আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

নৌকা হচ্ছে স্বাধীনতা ও উন্নয়নের প্রতীক: খোকন সেরনিয়াবাত

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বরিশাল প্রতিনিধি

Image

আসন্ন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগ্নে আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত বলেছেন, নৌকা হচ্ছে স্বাধীনতা ও উন্নয়নের প্রতীক। বরিশাল নগরবাসী নৌকাকে বিজয়ী করলে উন্নয়নের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিজয়ী করা হবে।

কারণ সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বরিশাল নগরবাসীর দীর্ঘদিনের চাঁপা কষ্ট ও দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দিতে প্রধানমন্ত্রী আমার হাতে নৌকা তুলে দিয়ে একজন সেবক হওয়ার জন্য পাঠিয়েছেন। আমিও প্রধানমন্ত্রীকে নগরবাসীর একজন সেবক হওয়ার জন্য ওয়াদা করেছি। নৌকার প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাত আরও বলেন, আগামী ১২ জুনের নির্বাচনে নগরবাসী নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করলে এই শহরকে আমি নতুন ও শান্তিময় শহর হিসেবে গড়ে তুলবো। পাশাপাশি দীর্ঘদিনের মুখ থুবড়ে পড়া বিধ্বস্ত নগরীকে তিলোত্তমা নগরী হিসেবে গড়ে আপনাদের উপহার দেবো।

মহানগর শ্রমিক লীগের আয়োজনে মঙ্গলবার রাতে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় দলীয় নেতাকর্মী ও নগরবাসীর উদ্দেশ্যে খোকন সেরনিয়াবাত আরও বলেন, আমার ওপর আস্থা রাখুন। আমি বেঁচে থাকতে কোনোধরনের অন্যায়, অনিয়ম ও অপরাধ হতে দেবোনা। নতুন বরিশাল গড়ারই হচ্ছে আমাদের অঙ্গীকার। প্রতিটি মানুষকে সেবা ও ভালোবাসা দিতে চাই। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. আফতাফ হোসেন। সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন, মহানগর যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক মো. মাহমুদুল হাসান খান মামুন।

এরপূর্বে বরিশাল-৫ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়কালে দলের নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের নগরবাসীর উদ্দেশ্যে বলেছেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থী এবং তার আপন ফুফাত ভাই। তাই তাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করলে প্রধানমন্ত্রী বরিশালকে তিলোত্তমা নগরী গড়ে দেবেন।

তিনি আরও বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থীকে বিজয়ী করা হলে আগামী দিনের নগর ভবন হবে জনগণ ও সর্বসাধারণের নগর ভবন। এজন্য তিনি (প্রতিমন্ত্রী) দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের নগরবাসীকে স্বাধীনতা ও উন্নয়নের প্রতীক নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করার জন্য আহবান করেছেন।

ঈদ পরবর্তী দলীয় নেতাকর্মী ও নগরবাসীর সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে নৌকার প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাত বলেন, আপনাদের মূল্যবান ভোটে আমি নির্বাচিত হতে পারলে আর যাই হোক অতীতের মেয়রদের মতো না হয়ে দলমত নির্বিশেষে আমার বাড়ির দরজা আপনাদের জন্য সবসময় খোলা থাকবে। পাশাপাশি নগরবাসীর চাহিদাকে সর্বাত্মক গুরুত্ব দিয়ে সবধরনের উন্নয়নমূলক কাজ করা হবে। অতীতের ন্যায় নগরবাসীর ওপর কোনধরনের অপরাধ ও জুলুমকে প্রশয় দেওয়া হবেনা।

নৌকার প্রার্থী আরও বলেন, দেশের অন্যান্য সিটি করপোরেশনে যে উন্নয়ন হয়েছে, সেইদিক থেকে বরিশাল অনেক পিছিয়ে রয়েছে। তাই পরিকল্পিত উন্নয়ন ও আধুনিক সিটি করপোরেশন গড়ার স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী আমার হাতে নৌকা প্রতীক তুলে দিয়েছেন। আমার শতভাগ বিশ্বাস রয়েছে-বাংলাদেশের উন্নয়নের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার প্রতি যে আস্থা ও বিশ্বাস রেখেছেন, সেইদিক বিবেচনা করে এবং প্রাধান্য দিয়ে সর্বস্তরের নগরবাসী আধুনিক ও উন্নত নগরী গড়ার লক্ষ্যে নৌকা মার্কায় তাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন। আগামী ১২ জুনের নির্বাচনে নৌকার বিজয় হলে সেই বিজয় হবে তিলোত্তমা বরিশাল নগরী গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিজয়ী করা।

নির্বাচনে লড়ছেন না মনীষা: বরিশাল সিটি করপোরেশনের ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে দেশব্যাপী আলোচিত নারী নেত্রী বাসদর জেলা শাখার সদস্য সচিব ডা. মনীষা চক্রবর্তী এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহন করছেন না। বুধবার বেলা ১১টার দিকে নগরীর ফকিরবাড়ি রোডস্থ বাসদের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ডা. মনিষা এ ঘোষণা দিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নির্বাচনে কেন লড়বেন না তা জানিয়ে মনীষা চক্রবর্তী বলেন, গত নির্বাচনের দিন সকাল থেকে সমস্ত কেন্দ্রে প্রকাশ্যে ভোট ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল। সাধারণ মানুষ যখন এই দৃশ্য দেখে হতবাক ও হতাশ, তখন এই জঘন্য ভোট ডাকাতির বিরুদ্ধে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে আমরা রুখে দাঁড়িয়েছিলাম। তখন আমিসহ আমার কর্মী ও এজেন্টরা ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারদের হামলার শিকার হয়েছিল। নির্বাচনের পর আমাকে নানাভাবে হয়রানি, দলের ওপর নানাধরনের হামলা, আমার মুক্তিযোদ্ধা বাবাকে রাজাকার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

মনীষা চক্রবর্তী আরও বলেন, আমাদের দল বাসদ ও আমাদের রাজনৈতিক জোট বর্তমান পরিস্থিতিতে যেখানে জনগণ পছন্দমতো প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে না, সেই ধরনের প্রহসনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। দলীয় সরকারের অধীনে আওয়ামী লীগের অনুগত দলসমূহকে নিয়ে পাতানো নির্বাচনের যে আয়োজন চলছে, তাতে অংশ নিয়ে আমরা জালিয়াতির নির্বাচনকে বৈধতা দিতে চাই না। ইতোমধ্যে ক্ষমতাসীন দলের লোকজনে আরও একটি গায়ের জোরের নির্বাচন করার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। ফলে যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারবে না, সে নির্বাচনে অংশ নিয়ে আমরা জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চাই না। তাই আগামী ১২ জুন হতে যাওয়া বরিশাল সিটি করপোরেশনের পাতানো নির্বাচন আমরা বর্জন করার ঘোষণা করছি। সংবাদ সম্মেলনে বাসদর কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য জনার্দন দত্ত নান্টু, জেলা সদস্য মানিক হাওলাদার, গোলাম রসূল, সন্তু মিত্র উপস্থিত ছিলেন।

৩০ ওয়ার্ডে একযোগে মিছিল : বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ৩০টি ওয়ার্ডে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা একযোগে তাদের দলের মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসেন তাপসের সমর্থনে লাঙ্গল প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহবান জানিয়ে মিছিল করেছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নগরীর ১ নম্বর ওয়ার্ডে জাপা নেতা নাজমুল হাসান সাকিব, ২ নম্বর ওয়ার্ডে আব্দুল মান্নান, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে সোহরাব হোসেন, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে সেলিম সিকদার, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে আলাউদ্দিন মিয়া, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে হারিছুর রহমান স্বপন, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে শেখ মো. আলম, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে শাহজাহান মিয়া, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে আবুল হোসেন, ১০ নম্বর ওয়ার্ডে আব্দুস সোবহান, ১১ নম্বর ওয়ার্ডে মতি মিয়া, ১২ নম্বর ওয়ার্ডে ফোরকান তালুকদার, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে জাহাঙ্গীর হোসেন, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে সৈয়দ মিজানুর রহমান রতন, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে মঞ্জুরুল আলম খোকন, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে সাইদুল ইসলাম, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে আলহাজ মো. শাহেদ আলী, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে রফিকুল ইসলাম, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে নুরু খলিফা, ২০ নম্বর ওয়ার্ডে খায়রুল ইসলাম, ২১ নম্বর ওয়ার্ডে কামাল সিকদার, ২২ নম্বর ওয়ার্ডে আবুল কালাম আজাদ, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে রুস্তুম আলী খান, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে খলিলুর রহমান, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে সুলতান আহমেদ, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ইউসুফ হাওলাদার, ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে আরাফাত রহমান তাহির, ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে আবুল বাশার, ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে অ্যাডভোকেট এমএ জলিল এবং ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে ইউনুস মিয়ার নেতৃত্বে লাঙ্গল প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহবান জানিয়ে মিছিল করা হয়।

ইভিএমে ভোট গ্রহণ না করার আহবান : আসন্ন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএমে ভোট গ্রহণ না করার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসেন তাপস। ২৫ এপ্রিল দিবাগত রাতে নগরীর অক্সেফোর্ড মিশন রোডস্থ তার প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে জাতীয় পার্টির কর্মীসভায় তিনি এ আহবান করেন।

মেয়র প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস বলেন, নগরবাসীর ভালোবাসা ও সমর্থনে আমি সিক্ত। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে কেউ যাহাতে হস্তক্ষেপ করতে না পারে, সেজন্য নির্বাচন কমিশনকে এখনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি ইভিএমে ভোট গ্রহণ না করার জন্য আহবান জানাচ্ছি।

জাতীয় পার্টির মহানগর আহবায়ক অধ্যাপক মহসিন উল ইসলাম হাবুলের সভাপতিত্বে কর্মী সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, পার্টির জেলার সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট এমএ জলিল, মহানগরের যুগ্ম আহবায়ক রফিকুল ইসলাম গফুর, রুস্তুম আলী খান, আকতার রহমান, ফোরকান তালুকদার, জাতীয় যুব সংহতির মহানগরের আহবায়ক অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন, সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম, জাতীয় ছাত্র সমাজের মহানগরের আহবায়ক হাওলাদার মো. জাহিদ, সদস্য সচিব মিরাজ খান প্রমুখ।

নিউজ ট্যাগ: খোকন সেরনিয়াবাত

আরও খবর



খুলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই আজ খুলেছে স্কুল-কলেজ। এই সময়ে শ্রেণি কার্যক্রম চালু থাকলেও তাপদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে অ্যাসেম্বলি। সেই সঙ্গে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কার্যক্রম। এ অবস্থায় সরকারি প্রাথমিকে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা সংক্রান্ত জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

গতকাল শনিবার (২৭ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৮ এপ্রিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি কার্যক্রম চলমান থাকবে। এক পালায় (শিফটে) পরিচালিত বিদ্যালয়গুলো প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে। আর দুই পালায় বিদ্যালয়গুলোয় প্রথম পালা সকাল ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা এবং দ্বিতীয় পালা সকাল পৌনে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলমান থাকবে। তবে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। আর দাবদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি (প্রাত্যহিক সমাবেশ) বন্ধ থাকবে।

চলমান দাবদাহের কারণে কোমলমতি শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশুকল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলোর শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

মাউশির অধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আগামী শনিবার থেকে ক্লাস হবে। তবে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর বিষয়ে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। অর্থাৎ, শনিবার আগের মতোই সাপ্তাহিক ছুটি থাকছে।

এদিকে, তাপপ্রবাহের কারণে এক সপ্তাহ ছুটির পর মাউশির আওতাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও আজ থেকে খুলছে। তবে কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

গত বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তাপদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি (প্রাত্যহিক সমাবেশ) বন্ধ থাকবে। শ্রেণি কার্যক্রমের যে অংশটুকু শ্রেণিকক্ষের বাইরে পরিচালিত হয়ে থাকে এবং সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসতে হয়, সেসব কার্যক্রম সীমিত থাকবে। এছাড়া দাবদাহ ও অন্যান্য কারণে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে শিখনঘাটতি পূরণ এবং নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিখন ফল অর্জনের জন্য পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




বাংলাদেশ সীমান্তে ঢুকে নারীদের তাড়া করে গুলি ছুড়লো বিএসএফ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ মাসুদ রানা, কুড়িগ্রাম

Image

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে বাংলাদেশ ভূখণ্ডে প্রবেশ করে নারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। তবে এতে কোনও হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও গুলিতে বাংলাদেশি এক নাগরিকের বসতভিটার ঘরের চাল ফুটো হয়েছে।

রবিবার (১২ মে) বিকালে উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের ধুলারকুটি সীমান্তের আন্তর্জাতিক মেইন পিলার ৯৩১-এর পাশে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে বিজিবির কড়া প্রতিবাদের পর সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যায় উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা শাহ আলম মিয়া ও আব্দুল কুদ্দুসসহ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, রবিবার বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা কয়েকজন নারী কেটে নেওয়া ধান গাছের আড়া  (গোড়ায় অবশিষ্ট খড়) সংগ্রহের জন্য নো-ম্যানসল্যান্ডে প্রবেশ করেন। এ সময় ভারতীয় নারায়ণগঞ্জ ক্যাম্পের টহলরত এক বিএসএফ সদস্য তাদের ধাওয়া করেন। ধাওয়া খেয়ে ওই নারীরা দৌড়ে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে প্রবেশ করলে বিএসএফ সদস্যও তাদের পিছু নেয়। বাংলাদেশ ভূখণ্ডের প্রায় ২০ থেকে ৩০ গজ অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন ভারতীয় ওই সীমান্তরক্ষী। একপর্যায়ে রাইফেল উঁচিয়ে বাংলাদেশি নারীদের লক্ষ্য করে এক রাউন্ড গুলি করে দ্রুত ভারতের অভ্যন্তরে চলে যান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, গুলিতে কারও হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও তা লক্ষ্যচ্যুত হয়ে ধুলারকুটি গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা নুর আলম বাচ্চুর বাড়ির রান্নাঘরের চালে আঘাত করে। এতে ঘরের চালের টিন ফুটো হয়ে গুলিটি মেঝেতে পড়ে। সে সময় রান্না ঘরে বাচ্চুর পুত্রবধূ থাকলেও ভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে যান। গুলির ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

নুর আলম বাচ্চু বলেন, ওই সময় আমার পুত্রবধূ রান্নাঘরেই ছিল। ভাগ্যিস গুলিটা তার গায়ে লাগেনি। মাঝেমধ্যেই বিএসএফ এভাবে বাংলাদেশে ঢুকে নিরীহ গ্রামবাসীর ওপর অত্যাচার চালায়। আমরা আতঙ্কে থাকি।’

খবর পেয়ে বিজিবি গোরকমন্ডল ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার নজরুল ইসলামসহ বিজিবির একটি দল রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ওই নুর আলম বাচ্চুর বাড়ি পরিদর্শন করে গুলিটি উদ্ধার করে নিয়ে যান। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় সোমবার সকালে বিএসএফকে কড়া প্রতিবাদ জানায় বিজিবি। পরে সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কোম্পানি পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের শিমুলবাড়ী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার নরেশ চন্দ্র রায় এবং বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ৯০ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের নারায়ণগঞ্জ কোম্পানি কমান্ডার ইন্সপেক্টর রমন সিং। বৈঠকে বিনা উসকানিতে সীমান্তে গুলিবর্ষণের কারণ জানতে চেয়ে কড়া প্রতিবাদ জানায় বিজিবি। তবে এ ব্যাপারে পরিষ্কার কোনও ব্যাখ্যা দেয়নি বিএসএফ।

এ ব্যাপারে জানতে মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনায়কের দাফতরিক মোবাইল নম্বরে ফোন ও খুদেবার্তা দিয়ে কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। পরে ব্যাটালিয়নের দায়িত্বশীল অফিসার মেজর আসিফকে ফোন ও খুদেবার্তা দিলে তিনিও কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি।


আরও খবর



দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ ধরা শুরু

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চাঁদপুর প্রতিনিধি

Image

দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) মধ্যরাত থেকে ফের ইলিশ ধরতে নদীতে নেমেছেন জেলেরা। এদিন মধ্যরাতে চাঁদপুরের চরভৈরবী থেকে ষাটনল পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার নদী এলাকায় বিচরণ করছেন প্রায় অর্ধলক্ষাধিক জেলে। যৌথ অভিযানে জাটকা সংরক্ষণ অভিযান সফল হওয়ায় এবার ইলিশ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছয় লাখ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছে জেলা মৎস্য অফিস।

এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই জেলেরা জাল, নৌকা ও ট্রলার নিয়ে ইলিশসহ অন্য মাছ শিকারে প্রস্তুতি নেন।

জেলা মৎস্য অফিস জানিয়েছে, এবার ৫৭৫টি অভিযান, ১২৮টি মোবাইল কোর্ট, ৩৩৪ জন জেলেকে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, প্রায় ৫৩ দশমিক ৯১০ লাখ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে। এদিকে, ৩ দশমিক ৪১৬ মেট্রিক টন জাটকা আটক করে দুস্থ ও এতিমদের মাঝে বিতরণ করে দেওয়া হয়েছে। আর জরিমানা আদায় করা হয়েছে ছয় লাখ ৫০৫ টাকা।

নৌ পুলিশ জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞার সময় ১ মার্চ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত ইলিশ অভয়াশ্রমে অভিযান চালিয়ে ১৯ কোটি ১৩ লাখ মিটার অবৈধ জাল, ১৭ হাজার ৮১৯ কেজি মাছ, ২৪৪টি নৌকাসহ এক হাজার ১১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে চাঁদপুর জেলার নৌ থানা পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে ১৭০টি নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। এছাড়া ২২৬ আসামিকে ৪৮টি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। ২১৩ জনকে ছয় লাখ ২৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ১৫২ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় অভিভাবকের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান বলেন, জেলেদের খাদ্য সহায়তা হিসেবে জনপ্রতি ৪০ কেজি করে চার কিস্তিতে মোট ১৬০ কেজি চাল সহায়তা দেওয়া হয়েছে। ফলে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, কোস্টগার্ড ও জেলা টাস্কফোর্সের যৌথ অভিযানে জাটকা সংরক্ষণ অভিযান সফল হওয়ায় ইলিশ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছয় লাখ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে। তাছাড়া অসাধু জেলেদের আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

দেশের ইলিশ সম্পদ রক্ষায় সরকার প্রতি বছর ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল দুই মাসের কর্মসূচি ঘোষণা করে। এই নির্দিষ্ট সময়ে মাছ ধরা, পরিবহন, বিক্রি ও মজুত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ২০০৬ সাল থেকে মার্চ-এপ্রিল দুই মাস চাঁদপুরের বিস্তীর্ণ নদী সীমাকে ইলিশের অভয়াশ্রম ঘোষণা করে জাটকা রক্ষা কর্মসূচি পালিত হয়ে আসছে।


আরও খবর



পাপারাজ্জিদের ওপর চটে গিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য নোরা ফাতেহির

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বিমানবন্দর, রেস্তোরাঁ, ক্যাফে সেলেবরা যেখানেই যাবেন, সেখানেই হাজির হন পাপারাজ্জিরা। অন্যদিকে তারকাদের এক্সক্লুসিব ছবি পাওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকেন ছবি শিকারিরা। সম্প্রতি পাপারাজ্জিদের ওপর চটলেন বলিউডের জনপ্রিয় আইটেম গার্ল নোরা ফাতেহি। এক সাক্ষাৎকারে নোরা জানালেন, মাঝে মধ্যেই ছবি শিকারিরা শরীরের নানা অংশে ক্যামেরা জুম করেন! শুধু তাই নয়, আজব প্রশ্নও নাকি করেন পাপারাজ্জিরা!

নোরা বললেন, মনে হয় আমার মতো নিতম্ব কখনও দেখেনি ওরা। সব সময় এমন হয়। শুধু আমার ক্ষেত্রেই নয়, অন্য অভিনেত্রীদের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে। হয়তো তাদের নিতম্ব নির্দিষ্ট করে ক্যামেরায় দেখানো হয় না, কারণ তাদের নিতম্ব খুব একটা উত্তেজনামূলক নয়। তবে অপ্রয়োজনীয় ভাবে তাদের অন্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ক্যামেরার নজরে আসে। আমার মনে হয়, এটা ক্যামেরায় নির্দিষ্ট করে দেখানোর মতো কিছু নয়। কোন দিকে নজর তাদের?

নোরা ফাতেহি জানান, সামাজিক মাধ্যমে ট্রেন্ড ধরে রাখার জন্য এই সব করা হয়। শরীরের কারণে বার বার শিরোনামে এসেছেন। তবে নিজের শরীর নিয়ে কোনো ছুতমার্গ নেই নোরার। আমার শরীর সুন্দর এবং আমার সম্পদ নিয়ে আমি গর্ববোধ করি। আমি কখনোই আমার শরীর নিয়ে লজ্জিত নই।

ছবি শিকারিদের এই প্রবণতা হয়তো ভুল কিন্তু সেটা আলাদাভাবে আলোচনার বিষয়। আমি এক একজনকে ধরে ধরে ঠিক ভুলের শিক্ষা দিতে পারব না বললেন অভিনেত্রী।

নোরার মতে, বলিউডে তার সফর নিয়ে মানুষ বাহবা দেন। বিশেষত যাদের সঙ্গে তিনি কাজ করেছেন তাদের কাছ থেকে প্রাপ্য সম্মান ও সহযোগিতা পেয়েছেন। কাজ নিয়ে কখনও আপস করেন না অভিনেত্রী।

নিউজ ট্যাগ: নোরা ফাতেহি

আরও খবর



বাংলাদেশ ফিজিক্যাল সোসাইটির সভাপতি নিযুক্ত হলেন ড. শৌকত আকবর

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান এবং এনপিসিবিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. শৌকত আকবর গত শনিবার বাংলাদেশ ফিজিক্যাল সোসাইটির বার্ষিক সাধারণ সভায় সোসাইটির সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন। ড. আকবরকে পদার্থবিদ্যার ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য বাংলাদেশ ফিজিক্যাল সোসাইটির ফেলো হিসাবেও ভূষিত করা হয়েছে। বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. শৌকত আকবর ১৯৬৬ সালে কিশোরগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে প্রথম শ্রেণিতে স্নাতক (সম্মান) এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি জাপানের হোক্কাইডো ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন। ড. আকবর ১৯৯৩ সালের জানুয়ারিতে কমিশনে একজন বিজ্ঞানী হিসাবে তার কর্মজীবন শুরু করেন।


আরও খবর