমা এই তিন উপজেলার ভোট স্থগিত করা হয়েছে। পরে সুবিধাজনক সময়ে এ তিন উপজেলার ভোট করা হবে বলে জানান ইসি সচিব। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) নির্বাচন ভবনে ষষ্ঠ উপজেলা ভোট নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে এ সিদ্ধান্ত হয়।

চার নির্বাচন কমিশনার, জননিরাপত্তা বিভাগ, জনপ্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাবসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। নির্বাচন ভবনে বেলা ১১টা থেকে তিন ঘণ্টাব্যাপী সংশ্লিষ্ট সচিবদের নিয়ে এ আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভা শেষে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানান, সভায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সম্পৃক্ত ও প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সমন্বিতভাবে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তিনি জানান, উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে– এবার উপজেলা নির্বাচনে অন্য স্থানীয় সরকার নির্বাচনের চেয়ে বেশি সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত করা হবে। চার ধাপে ভোট হওয়ায় জেলা পর্যায়ে সংশ্লিষ্টদের চাহিদা অনুযায়ী মোতায়েন করা হবে। পার্বত্য জেলা বান্দরবানে বিশেষ করে রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়িতে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলমান রয়েছে। আপাতত এ তিনটি উপজেলার নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। পরে সুবিধাজনক সময়ে এ নির্বাচন করা হবে।

মো. জাহাংগীর আলম বলেন, অপারেশন চলমান থাকায় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সুপারিশের ভিত্তিতে এ তিনটি উপজেলার নির্বাচন পরে করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

আগামী ৮ মে রোয়াংছড়ি ও থানচিতে ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। রুমার ভোট হওয়ার কথা রয়েছে ২১ মে।

এবার প্রথম ধাপে ১৫০ ও দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলার ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। তৃতীয় ধাপে ১১২টির ভোট ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপের ভোট হবে ৫ জুন।

২ এপ্রিল রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি করে অর্থ লুট করে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী। পুলিশের ১০টি এবং আনসার সদস্যের চারটি অস্ত্রও লুট করে নিয়ে যায় তারা। অপহরণ করা হয় ব্যাংকটির ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দিনকে। দু-দিন পর রুমার একটা পাহাড়ি এলাকা থেকে ছাড়া পান তিনি।

রুমার ঘটনার একদিন পর ৩ এপ্রিল থানচি উপজেলার সোনালী ও কৃষি ব্যাংকেও দিনদুপুরে অর্থ লুটের ঘটনা ঘটে। দুটি ঘটনায় পাহাড়ে সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ জড়িত বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরপর থেকে লুট হওয়া অস্ত্র-অর্থ উদ্ধার, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রুমা ও থানচিতে অভিযান চালাচ্ছে যৌথ বাহিনী। অভিযানে অংশ নিচ্ছেন সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব ও পুলিশ সদস্যের যৌথ বাহিনী। যৌথ বাহিনীর এ অভিযানে সমন্বয় করছেন সেনাবাহিনী। যৌথ বাহিনীর এ অভিযানে বিভিন্ন এলাকা থেকে এখন পর্যন্ত ২১ নারীসহ ৭১ জনকে গ্রেপ্তারের খবর জানিয়েছে পুলিশ। বান্দরবানের রুমায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে সোমবার পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফের এক সদস্যের’ নিহতের খবর জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর-আইএসপিআর।


আরও খবর



ওয়ালটনের অত্যাধুনিক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব পণ্য উন্মোচন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসছে ঈদুল আযহা বা কোরবানি ঈদ। এ উপলক্ষে ক্রেতাদের জন্য বিশেষ চমক হিসেবে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচারের ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী নতুন মডেলের পণ্য উন্মোচন করেছে দেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন।

নতুন মডেলের পণ্যের মধ্যে রয়েছে ইনভার্টার প্রযুক্তির মাল্টি-কালার ডিজাইনের সাইড বাই সাইড রেফ্রিজারেটর, ইউরোপিয়ান ডিজাইনের কম্বি মডেলের রেফ্রিজারেটর, ভার্টিকাল ফ্রিজার, চকোলেট কুলারসহ মোট ৭টি মডেলের ফ্রিজ। এছাড়াও আছে সোলার হাইব্রিড প্রযুক্তির স্প্রিট টাইপ এসি, ৪ ও ৫ টনের সিলিং এবং ক্যাসেট টাইপ লাইট কমার্শিয়াল এসি, ৬৫ ইঞ্চির ওএলইডি টিভি, ওয়াশিং মেশিন ও বিএলডিসি প্রযুক্তির ফ্যান।

বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বসুন্ধরায় ওয়ালটন করপোরেট অফিসের কনফারেন্স হলে আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানে নতুন মডেলের প্রোডাক্টস উন্মোচন করেন ওয়ালটন প্লাজার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রায়হান।

অনুষ্ঠানে সারাদেশে একযোগে চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০ এর ননস্টপ মিলিয়নিয়ার অফারের বর্ণাঢ্য র‌্যালি উদ্বোধন করা হয়। নতুন মডেলের পণ্য উন্মোচন অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাইটেকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মেজর জেনারেল (অব.) ইবনে ফজল শায়েখুজ্জামান, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. ইউসুফ আলী, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর দিদারুল আলম খান (চিফ মার্কেটিং অফিসার), মফিজুর রহমান, ফিরোজ আলম, মো. তানভীর রহমান, তাহসিনুল হক, সোহেল রানা, মোস্তফা কামাল ও মোহাম্মদ শাহজাদা সেলিম প্রমুখ।

এছাড়া ভার্চুয়াল মাধ্যমে সারাদেশ থেকে ওয়ালটন প্লাজা ম্যানেজার ও পরিবেশকগণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ও ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান।


আরও খবর



ভোটারদের মধ্যে টাকা বিতরণকালে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আটক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

বিপুল পরিমাণ টাকাসহ পাবনার সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ নেতা শাহীনুজ্জামান শাহীনসহ ১১ জনকে আটক করেছে র‌্যাব। পাশাপাশি নির্বাচনী কাজে ব্যবহৃত একটি গাড়ি ও ২২ লাখ ৮২ হাজার ৭০০ টাকা জব্দ করা হয়েছে। সোমবার (৬ মে) রাত সাড়ে ১২টার দিকে সুজানগরের চর ভবানীপুরের নির্বাচনী এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

শাহীনুজ্জামান শাহীন সুজানগর উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এবারের উপজেলা নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী। তার প্রতীক আনারস।

আটক বাকি তার ১০ সহযোগীর নামপরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি র‌্যাব। তবে আটকদের মধ্যে সুজানগর পৌরসভার ৪ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রয়েছেন।

র‌্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. এহতেশামুল হক খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আগামী ৮ মে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথমধাপে সুজানগর উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে র‌্যাবের নিয়মিত টহল দল সুজানগরের চর ভবানীপুর এলাকায় টহল দিচ্ছিল। এ সময় সন্দেহ হওয়ায় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনুজ্জামান শাহীন ও তার ১০ সহযোগীকে আটক করা হয়। এ ছাড়া তার গাড়িতে রাখা দুই ব্যাগ ভর্তি ২২ লাখ ৮২ হাজার ৭০০ টাকা ও নির্বাচনী কাজে ব্যবহৃত একটি গাড়ি জব্দ করা হয়।

মেজর মো. এহতেশামুল হক আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, টাকাগুলো অসৎ উদ্দেশ্যে নির্বাচনে ভোটারদের বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করার জন্য রাখা হয়েছিল। আমরা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। তিনি এ বিষয়ে পরবর্তী আইনিব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

পাবনা সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। বিধি মোতাবেক আইনিব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



চুয়াডাঙ্গা ও পাবনায় হিটস্ট্রোকে দুজনের মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

তীব্র দাবদাহ পুড়ছে সারাদেশ। অসহনীয় গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। এ অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা ও পাবনায় হিটস্ট্রোকে দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

আজ শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলেও দাবি করছে দপ্তরটি।

এদিকে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ঠাকুরপুর গ্রামে মাঠে কাজ করার সময় হিট স্ট্রোকে জাকির হোসেন (৩৩) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। মৃত জাকির হোসেন দামুড়হুদার কুড়ালগাছি ইউনিয়নের ঠাকুরপুর গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে। তিনি ঠাকুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী ছিলেন।

তাছাড়া আজ শনিবার পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা পাবনা জেলায় চলতি মৌসুমের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এদিন তীব্র দাবদাহে হিট স্ট্রোক করে মারা গেছেন একজন। শনিবার দুপুরে পাবনা শহরের রুপকথা রোডে একটি চায়ের দোকানে চা খাওয়ার সময় হিট স্ট্রোক করেন তিনি। এসময় আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত সুকুমার দাস (৬০) পাবনার শহরের শালগাড়িয়া জাকিরের মোড়ের বাসিন্দা।


আরও খবর



কালবৈশাখী ঝড়ে গাছচাপায় অন্তঃসত্ত্বা মা ও ছেলের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুরে কালবৈশাখী ঝড়ে ঘরে গাছ পড়ে অন্তঃসত্ত্বা নারী ও তার ৫ বছর বয়সী সন্তান নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও একজন আহত হয়েছেন। শনিবার (৪ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে নিয়ামতপুর হাজিপাড়া ঘোনারবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- ওই গ্রামের আব্দুল কাইয়ুমের ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মোছা. রুপ তারা (৪৫) এবং তার ছেলে তাইজুল ইসলাম (৫)।

করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শনিবার দিবাগত রাত অনুমানিক সাড়ে ১১টার সময় প্রচণ্ড ঝড় শুরু হলে করিমগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর হাজিপাড়া ঘোনারবাড়ি গ্রামে কৃষক আ. কাইয়ুমের দোচালা টিনের ঘরে একটি গাছ উপড়ে পড়ে। এতে ঘর ভেঙে আ. কাইয়ুমের ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মোছা. রুপ তারা এবং তার ছোট ছেলে তাইজুল ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনায় রুপ তারার মা আহত হয়েছেন।


আরও খবর