দারুণ বোলিংয়ে
নিউজিল্যান্ডকে অল্পতেই আটকে ফেলে পাকিস্তান। জয়ের জন্য তাদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায়
মাত্র ১৩৫। এই রান তাড়া করতে গিয়ে বেশ ভুগেছেন বাবর আজমরা। শেষ পর্যন্ত কোনো অঘটন হয়নি।
সহজ লক্ষ্য টপকে নিউজিল্যান্ডকে ৫ উইকেটে হারাল পাকিস্তান।
কিউইদের হারিয়ে
চলমান বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে পাকিস্তান। এর আগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে
ভারতকে হারিয়েছিলেন বাবররা।
আজ মঙ্গলবার টি-টোয়েন্টি
বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের ম্যাচে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৩৪ রান করে নিউজিল্যান্ড।
দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন ডেভন কনওয়ে ও মিচেল।
জবাব দিতে নেমে
৮ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় পাকিস্তান। রান তাড়ায় অবশ্য শুরুটা খুব মন্থর করে পাকিস্তান।
এর মধ্যে হারিয়ে ফেলে অধিনায়ক বাবর আজমকে। টিম সাউদির বলে ৯ রানে বোল্ড হন পাকিস্তানের
অধিনায়ক। ২৮ রানে ভাঙে পাকিস্তানের ওপেনিং জুটি। মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ফখর জামানের দ্বিতীয়
জুটিও স্থায়ী হয়নি। ১৯ রানে ওই জুটি ভাঙেন ইশ শোধি। ফিরিয়ে দেন ফখর জামানকে। ১৭ বলে
১১ রান করে এলবির ফাঁদে পড়েন ফখর।
গুরুত্বপূর্ণ
টপ অর্ডারদের হারালেও উইকেটে থিতু ছিলেন ওপেনার রিজওয়ান। মোহাম্মদ হাফিজকে নিয়ে প্রতিরোধ
গড়েন তিনি। সেটাও স্থায়ী হয়নি বেশিক্ষণ। ১১.৪তম ওভারে স্যান্টনারের বলে দুর্দান্ত ক্যাচ
ধরে ফখরকে ফেরান কনওয়ে। এরপর ৩৩ রানে বিদায় নেন রিজওয়ান।
রিজওয়ান ফিরলে
জয়ের সমীকরণ কিছুটা কঠিন হয়ে পড়ে পাকিস্তানের। তবে শোয়েব মালিকের সঙ্গে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে
পাকিস্তানকে ম্যাচে ফেরান আসিফ আলী। শোয়েব-আসিফের ব্যাটে স্বস্তির জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে
পাকিস্তান।
এদিন শারজাততে
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বেশ সতর্কভাবে করে নিউজিল্যান্ড। দুই ওপেনার মিলে
স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ৩৬ রান। ষষ্ঠ ওভারে ওই জুটি ভাঙেন হারিস রউফ। বোল্ড করে ফিরিয়ে
দেন কিউই ওপেনার মার্টিন গাপটিলকে। তিন বাউন্ডারিতে ২০ বলে ১৭ রান করে বিদায় নেন গাপটিল।
মার্টিন ফিরলে
রানের গতি কমে যায় নিউজিল্যান্ডের। এর মধ্যেই আরেক ওপেনার মিচেলকে সাজঘরের পথ দেখান
ইমাদ ওয়াসিম। নবম ওভারে ওয়াসিমের বলে সীমানায় ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন মিচেল। ২০ বলে
২৭ রান করে ফেরেন তিনি। ৫৪ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় কিউইরা। পরের ওভারেই ফিরে যান
নিশাম।
তিন টপ অর্ডার
ফেরার পর চাপে পড়ে যায় নিউজিল্যান্ড। সেখান থেকে কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন অধিনায়ক কেন
উইলিয়ামসন। কিন্তু পারলেন না দলকে এগিয়ে নিতে। দ্রুত রান তুলতে গিয়ে রানআউট হয়ে ফেরেন
কিউই অধিনায়ক। দুই বাইন্ডারি ও এক ছক্কায় ২৬ বলে ২৫ রান করেন উইলিয়ামসন।
শেষ দিকে বাকিদের
নিয়ে লড়াই করেন ডেভন কনওয়ে। কিন্তু তিনিও পারেননি শেষ করতে। ১৮তম ওভারে তাঁকেও শিকার
বানান রউফ। ২৪ বলে ২৭ করেন কনওয়ে। একই ওভারে গ্লেন ফিলিপসকেও বিদায় করেন রউফ। পাকিস্তানি
বোলারদের বাধা টপকে বড় সংগ্রহ ভিত পায়নি কেইন উইলিয়ামসনের দল।
পাকিস্তানের হয়ে বল হাতে ২২ রান দিয়ে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নেন হারিস রউফ। একটি করে উইকেট নেন ইমাদ ওয়াসিম, শাহীন শাহ আফ্রিদি ও মোহাম্মদ হাফিজ।