পদ্মা সেতুর পিলারে একাধিকবার ফেরির ধাক্কা লাগার ঘটনায় সেতুটির নিচ দিয়ে ভারী যানবাহন নিয়ে ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সামনে এ কথা বলেন তিনি।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘স্রোতের তীব্রতা নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটে কোনো ভারী যানবাহন পারাপার হবে না। অ্যাম্বুলেন্স ও হালকা যান পারাপার হবে। যাত্রীবাহী যান পারাপার হবে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে। পণ্যবাহী যান পারাপারে চাঁদপুরের হরিণাঘাট ব্যবহার করতে হবে। এসব ঘাটে ফেরির সংখ্যা বাড়ানো হবে।’
সেতুর পিলারে ফেরি ধাক্কা দেওয়ার ঘটনাকে দুঃখজনক আখ্যা দিয়ে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা খুবই বিব্রত। দুঃখজনক হলেও বলতে হচ্ছে পরপর দুবার সংঘর্ষ ঘটেছে। শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটে তীব্র স্রোতের কারণে চলাচল দুরূহ হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ফেরি চলাচলে যে সক্ষমতা সেটা আমাদের নেই। ফলে শুধুমাত্র হালকা যানবাহন নিয়ে ফেরি চলাচল করতে পারবে। আজকে থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।’
গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বাংলাবাজার থেকে ছেড়ে আসা ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর সেতুর ১০ নম্বর পিলারে ধাক্কা খায়। এ ঘটনায় বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীরের ইনল্যান্ড মাস্টার অফিসার মো. দেলোয়ারুল ইসলাম ও হুইল সুকানি মো. আবুল কালাম আজাদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া বিআইডব্লিউটিসির পরিচালক (কারিগরি) মো. রাশেদুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এর আগে ২৩ জুলাই সেতুর ১৭ নম্বর খুঁটির সঙ্গে রো রো ফেরি শাহজালালের ধাক্কা লাগে। এতে ফেরিটির ২০ যাত্রী আহত হন। ঘটনার পরপরই ফেরির ইনচার্জ ইনল্যান্ড মাস্টার অফিসার আব্দুর রহমানসহ দু'জনকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।