পাকিস্তানের পাঞ্জাব
প্রদেশের নতুন মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন পিএমএল-এনের প্রার্থী হামজা শাহবাজ। তিনি
দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের ছেলে। এর আগে ভোটাভুটিকে কেন্দ্র করে অধিবেশনে
ব্যাপক বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। এসময় ডেপুটি স্পিকার সরদার দোস্ত মুহাম্মদ মাজারি হামলার
শিকার হন।
জানা গেছে, হামজা
মোট ১৯৭ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তবে পিএমএল ও পিটিআই নির্বাচন বয়কট করায় বিরোধী প্রার্থী
পারভেজ এলাহী কোনো ভোট পাননি।
তাছাড়া পাকিস্তানের
শরিফ পরিবারের তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হলেন হামজা। এর আগে তার
বাবা শাহবাজ শরিফ ও চাচা নওয়াজ শরিফও প্রদেশটির মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।
পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী
পদে প্রার্থী হন হামজা শাহবাজ ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিটিআই) সমর্থিত পিএমএল-কিউয়ের
চৌধুরী পারভেজ এলাহী। লাহোর হাইকোর্টের নির্দেশে পাঞ্জাবের এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
গত বুধবার লাহোর
হাইকোর্ট হামজার নির্বাচন নিয়ে করা সংশ্লিষ্ট আবেদন খারিজ করেন ও ডেপুটি স্পিকারকে
পুনর্বহাল করেন। একই সঙ্গে ১৬ এপ্রিল ভোটাভুটির নির্দেশনা দেন।
সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী
ইমরান খানের বিরুদ্ধে দেশটির পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের আগে পাঞ্জাব প্রদেশের গভর্নর
চৌধুরী সারওয়ারকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এর আগে চৌধুরী মুহাম্মদ সারওয়ারের কাছে
উসমান বুজদার তার পদত্যাগপত্র দাখিল করেন এবং মুখ্যমন্ত্রীর পদটি খালি হয়।
পাকিস্তানের চারটি
প্রদেশ হলো বেলুচিস্তান, খাইবার পাখতুনখাওয়া, পাঞ্জাব ও সিন্ধ। এগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ
হলো পাঞ্জাব। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হতে হলে ৩৭১ ভোটের মধ্যে ১৮৬টি ভোটের প্রয়োজন।
যেখানে পিটিআই’র আছে ১৮৩ জন আইনপ্রণেতা। পিএমএল-কিউ’র আছে ১০, পিএমএল-এন’র আছে ১৬৬
এবং পিপিপি’র আছে সাতজন আইনপ্রণেতা।