নাশকতার পরিকল্পনা ও প্রস্তুতিকালে রাজধানীর লালবাগ থেকে ৩টি বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৩৭ রাউন্ড গুলিসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও মহানগর জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ছয় নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার (১৯ আগস্ট) রাতে লালবাগ থানায় অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দুটি মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার খোন্দকার নুরুন্নবী (সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম ও ডিবি-উত্তর) বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রাজধানীর লালবাগে নাশকতার পরিকল্পনা ও প্রস্তুতিকালে তিনটি বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৩৭ রাউন্ড গুলিসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও মহানগর জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ছয় নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার (২০ আগস্ট) এই বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
এর আগে শুক্রবার (১৮ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম জিসানকে খুঁজতে গিয়ে সংগঠনের আরও পাঁচ নেতা ‘নিখোঁজ’ হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
নিখোঁজ পাঁচ নেতা হলেন- ছাত্রদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সহসভাপতি মো. হাসানুর রহমান, অমর একুশে হল শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল রিয়াদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন বাবর ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক আরিফ বিল্লাহ।
ঘটনার বিবরণ দিয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির গণমাধ্যমে পাঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের পক্ষ থেকে সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক মাহমুদুল হাসান। ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শুক্রবার সকাল থেকে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম জিসানের কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। জানা যায়, ডিবি পুলিশ পরিচয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু অতিউৎসাহী সদস্য মমিনুল ইসলাম জিসানকে তুলে নিয়ে গেছে। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও তার থাকার মতো সম্ভাব্য সব জায়গায় পরিবার ও সংগঠন খোঁজ নিলেও কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে ওই পাঁচ নেতা একত্রে জিসানকে খুঁজতে তার বাসায় গেলে ডিবি পুলিশ তাদেরও ধরে নিয়ে যায়। এখনো পর্যন্ত তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনতিবিলম্বে ছয় নেতার সন্ধান দিতে জোর দাবি জানান।