তিনি যেমন আক্রমণাত্মক, নেতিবাচক কথা-বার্তা
বলে উগ্র আচরণ প্রদর্শন করেছেন, ধারনা ছিল সে কারণে তাকে অন্তত এক বা দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ
করা হবে। যদিও আইসিসির আনুষ্ঠানিক ষোষণা বা আফিসিয়াল প্রেস রিলিজ এখনো আসেনি। তারপরও
জানা গেছে, ভারতীয় অধিনায়ককে ৪টি ডিমেরিটস পয়েন্ট দেয়ার পাশাপাশি ৭৫ শতাংশ ম্যাচ ফি
কেটে নেয়া হবে।
গত শনিবার বাংলাদেশের বিপক্ষে আউট হওয়ার
পর আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন কউর। শুধু তাই নয় ব্যাট দিয়ে স্ট্যাম্পও
ভেঙেছেন তিনি। এখানে থেমে গেলেও ভালো ছিল; কিন্তু হারমানপ্রিত খেলা শেষে পুরস্কার বিতরনী
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ নারী দল ও আম্পায়ারদের সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কান প্রিমিয়ার লিগে খেলবেন তাওহিদ হৃদয়
এরই শাস্তি হিসেবে ভারতীয় নারী দলের অধিনায়ককে
৪টি ডিমেরিটস পয়েন্ট দেয়ার পাশাপাশি ম্যাচ ফি’র ৭৫ শতাংশ কেটে
নেয়ার নির্দেশ দেন ম্যাচ রেফারি আকতার আহমেদ শিপার।
খালি চোখে এ শাস্তি কম মনে হলেও আসল খবর
ভিন্ন। মূল খবর হলো, ভারতীয় নারী দলের অধিনায়ক অন্তত ২ ম্যাচ নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছেন।
বাংলাদেশের ম্যাচ রেফারি আকতার আহমেদ শিপার
তাকে সরাসরি নিষিদ্ধ না না করলেও বাস্তবে ম্যাচ সাসপেন্ড হচ্ছেন কউর। কারণ, তার নামের
পাশে যে ৪টি ডিমেরিটস পয়েন্ট যুক্ত হচ্ছে, সেটা হওয়া মানেই অন্তত ২ ম্যাচ সাসপেন্ড।
বিসিবির এক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে এ তথ্য।
আরও পড়ুন: ভারতকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান
প্রসঙ্গতঃ স্ট্যাম্প ভাঙ্গার শাস্তি স্বরূপ
ম্যাচ ফির ৫০ ভাগ কাটা গেছে হারমানপ্রিত কউরের। সঙ্গে একটি ডিমেরিটস পয়েন্ট যুক্ত হয়েছে।
আর বাংলাদেশ দল ও আম্পায়ার সম্পর্কে আপত্তিজনক মন্তব্যের শাস্তি হিসেবে ৩টি ডিমেরিটস
পয়েন্ট যুক্ত হয়েছে। আরও ২৫ ভাগ ম্যাচ ফি কাটা যাবে তার। সব মিলিয়ে ৭৫ ভাগ ম্যাচ ফি
কাটা যাওয়ার পাশাপাশি এবং ৪টি ডিমেরিটস পয়েন্টসও যুক্ত হবে।
আইসিসির নিয়ম অনুসারে, কারো নামের পাশে
৪টি ডিমেরিটস পয়েন্ট যুক্ত হওয়া মানেই ১ টেস্ট কিংবা দুটি সীমিত ওভারের ম্যাচ নিষিদ্ধ
হবেন তিনি। যদিও বিষয়টা এখনও আইসিসি প্রেস রিলিজ দিয়ে জানায়নি। জানা গেছে, একটি ডিমেরিটস
পয়েন্ট কমানোর জন্য আইসিসির কাছে আবেদন করেছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। এ কারণেই প্রেস
রিলিজ আসতে বিলম্ব।