আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর সাথে সন্ত্রাসীদের সংঘর্ষ, মেজরসহ নিহত ৩

প্রকাশিত:শনিবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২3 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তের ওয়াজিরিস্তান নামক স্থানে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী ও সন্ত্রাসীদের মধ্যে তুমুল গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে দেশটির সেনাবাহিনীর একজন মেজরসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) ওয়াজিরিস্তানের মিরান শাহ জেনারেল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। দেশটির সেনাবাহিনীর মিডিয়া উইং এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর জিও নিউজের।

পাকিস্তান আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনী যখন অভিযান শুরু করে, তখন সন্ত্রাসীদের একটি দলকে মেজর আমির আজিজ দেখতে পেয়ে তাদের প্রতিহত করেন। আজিজ সামনে থেকে এ অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। সেই সময় বন্দুকযুদ্ধে একজন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন এবং আরও একজন আহত হন।

কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে ২৯ বছর বয়সি মেজর আমির এবং ২৭ বছর বয়সি সিপাহী মুহাম্মদ আরিফ তুমুল গোলাগুলির সময় নিহত হয়েছেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী সন্ত্রাসবাদের হুমকি নির্মূল করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং সেনাদের এ ধরনের আত্মত্যাগ আমাদের সংকল্পকে আরও শক্তিশালী করে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলার পরিমাণ অনেক বেড়েছে। বিশেষ করে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে।


আরও খবর



রাশিয়ায় সেতু থেকে নদীতে বাস পড়ে নিহত ৭

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে সেতু থেকে যাত্রীবাহী একটি বাস নদীতে পড়ে অন্তত সতজন নিহত হয়েছেন। এতে আরও ছয়জন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (১০ মে) জরুরি মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর রয়টার্সের।

রুশ তদন্তকারী কমিটি জানিয়েছে, বাস দুর্ঘটনায় সাতজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছে ছয় জন। ওই বাসে ২০ জনের মতো যাত্রী ছিল।

সেতু ভেঙে বাসটি নদীতে পড়ে যাওয়ার পরই ডুবে যায়। এরপরই উদ্ধারকর্মীরা এটিকে উদ্ধারের জন্য চেষ্টা চালায়। ওই সেতুর পাশে উদ্ধারকারীদের নৌকা এবং অ্যাম্বুলেন্স দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।

বাসটি দুর্ঘটনার কবলে পড়লে স্থানীয়রা ওই নদীতে নেমে উদ্ধার কাজে অংশ নেয়। এ ঘটনায় স্থানীয়দের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ।

কর্তৃপক্ষ বাস দুর্ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে এতে দেখা যাচ্ছে সেতুর রেলিং ভেঙে বাসটি নদীতে পড়েই ডুবে যায়।

রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা রিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই বাসের চালককে আটক করা হয়েছে।


আরও খবর



টুঙ্গিপাড়ার পথে প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

একদিনের সফরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (১০ মে) সকাল ৭টা ১০ মিনিটে তিনি ঢাকা থেকে রওনা করেন। বৃহস্পতিবার (৯ মে) এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব এমএম ইমরুল কায়েস।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।

এ বিষয়ে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল হক জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে গভীর শ্রদ্ধা জানাবেন। পরে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের শিকার বঙ্গবন্ধু ও অপর শহীদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাতে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।

জেলা প্রশাসক জানান, প্রধানমন্ত্রীর আরেকটি বিশেষ কর্মসূচি রয়েছে। তিনি টুঙ্গিপাড়ার দাড়িয়ারকুল সমবায় সমিতির উপদেষ্টা সদস্য। সমিতিটি আমার বাড়ি, আমার খামার’ প্রকল্পের আওতাভুক্ত। তিনি তার ব্যক্তিগত অর্থায়নে এ সমিতির উপকারভোগীদের মধ্যে কৃষি উপকরণ ও নগদ সহায়তা দেবেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সফর নিরাপদ ও সফল করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সব বাহিনীর সঙ্গে আমাদের সার্বিক সমন্বয়মূলক কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আমরা আশা করছি, প্রধানমন্ত্রীর সফরটি সুন্দর, নিরাপদ ও সফল হবে।

টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মেয়র শেখ তোজ্জাম্মেল হক টুটুল জানান, টুঙ্গিপাড়ায় এটি প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সফর। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে টুঙ্গিপাড়ার দাড়িয়ারকুল সমবায় সমিতির উপকারভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। এ সময় তিনি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে তাদের শিক্ষা ও কৃষি উপকরণ এবং নগদ অর্থ প্রদান করবেন। কর্মসূচি পালন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুক্রবারই ঢাকায় ফিরবেন।


আরও খবর



কোন রাস্তায় কত গতিতে যানবাহন চলবে, জানাল সড়ক বিভাগ

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে দিন দিন বেড়েই চলছে সড়ক দুর্ঘটনা। এসব দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে কোন সড়কে, কত গতিতে কোন ধরনের যানবাহন চলবে, তা ঠিক করে দিয়েছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। গত রোববার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের বিভাগ থেকে মোটরযানের গতিসীমা-সংক্রান্ত নির্দেশিকা, ২০২৪ জারি করা হয়েছে। বুধবার (৮ মে) থেকে এ বিধিমালা কার্যকর হয়েছে।

বিধিমালা অনুযায়ী, এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেলের সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার, জাতীয় মহাসড়কে (ক্যাটাগরি-এ) ৫০ কিলোমিটার, জাতীয় (ক্যাটাগরি-বি) ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ৫০ কিলোমিটার, জেলা সড়কে ৫০ কিলোমিটার, সিটি করপোরেশন/পৌরসভা/জেলা সদরে ৩০ কিলোমিটার, উপজেলা মহাসড়ক ও শহর এলাকায় প্রাইমারি আরবান সড়কে ৩০ কিলোমিটার, শেয়ার রোড ও অন্যান্য সড়ক এবং গ্রামীণ সড়কে ২০ কিলোমিটার।

মোটরকার, জিপ, মাইক্রোবাস, হালকা যাত্রীবাহী মোটরযান এবং বাস-মিনিবাস ও ভারী যাত্রীবাহী মোটরযানের ক্ষেত্রে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ গতিসীমা এক্সপ্রেসওয়েতে ৮০ কিলোমিটার, জাতীয় মহাসড়কে (ক্যাটাগরি-এ) ৮০ কিলোমিটার, জাতীয় (ক্যাটাগরি-বি) ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ৭০ কিলোমিটার, জেলা সড়কে ৬০ কিলোমিটার, সিটি করপোরেশন/পৌরসভা/জেলা সদরে ৪০ কিলোমিটার, উপজেলা মহাসড়ক ও শহর এলাকায় প্রাইমারি আরবান সড়কে ৪০ কিলোমিটার, শেয়ার রোড ও অন্যান্য সড়ক এবং গ্রামীণ সড়কে ৩০ কিলোমিটার।

ট্রাক, মিনি ট্রাক, কাভার্ডভ্যানসহ মালবাহী মোটরযান এবং ট্রেইলারযুক্ত আর্টিকুলেটেড মোটরযানের ঘণ্টায় সর্বোচ্চ গতিসীমা এক্সপ্রেসওয়েতে ৫০ কিলোমিটার, জাতীয় মহাসড়কে (ক্যাটাগরি-এ) ৫০ কিলোমিটার, জাতীয় (ক্যাটাগরি-বি) ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ৪৫ কিলোমিটার, জেলা সড়কে ৪০ কিলোমিটার, সিটি করপোরেশন/পৌরসভা/জেলা সদরে ৩০ কিলোমিটার, উপজেলা মহাসড়ক ও শহর এলাকায় প্রাইমারি আরবান সড়কে ৩০ কিলোমিটার, শেয়ার রোড ও অন্যান্য সড়ক এবং গ্রামীণ সড়কে ৩০ কিলোমিটার।

এ ছাড়া এক্সপ্রেসওয়ে ও জাতীয় মহাসড়কে (ক্যাটাগরি-এ) ও (ক্যাটাগরি-বি) এবং আঞ্চলিক মহাসড়কে থ্রি-হুইলার চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জেলা সড়ক, সিটি করপোরেশন/পৌরসভা/জেলা সদর, উপজেলা মহাসড়ক ও শহর এলাকায় প্রাইমারি আরবান সড়কে চলাচলের অনুমতি সাপেক্ষে সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার গতিতে থ্রি-হুইলার চলতে পারবে। এ ছাড়া শেয়ার রোড ও অন্যান্য সড়ক এবং গ্রামীণ সড়কে সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ২০ ও ৩০ কিলোমিটার গতিতে থ্রি-হুইলার চলতে পারবে।

নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, দেশব্যাপী উন্নত যোগাযোগ নেটওয়ার্ক বিস্তৃতির ফলে সড়ক ও মহাসড়কে দ্রুতগতির যাত্রী ও পণ্যবাহী পরিবহনের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং প্রায়ই অনাকাঙ্ক্ষিত সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ মোটরযানের অতিরিক্ত গতি ও বেপরোয়াভাবে মোটরযান চালানো। দ্রুতগতির কারণে আঘাতের মাত্রাও হয় অত্যধিক। ২০৩০ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত মানুষের সংখ্যা অর্ধেকে কমিয়ে আনার লক্ষ্যেই নতুন এই নির্দেশিকা জারি করা হলো।

নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, এ গতিসীমা অবশ্যই মেনে সড়ক বা মহাসড়কে মোটরযান চালাতে হবে। সেখানে বলা হয়েছে, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, আবাসিক এলাকা এবং হাট-বাজার ইত্যাদি সংলগ্ন সড়ক বা মহাসড়কে মোটরযানের সর্বোচ্চ গতিসীমা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান বা রাস্তা নির্মাণকারী বা উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান নির্ধারণ করবে। তবে তা কোনোক্রমেই জাতীয় মহাসড়কের ক্ষেত্রে ৪০ কিলোমিটার/ঘণ্টা এবং আঞ্চলিক মহাসড়কের ক্ষেত্রে ৩০ কিলোমিটার/ঘণ্টার বেশি হবে না। সর্বোচ্চ গতিসীমার এই বাধ্যবাধকতা শুধু স্বাভাবিক অবস্থায় প্রযোজ্য হবে বলে জানানো হয়। তবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া, প্রখর রোদ, অতিরিক্ত বৃষ্টি, ঘন কুয়াশা ইত্যাদি প্রতিকূল পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রণযোগ্য নিরাপদ গতিসীমা প্রযোজ্য হবে। দৃষ্টিসীমা বেশি মাত্রায় কমে গেলে বা একেবারেই দেখা না গেলে, মোটরযান চালানো বন্ধ রাখতে হবে।

নির্দেশিকায় বলা হয়, এক্সপ্রেসওয়ে, জাতীয় মহাসড়ক, আঞ্চলিক মহাসড়ক এবং জেলা সড়কের উভয় দিকের প্রবেশমুখ ও নির্দিষ্ট দূরত্বে যানবাহনভিত্তিক নির্ধারিত গতিসীমা-সংক্রান্ত সাইন রাস্তা নির্মাণকারী বা উপযুক্ত প্রতিষ্ঠানকে প্রদর্শন করতে হবে। মোটরযানের শ্রেণি বা ধরন অনুযায়ী, ভিন্ন ভিন্ন গতিসীমার জন্য একই পোস্টে মোটরযানের নাম ও ছবিসংবলিত গতিসীমার সাইন প্রদর্শন করতে হবে। পাহাড়ি এলাকা, আঁকাবাঁকা সড়ক, বাঁক, ব্রিজ, রেল বা লেভেল ক্রসিং, সড়ক সংযোগস্থল, বাজার, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালের সামনে সাইনে প্রদর্শিত গতিসীমা প্রযোজ্য হবে।

নির্দেশিকায় বিশেষ কিছু নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, সড়ক বাঁক, জংশন, জ্যামিতিক কাঠামো, পারিপার্শ্বিক পরিবেশ, দুর্ঘটনার ঝুঁকি ও অন্যান্য বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট রাস্তা নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক মোটরযানের শ্রেণি বা ধরন অনুযায়ী নির্দিষ্ট দূরত্বের জন্য ট্রাফিক সাইন ম্যানুয়াল অনুযায়ী স্ট্যান্ডার্ড ট্রাফিক সাইন পোস্ট ও গতিসীমা প্রদর্শন বা স্থাপন করবে।

বিশেষ নির্দেশে আরও বলা হয়, মালবাহী মোটরযানসহ অন্যান্য স্বল্পগতির মোটরযান সর্বদা সড়কের বাঁ পাশের লেন দিয়ে চলাচল করবে। শুধু ওভারটেক করার সময় ডান লেন ব্যবহার করতে পারবে, কখনো বাঁ লেন দিয়ে ওভারটেক করা যাবে না।

এতে বলা হয়- ওভারটেকিং নিষিদ্ধ না থাকলে রাস্তার ট্রাফিক সাইন, রোড মার্কিং দেখে এবং সামনে, পেছনে পর্যাপ্ত ও প্রয়োজনীয় জায়গা থাকলে নিরাপদ পরিস্থিতি বিবেচনায় ওভারটেক করা যাবে। ওভারটেক করার সময় সামনে বিপরীত লেনে আসা গাড়ি এবং পেছনের গাড়ির অবস্থান ও গতিবেগ দেখে ওভারটেকিংয়ের জন্য নিরাপদ দূরত্ব আছে কি না, সে সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। নির্দেশ পালন না করলে বা গতিসীমা লঙ্ঘন করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮-এর সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



চোখ রাঙাচ্ছে ফ্লু ভাইরাস, রূপ নিতে পারে মহামারীতে

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

অদূর ভবিষ্যতে মহামারীতে রূপ নিতে পারে ফ্লু ভাইরাস, এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। আগামী সপ্তাহে প্রকাশিত হতে যাওয়া একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা অনুযায়ী, অভিজ্ঞ রোগ বিশেষজ্ঞদের প্রায় ৫৭ শতাংশই মনে করছেন ফ্লু ভাইরাসের একটি স্ট্রেইন আগামীতে বিশ্বজুড়ে মহামারীর কারণ হতে পারে।

কলোগনি ইউনিভার্সিটির সালম্যানটন গার্সিয়া দীর্ঘ সময় ধরে তার করা সমীক্ষায় দেখান যে ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রতিনিয়ত বিবর্তিত হচ্ছে এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ ভাইরাসের ধরনে নানা পরিবর্তন আসছে।

তিনি বলেন, প্রতি শীতেই ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রকোপ দেখা দেয়। এটাকে ছোটখাটো মহামারীই বলা চলে। ইনফ্লুয়েঞ্জা কম-বেশি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়, কারণ বেশিরভাগ ধরন তুলনামূলক কম ক্ষতিকারক। তবে আগামীতেও যে এটি এমনই থাকবে তা তো নিশ্চিত নয়।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন ফ্লুর পরে বড় মহামারীটি ডিজিজ এক্স নামক ভাইরাস থেকে আসতে পারে। তবে ভাইরাসটি বিজ্ঞানীদের কাছে এখনও অজানা। গবেষণা অনুযায়ী, প্রায় ২১ শতাংশ বিশেষজ্ঞ বিশ্বাস করেন পরবর্তী মহামারী একটি নতুন অণুজীবের কারণে ঘটবে, যা এখন পর্যন্ত শনাক্ত করা যায়নি। এটা সেভাবেই পৃথিবীকে আক্রমণ করবে, যেভাবে হুট করেই ঠিক সার্স-কোভ-২ ভাইরাস ২০১৯ সালে আক্রমণ করেছিল।

অন্যদিকে, প্রায় ১৫ শতাংশ বিজ্ঞানী মনে করেন কোভিড-১৯ ভাইরাসই এখন পর্যন্ত আগামী মহামারীর হুমকি হিসেবে রয়ে গেছে।

গত সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইনফ্লুয়েঞ্জার এইচফাইভএনওয়ান (H5N1) স্ট্রেইনের উদ্বেগজনক বিস্তার সম্পর্কে আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছে, বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষ এভিয়ান ফ্লুতে আক্রান্ত হচ্ছে। ২০২০ সালে শুরু হওয়া এ প্রাদুর্ভাবে এরই মধ্যে লাখ লাখ হাঁস-মুরগির মৃত্যু হয়েছে এবং লাখ লাখ বন্যপাখি নিশ্চিহ্ন হয়েছে।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ১২টি রাজ্যে ভাইরাসটি স্তন্যপায়ী প্রজাতির মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে, যার মধ্যে গৃহপালিত গবাদিপশুও রয়েছে। এটি মানুষকেও আক্রান্ত করার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।

হ্যাটফিল্ডের রয়্যাল ভেটেরিনারি কলেজের ড্যানিয়েল গোল্ডহিল গত সপ্তাহে নেচার জার্নালে বলেন, ভাইরাসটি যত বেশি স্তন্যপায়ী প্রাণীর প্রজাতিকে সংক্রমিত করে, ততই এটি মানুষের জন্য বিপজ্জনক স্ট্রেইনে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা প্রবল হয়।’

গ্লাসগো ইউনিভার্সিটির ভাইরোলজিস্ট এড হাচিনসন বলেন, এইচফাইভএনওয়ান ভাইরাসের উপস্থিতি বিস্ময়কর ছিল। এর আগে প্রাণীদের মধ্যে শূকর এতে আক্রান্ত হলেও গবাদিপশুর ওপর এভিয়ান ফ্লুর আক্রমণ একেবারেই নতুন ছিল। তারা এ রোগের নিজস্ব স্ট্রেইনে আক্রান্ত হয়েছিল। তাই গরুতে এইচফাইভএনওয়ানের উপস্থিতি একটি বিরাট ধাক্কা হিসেবে এসেছে।’

এর মানে হলো- ভাইরাসটি আরও বেশিসংখ্যক খামারের প্রাণীতে এবং তারপর খামারের প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে প্রবেশের ঝুঁকি বেড়েছে। ভাইরাসটি যত বেশি ছড়াবে, ততই এটির পরিবর্তন হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। ফলে এটি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

তবে এইচফাইভএনওয়ান মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার এমন কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। কিন্তু যদি ছড়িয়ে পড়ে তাহলে এর প্রভাব মারাত্মক হবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। কারণ দুই দশকে শত শত ক্ষেত্রে মানুষ প্রাণীদের সংস্পর্শে এসে এ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী জেরেমি ফারার বলেছেন, ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার অস্বাভাবিক বেশি, কারণ মানুষের এই ভাইরাস প্রতিরোধ করার প্রাকৃতিক ক্ষমতা নেই।


আরও খবর



উপজেলা নির্বাচন: ৪১৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রথম ধাপে ৪১৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ মে) সকালে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আগামীকাল ৮ মে অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার নিমিত্তে In Aid to the Civil Power এর আওতায় ৬-১০ মে পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিজিবি মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে।

প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট উপলক্ষে ৮ মে (বুধবার) সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। মোট চার ধাপের এই নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোট ২৩, ২৯ মে ও ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।

প্রথম ধাপে যেসব উপজেলায় ভোট হবে

রংপুর বিভাগের পঞ্চগড় জেলার সদর, তেতুলিয়া ও আটোয়ারী; ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী ও হরিপুর, নীলফামারী জেলার ডোমার ও ডিমলা; দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট, হাকিমপুর ও বিরামপুর; লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম ও হাতীবান্ধা; রংপুর জেলার কাউনিয়া ও পীরগাছা; কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী, চর রাজিবপুর ও চিলমারী; গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা ও ফুলছড়ি।

রাজশাহী বিভাগের জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল, কালাই ও আক্কেলপুর; বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও গাবতলী; চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল, গোমস্তাপুর ও ভোলাহাট; নওগাঁ জেলার ধামইরহাট, পত্নীতলা, মহাদেবপুর ও বদলগাছী; রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী ও তানোর; নাটোর জেলার সদর, নলডাঙ্গা ও সিংড়া; সিরাজগঞ্জ জেলার সদর(ইভিএম), কাজিপুর (ইভিএম) ও বেলকুচি (ইভিএম); পাবনা জেলার সাঁথিয়া (ইভিএম) , সুজানগর (ইভিএম) ও বেড়া (ইভিএম)।

খুলনা বিভাগের মেহেরপুর জেলার সদর ও মুজিবনগর; কুষ্টিয়া জেলার খোকসা, সদর ও কুমারখালী; চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর ও দামুড়হুদা, ঝিনাইদহ জেলার সদর ও কালীগঞ্জ; যশোর জেলার মনিরামপুর (ইভিএম) ও কেশবপুর (ইভিএম); মাগুরা জেলার সদর ও শ্রীপুর; নড়াইল জেলার কালিয়া; বাগেরহাট জেলার সদর, রামপাল ও কচুয়া; সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর।

বরিশাল বিভাগের বরিশাল জেলার সদর ও বাকেরগঞ্জ; পিরোজপুর জেলার সদর (ইভিএম), নাজিরপুর (ইভিএম) ও ইন্দুরকানী (ইভিএম)।

ঢাকা বিভাগের ঢাকা জেলার দোহার, নবাবগঞ্জ ও কেরানীগঞ্জ; গোপালগঞ্জ জেলার সদর, কোটালীপাড়া ও টুঙ্গীপাড়া; নারায়নগঞ্জ জেলার সদর ও বন্দর; গাজীপুর জেলার সদর, কালীগঞ্জ ও কাপাসিয়া; রাজবাড়ী জেলার কালুখালী ও পাংশা; মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর (ইভিএম) ও হরিরামপুর (ইভিএম); ফরিদপুর জেলার চরভদ্রাসন, মধুখালী ও সদর; মাদারীপুর জেলার সদর, শিবচর ও রাজৈর, শরিয়তপুর জেলার নড়িয়া (ইভিএম) ও ভেদরগঞ্জ (ইভিএম)। নরসিংহী জেলার সদর ও পলাশ, টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ী, মধুপুর ও গোপালপুর; মুন্সিগঞ্জ জেলার সদর ও গজারিয়া; কিশোরগঞ্জ জেলার সদর, হোসেনপুর ও পাকুন্দিয়া।

ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া ও ফুলপুর; জামালপুর জেলার সদর (ইভিএম) ও সরিষাবাড়ি (ইভিএম); শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী, নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা।

সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই ও শাল্লা; সিলেট জেলার সদর, বিশ্বনাথ, গোলাপগঞ্জ ও দক্ষিণ সুরমা; মৌলভীবাজার জেলার জুড়ি, কুলাউড়া ও বড়লেখা; হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ ও বানিাচং।

চট্টগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণাবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর ও সরাইল, কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ, লাকসাম, লাঙ্গলকোট ও মেঘনা; চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর (ইভিএম) ও মতলব দক্ষিণ (ইভিএম); ফেনী জেলার পরশুরাম ও ফুলগাজী; নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর ও হাতিয়া; লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি ও কমলনগর, চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই, সীতাকুন্ডু ও সন্দ্বীপ; কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া(ইভিএম) , সদর (ইভিএম) ও মহেশখালী (ইভিএম); খাগড়াছড়ি জেলার মনিকছড়ি, লক্ষ্মীছড়ি, রামগড় ও মাটিরাঙ্গা; রাঙ্গামাটি জেলার সদর, কাউখালী, জুরাছড়ি ও বরকল; বান্দরবান জেলার সদর, রোয়াংছড়ি, থানছি ও আলীকদম।


আরও খবর