আফ্রিকার দেশ নাইজারে সম্প্রতি ক্ষমতা
দখল করে সেনাবাহিনী। তারপর থেকে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে দেশটিতে বিক্ষোভ হয়েছে। এমন অবস্থায়
এবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ জানিয়েছেন যে, দেশটিতে থাকা তাদের রাষ্ট্রদূত
ও দূতাবাসের কর্মকর্তাদের জিম্মি করা হয়েছে। শুক্রবার ফ্রান্সের কোট ডি'অর অঞ্চলে একটি
সফরের সময় সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ বলেন, নাইজারে ফরাসি
রাষ্ট্রদূত এবং অন্যান্য ফরাসি কূটনীতিকদের 'ফরাসি দূতাবাসে আক্ষরিক অর্থে জিম্মি করা
হয়েছে'। খবর সিএনএনের
তিনি বলেন যে, নিয়ামে দূতাবাসে খাদ্য
সরবরাহ করতে বাধা দেওয়া হয়েছিল এবং রাষ্ট্রদূত সামরিক রেশন খাচ্ছেন। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট
আরও বলেন, নাইজারে থাকা রাষ্ট্রদূত সিলভাইন ইত্তেকে বাইরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। তাকে
খাবার দেওয়ার ক্ষেত্রেও বাধা দেওয়া হচ্ছে।
জুলাই মাসে পশ্চিম আফ্রিকার দেশটির নিয়ন্ত্রণ
নেই সেনাবাহিনী। এর পর তারা ফরাসি রাষ্ট্রদূত ইত্তেকে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেয়। জান্তা
প্রশাসন তার ভিসা প্রত্যাহার করে এবং পুলিশকে তাকে বহিষ্কারের নির্দেশ দেয়।
তবে রাষ্ট্রদূতকে নাইজার থেকে ফিরিয়ে নেয়া
হবে না বলে জানিয়ে ফ্রান্স। ফরাসি কর্তৃপক্ষ পুনর্ব্যক্ত করেছে যে, তারা জান্তার কর্তৃত্বকে
স্বীকৃতি দেয় না।
তিনি রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে
কাজ করবেন কি না জানতে চাইলে ম্যাক্রোঁ বলেন, নাইজারের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাজুমের
সঙ্গে আমরা যা কিছু করতে রাজি। তিনি বৈধ কর্তৃপক্ষ এবং আমি প্রতিদিন তার সঙ্গে কথা
বলি।'
ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাথরিন কোলোনার
মতে, ইত্তে এখনও কাজ করছেন। তিনি বলেন, 'রাষ্ট্রদূত কাজ করছেন, আমি নিশ্চিত করতে পারি।
তার সাথে এখনও একটি ছোট দল রয়েছে।'
কোলোনা যোগ করেছেন যে, যতদিন নাইজারে ফ্রান্স
রাষ্ট্রদূতকে রাখতে চান ততদিন সেখানে থাকবেন ইত্তে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন প্রেসিডেন্ট
ম্যাক্রোঁ।