আজঃ রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

নির্বাচনের সময় আপনাদের দরজা আমার জন্য খোলা রাখবেন: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

রাঙ্গুনিয়া(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, বিগত দিনে আমি আপনাদের পাশে ছিলাম, এখনও আছি। নির্বাচন কাছে চলে আসছে। আমার জন্য আপনারা দোয়া করবেন। নির্বাচনে যখন আমি আপনাদের দরজায় আসবো, তখন আপনাদের দরজাটা আমার জন্য খোলা রাখবেন।

আজ শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা অডিটোরিয়ামে স্বেচ্ছাধীন তহবিল এবং দুস্থ অসহায়দের মাঝে চেক ও সহায়তা বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারের পাশাপাশি আমাদের পারিবারিক প্রতিষ্ঠান এনএনকে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে রাঙ্গুনিয়ায় অনেক উন্নয়ন কর্মকান্ড আমরা পরিচালনা করছি। আমরা আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন এনজিওর মাধ্যমে অর্থের সংস্থান করে রাঙ্গুনিয়ায় মোট ২১টি নতুন মসজিদ ভবন করে দিয়েছি। আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ২০১২ সালে এক কোটি টাকার ডেউটিন বিতরণ করেছিলাম। প্রত্যেকটা ইউনিয়নে কৃষকদের উন্নয়নে পাওয়ার টিলার কিনে দিয়েছিলাম। দুঃস্থদের মধ্যে রিক্সা কিনে দিয়েছি, এখন অটোরিক্সা কিনে দিচ্ছি। এভাবে এনএনকে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে নানা উন্নয়ন কর্মকান্ড ও সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

এনএনকে ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন তালুকদার ও এমরুল করিম রাশেদের সঞ্চালনায় এবং এনএনকে ফাউন্ডেশনের পরিচালক মাস্টার আবদুর রউফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতাউল গণি ওসমানী, রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার মেয়র মো. শাহজাহান সিকদার, রেড ক্রিসেন্ট চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক মাস্টার আসলাম খান, উত্তরজেলা আওয়ামীলীগ নেতা ইদ্রিছ আজগর, আকতার হোসেন খাঁন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার প্রমুখ।

তিনি এখানে তথ্যমন্ত্রীর স্বেচ্ছাধীন তহবিলের অর্থ, বিভিন্ন দুরারোগ্য রোগীদের সাহায্যার্থে চেক, দুঃস্থ মহিলাদের মাঝে সেলাই মেশিন ও বিভিন্ন মাদ্রাসায় বস্ত্র বিতরণ করেন।


আরও খবর



চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন: ভোট শেষে গণ্ডগোলের শঙ্কা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

চলছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টা নাগাদ শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

এবারের নির্বাচনে গণ্ডগোলের আশঙ্কা রয়েছে বলে ধারণা করে আসছে বিজ্ঞমহল। ভোটের দিন ৫৭০ জন ভোটারের বিপরীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৪০০ সদস্যকে দেখা গেছে এফডিসি প্রাঙ্গণে।

শিল্পীরা একে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, এরপরও ভোটকেন্দ্রে কেন এত কড়াকড়ি নিরাপত্তা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও শিল্পীদের কেউই সাংবাদিকদের এ বিষয়ে যথাযথ উত্তর দিতে পারেননি। এমনকি সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার ও উৎসুক জনতার ভিড় সামলাতেও এবার বাড়তি সতর্কতা দেখা গেছে।

এবারের নির্বাচনে মুখোমুখি হয়েছে মিশা-ডিপজল ও কলি-নিপুণ প্যানেল। রয়েছে ৬ স্বতন্ত্র প্রার্থী। প্রকাশ্যে কোনো কাদা ছোড়াছুড়ি না হলেও সব পক্ষই বিপরীত দলকে চাপে রেখেছে। ইতোমধ্যেই ভোটারদের অর্থ প্রদানের অভিযোগ উঠেছে দুই সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ডিপজল ও নিপুণের বিরুদ্ধে। এই নির্বাচনে মূলত ডিপজল ও নিপুণই শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী। কেউই কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। দুজনের বিরুদ্ধেই ভোটারদের অর্থ প্রদানের অভিযোগ উঠেছে। তাই নির্বাচনের শীলত যুদ্ধ আপাতত এক-এক গোলে ড্র। কিন্তু ভোট শেষে এই সাম্য নাও থাকতে পারে। পরিস্থিতি পাল্টে যেতে পারে যে কোনো মুহূর্তে।

সূত্রের খবর, ভোট গননার সময় ঘটতে পারে অঘটন। দুই প্যানেলের মধ্যে গণ্ডগোলের আশঙ্কা রয়েছে। ফল প্রকাশ হতে মধ্যরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। গতরাতে ডিপজলের বিরুদ্ধে অর্থ প্রদানের অভিযোগ সামনে আসে। অন্যদিকে নিপুণও অর্থ দিয়েছেন এমন একটি কল রেকর্ড ফাঁস হয়। তখনই এফডিসি ও এর বাইরে অবস্থান নিয়েছিলেন অনেকেই। সরাসরি কিছু না বললেও প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু রয়েছেন চাপে। তবে নির্বাচন শেষে জায়েদ-নিপুণের মতো ডিপজল-নিপুণকেও সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে আদালতপাড়ায় যেতে হবে তা দিনের আলোর মতোই স্পষ্ট।

এর আগে ২০১৭ সালে মধ্যরাতে ভোট গণনার সময় এফডিসিতে শাকিব এলে তার ওপরে হামলা হয়েছিল। সে সময় নিজে নির্বাচন না করলেও ওমর সানীকে সভাপতি হিসেবে সমর্থন দিয়েছিলেন শাকিব।

মূলত শিল্পী সমিতির নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা পর থেকেই শুরু হয় তর্কবিতর্ক এবং অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ। এবারের নির্বাচনে শুরু থেকেই রাজনৈতিক প্রভাবও চলমান। দুই প্যানেল থেকেই গণমাধ্যমে বেশকিছু প্রার্থী এমন অভিযোগ জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রার্থী বলেন, এবারের নির্বাচনে শিল্পীদের পাশাপাশি রাজনৈতিক ব্যক্তিদের পরিচয় ও ক্ষমতা কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে অনেকেই। এরই মধ্যে বিএফডিসির বাইরে বিভিন্ন নেতার অফিসেও করা হয়েছে মিটিং, যা আমাদের মোটেও কাম্য ছিল না। অভিযোগ উঠেছে নিজেদের জয়ী করতে অনেকেই আবার কিনছে ভোট, দেখাচ্ছে ভয়-ভীতি।

এখন পর্যন্ত ভোটারদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠেনি এফডিসি। প্রচণ্ড গরম পড়ায় সকালের দিকে ভোটার সমাগম কম হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ভোটার বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

কার্যকরী পরিষদ সদস্য প্রার্থী পীরজাদা হারুন দুপুর ১২টার দিকে বলেছেন, গতবার এই সময়ে ভোট কাস্ট হয়েছিল ১৬০টি, এবার ১১টি।

এবারের নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে আছেন প্রযোজক নেতা খোরশেদ আলম খসরু। তার বিরুদ্ধেও নিপুণের জন্য সভাপতি প্রার্থী খোঁজার অভিযোগ উঠেছিল। খসরুর সঙ্গে সদস্য হিসেবে আছেন এজে রানা ও বিএইচ নিশান।

শিল্পী সমিতির নির্বাচনে মিশা-ডিপজল পরিষদের অন্য প্রার্থীরা হলেন সহসভাপতি মাসুম পারভেজ রুবেল ও ডিএ তায়েব; সহসাধারণ সম্পাদক আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ডন এবং কোষাধ্যক্ষ পদপ্রার্থী কমল।

এই প্যানেলে কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদে নির্বাচন করছেন খ্যাতিমান চিত্রনায়িকা সুচরিতা, রোজিনা, আলীরাজ, সুব্রত, দিলারা ইয়াসমিন, শাহনূর, নানা শাহ, রত্না কবির, চুন্নু, সাঞ্জু জন ও ফিরোজ মিয়া।

অন্যদিকে মাহমুদ কলি-নিপুণ প্যানেলের অন্য প্রার্থীরা হলেন- সহসভাপতি পদে ড্যানি সিডাক ও অমিত হাসান; সহসাধারণ সম্পাদক বাপ্পি চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক অঞ্জনা রহমান, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক মারুফ আকিব, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক কাবিলা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক মামনুন হাসান ইমন ও কোষাধ্যক্ষ পদে অভিনেতা আজাদ খান। এ প্যানেলে কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদে প্রার্থীরা হলেন- সুজাতা আজিম, নাদের চৌধুরী, পীরজাদা হারুন, পলি, জেসমিন আক্তার, তানভীর তনু, মো. সাইফুল, সাদিয়া মির্জা, সনি রহমান, হেলেনা জাহাঙ্গীর ও সাইফ খান।


আরও খবর



বেনজীরের সম্পদের খোঁজে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ ৮ প্রতিষ্ঠানে দুদকের চিঠি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সম্পদের খোঁজে বিএফই ও বাংলাদেশ ব্যাংকসহ ৮টি প্রতিষ্ঠানে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগের অনুসন্ধান বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দুদককে দুই মাসের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটের শুনানি শেষে এ নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

এর আগে সকালে হাইকোর্টে মামলা লড়তে আইনজীবী নিয়োগ দেন বেনজীর আহমেদ।

সোমবার (২২ এপ্রিল) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠায় তা অনুসন্ধান করবে বলে জানায় দুদক। এ ঘটনায় সংস্থার উপপরিচালক হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।

একইদিন তার দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাউদ্দিন রিগ্যান হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিটটি দায়ের করেন। রিটে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করতে নির্দেশনা চাওয়া হয়। রিটে দুদক চেয়ারম্যান, সচিবসহ চারজনকে বিবাদী করা হয়।

এর আগে রোববার (২১ এপ্রিল) বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা চেয়ে দুদকে আবেদন করেন সংসদ সদস্য (এমপি) ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইয়েদুল হক সুমন। লিখিত ওই আবেদনে সাবেক আইজিপির দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত চান তিনি। পাশাপাশি দুদক কোনো ব্যবস্থা না নিলে, উচ্চ আদালতে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

২১ এপ্রিল সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা চেয়ে দুদকে আবেদন করেন সংসদ সদস্য (এমপি) ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইয়েদুল হক সুমন।

প্রকাশিত সংবাদে যে সব অভিযোগ উঠেছে বেনজীরের বিরুদ্ধে-

সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের অস্বাভাবিক সম্পত্তির বিষয়টি গত ১ মাস ধরে আলোচনায়। তার বিপুল অবৈধ সম্পদের খোঁজ মিলেছে বলে সংবাদ প্রকাশ করে কালের কণ্ঠ। জাতীয় ওই দৈনিকে বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ শিরোনামের প্রতিবেদনে নানা অর্থ সম্পদের বিবরণ তুলে ধরা হয়। বেনজীরের বিপুল সম্পদের মধ্যে রয়েছে গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়নে সাভানা ইকো রিসোর্ট নামের এক অভিজাত ও দৃষ্টিনন্দন পর্যটনকেন্দ্র। এছাড়াও তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ছয়টি কোম্পানির খোঁজ পাওয়া গেছে। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে।

প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়, ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোতে বেনজীর আহমেদের দামি ফ্ল্যাট, বাড়ি আর ঢাকার কাছের এলাকায় বিঘার পর বিঘা জমি রয়েছে। দুই মেয়ের নামে বেস্ট হোল্ডিংস ও পাঁচতারা হোটেল লা মেরিডিয়ানের রয়েছে দুই লাখ শেয়ার। পূর্বাচলে রয়েছে ৪০ কাঠার সুবিশাল জায়গাজুড়ে ডুপ্লেক্স বাড়ি, যার আনুমানিক মূল্য কমপক্ষে ৪৫ কোটি টাকা। একই এলাকায় আছে ২২ কোটি টাকা মূল্যের আরও ১০ বিঘা জমি।

এর আগে দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, ব্যারিস্টার সুমনের আবেদন ও সাবেক আইজিপির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ যাচাই করেই সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। এক্ষেত্রে ব্যক্তি কোনো মুখ্য বিষয় না। তবে গত ৮ এপ্রিল এ বিষয়ে তিনি বলেছিলেন, পত্রপত্রিকায় যে তথ্য-উপাত্ত রয়েছে সেগুলো বিশ্লেষণ করে সত্যতা যাচাই করতে হবে। দুদক জিন-পরী নয়, আসলো আর ফুঁ দিয়ে দিলাম। আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।

মূলত বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ শিরোনামে গত ৩১ মার্চ প্রতিবেদন প্রকাশ করে দৈনিক কালের কণ্ঠ। দুদিন পর বনের জমিতে বেনজীরের রিসোর্ট শিরোনামে আরেকটি খবর প্রকাশিত হয় ওই দৈনিকে। সাবেক আইজিপির এমন খবর নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হলেও, নিশ্চুপ ছিল দুদক।


আরও খবর



ক্যাসিনো সম্রাট সেলিম প্রধানের মনোনয়ন বাতিল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমা দেয়া ক্যাসিনো কান্ডে আলোচিত অনলাইন ক্যাসিনো সম্রাট সেলিম প্রধানের মনোনয়ন বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন।

মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মনোনয়ন যাচাই-বাছাই অনুষ্ঠানে তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়।

নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার কাজী মো. ইস্তাফিজুল হক আকন্দ জানান, সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে দুদকের এক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাভোগের অভিযোগ করেছে অন্য প্রার্থীরা। এ সময় তার আইনজীবী সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। ফলে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সেলিম প্রধানের মনোনয়ন বাতিল করা হয়।

এ বিষয়ে সেলিম প্রধানের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. কামাল হোসেন বলেন, সকল প্রকার পেপারস দেওয়ার পরও মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। আমরা হাইকোর্টে আপিল করবো। আশা করি হাইকোর্টে সেলিম প্রধান মনোনয়ন ফিরে পাবো।

উল্লেখ্য, নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী রিটার্নিং অফিসারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭-২৯ এপ্রিল, মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ ২ মে এবং ২১ মে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর



বুয়েটকে জঙ্গি রাজনীতির কারখানায় পরিণত করার প্রমাণ পেলে অ্যাকশন: কাদের

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করার নামে বুয়েটকে জঙ্গিবাদ, অপরাজনীতির কারখানায় পরিণত করা হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। সেই রকম হলে সরকারকে অ্যাকশনে যেতে হবে।

রোববার (৩১ মার্চ) সকালে তেজগাঁও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা সব অপকর্ম, অন্যায়ের বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো ট্রলারেন্স। সেই নীতিতে আমরা এগিয়ে চলছি। বুয়েটে আবরার হত্যাকাণ্ডে আমরা ছাড় দেইনি। আজকে আমি রাজনীতি করি, কিন্তু বুয়েটে যেতে পারবো না? এটা কোন ধরনের আইন? এটা কোন ধরনের নীতি?

তিনি বলেন, স্বাধীনতা ঘোষণার পাঠক ঘোষক হতে পারে না। পাঠক তো ঘোষক না। তার চেয়ে বড় কথা ঘোষণার অধিকার কার ছিল? ৭০ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু জনগণের মেনডেড পেয়েছিলেন। মঈন খানের মতো নেতারা আজকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের কথা বলেন। বিএনপির নেতাদের কেউ বলে গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধার, আবার কেউ বলে ভারতের পণ্য বর্জন। বিএনপির সব ইস্যু নির্বাচনে মার খেয়েছে। এখন তাদের নতুন ইস্যু ভারত বিরোধী। বিএনপি মিথ্যাচার করছে। তারা যখন ক্ষমতা ছেড়ে যায় তখন বাংলাদেশের রির্জাভ ছিল সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলার। এখন তারা আমাদের রিজার্ভ নিয়ে কটাখ্য করে। এখন আমাদের রির্জাভ ২১ বিলিয়ন ডলারের উপরে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সামনে উপজেলা নির্বাচন। নেত্রীর নিদেশনা আপনারা যানেন। আপনাদের প্রস্তাবনা ছিল কোনো প্রার্থী না দেওয়ার। আপনাদের খুব দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। একেক জনের একেক রকম কথাবার্তা দলকে বিভ্রান্ত করে। যা খুশি বলে দেবেন? এটা তো আওয়ামী লীগ নয়, ফ্রি স্টাইলে কথা বললে আমরা ব্যবস্থা নেব।

তিনি বলেন, আজকে আওয়ামী লীগের নেতারা চায়ের দোকানে বসে দলের বিরুদ্ধে কথা বলে। এই ধরনের নেতাদের পরিহার করতে হবে। উপজেলা নির্বাচন ফ্রি ফেয়ার ভোট হবে, জনগণ যাকে ভোট দেওয়া দেবে। এখানে আপনারা ক্ষমতার অপব্যবহার করবেন না।

সেতুমন্ত্রী বলেন, চাদঁপুর জেলা কমিটির দ্রুত সম্মেলন করার ব্যবস্থা নেন। চট্টগ্রাম মহানগর সম্মেলনের ব্যবস্থা নেন। আমরা সম্মেলন করে কমিটি করতে চাই। কেউ ক্ষমতার দাফট দেখাবেন না।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান, উপ দপ্তর সায়েম খান প্রমুখ।

এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগের সংসদ সদস্য, জেলা, মহানগর, উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর
বিএনপির ৭৫ নেতাকে বহিষ্কার

শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪




মসজিদে নববীতে মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের রেকর্ড

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসলামের দ্বিতীয় পবিত্র স্থাপনা সৌদি আরবের মদিনা নগরীতে অবস্থিত পবিত্র মসজিদে নববীতে রমজান মাসে মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের রেকর্ড হয়েছে। পবিত্র এই মাসের প্রথম ২০ দিনে মসজিদে নববীতে দুই কোটিরও বেশি মুসল্লি নামাজ আদায় করেছেন বলে সৌদি আরবের সরকারি পরিসংখ্যানে জানানো হয়েছে।

সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা এসপিএ বলছে, একই সময়ে মসজিদে অবস্থিত আল রওজা আল-শরিফায় ২ লাখ ৯৬ হাজার ৫৯৫ জন নারীসহ মোট ৬ লাখ ৫৫ হাজার ২২৭ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করেছেন।

পবিত্র নগরী মদিনার মসজিতে নববীতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর রওজা অবস্থিত। আল রওজা আল-শরিফা পরিদর্শন এবং সেখানে নামাজ আদায়ে ইচ্ছুক মুসলিমদের পৌঁছানোর আগে সৌদি সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়।

মসজিদে নববীর তত্ত্বাবধানের দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বলেছে, মুসল্লিদের স্বস্তিতে ইবাদত নিশ্চিত করার জন্য সমন্বিত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সেবা দেওয়া হচ্ছে। আগামী মঙ্গলবার শেষ রমজানের আগে সেখানে মুসল্লিদের উপস্থিতি ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে।

রমজানের শেষ শুক্রবার সাপ্তাহিক জুমআর নামাজ আদায় করতে গতকাল মসজিদে নববীতে মুসল্লিদের ব্যাপক উপস্থিতি ছিল। এসপিএ বলছে, মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের জন্য আগেই মসজিদে নববীর ছাদ ও চত্বর প্রস্তুত করা হয়েছিল; যাতে মুসল্লিরা শান্ত ও সুন্দর পরিবেশে নামাজ আদায় করতে পারেন।

সাধারণত রমজান মাসে মক্কায় ইসলামের পবিত্রতম স্থান কাবায় ওমরাহ পালনের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলিমরা ছুটে যান। ওমরাহ পালনের পর অনেকে মসজিদে নববীতে নামাজ আদায় ও হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর রওজা মুবারক জিয়ারত করতে যান।

সৌদির সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছর মসজিদে নববীতে ২৮ কোটিরও বেশি মুসলমান নামাজ আদায় করেন। তবে চলতি বছর সেই সংখ্যা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।


আরও খবর