বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে পিরোজপুর-১ আসন এর মনোনয়ন চেয়ে প্রত্যাখাত হওয়ার পর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঈগল প্রতিক নিয়ে নির্বাচনে নামে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএমএ আউয়াল।
প্রচারণার অংশ হিসেবে দীর্ঘা এম এল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এক জনসভার বক্তব্যকালে একেএমএ আউয়াল বলেন, ‘ভগবানও খেলেন, আমার নেত্রীও খেলেন।’
এসময় তিনি আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সমালোচনা করে বলেন, নেত্রী সারাদেশে যাদের জনপ্রিয় মনে করেছেন তাদের নৌকা প্রতিক দিয়েছেন। কিন্তু তার সব সিদ্ধান্ত ঠিক না। কথায়-ই তো বলে মায়ের চেয়ে যার দরদ বেশি সে মায়া রাক্ষসী।
এসময় তিনি ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনগণকে তারাদের দেবী (মা-কালীর) সাক্ষী দিয়ে নৌকা প্রার্থীর বিপক্ষে কথা বলান।
বক্তব্যকালে একেএমএ আউয়াল নারী কেলেঙ্কারীতে অভিযুক্ত নাজিরপুর উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আশুতোষ ব্যাপারীর পক্ষে সাফাই গান।
যদিও ওই সময়ে বিভিন্ন সংবাদপত্রে আউয়াল পন্থী হিসেবে চিহ্নিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মোশারেফ হোসেন খান বলেন, আশুতোষ বেপারীর মদ ও নারী কেলেঙ্কারি নতুন নয়। তিনি ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে বসে মদ পান করতেন। সঙ্গে নারী থাকত।
এলাবাসী সূত্রে জানাগেছে, নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকেই তিনি নৌকার প্রার্থী এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার ও নৌকার প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের হামলা-মামলা শুরু করে। একেএমএ আউয়াল এসব করেই খান্ত হয়নি বরং তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে এলাকায় অস্ত্রের মহড়া দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা মনোনিত নৌকার প্রার্থী শ ম রেজাউল করিমের পক্ষে যারা কাজ করেন তাদের বাড়িতে ও ব্যক্তিগত কার্যলয় ভাংচুড়-হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে।
সর্বশেষ পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক নৌকার কর্মী তৌহিদুল ইসলাম হিরুর বর্বর হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। এছাড়া নৌকার প্রচারণা শেষে বাড়ি ফেরার পথে গত শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার দীর্ঘা ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব ছৈলাবুনিয়া গ্রামের নাগাসিপাড়া এলাকায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক নরীকে গণধর্ষণের চেষ্টা করে আউয়ালের সন্ত্রাসী বাহিনী।