আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

পার্টির কেউ আমার খবর নেয়নি: রওশন এরশাদ

প্রকাশিত:শনিবার ০২ জুলাই 2০২2 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ জুলাই 2০২2 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আমি থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলাম। পার্টির কেউ খোঁজ নেয়নি আমারঅনেকটা ক্ষোভ ও অভিমান নিয়ে এ কথা বলেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ।

আজ শনিবার রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে জাপার বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীর সঙ্গে মতবিনিময়কালে এমন ক্ষোভ জানান রওশন।

অনুষ্ঠানে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদেরসহ শীর্ষ নেতাদের আমন্ত্রণ করা হলেও তাঁরা কেউ আসেননি। এ নিয়ে রওশন দুঃখ করে বলেন, আমি সবার খোঁজ নিয়েছি। যাদের দল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে, তাঁরাই আমার নিয়মিত খোঁজ রেখেছেন।

আট মাস চিকিৎসা শেষে গত ২৪ জুন থাইল্যান্ড থেকে দেশে ফেরেন রওশন এরশাদ। অসুস্থতার কারণে দীর্ঘ দিন রাজনীতি থেকে খানিকটা দূরে ছিলেন তিনি। দেশে ফেরার পরে গত ২৯ জুন সংসদের বাজেট অধিবেশনেও যোগ দেন।

আগামী ৪ জুলাই চিকিৎসার জন্য আবার তাঁর থাইল্যান্ড যাওয়ার কথা রয়েছে। আজ দীর্ঘ দিন পর দলের নেতকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করলেন রওশন। মতবিনিময়কালে রওশন বলেন, আজকে যাঁরা এই সভায় উপস্থিত হয়েছেন, তাঁরাই পার্টির প্রকৃত নেতাকর্মী।

পার্টির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের অনুপস্থিতিতে জাতীয় পার্টি (জাপা) এলোমেলো হয়ে গেছে মন্তব্য করে রওশন বলেন, আজ এরশাদ নেই। উনি থাকলে পার্টি অন্যরকম হতো। উনি নেই, তাই জাতীয় পার্টি আজ এলোমেলো হয়ে গেছে।

এ সময় পার্টিকে গতিশীল করতে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া নেতাদের ফিরিয়ে আনার তাগিদ দেন রওশন। তিনি বলেন, যারা চলে গেছে তাঁদেরও ফিরিয়ে আনতে হবে। নতুবা আমরা অনেক পিছিয়ে যাব। নতুন প্রজন্মকে দলে আনতে হবে। নতুবা রাজনীতির টিকে থাকতে পারব না।

পার্টিকে শক্তিশালী করতে যা যা করা দরকার তাই করব। এরশাদ তিলে তিলে এই দলটা গড়েছেন। সবাইকে নিয়েই কাজ করতে হবে। যোগ করেন রওশন এরশাদ।

সভায় রওশনপুত্র রাহগীর আল মাহি (সাদ এরশাদ), রওশন এরশাদের রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসিহ, জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য হাবিবুর রহমান, জাপার সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য এমএ সাত্তার, প্রফেসর দেলোয়ার হোসেন খানসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

নিউজ ট্যাগ: জাতীয় পার্টি

আরও খবর



নোয়াখালীর গ্যাস কূপে খনন কাজ শুরু

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার অম্বরনগর গ্রামে নতুন গ্যাস কূপের সন্ধান মিলেছে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) এই নতুন কূপটির খনন কাজ শুরু করেছে। প্রকল্পটির নাম দেওয়া হয়েছে বেগমগঞ্জ-৪ (ওয়েস্ট) মূল্যায়ন কাম উন্নয়ন কূপ খনন প্রকল্প।

আজ সোমবার সকাল থেকে দুই শতাধিক খনন প্রকৌশলী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিক এ কর্মযজ্ঞে অংশগ্রহণ করছেন। আগামী ১২০ দিন চলবে এ খননের কাজ।

কূপটির ড্রিলিং ইনচার্জ ও বাপেক্সের কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, সোমবার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে কূপ খননের জন্য ড্রিলিং রিগ স্থাপন করা হয়। প্রাথমিকভাবে কূপটি মাটির নিচে ৩ হাজার ২০০ মিটার খননের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর ৪টি জোনে প্রাকৃতিক গ্যাস মিলতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে। খনন শেষে প্রতিটি জোনে প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে। যা বাখরাবাদ এর মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত করা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মানুষের চাহিদা পূরণে দেশীয় জ্বালানি অনুসন্ধান ও উৎপাদনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে সরকার। ২০২৫ সালের মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ৪৬টি নতুন অনুসন্ধান, উন্নয়ন ও ওয়ার্কওভার কূপ খনন করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বাপেক্স এর তথ্য মতে, এর আগে নোয়াখালীর এ অঞ্চল তথা বেগমগঞ্জে ১৯৭৬ সালে প্রথম কূপের সন্ধান মিলে। ১৯৭৮ সালে দ্বিতীয় কূপের সন্ধান মিললে সেগুলো ড্রিলিং করা হয়। তবে পরবর্তীতে ওই দুটি কূপে কোনো গ্যাস পাওয়া যায়নি। ২০১৩ সালে তৃতীয় কূপের সন্ধান মিললে ড্রিলিং শেষে ওই কূপ থেকে গ্যাস প্রোডাকশনে যায় এবং ২০১৮ সালে একই কূপে ওয়ার্কওভার করে এখন প্রতিদিন ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রেডে সরবরাহ করা হচ্ছে।


আরও খবর



ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে রংপুরের মামলা হাইকোর্টে স্থগিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে রংপুর শ্রম আদালতে দায়ের করা মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি এ মামলার বৈধতা নিয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আনিচ উল মাওয়া।

এর আগে, শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে রংপুর শ্রম আদালতে দায়ের করা মামলা স্থগিত চেয়ে রিট দায়ের করা হয়।

২০২১ সালে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে রংপুর শ্রম আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশনের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র খামার ব্যবস্থাপক গোলাম মোস্তফা এ মামলা দায়ের করেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন, গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান নুর জাহান বেগম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) শামসুদ দোহা, বোর্ড সদস্য ইমামুস সুলতান, রতন কুমার নাগ ও শাহ জাহান।

মামলার বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী শামীম আল মামুন জানান, মামলার বাদী অবসর গ্র্যাচুইটি ও অর্জিত ছুটি বাবদ নয় লাখ ৭৫ হাজার ১২৫ টাকা ক্ষতিপূরণ বাবদ পাওনা আদায়ের লক্ষ্যে ড. ইউনূসসহ আরও ছয়জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার বাদী গোলাম মোস্তফা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশন ইউনিট কার্যালয়ের খামার ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সেই সময়ে বাদীর অবসর গ্র্যাচুইটি এবং অর্জিত ছুটি নগদায়ন বাবদ পরিশোধ না করে তাকে অবসরে যেতে বাধ্য করা হয়। এছাড়া, পাওনা পরিশোধ করতে প্রতিষ্ঠানটি টালবাহানা করে আসছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি।


আরও খবর



ভুয়া ও মেয়াদোত্তীর্ণ ট্রেড লাইসেন্সে চলছে জবির ক্যাফেটেরিয়া

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

ভুয়া এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে চলছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ক্যাফেটেরিয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা দেওয়া ট্রেড লাইসেন্সটি (TRAD/DSCC/901214/2019) ভুয়া, যেখানে টেম্পারিং এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে বসানো হয়েছে।

জানা যায়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে ১৯ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে ইস্যু করা আসল ট্রেড লাইসেন্সে প্রতিষ্ঠানের নাম 'জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাফেটেরিয়া' এবং মালিকের নাম মাসুদ আলম ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে মাসুদ সেই লাইসেন্সের সব তথ্য ঠিক রেখে খুব চতুরতার সাথে টেম্পারিং এর মাধ্যমে শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে মাসুদ এন্ড কোং করেন। সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক প্রদত্ত লাইসেন্স প্রতিবছর নবায়ন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেই হিসেবে লাইসেন্সের মেয়াদ ৩০ জুন ২০২০ সালে শেষ হয়েছে। কিন্তু ৪ বছরেও নবায়ন করা হয়নি লাইসেন্স।

২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাফেটেরিয়ার পরিচালক আলতাফ হোসেনের কাছ থেকে ৭ লাখ টাকায় পরিচালনার দায়িত্ব নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী শরিফুল ইসলাম। নিয়মানুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরিরত থাকায় শরীফুল নিজের নামে কাগজপত্র করতে পারেননি। তাই তৎকালীন ক্যাফেটেরিয়ার ম্যানেজার মাসুদ আলমের নামে সব কাগজপত্র করেন শরিফুল। তৎকালীন ক্যাফেটেরিয়ার তদারকির দায়িত্বে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে ক্যাফেটেরিয়া পরিচালনার দায়িত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে মাসুদ আলমকে বুঝিয়ে দেন। সকল কাগজপত্র মাসুদের নামে থাকায় পরবর্তীতে মূল অংশীদার শরিফুল ইসলামকে বাদ দিয়ে এককভাবে মাসুদ আলমকে মালিকানা হস্তগত করেন।

এদিকে প্রতারণা ও ছলচাতুরীর আশ্রয় নিয়ে ভুয়া ট্রেড লাইসেন্সের মাধ্যমে মাসুদ আলম দাপটের সাথে ক্যাফেটেরিয়া পরিচালনা করছে বলে অভিযোগ করেন শরীফুল ইসলাম। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন প্রভাবশালী ও কর্তাব্যক্তিকে ম্যানেজ করে আমাকে বাদ দিয়ে মাসুদ ক্যাফেটেরিয়ার নিয়ন্ত্রণ নেন।

বর্তমান ক্যাফেটেরিয়ার পরিচালক মাসুদ আলম বলেন, এখন ট্রেড লাইসেন্স নেই। লাইসেন্স নবায়নের কাজ চলমান আছে, কয়েকদিনের মধ্যে পেয়ে যাবো। আমি মাসুদ এন্ড কোং নামে ট্রেড লাইসেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা দেইনি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাফেটেরিয়া নামে জমা দিছি। শরীফুলের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মাসুদ বলেন, ওনার কথা সত্য নই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক জিএল আল আমিন বলেন, ২০২৩ সালে আগস্টে ৩ বছরের জন্য ক্যাফেটেরিয়ার নতুন ইজারা নিয়েছে মাসুদ আলম। যেহেতু আমি ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ছাত্রকল্যাণের দায়িত্ব পেয়েছি, তাই ট্রেড লাইসেন্সসহ এর আগের কোন বিষয়ে আমার জানা নেই।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




মাদারীপুরে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত ৩০

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মীর ইমরান, মাদারীপুর

Image

মাদারীপুরের রাজৈরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে যাত্রীবাহী দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন যাত্রী।

রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজৈর উপজেলার আলমদস্তা বড় ব্রিজ এলাকার মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, বরিশাল থেকে ছেড়ে আসা হানিফ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। বাসটি রাজৈর উপজেলার আলমদস্তা বড় ব্রিজ এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা বরিশালগামী কাজী পরিবহনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় বাসের কমপেক্ষ ৩০ জন যাত্রী আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। মুখোমুখি সংঘর্ষে বাস দুটির চালক আটকা পড়ে। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান হাওলাদার গণমাধ্যমকে বলেন, দুটি যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে বেশি কিছু যাত্রী আহত হয়েছেন। তবে নিহতের খবর পাওয়া যায়নি। বাস দুটির চালক ভেতরে আটকা পড়েছিল। পরে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় আমরা তাদের উদ্ধার করি।

নিউজ ট্যাগ: সড়ক দুর্ঘটনা

আরও খবর



আজও অস্বাস্থ্যকর ঢাকার বাতাস

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

তীব্র তাপদাহের মধ্যে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি হওয়ার পর তাপমাত্রা কমলেও কমেনি ঢাকার বায়ুদূষণ। বেড়ে চলেছে বায়ুদূষণের মাত্রা।

শনিবার (৪ মে) সকাল ৯টা ২০মিনিটে ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর অবস্থাতে রয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তবে সবচেয়ে বেশি দূষণ ভারতের দিল্লিতে।

আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ৩৫৮ স্কোর নিয়ে বায়ুদূষণের র্শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি শহর। ২১০ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে নেপালের কাঠমান্ডু। ১৭৫ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই শহর। এছাড়া ১১৯ স্কোর নিয়ে তালিকার ১১ নম্বরে অবস্থান করছে ঢাকা। যা সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত।

এদিকে গতকাল শুক্রবার (৩ মে) টানা একমাস তীব্র দাবদাহে পর শেষ পর্যন্ত বৃষ্টির দেখা পেয়েছে ঢাকাবাসী। তবে এই স্বস্তির বৃষ্টিতে নগরবাসী কিছুটা প্রাণ ফিরে পেলেও বায়ুদূষণে বিশ্বের ১০০টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান ছিল সপ্তম।

উল্লেখ্য, একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ পর্যন্ত ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ পর্যন্ত স্কোর মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। অন্যদিকে স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর বায়ু বলে মনে করা হয়। পাশাপাশি ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়।

ঢাকার জন্য বায়ুদূষণ বড় একটি সমস্যা। এ জন্য মোটাদাগে তিনটি কারণ চিহ্নিত করা হয়। এগুলো হলো ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণকাজের ধুলা। পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের এক যৌথ প্রতিবেদনে এই তিন কারণের কথা বলা হয়েছে।


আরও খবর