সময়ের সঙ্গে
মানুষের চাহিদার পরিবর্তন হয়। আর চাহিদা মেটাতে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন উদ্ভাবনের চেষ্টা।
বিজ্ঞান এমন অনেক কিছু আবিষ্কার করেছে, যা আমাদের জীবনকে অনেকটা বদলে দিয়েছে। ২৫ জুলাই
দিনটি আমাদের বিজ্ঞানের এমনই একটি কীর্তির কথা মনে করিয়ে দেয়। বন্ধ্যাত্ব এমন একটি
সমস্যা যা অনেক মানুষের জীবনকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে। এই সমস্যারই সমাধান খুঁজে
পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা আজকের দিনে। এই দিনে বিশ্বের প্রথম সন্তানের জন্ম হয়েছিল কৃত্রিম
উপায়ে অর্থাৎ ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশনের (IVF) মাধ্যমে। এই কারণে প্রতি বছর ২৫ জুলাই
পালিত হয় আইভিএফ দিবস হিসাবে।
এবারেও বিশ্বজুড়ে
পালিত হচ্ছে দিনটি। চলুন জেনে নিই এই দিবসের ইতিহাস এবং গুরুত্ব।
ল্যাসলি ব্রাউন
ডা. প্যাট্রিক স্টেপটো এবং রবার্ট এডওয়ার্ডসের ১৯৭৭ সালে ১০ নভেম্বর ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন
(IVF) প্রক্রিয়া শুরু করেন। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে, লুইস ১৯৭৮ সালে ২৫ জুলাই জন্মগ্রহণ
করেন। এরপর আইভিএফ প্রযুক্তির সাফল্যের স্মরণে প্রতি বছর আইভিএফ প্রযুক্তির মাধ্যমে
জন্ম নেওয়া লুইস জয় ব্রাউনের জন্মদিনটিকে বিশ্ব ভ্রুণ বিশেষজ্ঞ দিবস হিসেবে পালন
করা হয়।
IVF দিবসের
তাৎপর্য
IVF প্রযুক্তি
বন্ধ্যাত্বের সমস্যায় থাকা দম্পতিদের জন্য আশার আলো নিয়ে এসেছে। ভ্রূণ বিজ্ঞানী এবং
প্রজনন চিকিৎসা ক্ষেত্রে কর্মরত ব্যক্তিদের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য এই দিবসটি পালন
হয়।
IVF প্রযুক্তি
কি?
IVF প্রযুক্তি
হল এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে গর্ভের বাইরে ল্যাবে ভ্রূণ প্রস্তুত করা হয়। এই প্রক্রিয়ার
অধীনে, নারীর শরীর থেকে ডিম্বাণু বের করে শুক্রাণু দিয়ে নিষিক্ত করা হয়। এর পরে,
প্রস্তুত ভ্রূণ নারীর জরায়ুতে স্থানান্তরিত হয়, এভাবে গর্ভধারণের প্রক্রিয়া শুরু
হয়। আগ্রায় ১৯৯৮ সালে।