আজঃ বুধবার ০৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

মূল্যস্ফীতিই হবে ইউরোপের জন্য অভিশাপ

প্রকাশিত:বুধবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বেশ কয়েক মাস ধরেই ইউরোপের মূল্যস্ফীতি রেকর্ড পরিমাণে বেড়েছে। যদিও ১৯২২ সালের গ্রীষ্মকালে হঠাৎই নাটকীয়ভাবে সব পণ্যের দাম বেড়ে গিয়েছিল। জার্মানিতে ১৯১৪ সালে একটি রুটির দাম ছিল জার্মান মুদ্রায় শূন্য দশমিক ৩০। ১৯২২ সালের শুরুর দিকে জার্মান মুদ্রায় দাম বেড়ে হয় ৮ এবং সে বছরের শেষ নাগাদ দাম বেড়ে হয়েছিল ১৬০। ১৯২২ থেকে ১৯২৩ সালের মধ্যে জার্মানির মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছিল ৩২২ শতাংশ। ওয়াইমার জার্মানিতে যেটি ঘটেছিল তা ছিল উচ্চ মূল্যস্ফীতি। সেই পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে অস্ট্রিয়ান লেখক স্টিফান জুইগ তার বিখ্যাত ১৯৪২ সালের স্মৃতিকথা দ্য ওয়ার্ল্ড অব ইয়েস্টারডে-তে লিখেছেন, জার্মান জনগণকে এতটা তিক্ত, এতটা ঘৃণাপূর্ণ মূল্যস্ফীতি, হিটলারের মতো আর কিছুই করেনি।

ঠিক একশ বছর পর, ইউরোপের যুদ্ধের কারণে ইউরোপে আবারও মূল্যস্ফীতি গ্রাস করেছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ভাগ্যবশত, একটি দূরবর্তী দর্শন, কেননা ইউরোপের অর্থনীতি শক্তিশালী ও নীতিনির্ধারকরা ঋণকে টেকসই রাখতে এবং মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কিন্তু ২০২৩ সালে মূল্যবৃদ্ধির অর্থনৈতিক প্রভাব ও জ্বালানির যে সংকট তৈরি হয়েছে তা ইউরোপজুড়ে সাপেবর হবে, যা প্রথমে মন্দার দিকে নিয়ে যেতে পারে এবং ভবিষ্যতে ধীরে ধীরে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যদিয়ে এগোবে। জ্বালানির কথাই শুরুতে ধরা যাক। ইউক্রেনে আগ্রাসনের জেরে পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার ফলে রাশিয়া কিয়েভের পশ্চিমা সমর্থকদের বিরুদ্ধে জ্বালানিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে। ইউরোপে গ্যাস রপ্তানি কমিয়ে দিয়েছে এবং গ্যাসের দাম আকাশচুম্বী করেছে। দুর্ভাগ্যবশত, অনেক ফরাসি পারমাণবিক-বিদ্যুৎকেন্দ্র মেরামতের জন্য স্থগিত রাখা হয় এবং ইউরোপজুড়ে খরা জলবিদ্যুতের প্রাপ্যতাও হ্রাস করে। চোখে জল আনা দামি গ্যাসে চলমান প্ল্যান্টের শূন্যস্থান পূরণ করতে হয়েছে।

২০২৩ সালে জ্বালানি আরও ব্যয়বহুল হবে। ইউরোপ তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) আমদানির পরিমাণ ও সক্ষমতা বাড়িয়েছে, কিন্তু বিশ্বব্যাপী সরবরাহ খুব বেশি বাড়বে না। গ্যাস-স্টোরেজ প্রায় পূর্ণ এবং বসন্তের পর শরতেও পুরোপুরি খালি হবে না। কিন্তু তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো পশ্চিমাদের কূটনৈতিক চাপ সত্ত্বেও তেলের ঘাটতি জিইয়ে রাখতে বদ্ধপরিকর বলে মনে হচ্ছে। ফরাসি পারমাণবিক কেন্দ্রগুলো আবারও উৎপাদন শুরু করবে। তবে বিদ্যুতের খরচ খুব কমিয়ে আনা সম্ভব হবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে। এটা ঠিক যে, অপরিশোধিত জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, বছরের পর বছর তুলনা করার মানে হলো ২০২৩ জুড়ে মূল্যস্ফীতি প্রায় সংকুচিত হবে। কিন্তু কিছু জ্বালানির দাম দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি ব্যবহার করে সীমাবদ্ধ করা হয়েছে এবং কতগুলো এখনও সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়নি। অর্থনীতির বাকি অংশে, জ্বালানি-মূল্যের ধাক্কা লাগবে। অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে মজুরি বাড়বে, ফার্মের খরচও বাড়বে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো লাভের মার্জিন রক্ষা করার জন্য গ্রাহকদের কাছে দায় চাপাবে। ফলে অর্থনীতিতে প্রতিটি পণ্যের ক্রমবর্ধমান দাম, যা মূলত জ্বালানির সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, ধীর হতে আরও সময় লাগবে।

ভোক্তা ও ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হবে এবং পিছিয়ে যাওয়া শুরু করবে। ২০২২ সালে, কোভিড-পরবর্তী অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের একটি বছর ছিল, যে সময়টাতে রৌদ্রোজ্জ্বল ছুটির দিন ও অভিনব রেস্তোরাঁর চাহিদা অর্থনীতিকে চাঙ্গা করেছিল। কিন্তু ২০২৩ সালে, পারিবারিক ক্ষেত্রে বাজেট দ্বিগুণ হলে এই শিল্পখাত ক্ষতির সম্মুখীন হবে। জ্বালানির বাড়তি বিল ও মূল্যস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য সুদের হার উচ্চ থাকায় বন্ধকি অর্থপ্রদান বৃদ্ধি পাবে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো চাপে পড়বে এবং বিনিয়োগও কমবে। এই সবই ইউরোপের অর্থনীতিকে মন্দার দিকে ঠেলে দেবে। পূর্ববর্তী মন্দার বিপরীতে, বিশ্ব অর্থনীতি ইউরোপের উদ্ধার করতে নাও এগিয়ে আসতে পারে। শিল্পের জন্য রপ্তানি আদেশ ২০২৩ সালে কম থাকবে, কারণ উচ্চ সুদের হার, বৈশ্বিক জ্বালানি সংকট ও শক্তিশালী ডলার সারাবিশ্বে চাহিদাকে দুর্বল করে দেয়। শুধু একবার জ্বালানির দাম কমে গেলে এবং আমেরিকায় মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা হলে, বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি কি ইউরোপের পুনরুদ্ধারকে সমর্থন করতে সক্ষম হবে। কিন্তু ২০২৩ সালে তা হবে না।

তবে সবচেয়ে উজ্জ্বল খাত হলো শ্রমবাজার। ইউরোপের অর্থনীতিতে ক্রমবর্ধমান শ্রমিকের অভাব হচ্ছে, কারণ বয়স্করা অবসর নিচ্ছে এবং অল্পবয়সী, কম জনবহুল প্রজন্ম কর্মীবাহিনীতে প্রবেশ করছে। সংস্থাগুলো কর্মীদের অপ্রয়োজনীয় মনে করার আগে দুবার চিন্তা করবে এবং উদার সহায়তা স্কিমগুলো চাকরি সংরক্ষণে সহায়তা করবে। অনেক ভোক্তা ২০২৩ সালে তাদের জ্বালানি বিল ও বন্ধকি পেমেন্ট নিয়ে চিন্তিত হলেও খুব কম লোকই তাদের চাকরি হারানোর ভয় পাবেন। পরিবার ও ব্যবসার জন্য সর্বসাকুল্যে জনসাধারণের সমর্থন ২০২৩ সালে ইউরোপে একটি গভীর মন্দা প্রতিরোধে সহায়তা করবে। মহাদেশজুড়ে সরকারগুলো তাদের ভোটারদের অসাধ্য জ্বালানি বিলের প্রভাব থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করছে। এটি তাদের প্রকৃত আয়সীমার নিচে রাখবে এবং জ্বালানি সংকটের অর্থনৈতিক পতনকে সীমিত করবে। অর্থনীতির একটি জনপ্রিয় সূচক মূল্যস্ফীতি। মানুষের জীবনযাত্রাকে সবচেয়ে প্রভাবিত করে এই সূচক। ফলে এটি রাজনৈতিক বিভাজন কমাতেও সাহায্য করবে, কেননা ইতিহাস শেখায় যে মূল্যস্ফীতিও রাজনীতিতে পরিবর্তন আনতে পারে।

নিউজ ট্যাগ: মূল্যস্ফীতি

আরও খবর



সিরাজগঞ্জে শেষ মুহূর্তে প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা ও স্বজনেরা

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে নির্বাচনে আর মাত্র এক দিন বাকি। শেষ মূহুর্তের প্রচারণায় জমে উঠেছে সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। প্রথম ধাপের ৮ই মে নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোর থেকে রাত পর্যন্ত ভোটারদের কাছে ছুটছেন প্রার্থীরা। সভা-সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায়।

ভোটারদের মন জয় করতে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা প্রতিদিন ব্যবহার করছেন নতুন নতুন কৌশল। চলছে পোস্টার, ফেস্টুন ও লিফলেট বিতরণ। সেই সঙ্গে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত গণসংযোগ, পথসভা ও উঠান বৈঠকের মাধ্যমে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা।

বিগত নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে কে কি করেছেন, নতুন রা জয়ী হলে কি করবেন, সেই প্রতিশ্রুতি নিয়ে ঘুরছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। তাদের বিরামহীন প্রচারণায় ইতোমধ্যে জমে উঠেছে সিরাজগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। ভোটারদের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে বেশ আগ্রহ। তারাও হিসাবনিকাশ করতে শুরু করছেন-কার হাত ধরে হবে উপজেলা বাসীর ভাগ্য উন্নয়ন। যোগ্য প্রার্থী বেছে নেয়ার পাশাপাশি নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ চান ভোটাররা। ৮ই মে ভোটাররা ভোট দিয়ে আগামী পাঁচ বছরে জন্য যোগ্য চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবেন।

সাধারণ ভোটাররা জানান, জনপ্রতিনিধি হিসেবে বিপদে-আপদে পাশে পাওয়া যাবে এমন প্রার্থীকেই ভোট দেবেন তারা। জনবিচ্ছিন্ন কোনো প্রার্থীকে তারা চান না। আগামী ৮ই মে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনবান্ধব ও পছন্দের প্রার্থীর পক্ষেই তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চান।

জানা গেছে, এ উপজেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ১২ জন প্রার্থী। চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন। গত ২৩ শে এপ্রিল প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের পরপরই নির্বাচনের মাঠ সরব হয়ে উঠেছে এ উপজেলায়। এর আগে এই উপজেলায় মোট ১২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন।

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় মোট ১০টি ইউনিয়ন। মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৭১ টি। কক্ষের সংখ্যা ১৪২৪, মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লক্ষ ৫৬ হাজার ২২২জন।

প্রতিটা কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিয়ে ভোটাররা যেন বাড়ি ফিরতে পারে এমন প্রস্তুতি রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।


আরও খবর



আজ ঢাকায় কখন বৃষ্টি হবে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কয়েক দিনের তীব্র তাপপ্রবাহের পর স্বস্তির বৃষ্টি দেখা দিয়েছে দেশের কয়েক জেলায়। আজ সন্ধ্যার মধ্যে ঢাকাতেও বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

আবহাওয়া অফিস বলছে, যশোর, খুলনা, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা ও রাজশাহী জেলাসমূহের ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ এবং খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা দেশের পূর্বাঞ্চলের কিছু জায়গা হতে প্রশমিত হতে পারে।

আগামী সপ্তাহে বৃষ্টিপাতের ফলে সারা দেশে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা রয়েছে। পরবর্তী ৫ থেকে ৬ দিন দমকা হাওয়া, ঝোড়ো বাতাস ও বজ্র ঝড়সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর আবারও আসতে পারে তাপপ্রবাহ।


আরও খবর



পথচারীদের বিনামূল্যে রুহ্ আফজা দিচ্ছে হামদর্দ

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

তীব্র দাবদাহে ভয়াবহ অবস্থা দেশজুড়ে। ৭৬ বছরের ইতিহাসে এরকম পরিস্থিতি আর হয়নি বাংলাদেশে। হিটস্ট্রোকের মারাত্মক এই অবস্থায় রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্পটে ক্লান্ত তৃষ্ণার্ত পথচারীদের বিনামূল্যে শরবত রুহ্ আফজা পান করাচ্ছে হামদর্দ ল্যাবরেটরীজ (ওয়াক্ফ) বাংলাদেশ।

আধুনিক হামদর্দের প্রতিষ্ঠাতা ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়ার নির্দেশে রাজধানীজুড়ে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এমন উদ্যোগে ভীষণ খুশি সাধারণ মানুষ।

তারা জানান, রুহ্ আফজা সবার কাছে প্রিয় একটি শরবত। প্রচণ্ড গরমে রাস্তায় বেরিয়ে সবার প্রাণ যখন ওষ্ঠাগত, তখন পথচারীদের ডেকে ডেকে শরবত রুহ্ আফজা পান করাচ্ছে হামদর্দ। এর চেয়ে বড় মানবিক কাজ আর হতে পারে না।

রাজধানী ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন শহরে ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিনামূল্য শরবত রুহ্ আফজা বিতরণ করছে হামদর্দ।

বৈজ্ঞানিকভাবে পরীক্ষিত যে, নিয়মিত শরবত রুহ্ আফজা পান করলে শরীরের পানি ও ইলেকট্রোলাইটের ঘাটতি দ্রুত পূরণ হয়। তাছাড়া শরবত রুহ্ আফজা পান করার মাধ্যমে হিটস্ট্রোক থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়।


আরও খবর



যশোরে গরমে অসুস্থ হয়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
যশোর প্রতিনিধি

Image

যশোরে ধান কেটে বাড়ি আসার পর আহসান হাবিব (৩৭) নামে একজন শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। মৃত্যুবরণকারী শিক্ষক যশোর সদরের আমদাবাদ হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক।

স্থানীরা বলছেন, হিট স্ট্রোকে তিনি মারা গেছেন। সংশ্লিষ্ট ডাক্তার বলছেন, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ছাড়া তাঁর মৃত্যুর কারণ বলা যাচ্ছে না।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহারুল ইসলাম বলেন, আহসান হাবিব সকালে মাঠে ধান কেটে বাড়িতে আসেন। বাড়িতে এসেই সকাল পৌনে ৯টার দিকে হঠাৎ করেই বুকে ব্যথা এবং শরীর জ্বলে যাচ্ছে বলে কাতরাতে থাকেন। এরপর পরিবারের সদস্যরা তাঁকে দ্রুত যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। আমাদের ধারণা, প্রচণ্ড তাপের কারণে হিট স্ট্রোকে তিনি মারা গেছেন। আসরের নামাজের জানাজা শেষে তাঁকে দাফন করা হবে।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক হাসিব মোহাম্মদ আল হাসান জানান, হাসপাতালে আসার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কী কারণে মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ছাড়া বলা সম্ভব নয়।

এদিকে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিক্ষক আহসান হাবিব মাদকাসক্তও ছিলেন। নিয়মিত মাদক সেবন করতেন। ফলে তাপপ্রবাহে মাঠে কাজ করার প্রভাবে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।


আরও খবর



চট্টগ্রামে পূর্ণাঙ্গ কৃষি সংস্কৃতি গড়ে তুলছে গ্রীন হার্ভেস্ট এগ্রো: আব্দুর রহমান

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান এমপি বলেছেন, চট্টগ্রামে একটি পূর্ণাঙ্গ কৃষি সংস্কৃতি গড়ে তুলছে গ্রীন হার্ভেস্ট এগ্রো। নতুন প্রজন্ম যেভাবে দেশের প্রাণিসম্পদ খাতে এগিয়ে আসছে, তা খুবই আশাপ্রদ। শিক্ষিত তরুণরা যেন কেবল চাকরির পেছনে না ছুটে নিজে ও দেশকে স্বাবলম্বী করে তোলার জন্য উদ্যোগী হয়ে ওঠে, তার অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে এই খামার।

রবিবার (৫ মে) সকালে চট্টগ্রামের দুই নম্বর গেটস্থ মেয়র গলিতে অবস্থিত গ্রীন হার্ভেস্ট এগ্রো পরিদর্শনে এসে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসময় তাকে বরণ করে নেন এগ্রোর স্বত্বাধিকারী বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন। তিনি এগ্রোর সবদিকে ঘুরিয়ে দেখান।  এগ্রোতে থাকা প্রাণীসমূহের পরিচর্যায় ব্যবহৃত খাবার ও অন্যান্য সামগ্রীগুলোর মান নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন মৎস্য মন্ত্রী। পরে গ্রীন হার্ভেস্ট এগ্রোর দুগ্ধজাত নানান পদের খাবারও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর হাতে তুলে দেন বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামের অন্যতম খ্যাতনামা পরিবারের সন্তান বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন ইংল্যান্ড থেকে পড়াশোনা করেন। দেশে বড় বড় শিল্পে যোগ দিতে পারতেন। কিন্তু তিনি খামারী হয়ে উঠেছেন, তার জ্ঞান ও মেধাকে কৃষি ও পশুপালন ক্ষেত্রে কাজে লাগিয়ে দেশকে স্বাবলম্বী করে তোলার জন্য কাজ করছেন। পশুদের প্রতি তার প্রেম আমাকে মুগ্ধ করেছে। তার এ দৃষ্টান্ত দেশের তরুণদের অনুপ্রাণিত করবে। এতে দেশ উপকৃত হবে।

এগ্রোর স্বত্বাধিকারী বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন বলেন, চট্টগ্রামসহ সারাদেশে তরুণরা বর্তমানে কৃষি ও পশুপালনে এগিয়ে আসছে। কিন্তু একটি পূর্ণাঙ্গ কৃষি সংস্কৃতি গড়ে না ওঠায় দেশবাসী ও খামারীরা এর সুফল পুরোপুরি পাচ্ছে না। গ্রীন হার্ভেস্ট এগ্রো এক্ষেত্রে সচেষ্ট। আমাদের খামার একইসাথে পশু মোটাতাজাকরণ এবং পুষ্টিগুণ ও মানসম্মত দুগ্ধজাত পণ্য তৈরিতে সমান গুরুত্ব আরোপ করেছে। চট্টগ্রামের নানান এতিমখানায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পুষ্টি নিশ্চিত করতে বিনামূল্যে দুধ বিতরণ করছি আমরা।


আরও খবর