আজঃ সোমবার ০৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

মুশফিক ঝড়ের পর বৃষ্টির দাপটে পরিত্যক্ত দ্বিতীয় ওয়ানডে

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

আশঙ্কাই সত্যি হলো শেষ পর্যন্ত। মুশফিকুররহিমের দ্রুততম সেঞ্চুরি এবং ওয়ানডেতে নিজেদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংগ্রহের ম্যাচটা ভেস্তে গেল বৃষ্টিতে। কাগজে-কলমে স্বাগতিকদের প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড হলেও এদিন যেন বড় প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছিল বৃষ্টি।  বাংলাদেশের অনেক মাইলফলক গড়ার ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত গেল বৃষ্টির পেটে।

বাংলাদেশের ইনিংসের পরই শুরু হয় বৃষ্টি। কাট-অফ টাইম ছিল ৯.৩৩। এর ঘণ্টাখানেক আগেও থামেনি বৃষ্টি। রাত ৮টা ৩২ মিনিটে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। এ মাঠেই আগামী ২৩ মার্চ হবে সিরিজের শেষ ওয়ানডে। প্রথম ওয়ানডে জিতে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ৩৩৮ রান করেছিল বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে এটিই ছিল তাদের সর্বোচ্চ স্কোর। কিন্তু একদিনের ব্যবধানে সে রেকর্ড আজ আবার ভাঙল তারা। সিলেটে আজ আইরিশদের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরি, লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্তর ফিফটিতে ৩৪৯ রানের বড় সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ। এটিই এখন ওয়ানডেতে তাদের সর্বোচ্চ স্কোর।

বড় স্কোরের ভিত গড়ে দেন দুই টপ অর্ডার ব্যাটার লিটন ও শান্ত। পাঁচ ও ছয়ে নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা তাওহীদ হৃদয় ও মুশফিক তোলেন ঝড়। মুশফিক ৩৩ বলে নিজের দ্রুততম ফিফটির পর সেঞ্চুরি করেন মাত্র ৬০ বলে। এটিই এখন বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে দ্রুততম সেঞ্চুরি। ১৪টি চার ও ২টি ছয়ে সাজিয়েছেন ইনিংসটি।

সেঞ্চুরির সৌজন্যে মুশফিক ওয়ানডেতে বাংলাদেশের তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ৭০০০ রানের ক্লাবেও নাম লিখিয়েছেন। এ জন্য তিনি খেলেছেন ২৩০ ইনিংস। তামিম ইকবালের পর প্রথম ওয়ানডেতে ৭০০০ হাজার করেছিলেন সাকিব। আজ করেছেন মুশফিক।

তিন ফরম্যাট মিলিয়ে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে তামিম আজ ১৫০০০ রান করেছেন। ৬৫ ইনিংসে লিটন করেছেন ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে যৌথভাবে দ্রুততম ২০০০ রান। এর আগে শাহরিয়ার নাফিস করেছিলেন ৬৫ ইনিংসে।

৩৪ বলে ৪৯ রান করেছেন হৃদয়। অভিষেক ওয়ানডেতে ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি পাননি তাওহীদ হৃদয়। আজ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১ রানের জন্য পেলেন না ফিফটি! আজ ফিফটি করলেই, বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাটার হিসেবে ক্যারিয়ারের প্রথম দুই ওয়ানডেতে ফিফটির ইনিংস হতো হৃদয়ের।

৩৪ বলে ৪৯ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলে আউট হয়েছেন হৃদয়। ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও একটি ছক্কা। প্রথম ওয়ানডেতে ৮৫ বলে খেলেছিলেন ৯২ রানের দারুণ এক ইনিংস।

লিটন ও শান্ত আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। সিলেটে আজ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে এই দুই ব্যাটারই ফিফটির দেখা পেয়েছেন।

টস হেরে আজ ব্যাটিং পেয়ে সাবধানী শুরু করে বাংলাদেশ। প্রথম ৭ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ছিল কোনো উইকেট না হারিয়ে ১৮ রান। ১০ম ওভারে ৪২ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৩২ বলে ২৩ রান করা তামিমের বিদায়ের পর উইকেটে আসেন শান্ত। শান্ত ধীরে শুরু করলেও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে থাকেন লিটন।

২১ তম ওভারের প্রথম বলে ম্যাথু হামফ্রিসকে পুল করে ছক্কা মেরে ওয়ানডেতে ৮ম ফিফটি তুলে নেন লিটন। দ্বিতীয় উইকেটে লিটন-শান্তর ১০১ রানের জুটি ভাঙেন কার্টিস ক্যাম্ফার। ৭১ বলে ৭০ রান করে অ্যান্ড ম্যাকব্রিনকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন।

এরপর ফিফটি তুলে নেন শান্ত। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি পেয়েছেন বাংলাদেশের এই বাঁহাতি টপ অর্ডার ব্যাটার। তৃতীয় উইকেটে সাকিবের সঙ্গে ৩৯ রানের জুটি গড়েন শান্ত। ১৯ বলে ১৭ রান করা সাকিবকে ফিরিয়ে জুটি ভেঙেছেন গ্রাহাম হিউম। এরপর শান্তকেও দ্রুত ফিরিয়েছেন হিউম। ৭৭ বলে ৭৩ করেছেন শান্ত।


আরও খবর



আজ পহেলা বৈশাখ, বর্ণিল উৎসবে মাতোয়ারা সারাদেশ

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আজ পহেলা বৈশাখ। পুরোনোকে বিদায় দিয়ে বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হলো নতুন বর্ষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। সব সঙ্কীর্ণতা, কুপমণ্ডকতা পরিহার করে উদারনৈতিক জীবন-ব্যবস্থা গড়তে উদ্বুদ্ধ করে পহেলা বৈশাখ। মনের ভেতরের সব ক্লেদ, জীর্ণতা দূর করে নতুন উদ্যমে বাঁচার অনুপ্রেরণা জোগায়।

পহেলা বৈশাখ বাঙালির সার্বজনীন লোকজ উৎসব। এদিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেয়া হয় বাংলা নতুন বছরকে। কল্যাণ ও নতুন জীবনের প্রতীক হলো নববর্ষ। অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় উদযাপিত হয় নববর্ষ।

দিবসটিকে ঘিরে আজ বর্ণিল উৎসবে মাতবে সারাদেশ। ভোরের প্রথম আলো রাঙিয়ে দেবে নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর সম্ভাবনাকে। রাজধানী ও দেশজুড়ে থাকবে বর্ষবরণের নানা আয়োজন। বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার। দিনটি সরকারি ছুটির দিন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ মঙ্গল শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করবে। ছায়ানট রমনা বটমূলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করবে।

এছাড়া বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলা নববর্ষ উদযাপন করবে। বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান আবশ্যিকভাবে জাতীয় সংগীত এবং এসো হে বৈশাখ গান পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হবে। বাংলা নববর্ষের তাৎপর্য, মঙ্গল শোভাযাত্রার ইতিহাস ও ইউনেস্কো একে বিশ্ব সংস্কৃতির ঐতিহ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি তুলে ধরে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং বাংলা একাডেমির উদ্যোগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।

এদিকে, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করবে। বাংলা নববর্ষে সব কারাগার, হাসপাতাল ও শিশু পরিবারে (এতিমখানা) উন্নতমানের ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবারের আয়োজন করা হবে। একসময় নববর্ষ উদযাপিত হতো আর্তব বা ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবে। তখন এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল কৃষির। কারণ কৃষিকাজ ছিল ঋতুনির্ভর। পরে কৃষিকাজ ও খাজনা আদায়ের সুবিধার জন্য মোঘল সম্রাট আকবরের সময়ে বাংলা সন গণনা শুরু হয়। হিজরি চান্দ্রসন ও বাংলা সৌর সনের ওপর ভিত্তি করে প্রবর্তিত হয় নতুন এই সন।

অতীতে বাংলা নববর্ষের মূল উৎসব ছিল হালখাতা। এটি পুরোপুরিই একটি অর্থনৈতিক ব্যাপার। গ্রামে-গঞ্জে-নগরে ব্যবসায়ীরা নববর্ষের প্রারম্ভে পুরোনো হিসাব-নিকাশ সম্পন্ন করে নতুন খাতা খুলতেন। এ উপলক্ষে তারা নতুন-পুরাতন খদ্দেরদের আমন্ত্রণ জানিয়ে মিষ্টি বিতরণ এবং নতুনভাবে তাদের সঙ্গে ব্যবসায়িক যোগসূত্র স্থাপন করতেন। চিরাচরিত এই অনুষ্ঠান আজও উদযাপিত হয়।

মূলত, ১৫৫৬ সালে কার্যকর হওয়া বাংলা সন প্রথমদিকে পরিচিত ছিল ফসলি নামে। পরে তা পরিচিত হয় বঙ্গাব্দ নামে। কৃষিভিত্তিক গ্রামীণ সমাজের সঙ্গে বাংলা বর্ষের ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে। তবে এর সঙ্গে রাজনৈতিক ইতিহাসেরও সংযোগ ঘটেছে। পাকিস্তান শাসনামলে বাঙালি জাতীয়তাবাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয় বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের। আর ষাটের দশকের শেষে তা বিশেষ মাত্রা পায় রমনা বটমূলে ছায়ানটের আয়োজনের মাধ্যমে। এসময় ঢাকায় নাগরিক পর্যায়ে ছায়ানটের উদ্যোগে সীমিত আকারে বর্ষবরণ শুরু হয়।


আরও খবর
লিপি চক্রবর্তীর ‘আকণ্ঠ মরেছি’

বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4




চুয়াডাঙ্গা ও পাবনায় হিটস্ট্রোকে দুজনের মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

তীব্র দাবদাহ পুড়ছে সারাদেশ। অসহনীয় গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। এ অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা ও পাবনায় হিটস্ট্রোকে দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

আজ শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলেও দাবি করছে দপ্তরটি।

এদিকে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ঠাকুরপুর গ্রামে মাঠে কাজ করার সময় হিট স্ট্রোকে জাকির হোসেন (৩৩) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। মৃত জাকির হোসেন দামুড়হুদার কুড়ালগাছি ইউনিয়নের ঠাকুরপুর গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে। তিনি ঠাকুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী ছিলেন।

তাছাড়া আজ শনিবার পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা পাবনা জেলায় চলতি মৌসুমের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এদিন তীব্র দাবদাহে হিট স্ট্রোক করে মারা গেছেন একজন। শনিবার দুপুরে পাবনা শহরের রুপকথা রোডে একটি চায়ের দোকানে চা খাওয়ার সময় হিট স্ট্রোক করেন তিনি। এসময় আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত সুকুমার দাস (৬০) পাবনার শহরের শালগাড়িয়া জাকিরের মোড়ের বাসিন্দা।


আরও খবর



বাংলাদেশে ফের প্রবেশ করলো ৪০ বিজিপি সদস্য

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কক্সবাজার প্রতিনিধি

Image

মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীসহ (বিজিপি) মিয়ানমারের ৪০ নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। আজ শনিবার (৪ মে) ভোরে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে তারা প্রবেশ করেন। পরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর সদস্যরা তাদের নিরস্ত্র করে হেফাজতে নিয়ে নেয়।

সাবরাং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নূর হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। জানা যায়, টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়ন থেকে ১৫ জন এবং নাজিরপাড়া সীমান্ত দিয়ে ২৫ জন প্রবেশ করে।

এর আগে সর্বশেষ গত ২৫ এপ্রিল মিয়ানমারে চলমান অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ২৮৮ জন মিয়ানমারের বিজিপি, সেনা, ইমিগ্রেশন ও অন্যান্য সদস্যকে ফেরত পাঠায় বাংলাদেশ। তার আগে প্রথম ধাপে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বিজিপির কর্নেল মিও থুরা নউংয়ের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল ৩৩০ জনকে মিয়ানমার নিয়ে যান।


আরও খবর



ব্রিকসে অন্তর্ভুক্তির জন্য বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে ব্রাজিল: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ব্রিকসে অন্তর্ভুক্তির জন্য বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে ব্রাজিল বলে আশ্বস্ত করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরা। রবিবার (৭ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রথম কোনো ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করছেন। খুব সফল আলোচনা হয়েছে আমাদের মধ্যে। আগামী জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্রাজিল সফর করবেন তা এই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, এ বৈঠকে তুলা আমদানি বৃদ্ধির বিষয়ে কথা হয়েছে। বাণিজ্যে শুল্ক কমানোর কথাও জানানো হয়েছে। এছাড়াও স্পেশাল ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগে ব্রাজিলিয়ান বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানানো হয়েছে। এ সময় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সহায়তার বিষয়ে কথা হয়েছে। এছাড়া জলবায়ুর পরিবর্তন এখন দুই দেশের বড় একটা সংকট। এটি মোকাবিলায় একযোগে কাজ করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।

এর আগে সকাল ১০টার দিকে দুই দিনের সফরে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরা। এই সফরে দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি ও তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হওয়ার কথা রয়েছে।

ঢাকায় অবতরণের পর দুপুরে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তারপর সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে। যেখানে কোরবানির ঈদ সামনে রেখে ব্রাজিল থেকে পশু আনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। এছাড়া তৈরি পোশাক রফতানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিতে ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।


আরও খবর



শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের মাজারে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের মাজারে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৮টায় সমাধিতে ফুল দিয়ে এ শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। পরে আওয়ামী লীগের পক্ষে শ্রদ্ধা জানান কেন্দ্রীয় নেতারা।

ফুল দেওয়া শেষে কেন্দ্রীয় নেতারা এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, সুজিত রায় নন্দী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজীসহ অনেকে।


আরও খবর