মহামারি করোনাভাইরাসের বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ার পর থেকেই চিরচেনা যানজটের নগরীতে ফিরতে থাকে রাজধানী ঢাকা। যা গত এক মাসে ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছিল। তবে বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন সারা দেশে সরকারি ছুটি চলছে। এছাড়া রোজার মধ্যে বৈশাখের অনুষ্ঠান হওয়া মানুষজনও রাস্তায় কম বেরিয়েছেন। পয়লা বৈশাখে রাজধানীর বড় একটি অংশই ছিল ফাঁকা। নেই চিরচেনা যানজট, কর্মব্যস্ততা।
সরেজমিনে দেখা যায়, পল্টন থেকে শান্তিনগর রামপুরা হয়ে কুড়িল বিশ্বরোড পর্যন্ত রাস্তায় কোনো যানজট নেই। এদিকে গুলশান থেকে বনানী হয়ে সাতরাস্তা ও জাহাঙ্গীর গেটেও অন্যান্য দিনের মতো সেই চিরচেনা রূপ নেই। স্বাভাবিক গতিতে যানবাহন চালাচল করছে। এছাড়া এসব রাস্তায় রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও প্রাইভেটকারের চলাচল থাকলেও তা সামান্য সংখ্যায়। অন্যদিকে রাস্তায় গণপরিবহনের উপস্থিত ছিল খুবই কম, তাই বড় কোনো যানজটের সৃষ্টি হয়নি।
গাড়ি চালক ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ছুটির দিন হওয়ায় মানুষজন সকালে জরুরি কোনো প্রয়োজন ছাড়া বের হয়নি। ফলে সকালে মানুষ ও গাড়ি সংখ্যা কম থাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়নি। তবে বিকেলের দিকে অবস্থার কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে। কেননা ইফতার সামগ্রী কেনার জন্য মানুষ রাস্তায় বের হবে। ওই সময় রাজধানীর বেশ কয়েকটি পয়েন্টে যানজটের আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে রমনা বটমূল, টিএসসি, শাহবাগ, কারওয়ান বাজার ও এর আশপাশ এলাকায় বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠানকে ঘিরে রাস্তায় কিছুটা চাপ রয়েছে। তবে বড় ধরনের যানজটের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
রাজধানীর প্রগতি সরণীর এলাকায় কর্মরত ট্রাফিক সার্জেন্ট মো. কালাম বলেন, ছুটির দিন হওয়ায় আজ সকাল থেকে যানজটের চাপ কম। সকাল থেকে এখন পর্যন্ত প্রগতি সরণি এলাকার রাস্তায় তেমন কোনো যানজটের সৃষ্টি হয়নি। ইফতারের কয়েক ঘণ্টা আগে কিছুটা যানজটের চাপ থাকতে পারে। তবে সেটাও কর্মদিবসের দিনগুলোর মত হবে না বলে তিনি জানান।