আজঃ বুধবার ০৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা টাকা ফেরত দিতে লিগ্যাল নোটিশ

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ অক্টোবর ২০২১ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ অক্টোবর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে পণ্য কিনতে গিয়ে পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা টাকা গ্রাহকদের ফেরত দিতে বাংলাদেশ ব্যাংক, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সাত প্রতিষ্ঠানকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংস্থা কনসাস কনজুমার্স সোসাইটি (সিসিএস)।

রবিবার (১৭ অক্টোবর) সিসিএস-এর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সাবরিনা জেরিন ডাকযোগে এ নোটিশ পাঠান।

নোটিশে ই-কমার্সে অর্ডার করেছেন কিন্তু পণ্য পাননি এমন গ্রাহকদের অর্থ কেন ফেরত দেওয়া হবে না তা আগামী সাত দিনের মধ্যে জানতে চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ই-কমার্সে পেমেন্টের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ঘোষিত নিয়ম (এস্ক্রো সিস্টেম) সংশোধন করে গ্রাহকের টাকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফেরত পাওয়ার স্থায়ী পদ্ধতি কেন চালু করা হবে না তা বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও ব্যাংকটির পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগের মহাব্যবস্থাপক, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ও একই মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস বিকাশ ও নগদ, পেমেন্ট গেটওয়ে এসএসএল ওয়্যারলেস, ফোস্টার পে এবং সূর্য পে-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

ব্যারিস্টার সাবরিনা জেরিন বলেন, আমরা সিসিএস থেকে প্রায় সাড়ে তিনশ ভুক্তভোগীর সুনির্দিষ্ট তথ্য পেয়েছি। এস্ক্রোতে টাকা আটকে থাকা নিয়ে বেশ জটিলতা হচ্ছে। এই সমস্যা সমাধানের জন্য আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। লিগ্যাল নোটিশের জবাব না পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

সিসিএস-এর নির্বাহী পরিচালক পলাশ মাহমুদ বলেন, এস্ক্রো সিস্টেমে গ্রাহকের টাকা আটকে আছে। এখন গেটওয়েগুলো বলছে, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বা সরকারের অনুমতি লাগবে। কিন্তু আমার টাকা আমি ফেরত পেতে কেন ই-কমার্সের অনুমতির জন্য আটকে থাকবে? হাজার হাজার ভোক্তার কোটি কোটি টাকা আটকে থাকছে। এটা নিয়ে একটু সুষ্ঠু সমাধান হওয়া দরকার। এজন্য আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।


আরও খবর



পথচারীদের বিনামূল্যে রুহ্ আফজা দিচ্ছে হামদর্দ

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

তীব্র দাবদাহে ভয়াবহ অবস্থা দেশজুড়ে। ৭৬ বছরের ইতিহাসে এরকম পরিস্থিতি আর হয়নি বাংলাদেশে। হিটস্ট্রোকের মারাত্মক এই অবস্থায় রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্পটে ক্লান্ত তৃষ্ণার্ত পথচারীদের বিনামূল্যে শরবত রুহ্ আফজা পান করাচ্ছে হামদর্দ ল্যাবরেটরীজ (ওয়াক্ফ) বাংলাদেশ।

আধুনিক হামদর্দের প্রতিষ্ঠাতা ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়ার নির্দেশে রাজধানীজুড়ে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এমন উদ্যোগে ভীষণ খুশি সাধারণ মানুষ।

তারা জানান, রুহ্ আফজা সবার কাছে প্রিয় একটি শরবত। প্রচণ্ড গরমে রাস্তায় বেরিয়ে সবার প্রাণ যখন ওষ্ঠাগত, তখন পথচারীদের ডেকে ডেকে শরবত রুহ্ আফজা পান করাচ্ছে হামদর্দ। এর চেয়ে বড় মানবিক কাজ আর হতে পারে না।

রাজধানী ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন শহরে ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিনামূল্য শরবত রুহ্ আফজা বিতরণ করছে হামদর্দ।

বৈজ্ঞানিকভাবে পরীক্ষিত যে, নিয়মিত শরবত রুহ্ আফজা পান করলে শরীরের পানি ও ইলেকট্রোলাইটের ঘাটতি দ্রুত পূরণ হয়। তাছাড়া শরবত রুহ্ আফজা পান করার মাধ্যমে হিটস্ট্রোক থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়।


আরও খবর



নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দিলো আওয়ামী লীগ

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানীর গুলিস্তানে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আয়োজনে আগামী ২৬ এপ্রিল, শুক্রবার শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে শান্তি সমাবেশের সঞ্চালনা করবেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির।

এদিকে, আগামী শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। সমাবেশ করতে গত শনিবার (২০ এপ্রিল) ডিএমপি কমিশনারকে অবহিত করে চিঠি দিয়েছে দলটি।

বিএনপি সূত্র জানায়, বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা বেগম জিয়ার মুক্তির দাবি ও দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার এবং সাজার প্রতিবাদে এ সমাবেশ করবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।


আরও খবর



বাংলাদেশের প্রথম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

২০২৪ সালের ৩০ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ২৭তম বছরে পদার্পণ করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সবাইকে জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। প্রথমেই আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, বিশ্বের মহান নেতা স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যার জন্ম না হলে বাংলাদেশ নামক দেশের জন্ম হতো না। কৃতজ্ঞতা জানাই রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে- যিনি জনগণের মৌলিক অধিকার স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত এবং দেশের চিকিৎসা, শিক্ষা, গবেষণা ও সেবার মান উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে ১৯৯৮ সালের ৩০ এপ্রিল জাতীয় সংসদে আইন পাসের মাধ্যমে তৎকালীন আইপিজিএমএন্ডআরকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে উন্নীত করার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের প্রথম স্বতন্ত্র পাবলিক মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।

ঢাকার প্রথম তিন তারকা হোটেল ছিল হোটেল শাহবাগ। নবাব সলিমুল্লাহ ১৯০৬ সালের ১৪ ও ১৫ এপ্রিল ভবনটি নিখিল ভারত মুসলিম শিক্ষা সম্মেলনের স্থান হিসেবে নির্বাচন করেন। ১৯০৬ সালের ৩০ ডিসেম্বরে এ ভবনেই অল ইন্ডিয়া মুসলিম লিগ প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তী সময়ে এটিকে সংস্করণ করে হোটেলে রূপান্তর করা হয়, যা ঢাকার প্রথম আন্তর্জাতিক হোটেল। পঞ্চাশের দশকে বিদেশি অতিথিদের আবাস ও আহারের ব্যবস্থা, বড় আকারের অভ্যর্থনা সবই এখানে হতো। এটিই বর্তমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)। আগে এর নাম ছিল ইনস্টিটিউট অব পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিসিন অ্যান্ড রিসার্চ। সাধারণ মানুষের কাছে পিজি হাসপাতাল নামে পরিচিত। ইতিহাসবিদ শরীফ উদ্দিন আহমেদ সম্পাদিত ঢাকা কোষ” এবং ইফতিখার-উল-আউয়াল সম্পাদিত ঐতিহাসিক ঢাকা মহানগরী: বিবর্তন ও সম্ভাবনা বইটিতে এই হাসপাতাল তৈরির ইতিহাস লেখা রয়েছে।

এতে বলা হয়, ১৯৬৫ সালে ইনস্টিটিউট অব পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিসিন অ্যান্ড রিসার্চের জন্য শাহবাগের এই জায়গা অধিগ্রহণ করে সরকার। পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর ব্যাপক বিরোধিতা সত্ত্বেও ১৯৬৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনজন সার্বক্ষণিক বিশেষজ্ঞ ব্রিটিশ কাউন্সিলের উপদেষ্টা স্যার জেমস ডি এস কেমেরন, অধ্যাপক নুরুল ইসলাম এবং অধ্যাপক এ কে এস আহম্মদকে নিয়ে এই ইনস্টিটিউট গড়ে ওঠে। পরে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিষ্ঠিত স্কুল অব ট্রপিকাল মেডিসিনের সঙ্গে এটি যুক্ত হয়।

বাংলাদেশ স্বাধীন হলে ১৯৭২ সালে অধ্যাপক নুরুল ইসলামের অনুরোধে তৎকালীন মন্ত্রী জহুর আহমেদ চৌধুরী মুসলিম লীগের পরিত্যক্ত ভবনটি (ব্লক-এ) পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের ব্যবস্থা করেন। এরপর থেকে এখানেই পিজি হাসপাতালের কার্যক্রম চলে। তবে ১৯৯৮ সালের ৩০ এপ্রিল মহান জাতীয় সংসদে আইন পাসের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। উচ্চতর মেডিকেল শিক্ষা এবং গবেষণার লক্ষ্য নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির যাত্রা শুরু হয়েছিল পিজি হাসপাতালে। এখন এই প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ চিকিৎসা শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আগে তৎকালীন সময়ে দেশের ১৩টি সরকারি ও পাঁচটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ এবং নিপসমসহ পাঁচটি পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দেশের চিকিৎসা শিক্ষা, গবেষণা ও সেবার মান উন্নয়নে যথেষ্ট ভূমিকা পালনে সক্ষম হচ্ছিল না। বাংলাদেশের চিকিৎসা শিক্ষা বিশেষ করে উচ্চশিক্ষা উন্নয়নের লক্ষ্যে স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকেই বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন দেশে একটি স্বতন্ত্র ও গবেষণা সমৃদ্ধ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ও সব মেডিকেল কলেজের স্বায়ত্বশাসন দাবি করে আসছিল।

এখানে উল্লেখ্য যে, ৬৯-এর ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের দেওয়া ১১দফার মধ্যেও চিকিৎসকদের দাবির কথা উল্লেখ ছিল। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ মেডিকেল শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন ও আইপিজিএমআর শিক্ষক সমিতি একটি স্বতন্ত্র ও গবেষণা সমৃদ্ধ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছে।

জাতির পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত দেশের প্রথম পাবলিক মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের চিকিৎসক সমাজ আন্তর্জাতিক মান অর্জন করে দেশের আপামর জনসাধারণের সুচিকিৎসায় নিয়োজিত হবেন এ আকাঙ্ক্ষা নিয়ে যে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করেছিল প্রতিষ্ঠার মাত্র তিন বছরের মাথায় ২০০১ সালে সরকার পরিবর্তনের পর কেবলমাত্র হীন রাজনৈতিক সংকীর্ণতায় বিশ্ববিদ্যালয়টি বন্ধ করে আবারও আইপিজিএমআর করার উদ্যোগ নেয় বিএনপি-জামাত জোট সরকার। এমনকি তারা এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ঢাকা থেকে গাজীপুর, টুঙ্গিপাড়া বা অন্য কোথাও সরিয়ে নেওয়ার হীন উদ্যোগ গ্রহণ করে।

জনসাধারণের বিপুল জনসমর্থন নিয়ে আবারও ২০০৮ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পান এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে সেন্টার অব এক্সিলেন্সে পরিণত করার উদ্যোগ নেন।

বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১০৫টি পোস্ট গ্রাজুয়েট কোর্স পরিচালনা করা হচ্ছে এবং অন্যান্য ৫১টি অধিভুক্ত মেডিকেল/নার্সিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭০টি রেসিডেন্সি কোর্স রয়েছে। চালু হয়েছে এমএসসি নার্সিং কোর্স। বাংলাদেশের ছাত্রদের বাইরেও ভারত, ভুটান, নেপাল, মালদ্বীপ, সোমালিয়া, কানাডা, ইয়েমেন, যুক্তরাষ্ট্র, ইরান, বতসোয়ানা এবং অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের ১১টি দেশের প্রায় ১০০ বিদেশি ছাত্র বিভিন্ন কোর্সে লেখাপড়া করছেন। প্রতিদিন বহির্বিভাগে প্রায় ১০ হাজার নতুন ও পুরাতন রোগী চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করে সন্তুষ্টি নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে এখন আটটি অনুষদসহ ৫৭টি পূর্ণাঙ্গ বিভাগ। আরও সুশৃঙ্খল এবং ডিজিটাল করা হয়েছে আর্থিক ব্যবস্থাপনা। আমাদের হাসপাতালে এখন সমাজের সর্বস্তরের মানুষ ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করছেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রী, সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা, সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা এখানে প্রতিনিয়ত চিকিৎসা নিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এখন দেশের সকল মানুষের কাছে পরিগণিত হয়েছে চিকিৎসার নির্ভরযোগ্য ভরসাস্থল হিসেবে।

রোগীদের আরও উন্নত চিকিৎসা দিতে ইতোমধ্যেই চালু হয়েছে ভিট্রিও রেটিনা, গ্লুকোমা, কর্নিয়া, অকুলোপ্লাস্টি, ক্যাটারেক্ট ও রিফ্রেকটিভ সার্জারি, অর্থোস্কোপিক সার্জারী ও অর্থোপ্লাস্টি, হ্যান্ড এন্ড রিকনস্ট্রাকটিভ সার্জারি, শিশু এন্ডোক্রাইনোলজি, জেনারেল রিউম্যাটোলজি ও ইউমিনো রিউম্যাটোলজি।

মেডিকেল শিক্ষা ব্যবস্থায় গবেষণাকে জোরদার করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা কেন্দ্র।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৪ ঘণ্টা ল্যাবরেটরি সার্ভিস চালু আছে। এছাড়া কয়েকটি বিভাগে রোগীর ল্যাবরেটরি রিপোর্ট অনলাইনে মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ ও কোরিয়া সরকারের যৌথ অর্থায়নে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল চালু করা হয়েছে। ফলে দেশের মানুষ চিকিৎসার জন্য বিদেশে না গিয়ে কম খরচে উন্নতমানের চিকিৎসাসেবা পাবে। এছাড়া দেশে প্রথমবারের মতো পরপর দুটি ক্যাডাভেরিক কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট, বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট, লিভারসহ অন্যান্য অর্গান ট্রান্সপ্ল্যান্ট কার্যক্রমও সমান্তরালভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।

অনেক সীমাবদ্ধতা নিয়ে আমরা এখানে কার্যক্রম পরিচালনা করি। তারপরও সকল শিক্ষক, ছাত্র, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, সেবা ও গবেষণা কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছে সাফল্য নিয়ে। প্রতিনিয়ত অনুষ্ঠিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলন, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, ওয়ার্কশপ- দেশি-বিদেশি চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের উপস্থিতিতে। আমাদের ছাত্র এবং তরুণ চিকিৎসকরা এ সুযোগ নিয়ে নিজেদেরকে সমৃদ্ধ করছে নতুন নতুন জ্ঞান/অভিজ্ঞতা নিয়ে।

চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিভিন্ন সোসাইটির সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের চিকিৎসা বিজ্ঞান চর্চার প্রাণকেন্দ্র।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা এদেশের চিকিৎসক সমাজের দীর্ঘদিনের ন্যায্য দাবি যেমন বাস্তবায়ন করছেন, তেমনি এদেশের উচ্চতর চিকিৎসা শিক্ষাক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী অগ্রযাত্রার সূচনা করেছেন। বাংলাদেশের প্রথম স্বতন্ত্র পাবলিক মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার অবদান চিকিৎসক সমাজ কৃতজ্ঞতার সাথে চিরদিন স্মরণ করবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের বুকে একটা রোল মডেল প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে এবং উন্নত চিকিৎসা সেবা, শিক্ষা ও গবেষণায় আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক সংযুক্তির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়াবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এই প্রত্যাশা আমাদের সবার।

রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক সহযোগিতা এবং সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে সাফল্যের সর্বোচ্চ শিখরে নিয়ে যাব, ইনশাল্লাহ।


আরও খবর



চুয়াডাঙ্গা ও পাবনায় হিটস্ট্রোকে দুজনের মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

তীব্র দাবদাহ পুড়ছে সারাদেশ। অসহনীয় গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। এ অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা ও পাবনায় হিটস্ট্রোকে দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

আজ শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলেও দাবি করছে দপ্তরটি।

এদিকে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ঠাকুরপুর গ্রামে মাঠে কাজ করার সময় হিট স্ট্রোকে জাকির হোসেন (৩৩) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। মৃত জাকির হোসেন দামুড়হুদার কুড়ালগাছি ইউনিয়নের ঠাকুরপুর গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে। তিনি ঠাকুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী ছিলেন।

তাছাড়া আজ শনিবার পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা পাবনা জেলায় চলতি মৌসুমের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এদিন তীব্র দাবদাহে হিট স্ট্রোক করে মারা গেছেন একজন। শনিবার দুপুরে পাবনা শহরের রুপকথা রোডে একটি চায়ের দোকানে চা খাওয়ার সময় হিট স্ট্রোক করেন তিনি। এসময় আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত সুকুমার দাস (৬০) পাবনার শহরের শালগাড়িয়া জাকিরের মোড়ের বাসিন্দা।


আরও খবর



আগামীকাল থেকে শুরু ডিপিএলের সুপার লিগ

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

তীব্র গরমের কারণে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) সুপার লিগের প্রতি রাউন্ডের পর দুদিনের বিরতি রেখেছে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস (সিসিডিএম)।

সোমবার (২২ এপ্রিল) ডিপিএলের প্রথম পর্ব শেষে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ ছয় দলকে নিয়ে শুরু হবে সুপার লিগ।

প্রাথমিকভাবে প্রতি রাউন্ডের পর একদিন বিরতি দিয়ে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে এবারের আসর শেষ করতে চেয়েছিলো সিসিডিএম। কিন্তু আবহাওয়া বিবেচনায় নিয়ে নিজেদের সিদ্বান্ত বদল করেছে সিসিডিএম। কারণ, প্রচন্ড গরমের কারণে খেলোয়াড়রা ক্র্যাম্পিং ঝুঁকিতে পড়তে পারে।

এদিকে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের আগে জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা চলতি ডিপিএলে অংশ নিচ্ছে। এজন্য যে কোনো সময় বড় ধরণের ইনজুরিতে পড়তে পারে তারা।

সুপার লিগের টিকিট পাওয়া ছয়টি দল হলো...

১। আবাহনী লিমিটেড

২। শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব

৩। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব

৪। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব

৫। প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব

৬। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সুপার লিগের প্রথম রাউন্ডে আবাহনীর মুখোমুখি হবে প্রাইম ব্যাংক এবং বিকেএসপিতে গাজী গ্রুপের বিপক্ষে খেলবে শাইনপুকুর। দিনের অন্য ম্যাচে ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে শেখ জামালের প্রতিপক্ষ মোহামেডান।

এদিকে, ২৩ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া রেলিগেশন লিগে খেলবে গাজী টায়ার্স ক্রিকেট একাডেমি, সিটি ক্লাব এবং রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাব। এই পর্বে দলগুলো একে অপরের বিপক্ষে একবার করে খেলবে। সব ম্যাচ শেষে টেবিলের তলানিতে থাকা দুই দল প্রিমিয়ার লিগ থেকে বাদ পড়ে যাবে। রেলিগেশন লিগেও প্রতি ম্যাচের পর দুদিন করে বিরতি রাখা হয়েছে।


আরও খবর
টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪