পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে দুটি
সামরিক ঘাঁটিতে সশস্ত্র বিদ্রোহীদের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন সাত সেনা সদস্য। সংঘর্ষে
১৩ বিদ্রোহীও নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের এক শীর্ষ কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত
করেছেন। খবর রয়টার্সের।
পাকিস্তানি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রাশেদ
আহমেদ এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ‘আমাদের সশস্ত্র বাহিনী বড় ধরনের
একটি হামলা প্রতিহত করেছে। সংঘর্ষে সাত সেনা ও ১৩ বিদ্রোহী নিহত হয়েছেন। আরও চার-পাঁচ
বিদ্রোহীকে ঘিরে রাখা হয়েছে। তাদের বিষয়ে সেনাবাহিনী ব্যবস্থা নেবে।’
বেলুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএফ) এ হামলার
দায় স্বীকার করে জানিয়েছে, তাদের আত্মঘাতী হামলাকারীরা সামরিক ঘাঁটির প্রবেশপথে বিস্ফোরকবোঝাই
গাড়ির বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। এতে অর্ধশতাধিক সেনা প্রাণ হারিয়েছেন বলে দাবি করেছে বিদ্রোহী
গোষ্ঠীটি।
এর আগে, গত সপ্তাহে গোয়াদার বন্দরের কাছে
বিদ্রোহীদের হামলায় পাকিস্তানের ১০ সেনা নিহত হন। গত কয়েক বছরের মধ্যে পাকিস্তান সামরিক
বাহিনীর ওপর এটিই বেলুচ বিদ্রোহীদের সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা।
স্বাধীনতার দাবিতে বেলুচ গেরিলারা বহুদিন
ধরে পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে আসছে। দেশটির সরকার ওই অঞ্চলের মূল্যবান
গ্যাস ও খনিজ সম্পদ তুলে নিয়ে অন্য এলাকায় অন্যায্যভাবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ তাদের।
বিদ্রোহীরা সাধারণত পাকিস্তানি নিরাপত্তা
বাহিনী ও তেল-গ্যাস স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়ে থাকে। চীনা প্রকল্প ও এর সংশ্লিষ্টরাও
তাদের আক্রমণের লক্ষ্য হয়ে উঠেছে। গত বছরই অঞ্চলটিতে বিদ্রোহীদের হামলায় ১০ চীনা প্রকৌশলীসহ
২৬ জন নিহত হন।
গোয়াদার বন্দরসহ বেলুচিস্তানে একাধিক বড়
উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে চীন। দেশটি পাকিস্তানে চীনা নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে
বেশ উদ্বিগ্ন। যদিও পাকিস্তান বরাবরই সবধরনের নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে আসছে।